চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ জুন মঙ্গলবার বিকেলে বিপুল সংখ্যক পূণ্যার্থীদের অংশগ্রহনে পাগল শংকর মন্দির থেকে রথযাত্রা শুরু হয়। এ সময় বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পন্ডিত বাড়ি ও বলভদ্র ব্রিজ হয়ে মন্দিরে এসে শেষ হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্দিরের সভাপতি অসিম কুমার পালের সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন, থানার (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহুল রায় প্রমুখ।
মন্দিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে ঐতিহ্যবাহী এই রথযাত্রাটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দরা মনের বাসনা পূরণের আশায় এই রথযাত্রাটিতে অংশগ্রহণ করেন। রথযাত্রাটি পরিচালনা করেন মন্দিরের প্রধান অধ্যক্ষ সুখদা বলরাম দাস।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে মে মাসে সর্বাধিক দিন লাইব্রেরিতে উপস্থিত থেকে বই পড়ায় ১৫ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
১৩ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ইউএনও মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন বালিকা বিভাগে ২৭ দিন উপস্থিত থেকে প্রথম হয়েছেন সাদিয়া বুশরা, হাফছা বেগম, নুসরাত সাকুরা ও সুমাইয়া আফরিন। ২৬ দিন উপস্থিত থেকে দ্বিতীয় হয়েছে ইসরাত জাহান, সৃষ্টি রায়, সানিয়া আক্তার ও মহিমা রায়। ২১ দিন উপস্থিত থেকে তৃতীয় হয়েছে লামিয়া আক্তার।
বালক বিভাগে ২৭ দিন উপস্থিত থেকে প্রথম হয়েছেন পৃথিবী দাস সূর্য্য, গগনদীপ কুন্ডু, সৌমিক রায় ও স্নেহাল গোপ পান্না। ২৬ দিন উপস্থিত থেকে দ্বিতীয় হয়েছেন তন্ময় সরকার। ২৫ দিন উপস্থিত থেকে তৃতীয় হয়েছেন শয়ন গোপ।
ইউএনও মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, ভালো কিছু করার জন্যই এই উদ্যোগ। স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা বই পড়ুক, সেই উৎসাহ দানের জন্যই এই পুরস্কার। নাসিরনগরবাসীর সৌভাগ্য যে উপজেলায় একটি পাবলিক লাইব্রেরি রয়েছে। আমি নাসিরনগর উপজেলায় যোগদানের পর উপজেলা প্রশাসন পরিচালিত পাবলিক লাইব্রেরি ভিজিট করতে গিয়ে দেখি প্রতিদিন দুই থেকে তিনজন পাঠক লাইব্রেরিতে আসেন।
তিনি আরো বলেন, পরে সেখান থেকে চিন্তা করি লাইব্রেরিতে কেমন করে পাঠক বাড়ানো যায়। তখনি ঘোষণা দেই লাইব্রেরিতে বেশি দিন উপস্থিত থেকে যে বই পড়বে তাদেন পুরস্কার দেওয়া হবে। এখন প্রতিদিন লাইব্রেরিতে ৩০ থেকে ৩৫ জন পাঠক আসে।
তিনি আরো বলেন, গত ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসে সর্বাধিক দিন উপস্থিত থেকে সর্বোচ্চ বই পড়েছিলেন তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছিলো। মে মাসে সর্বাধিক দিন উপস্থিত থেকে সর্বোচ্চ বই পড়ার জন্য আজ ১২ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো জানান, পাবলিক লাইব্রেরিতে অনেক কিছু সংস্কার করা হয়েছে। আরো কিছু সংস্কার করা হবে। ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক গুলো বইয়ের নাম বলেছেন, যেগুলো তারা পড়তে চাই। আমি সেই বই গুলো তাদের পড়ার ব্যবস্থা করে দেব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গোকর্ণ সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন ছাত্র সংগঠনের (প্রাছাস) আয়োজনে কৃতি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, স্মরণ সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার বিকালে সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজ হল রুমে প্রাছাসের সভাপতি ও সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মো: মহিউদ্দিন চৌধুরী শরীফের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ নোমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আকতার, গোকর্ণ ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন, চাপরতলা ইউপি চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ ভূইয়া, প্রাছাসের প্রধান উপদেষ্ঠা ও সাবেক উত্তরা ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ সালাউদ্দিন মুকুল, প্রাছাসের সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্ঠা কে.এম.খালেদ, মো: জসিম উদ্দিন, আমিনুল ইসলাম বেলায়েত, সাবেক আহবায়ক ও উপদেষ্টা হুসাইন আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপদেষ্টা মাহবুবুর রহমান।
সভায় বক্তব্য রাখেন প্রাছাসের যুগ্ম সম্পাদক মো: আশরাফুল ইসলাম, মোসাব্বির আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফ আহমেদ, প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক মিসির উদ্দিন মাষ্টার, ইঞ্জিনিয়ার সোহাগ মিয়া, মুসলেহ উদ্দিন চৌধুরী সোহাগ প্রমুখ।
এসময় সংগঠনের উপদেষ্টা,কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে আরিফ মিয়া (২৭) ও ছাত্তার মিয়া ওরফে ছত্তর মিয়া (২৮) নামে দুই মাদকসেবীকে ১ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ইমরানুল হক ভূইয়া এই কারাদণ্ড প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আরিফ মিয়া উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের চান্দ আলীর ছেলে আরিফ মিয়া ও ছাত্তার মিয়া ওরফে ছত্তর মিয়া একই গ্রামের আরাজ মিয়ার ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, আরিফ মিয়া ও ছাত্তার মিয়া ওরফে ছত্তর মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বুড়িশ্বর ইউনিয়নের লক্ষীপুর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে গিয়ে মাদক সেবন করে আসছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাসিরনগর থানার এস.আই বাবুল মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ দুপুরে লক্ষীপুর আশ্রয়ণ কেন্দ্র থেকে মাদক সেবনকারী আরিফ মিয়া ও ছত্তর মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ইমরানুল হক ভূঁইয়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড ও একই সাথে দুইজনকেই ১০০ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ইমরানুল হক ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
উপজেলা প্রশাসনের মাদক বিরোধী মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস পেয়েই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পদ থেকে বহিষ্কার হওয়া আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান।
তিনি আজ ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান বলেন, আমি আমার ব্যক্তিগত মতামতকে প্রাধান্য দিয়েই নির্বাচনে এসেছি। আমার বিষয়ে বিএনপি কী বলল- সেটা আমার মন্তব্য করার বিষয় না। আমি সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস পেয়েছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এর চেয়ে বেশি আশ্বাস আর প্রয়োজন নেই। এছাড়াও আমার উপর নির্বাচনী এলাকার জনগণের চাপ ছিল নির্বাচন করার।
সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান বলেন, সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহল থেকেও সরকারের উপর চাপ আছে সুষ্ঠু নির্বাচনের। তাই আমি জনগণের মতামত নিয়েই নির্বাচনে এসেছি।
বিজয়ী হলে বিএনপি যদি দলে ফেরাতে চায় তাহলে ফিরবেন কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে একরামুজ্জামান বলেন, যদি আমি নির্বাচিত হই এবং তখন যদি কেউ আমাকে টানে তখন আমি দেখব কোথায় যাব, কী করব।
বিএনপির বিশ্বাসঘাতক বলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি তাদের জায়গা থেকে বলতেই পারে, আমি আমার ব্যক্তিগত মতামতে চিন্তা করে নির্বাচনে এসেছি। আমার ব্যাপারে বিএনপি কি বললো না বললো তা আমি মন্তব্য করবো না।
উল্লেখ্য আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং আর.এ.কে সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
সৈয়দ একরামুজ্জামান গত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে “কুলা” প্রতিক, নবম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মাঠ পর্যায়ে একরামুজ্জামানের রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বি.এম. ফরহাদ হোসেন নৌকা প্রতীকে পান ১ লাখ ১ হাজার ১১০ হাজার ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পান ৬০ হাজার ৭৩৪ ভোট। এর আগে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী প্রয়াত ছায়েদুল হক পেয়েছিলেন ৯৯ হাজার ৮৮৬। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী একরামুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট। আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান গত ২৭ নভেম্বর সোমবার দুপুর তিনটার দিকে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এর আগে ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে পুলিশের করা একটি বিস্ফোরক মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় পরদিন মঙ্গলবার বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ সহ দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামানকে বহিষ্কার করা হয়।
মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা যায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুষ্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামানসহ জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোঃ আবু জাফরকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টাসহ অন্যান্য পদ থেকে বহিষ্কারের পর বুধবার বহিষ্কৃত সৈয়দ এ কে একরামুজ্জানকে নাসিরনগরে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে উপজেলা বিএনপি। বুধবার দুপুরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম.এ. হান্নান ও সাধারণ সম্পাদক কে এম বশির উদ্দিন স্বাক্ষরিত ফেসবুকে দেয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।
নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির দলীয় প্যাডে লেখা অবাঞ্ছিতের ঘোষণাটি নিজের ফেসবুকে পোস্ট দেন এম.এ. হান্নান। নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত অবাঞ্ছিত ঘোষণার বিবৃতি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি কমিটি দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানকে বহিস্কার করেছে। বিএনপির নাসিরনগর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে এই বহিস্কৃত নেতাকে নাসিরনগরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হান্নান বলেন, একরামুজ্জামানকে উপজেলার সকল জায়গায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
নাসিরনগরে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট লাইভস্টক, দুধ, ডিম, মাংস, সুস্বাস্থের উৎস’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রথমবারের মত ‘স্মার্ট লাইভস্টক মার্কেটে’র যাত্রা শুরু হয়েছে।
আজ ১৩ মে শনিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলয়াতনে এ কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন প্রধান অতিথি স্থানীয় সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তর ও ভেটেনারি হাসপাতালের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলয়াতনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অসীম কুমার পাল, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নূরে আলম প্রমুখ।
জানা যায়, স্থানীয় সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রাণিসম্পদের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে প্রথমবারের মতো এই ‘স্মার্ট লাইভস্টক মার্কেটে’র যাত্রা শুরু হয়।
অনুষ্ঠান শেষে সাংসদ বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম হাওর অঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার গোয়ালনগর, চাতলপাড় ও ভলাকুট ইউনিয়নের সুফলভোগী খামারীদের মাঝে ভেড়া বিতরণ করেন।