চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ জুন মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করেই ইসকন এর উদ্যোগে বিপুল সংখ্যক ভক্তবৃন্দের অংশগ্রহনে উৎসবমুখর পরিবেশে এ রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
রথযাত্রাটি শহরের শ্রী শ্রী রাধা মাধব মন্দির থেকে বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ীতে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ঢাক, খোল, করতালসহ উলু ধ্বণিতে মুখরিত হয়ে উঠে চারপাশ। পূণ্যার্থীরা সৃষ্টির কল্যাণ কামনায় শ্রদ্ধাভরে জগন্নাথ দেবের কাছে ভক্তি নিবেদন করেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৮ জুন আনন্দময়ী কালিবাড়ি থেকে উল্টো রথযাত্রা হওয়ার কথা থাকলেও পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ও সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় রাখতে একদিন আগে ২৭ জুন উল্টো রথযাত্রা করা হবে বলে জানিয়েছে ইসকন ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে পৌর আধুনিক সুপার মার্কেট চত্বরে শান্তি সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌসের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, এহসান উল্লাহ মাসুদ, সালাহউদ্দিন সরকার, রাকিব আহমেদ সোহেল, রিটন রায়, আমজাদ হোসেন রনি, জসিম উদ্দিন রানা, আকবর হোসেন লিটন, আলী আজম প্রমুখ।
শান্তি সমাবেশে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলছে, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ঠিক সেই মুহূর্তে বিএনপি-জামাত দেশব্যাপী সন্ত্রাস, নৈরাজ্য আর জনগণের জানমালের ক্ষতি করছে।
যারা এদেশের বিরুদ্ধে, বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে তাদেরকে রাজপথেই কঠোরভাবে প্রতিহত করবে যুবলীগ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবারও সরকার গঠন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরকারি বিল ইজারা নিয়ে মাটি কাটার অভিযোগে মাসুদ হায়দার (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৫ মে শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশাররফ হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত মাসুদ হায়দার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের আহরন্দ গ্রামের মৃত আবু নাসেরের ছেলে। এর আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত গত ২৬ মার্চ একই অভিযোগে মাসুদ হায়দারকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশাররফ হোসেন জানান, সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের উজানিসার গ্রামের সরকারি চামাউড়া বিল (জলাশয়) মাছ চাষের জন্যে জোনাকি মৎস্যজীবী সমিতিকে ইজারা দেয় প্রশাসন। শুকনো মৌসুমে এই বিলের জমিতে কৃষি কাজ করা হয়। কিন্তু সমিতির সভাপতি মাসুদ হায়দার শুকনো মৌসুরেম দীর্ঘদিন ধরে বিলের মাটি অবৈধ ভাবে ইটভাটায় সরবরাহ করে আসছিল। এর প্রেক্ষিতে গত ২৬ মার্চ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাসুদ হায়দারকে আটক করে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ও সে আর মাটি কাটবে না মর্মে মুচলেকা প্রদান করে।
এ ঘটনার পর মাসুদ হায়দার আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। বিলের কৃষি জমি ও পাশ্ববর্তী সরকারি খাল থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি অব্যাহত রাখে।
বিষয়টি জানতে পেরে শুক্রবার উজানিসার এলাকায় বিলের কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলনের সময় মাসুদ হায়দারকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত তার ভেকুটি জব্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুব মৈত্রীর কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল ৩ জুন শনিবার বিকেলে শহরের দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে আয়োজিত ৬ষ্ঠ সম্মেলনে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়ে।
কমিটিতে সভাপতি পদে কাজী তানভীর মাহমুদ শিপন, সাধারণ সম্পাদক পদে ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ ও সাংগঠনিক সম্পাদক বাছির মিয়ার নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সভাপতি তৌহিদুর রহমান। সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা যুব মৈত্রীর সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নাসির মিয়ার সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিক, জেলা বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ রুবেল।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রফেসর মুখলেছুর রহমান খান স্মৃতি ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্ট-২০২৩ (সিজন-২) এর ফাইনাল ২ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, মাউশি’র সাবেক মহাপরিচালক (গ্রেড-১) প্রফেসর ফাহিমা খাতুন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ শাহ আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, স্পাইডার গ্র“পের ডিরেক্টর কাজী রহমতউল্লাহ শৈবাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রবিউল হোসেন রুবেল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ হামজা মাহমুদ, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এস আর এম ওসমান গণি সজিব, প্রয়াত প্রফেসর মুখলেছুর রহমান খানের বড় ছেলে আবুল কালাম আজাদ, মেয়ে রাহেলা বেগম, ছোট ছেলে রোটারী ক্লাব অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাসের প্রেসিডেন্ট ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান খান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শেখর চন্দ্র।
সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন সাব্বির হোসেন সৌরভ, স্বদেশ, আকিল ও সবুর। খেলা পরিচালনা করেন সালাউদ্দিন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ফাহিমা খাতুন বলেন, খেলাধুলা ছাত্র-যুব সমাজকে অপরাধমূল কর্মকান্ড থেকে দূরে রাখে, আর ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করে। তাই আমাদের সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মানের জন্য বেশি বেশি করে খেলাধুলার আয়োজন করে দিতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করতেই প্রফেসর মুখলেছুর রহমান খান স্মৃতি ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্ট এর আয়োজন করা হয়েছে। আমি এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। তিনি বলেন, প্রফেসর মুখলেছুর রহমান খান একজন বড় মনের মানুষ ছিলেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যখন জয়বাংলা শ্লোগান দিতে দ্বিধা করতো, তখনও তিনি জয়বাংলা শ্লোগান দিতেন।