অনলাইন ডেস্ক :
জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা আর হবে না। নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ফলাফলের ভিত্তিতে অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদও দেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে আগের নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
আজ ২০ জুন মঙ্গলবার বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, জেএসসি ও জেডিসির আগের মতো বোর্ড পরীক্ষা হবে না। নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সনদ দেবে। ধারাবাহিক মূল্যায়ন ও পরীক্ষা নেওয়া হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এর ভিত্তিতে ফলাফল দেওয়া হবে, সনদও দেওয়া হবে।
তবে সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে অষ্টম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। যারা অষ্টম শ্রেণি পাসের পর কোনো কোর্সে নিযুক্ত হতে চাইবে, তাদের জন্য সনদ ও রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন পড়বে। সে কারণে রেজিস্ট্রেশন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সরকার আগেই অষ্টম শ্রেণি ও সমমানের ক্লাসের জন্য প্রচলিত জেএসসি এবং জেডিসি পরীক্ষা বাতিল করে। এছাড়া নতুন শিক্ষাক্রমে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা থাকবে না। ২০২৪ সাল থেকে অষ্টম ও নবম শ্রেণির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায়।
বৈঠকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোলেমান খান, আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদ, কারিগরি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মহসিনসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাটোরের বড়াইগ্রামে বড়াল নদীর উপর নির্মিত একটি সেতু ভেঙ্গে পড়ায় বড়াইগ্রাম পৌর সদরের সাথে ৯ গ্রাসের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বড়াইগ্রাম পৌরসভার চক-বড়াইগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বড়াইগ্রাম সরকারি কলেজের প্রভাষক শফিউল হাসান তিতু ও স্থানীয় কাউন্সিলর আব্দুস সামাদ সরকার জানান, সম্প্রতি বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয় কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে বড়াল নদীটিকে বড়াল খাল নাম দিয়ে খনন করে। এসময় ওই সেতুর নিকবর্তী এলাকায় অধিক খনন করে ফেলে। এরপর বৃষ্টিসহ বন্যার পানির শ্রোত শুরু হলে ব্রীজটি ধসে পড়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
তারা আরো বলেন, এই পথে গোপালপুর, কুন্ডুপাড়া, জালোড়া, তালশো, মেরিগাছা, বাঘাইট, মহাননদগাছা, মল্লিকপুর, আটাই গ্রামের অন্তত ৫ লাখ মানুষ চলাচল করে। তাদের নিত্যপণ্য ক্রয় এবং কৃষি পন্য বিক্রির জন্য এই পথেই আনা-নেয়া করতে হয়। দ্রুত এর প্রতিকার না করতে পারলে এই এলাকার মানুষকে অন্তত ৫ কিলোমিটার ঘুরে কাঁচা সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে বড়াইগ্রাম পৌর মেয়র মাজেদুল বারী নয়নের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই।
এলজিইডি নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, সেতুটি পৌর এলাকায়, তাই আমাদের পক্ষে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
চলারপথে ডেস্ক :
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জন্মনিবন্ধন সনদের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি শীঘ্রই চালু হবে। ফলে সেবাগ্রহীতারা মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) যে কোনো প্রতিষ্ঠান যেমন- বিকাশ, নগদ, রকেটের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে পারবেন। এছাড়া অনলাইনে ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও ফি দেওয়া যাবে।
সম্প্রতি জন্মনিবন্ধনের প্রক্রিয়া সহজীকরণ–সংক্রান্ত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
জানা গেছে, বৈঠকে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিট থেকে ১৬টি সুপারিশ করা হয়। সেসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়।
সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিটের পরিচালক বলেন, জন্মনিবন্ধন সংশোধন কিংবা আবেদনের ফি ট্রেজারি চালান অথবা নগদ জমা দিতে হয়, যা প্রক্রিয়াকে অনেক জটিল ও সময়সাপেক্ষ করে তোলে। ফি জমা দেওয়ার জন্য যে কোনো মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিং প্রক্রিয়া রাখতে হবে।
এর প্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রার জেনারেল উল্লেখ করেন, অর্থ মন্ত্রণালয় ও রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের সমন্বয় পেমেন্ট গেটওয়ে চালুর কাজ প্রক্রিয়াধীন। শীঘ্রই এটি কার্যকর হবে বলে অর্থ বিভাগ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রীতি খন্দকার হালিমার অবশেষে খোঁজ মিলেছে।
আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানী ঢাকার নারাগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। খবর দেয়া হয় বিজয়নগর থানা পুলিশকে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম জানান, পুলিশ নারাগঞ্জের কাঁচপুর এলাকায় থেকে উদ্ধার করেছে। বিজয়নগর থানা পুলিশের একটি দল তাকে আনতে নারাগঞ্জের কাঁচপুরে গিয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে তাকে ফিরিয়ে আনা হবে।
ওসি আরো বলেন, প্রীতি খন্দকারকে দুইজন নারী তাকে পান খাইয়েছিল এরপর তার কিছু মনে নেই বলে জানায়। তবে সে নিজেই আত্মগোপনে গিয়ে নিখোঁজের নাটক সাজিয়েছেন। এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
প্রীতি খন্দকারের স্বামী মাসুদ খন্দকার বলে আসছিলেন, ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে তার স্ত্রী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্মফুল প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছে। সার্ভার ক্রুটির কারণে প্রীতির মনোনয়ন জমা দিতে সমস্যা হওয়ার ফলে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পান। মঙ্গলবার দুপুরে হরষপুর ইউনিয়নে দুইজন সহযোগীয় নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনায় যায় প্রীতি। হরষপুরের ঋষি পাড়ায় ঢুকে প্রচারণা চালানোর পর থেকে প্রীতির কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। এ সময় তিনি দাবী করেন প্রীতি খন্দকারের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন তার স্ত্রীকে গুম করেছে। এ বিষয়ে তিনি সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করার পাশাপাশি থানায় একটি জিডি করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদারীপুরের রাজৈরে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আসা বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল ধ্বংস করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার টেকেরেহাট বন্দরের সওদাগর কুরিয়ার সার্ভিস থেকে এসব চায়না দুয়ারী জব্দ করা হয়। পরে রাজৈর উপজেলা মৎস্য অফিসে নিয়ে এসব দুয়ারী ধ্বংস করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) খাদিজা আক্তার।
মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, পাবনা থেকে অপূর্ব নামের প্রেরক টেকেরহাট বন্দরের সওদাগর কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কার্তিক নামক প্রাপকের কাছে চায়না দুয়ারীর ২৪ টি প্যাকেট পাঠায়। যাতে ২৪০ পিচ দুয়ারী রয়েছে। যাদের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।
পাবনা থেকে টেকেরহাট বন্দরে চায়না দুয়ারী আসছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাজৈর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানিক মল্লিক শুক্রবার দুপুরে সওদাগর কুরিয়ার সার্ভিসের অফিসে অভিযান পরিচালনা করে এই বিপুল পরিমাণ দুয়ারী জব্দ করেন্। পরে রাজৈর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খাদিজা আক্তার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এসব দুয়ারী পুড়িয়ে ধ্বংস করেন।
রাজৈর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানিক মল্লিক জানান, এটাই রাজৈর উপজেলার চায়না দুয়ারীর সবচেয়ে বড় চালান ছিল। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।