চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মো. মকবুল নামে এক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
১৫ জুন বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি লাউরফতেহপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য।
গতকাল শুক্রবার তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মকবুল ওই ওয়ার্ডের টানচারা গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, ১১ জুন মকবুলসহ আরো দুজন মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ওই নারী তিনজনকে আসামি করে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সোহেল বলেন, এ ঘটনায় জড়িত অন্য ২ আসামিকেও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়ন কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১০ জানুয়ারি শুক্রবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কাইতলা বাজার প্রাঙ্গনে দলীয় নেতা কর্মীদের উপস্থিতিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি মোঃ মাসুদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা বিভাগীয় কৃষকদলের উপকমিটির যুগ্ন আহবায়ক কেএম মামুনুর অর রশিদ।
উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাবুল এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সদস্য সাইফুল ইসলাম, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক আল আমিন, উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক জহিরুল হক জরু, যুগ্ম আহবায়ক মোজাম্মেল হক, যুগ্ম আহবায়ক রমজান হোসেন, পৌর কৃষকদলের সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন, কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জুবায়ের আহমেদ মাসুদ, সহ-সভাপতি সৈয়দ আমিনুল ইসলাম তপন, সহ-সভাপতি আবু জামাল সরদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আব্দুর রউফ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আবু নাসিম সরকার, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, ইউনিয়ন কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ ইমাম হোসেন সরকার প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ফুটবল একাডেমিকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছে ব্যারিস্টার হাবিবুর রহমান হাবিব ফুটবল একাদশ।
আজ ১৭ জুন শনিবার বিকেলে উপজেলার রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন কালঘরা খেলার মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাবিবুর রহমানের আয়োজনে অর্ধলাখ দর্শকের সমাগমে টান টান উত্তেজনায় এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
খেলা উপভোগ করতে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয় ব্যক্তি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে এক নজর দেখতে নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অর্ধলাখ দর্শকের সমাগমে ম্যাচটি আরও উপভোগ্য হয়ে উঠে।
প্রীতি ফুটবল ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ডা. শফিকুর রহমান, রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মনির হোসেন, এনটিভির বিশেষ প্রতিনিধি হাসান জাবেদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামস আলম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
জটিল রোগ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত মেধাবী ছাত্র সাজন সাহা। তিন মাস পর পর শরীরে দিতে হয় রক্ত।
তারপর জীবন যুদ্ধে টিকে থাকতে অসুস্থতা নিয়েও এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
সাজন সাহা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ভোলাচং পালপাড়া গ্রামের সঞ্জিত সাহা ও স্মৃতি রাণী সাহার ছেলে।
জানা গেছে, সঞ্জিত সাহা কাজ কারেন খাবার হোটেলে। একদিকে দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত অন্যদিকে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় সাজন সাহার শরীরে ধরা পড়ে জটিল রোগ থ্যালাসেমিয়া। গত ২ বছর আগে একমাত্র ছোট বোনটিও মারা যায় শারীরিক অসুস্থতায়। সব মিলিয়ে তার জীবনযুদ্ধ যেন হার মানায় সবকিছুকেই।
কথা হয় জীবন যুদ্ধে লড়াকু সৈনিক সাজন সাহার সঙ্গে। তিনি বলেন, শরীরে যখন রক্ত কমে আসে তখন শরীরজুড়ে জ্বর আসে, মাথা ব্যথা হয়, শরীর দুর্বল হয়ে ভেঙে আসে। তবু হার মানিনি। রক্ত দিয়ে আবারও নেমে পড়ি ভালো কিছু করার উদ্দেশ্যে। আমার মা আমাকে সব সময় অনুপ্রেরণা দেন ভাল কিছু করার জন্য। তবে শারীরিক দুর্বলতা আমাকে হার মানাতে না পারলেও দরিদ্রতা আমার এগিয়ে যাওয়ায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। বাবার সামান্য আয় দিয়ে আমার চিকিৎসা আর সংসার চালাতে হিমশিম খায়। আমার ইচ্ছে ছিল আইনজীবী হওয়ার। যেন দরিদ্র মানুষের ন্যায় বিচারে কাজ করে যেতে পারি। তারপরও আমি হতাশ হচ্ছি না। সৃষ্টিকর্তা যখন এইটুকু এগিয়ে নিয়ে এসেছেন, হয়ত তার ইচ্ছাতেই সবাই আমার পাশে থাকবেন। আমার এগিয়ে যাওয়া নিশ্চিত করবে।
তিনি আরো বলেন, আমার রক্তের গ্রুপ ও পজেটিভ। স্বেচ্ছাসেবী ব্লাড ফাউন্ডেশন আমার জন্য তিন মাস পর পর রক্তের ব্যবস্থা করে থাকেন। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
সাজনের সহপাঠীরা বলেন, সে একজন মেধাবী ছাত্র। নিয়মিত কলেজ করত। সে অসুস্থ হলেও দৃঢ়তার লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। সাজনে সবার জন্য আদর্শ হয়ে থাকবে।
সাজনের মা স্মৃতি রাণী জানান, আমার ছেলে প্রায় ১০ বছর ধরে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। আমার ছেলেকে নিয়ে আমি অনেক বড় স্বপ্ন দেখি তবে সাদ আর সাধ্যের ফারাক যে নির্মম বাস্তবতা। অর্থহীন সংসারে এগিয়ে যাওয়া অনেক কষ্ট। আমার ছোট মেয়েটিও দুই বছর আগে মারা গেছে। এখন সাজনই আমার একমাত্র সম্বল। যেহেতু আমার ছেলে অসুস্থ তাই আমি চাই সে একটা ভাল সরকারি চাকরি করুক।
নবীনগর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ এ কে এম রেজাউল করিম জানান, সাজনের কৃতিত্বে আমরা গর্বিত এবং আনন্দিত। সে কলেজের একজন নিয়মিত ছাত্র। আমরা আশা করি তার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি চিকিৎসা চালিয়ে যেতে সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসবে। আর আমরা নিজস্ব উদ্যোগে তার সহযোগিতায় পাশে থাকব।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। প্রয়োজনে তার পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক মিলাদ মাহফিল ও এসএসসি ২০২৩ পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২২ মার্চ বুধবার সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু মুসার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক।
এ সময় বক্তব্য রাখেন লাউর ফতেহপুর ব্যারিস্টার জাকির আহমেদ কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ইকবাল হোসেন, নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাউসার বেগম, চার গ্রাম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুব হোসাইন, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার হাসনাত জাহান,অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদুল্লাহ প্রমুখ।
এদিকে নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একই দিনে ইচ্ছাময়ী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বশির আহমেদ সরকার পলাশের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একটা সিদ্দিক।
আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকারম হোসেন,জেলা পরিষদ সদস্য নাসির উদ্দিন, মুরাদ পারভেজ, মনা মিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে বজ্রপাতে আব্দুল আওয়াল (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৬ এপ্রিল বুধবার দুপুরে নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের কুড়িঘর বিলে এই ঘটনা ঘটে। তিনি কুড়িঘর গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর ছেলে। নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, বুধবার দুপুরে কুড়িঘর গ্রামের পার্শ্ববর্তী বিলের ফসলি জমি থেকে ধান কাটতে যান আব্দুল আওয়াল। ধান কাটা শেষ করে বিলে গোসল করার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ধান কাটার পর বিলে বজ্রপাতে একজন কৃষক মারা যান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিব চৌধুরী বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে কৃষকের পরিবারকে সহযোগীতা করা হবে।