অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়াসহ তিনটি দেশে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই ২৯ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সেন্টার রবিবার এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্র : গালফ নিউজ
ইন্দোনেশিয়ার কোথাও পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই ২৯ জুন দেশটিতে ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মালয়েশিয়া সরকারও ২৯ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা ঘোষণা করেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরেক দেশ ব্রুনেইতেও রবিবার জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই সে দেশেও ২৯ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে।
বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহার তারিখ নির্ধারণের লক্ষ্যে সোমবার জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক রয়েছে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় এ বৈঠক হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতীয় বিমান বাহিনীর মিগ ২১ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় দুই জন নারীসহ ৩ জন স্থানীয় বাসিন্দা মারা গেছে। তবে বিমান থেকে পাইলট বের হয়ে আসতে পেরেছেন।
আজ ৮ মে সোমবার ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানের হনুমানগড় জেলায় এই ঘটনা ঘটে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত হওয়ার আগে পাইলট একটি প্যারাসুট ব্যবহার করে সময়মতো বিমান থেকে লাফ দিয়েছিলেন। আর এ কারণে তিনি নিরাপদ আছেন বলে জানা গেছে।
ভারতীয় বিমান বাহিনী বলেছে, দুর্ঘটনায় পাইলট সামান্য আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় দেশটির বিমান বাহিনী বলেছে, আইএএফের একটি মিগ-২১ যুদ্ধবিমান আজ সকালে নিয়মিত প্রশিক্ষণের সময় সুরতগড়ের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে। পাইলট নিরাপদে বের হয়ে যেতে পেরেছেন, তবে সামান্য আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, পাইলট নিরাপদে আছেন এবং উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। সুরতগড় থেকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর এই যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়ন করেছিল। একপর্যায়ে হনুমানগড়ের ডাবলি এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসারাম বোস বলেছেন, অন্তত দুইজন বেসামরিক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার ধ্রুব হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছিল। তাতে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বিধ্বস্ত হলো বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান।
এর আগে গতবছর জুলাই মাসে রাজস্থানের বারমেড়ে ভারতীয় বিমান বাহিনীর আরেকটি মিগ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল। ওই ঘটনায় দুই পাইলটের মৃত্যু হয়েছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজার-টেকনাফের বঙ্গোপসাগর ও নাফ নদীর সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে একের পর এক অর্ধগলিত মৃতদেহ ভেসে আসছে।
আজ ১৬ জুন শুক্রবার সকালে সেন্টমার্টির ইউপিরস্থ দক্ষিণ পাড়া এলাকায় জোয়ারের পানিতে ভেসে এলো অর্ধগলিত আরেকটি মরদেহ। বিষয়টি ‘যায়যায়দিনকে নিশ্চিত করেন স্থানীয় বাসিন্দা মো. হারুন। পরে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে গেল তিন দিনে টেকনাফ সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, সেন্টমার্টিন ও উখিয়া ইনানী সমুদ্রসৈকতের পাটোয়ারটেক পয়েন্টসহ মোট ৪ জনের অজ্ঞাত মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো। এর আগে বুধবার ও বৃহস্পতিবার টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সমুদ্র সৈকত ও সাবরাং শাহপরীর দ্বীপ থেকে আরও দু’নারীর মৃতদের উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানিয়েছেন, আজ সকালে সেন্টমার্টিন দক্ষিণ পাড়া সমুদ্র সৈকত থেকে আরেকটি অজ্ঞাত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে ১৪ জুন বুধবার সকালে সাবরাং ইউপির মুন্ডার ডেইল এলাকার মেরিন ড্রাইভের সমুদ্র সৈকত ও ১৫ জুন বৃহস্পতিবার সাবরাং ইউনিয়ন শাহপরীর দ্বীপ বাজার পাড়া এলাকার পাশ্ববর্তী নাফ নদী থেকে অজ্ঞাতনামা এক মহিলার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
সূত্রে জানা যায়- গেল কয়েকদিন আগে গভীর রাতে অতি বৃষ্টি ভারী বাতাসের ফলে বঙ্গোবসাগর উত্তাল থাকায় অবৈধভাবে সাগরপথে ট্রলার নিয়ে মালয়েশিয়া যাত্রাকালে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবে যায়। ওই ঘটনায় নিহত হয়ে বঙ্গোপসাগর ও নাফ নদীর মোহনায় ভাসছে মৃতদেহ।
এদিকে স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি- দ্রুত দেশ ও জাতির সূত্র অবৈধ মানবপাচারকারী ও দালাল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে, দিনের পর দিন এভাবে বঙ্গোপসাগরের লাশের মিছিল চলবে। তাই দালাল সিন্ডিকেটদের শীঘ্রই আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন লোকজন।
অনলাইন ডেস্ক :
লোহিত সাগরে ‘গ্যালাক্সি লিডার’ নামক একটি ইসরায়েলি পণ্যবাহী জাহাজ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। জাহাজটির মালিকানায় ইসরায়েলি এক ব্যবসায়ীর অংশীদারত্ব রয়েছে বলে দাবি করেছে হুথি। এদিকে, এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
হুথিরা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে তারা জাহাজটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তবে, ইসরায়েল এটিকে ইরানের ‘সন্ত্রাসবাদী’ কর্মকাণ্ডের অংশ বলে দাবি করছে।
যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন এ জাহাজের পরিচালনায় রয়েছে জাপান। এটির মালিকানায় ইসরায়েলি এক ব্যবসায়ীর অংশীদারত্ব রয়েছে। তুরস্ক থেকে ভারতগামী জাহাজটিতে কমপক্ষে ২৫ জন লোক ছিল।
এর আগে রবিবার হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের পতাকাবাহী যে কোনো জাহাজ আটকের ঘোষণা দেয়। ইয়েমেনের রাজধানী সানা থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আল-আত্তাব জানান, হুথি বিদ্রোহীরা আন্তর্জাতিক নাবিকদের ইসরায়েলি কোনো জাহাজে কাজ না করার জন্য আগে থেকেই সতর্ক করেছিল।
হুথির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা জাহাজের ক্রুদের সঙ্গে ইসলামিক নিয়ম-নীতি অনুসারে আচরণ করছি। তাদেরকে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। তবে ইসরায়েলের মালিকানাধীন যে কোনো জাহাজ বা যারা এ ধরনের জাহাজে কাজ করবে, আমাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরে আমাদের ভাইদের ওপর চলা আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আমরা সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবো। ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজা ও পশ্চিম তীরে হামলা চালানো বন্ধ করতে হবে।
এদিকে, এ বিষয়ে পৃথক বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় ও দেশটির সেনাবাহিনী। তাতে উল্লেথ তরা হয়েছে, হুতিদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া জাহাজটির মালিকানা বা পরিচালনার সঙ্গে তেল আবিবের কোনো সম্পর্ক নেই।
জাহাজটিতে থাকা ২৫ জন নাবিকের কেউই ইসরায়েলের নাগরিক নন। নাবিকরা ইউক্রেন, মেক্সিকো, ফিলিপাইন ও বুলগেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক। হুথিদের জাহাজ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পেছনে ইরানের হাত রয়েছে। ইরান ‘বিশ্বের মুক্ত নাগরিকদের’ বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
তবে ইসরায়েলের এই দাবির পাল্টা জবাবে ইরান বলেছে, জাহাজ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ঘটনার সঙ্গে তেহরান জড়িত নয়। কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই ইসরায়েল ঢালাওভাবে ইরানকে দায়ী করছে। সূত্র: আল জাজিরা
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের উড়িষ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার প্রায় ১১৬ ঘণ্টা পর ফের ট্র্যাকে ফিরল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। আজ ৭ জুন বুধবার কলকাতার শালিমার স্টেশন থেকে ফের যাত্রা শুরু করল যাত্রীতে পরিপূর্ণ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। নির্দিষ্ট সময় দুপুর ৩টা ২০ মিনিট থেকে ৬ মিনিট দেরিতে এদিন শালিমার স্টেশন থেকে রওনা দেয় চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে।
ভারতের তিন দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর প্রথমবার ট্র্যাকে ফেরা করমণ্ডল সফরে আতঙ্কই যেন ছিল যাত্রীদের সঙ্গী। যাত্রীদের মধ্যেও চলে শুক্রবারের বিভীষিকাময় দুর্ঘটনা নিয়ে আলোচনা। তা সত্ত্বেও যেতে হবেই, বলছেন যাত্রীদের অনেকে। তা প্রিয়জনকে বিদায় জানিয়ে ঈশ্বরকে স্মরণ করে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন যাত্রীরা। ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে দুর্ঘটনার পর প্রথম যাত্রায় ছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
উদ্বেগের মধ্যেই ট্রেনটি ছাড়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সাঁতরাগাছি পৌঁছনোর পর এসি বিকল হয়ে যায় ট্রেনের তাপানুকুল কামরার। সাঁতরাগাছিতে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। দমবন্ধ পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন যাত্রীরা। এরপর দ্রুতগতিতে মেরামত কাজ শুরু করে রেল। বি–১ এবং বি–২ কোচে এসি চালু হলেও বি–৩ কোচে ফের এসি বিভ্রাট দেখা দেয়। তবে প্রায় ৩০ মিনিট পরে অবশ্য ঠিক হয়ে যায় সেটিও।
এদিকে বুধবার ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতদের পরিবারের হাতে চেক বিতরণের পর নেতাজি সুভাষ ইনডোর স্টেডিয়ামের এক অনুষ্ঠানে বিস্ফোরক দাবি করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, ‘সিবিআইকে কাজে লাগিয়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার প্রকৃত তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। ট্রেন দুর্ঘটনার সত্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যাঁরা পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন তাঁরা এঁদের কাছে কৈফিয়ত চান। সত্য সামনে আসুক। কেন দুর্ঘটনা হল? কেন এতজন মারা গেলেন? বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা। সিবিআই কী করবে? ক্রিমিনাল কেস হলে সিবিআই করবে। পুলওয়ামা দেখেননি? তৎকালীন রাজ্যপাল তো বলেই দিয়েছেন।’ একইসঙ্গে করমণ্ডল-বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ১০০ ছেলেমেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেন মমতা। পাশাপাশি যারা এ দুর্ঘটনায় দায়ী তাঁদের কঠোর শাস্তির দাবিও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
অনলাইন ডেস্ক :
শপথ নেওয়ার একদিন পরই মালদ্বীপ থেকে ভারতকে সেনা প্রত্যাহার করতে বলেছেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। আজ ১৮ নভেম্বর শনিবার তিনি জানিয়েছেন, সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে মালদ্বীপ থেকে তাদের সেনা সরিয়ে নিতে বলেছে।
ওই ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজুর সাথে সাক্ষাতেও একই কথা জানিয়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট।
মুইজ্জুর নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম বিষয় ছিল মালদ্বীপ থেকে বিদেশি সেনাদের সরিয়ে দেওয়া।
ভারতের নাম উল্লেখ না করেই মুইজ্জু বলেছেন, মালদ্বীপে কোনো বিদেশি সেনা থাকবে না। সূত্র: এনডিটিভি