চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পর্যায়ে দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে আজ ১৭ জুন শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিযোগীতায় ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
বিদ্যালয় গুলো হচ্ছে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সাবেরা সোবহান সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গভর্ণমেন্ট মডেল গার্লস হাই স্কুল ও নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিযোগীতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়।
রানার আপ হয়েছে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।
প্রতিযোগীতায় শ্রেষ্ঠ বক্তা হয়েছে নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের তানজিয়া আক্তার শোভা।
প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার মো জুলফিকার হোসেন।
জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কবি আবদুল মান্নান সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক মানবর্ধন পাল।
বক্তব্য রাখেন জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরজু মিয়া, সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিকী ও বাচিক শিল্পী মনির হোসেন প্রতিযোগীতায় চ্যাম্পিয়নও রানার আপ দলকে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান ছাড়াও শ্রেষ্ঠ বক্তা সহ সকল প্রতিযোগীকে বই প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে অন্তত ৩০টি ঘর-বাড়ি ভেঙে গেছে। আজ ৩১ মার্চ রবিবার সকালে সদর উপজেলায় আঘাত হানে ঝড়ো বাতাস। এতে উপড়ে পড়েছে গাছ-বৈদ্যুতিক খুঁটি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন ও ফসল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নে কাল বৈশাখী ঝড়ের প্রভাব বেশি পড়ে। ইউনিয়নের উত্তর জাঙ্গাল গ্রামের ৩০-৩৫টি বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়।
সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ওমর ফারুক বলেন, বাড়ি-ঘরসহ কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে উড়শিউড়া এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের উপকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছ ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের তার ও খঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বর্তমানে ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎহীন রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. মকবুল হোসেন বলেন, সুলতানপুর এলাকার ৩৫ কেভি লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার, উপ-মহাব্যবস্থাপক (টেকনিক্যাল) ও প্রকৌশলীদেরকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তারা দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করবেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, খবর পেয়েছি সুলতানপুর এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামি না পেয়ে এক নারীর মাথায় পিস্তল ঠেকানোর ঘটনায় আদালতে অভিযোগ দিয়েছেন এক ভুক্তভোগী। অভিযোগে ডিবি পুলিশের সদস্য রেজাউল করিমসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ডিবি পুলিশের সঙ্গীয় অজ্ঞাতনামা আরও আটজনকে আসামি করা হয়।
আজ ১৩ মে সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ আদালতের বিচারক বেগম আফরিন আহমেদ হ্যাপীর বরাবর অভিযোগটি জমা দেন ভোক্তভোগী বন্যা বেগম।
আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগে সদর উপজেলার চান্দিয়ারা এলাকার এনামুল হক, একই এলাকার তার স্বজন সামসুল ইসলাম ও তাজুল ইসলাম ও ভাই মো. সাগর এবং ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিমসহ ডিবি পুলিশের সঙ্গীয় অজ্ঞাতনামা আরও ৮ জনকে আসামি করা হয়।
জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে আসামি গ্রেপ্তার করতে সদর উপজেলার থলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদিপ্রবাসী নূরুল আলমের বাড়িতে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। আসামি নুরুল ইসলামকে না পেয়ে বাড়ির নারী ও শিশুদের মারধরসহ একপর্যায়ে ডিবির সদস্য রেজাউল করিম আসামির স্ত্রী বন্যা বেগমের মাথায় পিস্তল ঠেকান বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ) মো. জয়নাল আবেদীনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন ও পুলিশ পরিদর্শক (অপরাধ) হাবিবুল্লাহ সরকার।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় দায়ের করা মমালার বাদী এনামুল হক, তার আত্মীয় সামছুল ইসলাম ও তাজুল ইসলাম এবং ভাই মো. সাগর সঙ্গে পুলিশকে নিয়ে ভূক্তভোগীর বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে বাড়িতে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আসামি নুরুলের স্ত্রী বন্যা বেগম (৩৩) ও তার নয় বছর বয়সী মেয়েকে মারধর করে। এক পর্যায়ে বন্যার মাথায় বন্দুক তাক করেন। দুটি গুলিও করে ডিবি সদস্যরা।
বন্যা বেগমের আইনজীবী মো. শওকত আলী বলেন, সোমবার ভুক্তভোগী বন্যা বেগমের বাড়িতে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা, শিশুসহ কয়েকজনকে মারধর দুটি গুলি করেছেন ইত্যাদি উল্লেখ করে এজাহার আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে এই এজাহারের বিষয়ে আদালতে কোনো শুনানি হয়নি।