চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, দেশের প্রাচীনতম চিকিৎসা পদ্ধতি “হোমিওপ্যাথিক” চিকিৎসা ব্যবস্থাকে সার্বজনিনভাবে গ্রহণযোগ্য ও প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। দেশ, জাতি এবং গোটা বিশ্ব উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে এগিয়ে গেলেও চিকিৎসা ক্ষেত্রে ‘এন্টিবাইয়োটিকের’ প্রয়োগে রোগাক্রান্ত বিপুল জনগোষ্ঠীকে বিপদজনক পথে টেলে দিচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে দেশের প্রাচীনতম চিকিৎসা পদ্ধতি ‘হোমিওপ্যাথিক’ চিকিৎসার প্রচার ও প্রসারে ‘এন্টিবাইয়োটিকের’ কুপ্রভাব থেকে জাতিকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
তিনি গতকাল জেলাপরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সম্মেলন ও প্রশিক্ষণ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই অভিমত ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আয়োজনে ডাঃ মোঃ আব্দুল কাদিরের সভাপতিত্বে এবং ডাঃ মোঃ ফারুকের সঞ্চালনায় বিশিষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানি ডাঃ শেখ ফারুক এলাহী প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে স্থানীয় বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সহ জেলার বিপুল সংখ্যক চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে সাড়ে ৩শ’ অসহায় প্রবীণকে ঈদি হিসেবে শাড়ি-লুঙ্গি ও ঈদসামগ্রী দিয়েছে ফেসবুকভিত্তিক সংগঠন ‘বাউনবাইরার কতা’।
আজ ৭ এপ্রিল রবিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে প্রবীণদের হাতে ইতি তুলে দেয়া হয়। এছাড়া সংগঠনের সদস্যদের দেওয়া যাকাতের অর্থে ২০টি দরিদ্র পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে সেলাই মেশিন, ভ্যানগাড়ি, রিকশা, ছাগল, মুদি দোকান ও আইসক্রিম গাড়ি এবং ঘর প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস. এম. শান্তনু চৌধুরী।
বাউনবাইরার কতা’র এডমিন ডা. মাহবুর রহমান এমিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. মো. আবু সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) জয়নাল আবেদীন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বিল্লাল হোসেন,নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ওসমান গণি সজিব, তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পরিচালক মো. মনির হোসেন, নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহিদুল ইসলাম জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন প্রমুখ।
পরে আলোচনা শেষে স্বাবলম্বী প্রজেক্টের আওতায় উপকারভোগীদের হাতে রিকশা, ভ্যান ও সেলাই মেশিন এবং প্রবীণদের হাতে ঈদি তুলে দেন অতিথিরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। আমরা চাই আমাদের সন্তানেরা বড় হয়ে দেশপ্রেমিক নাগরিক হয়ে গড়ে উঠুক। তারা দেশের জন্য ভূমিকা রাখুক।
আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশন আয়োজিত ১৯তম শিশু মেধা বৃত্তি ও শিশু মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
চিনাইর মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মেধাবৃত্তি প্রদান ও শিশু মেলা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, মেধাবৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা পরীক্ষা পদ্ধতির একটি মানোন্নয়ন দাঁড় করিয়েছি। এখানে কাউকে বলতে হয়না তোমরা কেউ নকল করবা না। এমনিতেই তারা নকল করে না। এখানে ছোট যে বাচ্চা ক্লাশ ওয়ানে পড়ে সে এসেও পাবলিক পরীক্ষার মত পরীক্ষা দিচ্ছে। আনন্দঘন পরিবেশে পরীক্ষা দিয়ে শিশুদের মন থেকে পরীক্ষা ভীতি দূর হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা এই মেধাবৃত্তি পরীক্ষার মধ্যদিয়ে আগামীদিনে নতুন প্রজন্ম মেধাদীপ্ত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে উঠবে।
চিনাইর মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ফাহিমা খাতুন বলেন, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ৮টি উপজেলার ১৩১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৫৫৮ জন শিক্ষার্থীর অংশ গ্রহনে চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কলেজ ক্যাম্পাসে শিশুমেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষার দেড় মাসের মাথায় ৩১ ডিসেম্বর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে মেধা বৃত্তি তুলে দেয়া হয়।
আয়োজকরা জানান, এ বছর প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়া ৭৯জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে ৩ হাজার টাকা ও সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পাওয়া ১৫৬ জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে এককালীন আড়াই হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
তা ছাড়াও মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী একজনকে দেয়া হয় উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ডেসটিনেশন অ্যাওয়ার্ড এবং নগদ এককালীন ১২০০০ টাকা। শিশুমেধা বৃত্তি ও শিশু মেলাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশে বসে লোকজ মেলা।
চলারপথে রিপোর্ট :
জনগণের উদ্দেশে নিজ হাতে চিঠি লিখেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য এবং ওই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। দুই পৃষ্ঠার ওই চিঠিতে ভোট চাওয়ার পাশাপাশি তাঁর আমলে হওয়া উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরা হয়। ইতিমধ্যে লিফলেট আকারে ওই চিঠি বিতরণ করা শুরু হয়েছে।
চিঠির শুরুতেই তিনি সদর ও বিজয়নগর উপজেলাবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও অকৃত্রিম ভালোবাসা জানান।
২০১১ সালে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি কতটা সফল হয়েছেন সেটা জনগণের ওপর ছেড়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘তবে যেহেতু মানুষ, ভুলত্রুটি হতেই পারে, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, এ আশা রইল।’ করোনাকালীন তিনি ও স্ত্রী অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন জনগণের জন্য কাজ করে যাওয়ার বিষয়টি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
তিনি লিখেছেন, ‘আমার বিরামহীন প্রচেষ্টায় সদর ও বিজয়নগরের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশের যে পরিবর্তন ঘটেছে তা আজ দৃশ্যমান।’ চিঠিতে তিনি দুই উপজেলাতে হওয়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে ভোট প্রার্থনা করেন।
চিঠির শেষের দিকে তিনি লিখেছেন, ‘আল্লাহর রহমত আর আপনাদের ভালোবাসা আমার জীবনের পাথেয়। আপনাদের দোয়া চাই, খেদমত করার সুযোগ চাই। ভালো থাকুন সকলে। মঙ্গল হউক আপনাদের।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। খোদা হাফেজ।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আয়োজনে “মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী” আন্তর্জাতিক দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে র্যালি, আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ১৪ জুলাই রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জেসমিন সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ বেলায়েত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বিল্লাল হোসেন, এনএস আইয়ের উপ-পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জুলফিকার হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সন্তানের প্রতি সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। সমাজ ও দেশকে বাঁচাতে আমাদেরকে মাদক নির্মূল করতে হবে। আলোচনা শেষে চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। এর আগে এক বর্ণাঢ্য র্যালি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের রাস্তা প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৩০ অক্টোবর সোমবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি সারাদেশের ৬৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মধ্যে ৬ষ্ঠ পর্যায়ে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষে সদর মডেল মসজিদের হলরুমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ বিল্লাল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম শেখ, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু প্রমুখ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারি পরিচালক মোঃ জাবের হোসেনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, আলেম-ওলামাগণসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, গণপূর্ত অধিদপ্তর সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই মডেল মসজিদটি নির্মাণ করে।