চলারপথে রিপোর্ট :
বগুড়ার তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকাকে হারিয়ে মেয়র হলেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা আবদুল জলিল খন্দকার। দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।
জানা গেছে, তালোড়া পৌরসভায় ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে সবকটি কেন্দ্রেই বিজয়ী হয়েছেন আবদুল জলিল খন্দকার। জগ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৯২৭ ভোট। তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আমিরুল ইসলাম বকুল পেয়েছেন ২ হাজার ৯২৪ ভোট।
আজ ২১ জুন বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গণনা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বেসরকারি এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
তালোড়া পৌরসভার মোট ১৬ হাজার ৭৬ জন ভোটারের মধ্যে ১২ হাজার ২২৮ জন ভোটার ইভিএমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এর মধ্যে কোনো ভোট বাতিল না হওয়ায় ১৬ হাজার ৭৬টি ভোট বৈধ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে আবদুল জলিল খন্দকার জগ প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৯২৭ ভোট। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আমিরুল ইসলাম বকুল পেয়েছেন ২ হাজার ৯২৪ ভোট, এস এম সাহিদ লাঙল প্রতীকে ৪৯২ ভোট, কামরুল ইসলাম হাতপাখা প্রতীকে ১৩৯ ভোট, মোছা. আউলিয়া খন্দকার ইস্ত্রি প্রতীকে ১৮৩ ভোট, আবু হোসেন সরকার নারকেল গাছ প্রতীকে ১৫৬৩ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচিত আবদুল জলিল খন্দকার পৌর বিএনপির সভাপতি ছিলেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় গত ১৩ জুন তাকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র চিঠির জবাব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আজ ১৭ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাসে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে চিঠির জবাব নিয়ে যান দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত।
এ বিষয়ে এ আরাফাত বলেন, ডোনাল্ড লু’র চিঠির জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পক্ষে আমি মার্কিন দূতাবাসের আ্যকটিং ডেপুটি চিফ অব মিশন মি. আর্টুরো হাইন্সের কাছে একটি চিঠি হস্তান্তর করেছি।
চিঠিতে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমি আপনার (ডোনাল্ড লু), রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতি ১২ নভেম্বরের চিঠির জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত করতে আন্তর্জাতিক বন্ধুদের সাহায্য ও সহযোগিতার প্রশংসা করছি।
দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে আমি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমাদের দলের অঙ্গীকার আবারও তুলে ধরতে চাই। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকারকে একটি পবিত্র অধিকার বলে মনে করে। সেই অধিকার রক্ষায় আওয়ামী লীগের নিরলস সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের দীর্ঘ-বর্ণাঢ্য ইতিহাস রয়েছে।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন কমিশনকে সত্যিকার অর্থে সংবিধান স্বীকৃত স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাঠামোগত, আর্থিক ও আইনি উদ্যোগ নিয়েছেন। সেগুলোর মধ্যে মধ্যে ছবিযুক্ত ভোটার আইডি কার্ড, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য আইন প্রণয়ন উল্লেখযোগ্য।
এরই মধ্যে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ নভেম্বর।
আওয়ামী লীগ কয়েক মাস ধরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিঃশর্ত সংলাপের জন্য দরজা খোলা রেখেছিল। বিএনপি এই জাতীয় সংলাপের পূর্বশর্ত হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের উপর অনড় থাকায় সংলাপে বসা সম্ভব হয়নি।
তাতে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে বিএনপি-জামায়াতসহ তাদের মিত্ররা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে অবরোধ করছে। এই ধরনের কর্মসূচিতে তারা অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধ করছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১৫৪টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে অবরোধ সমর্থকরা।
চলমান অবরোধ ও এ ধরনের কর্মসূচির প্রধান দাবির মধ্যেও বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যদি আওয়ামী লীগ বসতে পারে, তবুও কোনো অর্থবহ সংলাপ হবে না। আগামী সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের নির্বাচনী কাজ চূড়ান্ত করতে সমস্ত সময় ব্যয় করতে হবে।
৩০০টি আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তথ্য পর্যালোচনা ও প্রার্থীতা চূড়ান্ত করা, ইশতেহার তৈরি করা, প্রচারণার কৌশল চূড়ান্ত করা ও প্রচারণার কাজ রয়েছে। যদি সংলাপের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টিও হয়, বর্তমান বাস্তবতায় একটি অর্থপূর্ণ সংলাপের জন্য যথেষ্ট সময় হাতে নেই।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগ সব আন্তর্জাতিক বন্ধুদের সঙ্গে অংশীদারত্বকে গুরুত্ব দেয়। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ আশা করে, আন্তর্জাতিক মহল বাংলাদেশের জনগণের সামনে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন উপস্থাপনের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংলাপের প্রস্তাব দিয়ে আওয়ামী লীগকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ডোনাল্ড লুর দেওয়া চিঠি ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গত ১৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কাছে হস্তান্তর করেন।
এছাড়া সংলাপের আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকেও চিঠি দিয়েছে। এরই মধ্যে বিএনপি সেই চিঠির জবাব দিয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন কাজের অজুহাতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন ও সংশোধন সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না বলে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে।
কমিশন জানায়, তফশিল হয়ে যাওয়ায় মাঠ কর্মকর্তাদের অনেকেই নানা অজুহাতে নতুন করে নিবন্ধন, এনআইডি সংশোধন কার্যক্রমে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন। বিষয়টি কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যেহেতু জাতীয় পরিচয়পত্র এখন অপরিহার্য, তাই এই সেবা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না। এমনকি দুর্ভোগেও ফেলা যাবে না। তাই কমিশন এমন নির্দেশ দিয়েছে।
ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী নির্দেশনাটি সব আঞ্চলিক কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন কমিশনের গত ৫ অক্টোবরের ২৪তম সভায় জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নতুন নিবন্ধনসহ সংশোধন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়েছে।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, এনআইডি সংশোধনের ক্ষেত্রে সংশোধিত তথ্য এবং নতুন নিবন্ধিত ব্যক্তি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রেরিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে না। তবে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রয়োজন হলে সম্পূরক ভোটার তালিকা পাঠানো হবে। কেবল জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই তিনি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার হিসেবে ভোট দিতে পারবেন না। ভোট দিতে হলে মুদ্রিত ভোটার তালিকায় নাম থাকতে হবে। এ জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বাছাইসহ সব কার্যক্রম সর্বশেষ প্রেরিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা বা সিডি বা মুদ্রিত তালিকা অনুসারে সম্পন্ন করতে হবে।
নির্দেশনায় আরো উল্লেখ করা হয়, ১৪ সেপ্টেম্বরেরর পর নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনক্রমে কারও নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ও ৩০ সেপ্টেম্বরের পর ভোটার স্থানান্তর করা হলে সম্পূরক ভোটার তালিকা সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হবে এবং সেক্ষেত্রে সম্পূরক ভোটার তালিকার ভিত্তিতেও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘বাড়িতে প্রসবকে না বলি, প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবসেবা নিশ্চিত করি’ এই প্রতিপাদ্য তুলে ধরে প্রাতিষ্ঠানিক নিরাপদ প্রসব সেবা নিশ্চিত ও শূন্য বাড়িতে প্রসব সেবার ওপর জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় বউ-শাশুড়ির মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩০ আগস্ট বুধবার আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা কইকা এর অর্থায়নে এবং সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এসকেএস ফাউণ্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়িত মমতা প্রকল্পের আয়োজনে উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের মাঠে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় প্রায় শতাধিক গর্ভবতী মা, তাদের শাশুড়ি ও স্বামীসহ স্থানীয় জনগণ ও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা মেলায় অংশগ্রহণ করেন।
এতে গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী সেবা যত্ন সম্পর্কে সচেতনতার উপরে আলোচনা, বিতর্ক, কুইজসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
ভরতখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন। আরও বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক প্রসেনজিৎ প্রনয় মিশ্র, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ জাকিরুল ইসলাম, সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি ডাঃ শামীমা বিলকিস, এসকেএস ফাউণ্ডেশন এর উপ-পরিচলক খন্দকার জাহিদ সরওয়ার, মমতা প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারি শাহ মোঃ হারুন অর রশিদ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মেলায় ৩টি স্টল ও ১টি প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যক্রম এবং গর্ভবতী মা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবসেবা সংক্রান্ত বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
আলোচনা সভায় অতিথিরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে সাঘাটা উপজেলায় শূন্য বাড়িতে প্রসবকে নিশ্চিতকরণে মমতা প্রকল্পের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
আজকের এই ব্যতিক্রমধর্মী মেলাটি প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবসেবায় জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে সাঘাটা উপজেলায় মা ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাসের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, দেশবাসীর ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনি-মিনি খেলতে দেওয়া হবে না, আন্দোলন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, ‘সামান্য আন্দোলন দেখে ভয় পাবেন না; যতক্ষণ জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে ততক্ষণ ভয়ের কিছু নেই। আমরা অগ্নিসংযোগ-সন্ত্রাসকে আর বরদাস্ত করব না। এটা কখনই মেনে নেওয়া হবে না।’
জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে আজ ৩১ জুলাই সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পুরস্কার-২০২৩’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব একথা বলেন। খবর বাসসের।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্দোলনে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনি-মিনি খেলতে দেব না।’
তিনি বলেন, ‘একটি কথা মনে রাখবেন, যারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সমর্থন দেয়নি, তাদের মনের শত্রুতা এখনো কাটেনি।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘তবে আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে থাকবে।’
তিনি বলেন, জীবনে সমস্যা আসবে এটা স্বাভাবিক, তবে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হলে মনোবল ও শক্তি প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা বলেন, এই শক্তি (মনোবল) নিয়ে এগিয়ে গেলে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আমি এটি বিশ্বাস করি।
তিনি আরও বলেন, সরকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করছে, এমনকি দুস্থ সম্প্রদায়েরও। তাই দ্রব্যমূল্য নিয়ে দুর্দশা গ্রামীণ এলাকায় প্রায় নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা সরকারি কর্মচারীদের জনগণের পাশে দাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগণের সেবা করা তাদের দায়িত্ব।পাশাপাশি তিনি সরকারী কর্মকর্তাদের সর্বদা উদ্ভাবনী ধারণা খুঁজে বের করার এবং তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করে দেশকে আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচএন আশেকুর রহমান ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
অনলাইন ডেস্ক :
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোকে জঙ্গিবাদী কাজ হিসেবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জামায়াত-শিবির, বিএনপির জঙ্গিরা আজকে আমাদের ওপর থাবা দিয়েছে।’
২৯ জুলাই সোমবার বিকালে গণভবনে ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখানে ওই শিবির, ছাত্রদল, বিএনপি-জামায়াত; এরাই কিন্তু এবং জঙ্গি… এই জঙ্গিরাই কিন্তু আজকে আমাদের ওপর থাবা দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যে ঘটনাগুলো ঘটছে, আসলে এটা কোনো রাজনৈতিক কিছু না। এটা সম্পূর্ণ জঙ্গিবাদী কাজ। একেবারে জঙ্গিবাদী কাজ।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এদের উদ্দেশ্যটা এখন বোঝা যাচ্ছে যে, কোটা কোনো ইস্যু না। একে একে যে কয়টা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সেবা দেয়, যে কয়টা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করে, সেটাই ধ্বংস করা। অর্থাৎ বাংলাদেশটাকেই যেন ধ্বংস করে ফেলা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে, উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ আজকে বিশ্বব্যাপী একটা মর্যাদার আসন পেয়ে গেছে। বাংলাদেশের নাম শুনলে সবাই সমীহ করে চলে। সবাই সম্মানের চোখে দেখে। একটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে আমরা তুলে আনতে সক্ষম হয়েছি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে, অবকাঠামোগত উন্নয়নের মধ্য দিয়ে।’