নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে পৌর মেয়র বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা

জাতীয়, 21 June 2023, 300 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বগুড়ার তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকাকে হারিয়ে মেয়র হলেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা আবদুল জলিল খন্দকার। দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।

জানা গেছে, তালোড়া পৌরসভায় ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে সবকটি কেন্দ্রেই বিজয়ী হয়েছেন আবদুল জলিল খন্দকার। জগ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৯২৭ ভোট। তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আমিরুল ইসলাম বকুল পেয়েছেন ২ হাজার ৯২৪ ভোট।

আজ ২১ জুন বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গণনা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বেসরকারি এই ফলাফল ঘোষণা করেন।

তালোড়া পৌরসভার মোট ১৬ হাজার ৭৬ জন ভোটারের মধ্যে ১২ হাজার ২২৮ জন ভোটার ইভিএমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এর মধ্যে কোনো ভোট বাতিল না হওয়ায় ১৬ হাজার ৭৬টি ভোট বৈধ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে আবদুল জলিল খন্দকার জগ প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৯২৭ ভোট। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আমিরুল ইসলাম বকুল পেয়েছেন ২ হাজার ৯২৪ ভোট, এস এম সাহিদ লাঙল প্রতীকে ৪৯২ ভোট, কামরুল ইসলাম হাতপাখা প্রতীকে ১৩৯ ভোট, মোছা. আউলিয়া খন্দকার ইস্ত্রি প্রতীকে ১৮৩ ভোট, আবু হোসেন সরকার নারকেল গাছ প্রতীকে ১৫৬৩ ভোট পেয়েছেন।

নির্বাচিত আবদুল জলিল খন্দকার পৌর বিএনপির সভাপতি ছিলেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় গত ১৩ জুন তাকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়।

Leave a Reply

ফাইল ছবি

আশুগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে Read more

বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালিত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মাটি ও Read more

সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণ…

চলারপথে রিপোর্ট : গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্বাধীনতার Read more

আগামীকাল ডিসেম্বর মাসের টিসিবির পণ্য বিক্রি…

অনলাইন ডেস্ক : প্রতি মাসের বিক্রয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সরকারি Read more

‘সিআইডি’ ধারাবাহিকের ফ্রেডরিক্স মারা গেছেন

বিনোদন ডেস্ক : ভারতীয় গোয়েন্দা ভিত্তিক প্রথম টিভি সিরিজ ‘সি. Read more

চিনাইরে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার…

চলারপথে রিপোর্ট : মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কুমিল্লা’র চেয়ারম্যান Read more

রাতের মধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়বে মিগজাউম

অনলাইন ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম রাতের মধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়বে। Read more

আমারই ফল্ট ছিল: ডলি সায়ন্তনী

অনলাইন ডেস্ক : পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের Read more

নির্বাচনী হলফনামা : শূন্য থেকে ৬৫…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী Read more

নবীনগরে নিখোঁজের পরদিন নদীতে মিললো শিশুর…

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগর উপজেলায় মেঘনা নদীতে নিখোঁজের একদিন পর Read more

ফেসবুকে ট্যুর প্যাকেজ, বুকিং মানির নামে…

অনলাইন ডেস্ক : ইন্টেরিয়র আর্কিটেক্টের কাজ করেন নাহিদ হাজারিকা ইতি। Read more

নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন জোটের প্রার্থীরা…

অনলাইন ডেস্ক : জোটের প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন বলে Read more

বিজেপি’র আমন্ত্রণে ভারতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল

জাতীয়, 6 August 2023, 224 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আমন্ত্রণে তিন দিনের ভারত সফরে গেছেন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। আজ ৬ আগস্ট রবিবার বিকেল ৫ টার ফ্লাইটে আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের দলটি ভারতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন।

প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কার্যনির্বাহী সদস্য মেরিনা জাহান ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত।

এর আগে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী সাংবাদিকদের জানান, ‘আমরা রবিবার বিকেলে ভারত যাচ্ছি। এটি আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি। বিজেপির আমন্ত্রণে আমরা যাচ্ছি।’ আগামী ৯ আগস্ট প্রতিনিধিদলটির দেশে ফেরার কথা রয়েছে। সূত্র : বাসস

দ্রুত বর্ধনশীল পণ্যের বাজার হিসেবে বাংলাদেশ স্বীকৃত: এফবিসিসিআই সভাপতি

জাতীয়, 15 July 2023, 236 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
কোভিড-১৯ সংক্রমিত বছর বাদ দিয়ে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত আছে। বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল পণ্যের বাজার হিসেবেও এ দেশ সারা বিশ্বে স্বীকৃত।

ব্যবসায়ীক ও সামগ্রিক উন্নয়নও হচ্ছে দ্রুতগতিতে।

আজ ১৫ জুলাই শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক সম্মেলনে মূল বক্তা হিসেবে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আরো বলেন, দেশে প্রায় ৫ কোটি তরুণ, যারা বেশীরভাগ শিক্ষিত এবং নিজ ক্ষেত্রে দক্ষ হয়ে উঠছেন। জনশক্তি রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রধান দেশ। আবার, অনলাইন আউটসোর্সিং-এ বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়। স্বাভাবিকভাবেই এ অঞ্চলে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে। আর, তাতে ব্যবসায়ীক ও সামগ্রিক উন্নয়ন হচ্ছে দ্রুতগতিতে।

দারিদ্র দূরীকরণ ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে এক রোল মডেল বাংলাদেশ। উন্নয়নের অগ্রযাত্রা পেরিয়ে আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে। কৃষি, শিল্প, সেবা প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। কৃষিতে স্মার্ট প্রযুক্তি কাজ করছে জাদুর মতো। প্রযুক্তি প্রয়োগের সাথে বড়ো ব্যবসায়ীরা এ খাতে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছেন। শিক্ষিত যুবক ও যুবতীরাও কৃষিকে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। কর্মসংস্থানের এক নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। চাল, ডাল এবং চাসহ ২২টি কৃষিপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। এসব সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষিবান্ধব নীতির কারণে।

এ সময় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, এসব প্রকল্পের জন্য বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের সক্ষমতা প্রকাশ পেয়েছে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু নির্মাণে বাংলাদেশের মানুষের জনজীবনে ও অর্থনৈতিক গতিশীলতাকে কয়েক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের সব বাধাকে অতিক্রম করে আমাদের অর্থনীতি এগিয়ে চলেছে।

এ সময় আগামীদিনেও সরকারের তরফ থেকে ব্যবসায়ীদের জন্য সহযোগিতা কামনা করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

ব্যবসায়ী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে দেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন চেম্বার, অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার উপস্থিত আছেন।

জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়ার কারামুক্তি

জাতীয়, 18 June 2023, 331 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
মুক্তি পেয়েছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া। আজ ১৮ জুন রবিবার সকাল ১১টা ৪৬ মিনিটে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

অস্ত্র ও হত্যা মামলায় ৪২ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত শাহজাহানের সাজা কমে ৩২ বছর হয়েছে। সেই সাজা খেটে ৭৩ বছর বয়সী শাহজাহান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন। ১৯৫০ সালের ২৬ মার্চ নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ইছাখালী গ্রামে জন্ম নেওয়া শাহজাহান ভূঁইয়া উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করে স্থানীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।

নথি অনুসারে, ১৯৯২ সালের ৮ নভেম্বর ডাকাতির জন্য ১২ বছর এবং ১৯৯৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর অপর একটি মামলায় ডাকাতি ও হত্যার জন্য ৩০ বছরের কারাদণ্ড হয় তার। এ ছাড়া, উভয় রায়ে তাকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড হয় তার। শাহজাহান দাবি করেন, তিনি আরো বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছেন। তবে, জেলের রেকর্ডে এই সংখ্যা ২৬।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, ‘হয়তো তিনি ঠিক বলে থাকতে পারেন কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের রেকর্ডে ২৬টি তথ্যই আছে।’

এই ২৬ জনের তালিকায় আছে সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী এবং বঙ্গবন্ধুর খুনি বজলুল হুদা ও শাহরিয়ার রশিদের নাম।

কারা কর্মকর্তারা বলছেন, প্রবিধান অনুসারে শাহজাহানের সাজা ১০ বছরের কিছু বেশি সময় কমানো হয়েছে। যেহেতু শাহজাহানের সঙ্গে কেউ কখনো দেখা করতে আসেনি, তাই কারা কর্তৃপক্ষ তার ওই ২ মামলার জরিমানার ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, ‘শাহজাহান তার জীবনের একটা বড় অংশ জেলে কাটিয়েছেন। কারামুক্তির খবরে তিনি খুশি হলেও যাওয়ার জায়গা না থাকায় তিনি উদ্বিগ্ন।’ সুভাষ জানান, কারা কর্তৃপক্ষ শাহজাহানকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করবে, যাতে তিনি তার বাকি জীবন সুন্দরভাবে কাটাতে পারেন।

শাহজাহান বিয়ে করেনি এবং তার বাবা-মাও বেঁচে নেই। তারপরও তিনি কারাগার থেকে বের হওয়ার পর গ্রামের বাড়িতে যেতে চান জানিয়ে সুভাষ বলেন, ‘তিনি (শাহজাহান) আমাদের বলেছিলেন যে, বাকি জীবন পৈতৃক গ্রামে কাটানোর ইচ্ছা তার।’

জিটুজি প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন তরান্বিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

জাতীয়, 6 June 2023, 327 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে সরকারের (জিটুজি) উদ্যোগের অধীনে বিভিন্ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ ৬ জুন মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সভাপতিত্বকালে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত ও চীনের মতো বিভিন্ন দেশের সঙ্গে জিটুজি প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার ওপর জোর দিয়েছেন। কারণ, ওইসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি (লাইন্স অব ক্রেডিট) রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, এ বিষয়ে কালবিলম্ব বা অবহেলা যাবে না। কারণ, এসব উদ্যোগ বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়াবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী পরিকল্পনা কমিশনকে বৈদেশিক অর্থায়নের প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে বলেছেন।

তিনি বলেন, আজকের একনেক সভায় মোট ১১,৩৮৭.৯১ কোটি টাকা ব্যয়ের মোট ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

মান্নান আরো বলেন, ‘মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে, বাংলাদেশ সরকারের অংশ থেকে ৭,৪৪৫.৩৪ কোটি টাকা, ৮০.৭৮ কোটি টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ও বাকি ৩,৮৬১.৭৯ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসাবে আসবে।’

১৮টি অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে নয়টি নতুন ও নয়টি সংশোধিত প্রকল্প। এছাড়া বৈঠকে একটি প্রকল্পের ব্যয় না বাড়িয়ে সময়সীমা বাড়ানোর অনুমোদন দেয়া হয়।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব ক্ষেত্রে কঠোরতা বজায় রাখতে ও এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রেখে দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সকলকে পুনরায় নির্দেশ দিয়েছেন।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে শেখ হাসিনা বিভিন্ন বাজার ও কাঁচা বাজারের পণ্যের দামের পার্থক্য থাকায় গবেষণা পরিচালনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

প্রধানমন্ত্রী পেঁয়াজ ও আদার মতো পচনশীল আইটেমগুলোর জন্য আঞ্চলিক স্টোরেজ ব্যবস্থা স্থাপনের ওপরও জোর দেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বর্তমান ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির প্রবণতা এবং দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ঘাটতির কারণে লোডশেডিংয়ের কথা স্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এখন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা।

মূল্যস্ফীতি কমবে বলে তার পূর্বের ভবিষ্যদ্বাণী উল্লেখ করে মান্নান বলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা কমেনি, বরং বেড়েছে- যার জন্য সরকার তার উপলব্ধ উপকরণ ব্যবহার করার মতো যা যা প্রয়োজন তা করবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রথম কৌশল হবে এটিকে আরও বাড়তে না দেয়া এবং তারপরে তা আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, শুধু মার্কিন ডলারের উচ্চ বিনিময় হারের কারণেই দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে এটা ঠিক নয়। এর পেছনে আরও কিছু কারণ রয়েছে।

মার্কিন ডলার ছাড়া অন্যান্য মুদ্রার সাথে বাণিজ্য পরিচালনার প্রচেষ্টা চলছে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ এখনও ৩০ বিলিয়ন ডলারের উপরে রয়েছে। তবে এটি আবারও ৫০ বিলিয়ন ডলারে যেতে পারে।’ আগামী অর্থবছরে (অর্থবছর-২৪) মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে রাখার বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার কথা উল্লেখ করে মান্নান বলেন, এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে কিছু উদ্বেগ থাকতে পারে, তবে সামনে এমন লক্ষ্য রাখা ভুল নয়।

স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পেঁয়াজ আমদানির সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এভাবে আমাদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে ও সঠিক সময়ে বাজারে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ করতে হবে।’ ইইউতে মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমছে উল্লেখ করে মান্নান বলেন, আগামী দিনে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের কাছাকাছি নামিয়ে আনা কঠিন হলেও মূল্যস্ফীতি কমাতে আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের প্রক্রিয়াটি (সাপ্লাই চেইন) মসৃণ রাখতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে- কোনও ধ্বংসাত্মক উপাদান যেন প্রক্রিয়াটিকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে। অন্যথায়, সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করা সত্ত্বেও এটি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।’

সভার শুরুতেই একনেক বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যে আগামী অর্থবছরের জন্য এত চমৎকার বাজেট প্রণয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও অর্থ বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানায়।

এম এ মান্নান বলেন, প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়ায় সরকার আরও কঠোর হবে এবং অনুমোদন দেওয়ার আগে প্রকল্প প্রস্তাব গভীরভাবে পর্যালোচনা করা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রবাসীদের দেশে রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রণোদনার পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়ে সরকার এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তিনি বলেন, ‘যদিও কিছু বেসরকারি ব্যাংক রেমিট্যান্স পাঠাতে সরকার নির্ধারিত আড়াই শতাংশের বাইরে কিছু বাড়তি প্রণোদনা দিচ্ছে, তবে এই হার বাড়ানোর বিষয়ে সরকার এখনও কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেয়নি।’

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকারের বিপুল আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে যে, ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের কারণে আগামী সাধারণ নির্বাচনে ভোট চাইতে সরকার দৃঢ় মনোবল নিয়ে ভোটারদের কাছে যেতে পারবে।

একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো, ফরিদপুর জেলাধীন মধুমতী নদীর বাম তীর ভাঙ্গন থেকে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতি যাদুঘর সংযোগ রাস্তাসহ অন্যান্য এলাকা সংরক্ষণ ও ড্রেজিং প্রকল্প। বাগেরহাট জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। নতুন ৬টি আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে স্থানভিত্তিক ধানের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং বিদ্যমান গবেষণার উন্নয়ন। নেত্রকোনা জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প (পঞ্চম সংশোধন)। ১০টি মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ১৯টি হোস্টেল ভবন নির্মাণ প্রকল্প। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন আর্টস ফ্যাকাল্টি বিল্ডিং স্থাপন প্রকল্প। হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন এন্ড ট্রান্সফরমেশন প্রকল্প। গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। বাগেরহাট কালেক্টরেটের নতুন ভবন নির্মাণ প্রকল্প। বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভটি প্রজেক্ট-১, শেওলা, রামগড় ও ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর উন্নয়ন এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন প্রকল্প। সাতক্ষীরা সড়ক সিটি ও সিটি বাইপাস সড়ককে সংযুক্ত করে সংযোগ সড়কসহ তিনটি লিংক রোড নির্মাণ প্রকল্প। সাভার সেনানিবাস এলাকায় মিট প্রসেসিং প্ল্যান্ট স্থাপন প্রকল্প। ডিজিএফআই-এর টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি অবকাঠামো, মানবসম্পদ এবং কারিগরি সক্ষমতা উন্নয়ন প্রকল্প। বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প। নড়াইল জেলার জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প।

আজ একনেক সভার শুরুতে বৈশ্বিক টালমটাল পরিস্থিতির মধ্যেও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য চমৎকার বাজেট পেশ করায় প্রধানমন্ত্রী,অর্থমন্ত্রী ও অর্থ বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানানো হয়।বাসস

চেয়ারম্যান হয়েই অপ্রতিরোধ্য মুদি দোকানি বাবু

জাতীয়, 16 June 2023, 300 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দেওয়া সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু একসময় মুদি দোকান চালাতেন নিজ গ্রাম কামালের বার্তিতে। মুদি দোকান চালিয়েই পরিবার নিয়ে কোনো রকমে দিনাতিপাত করতেন তিনি।

তারপর ঠিকাদারি লাইসেন্স প্রাপ্ত চাচাতো ভাই ইঞ্জিনিয়ার হারুনের সহযোগিতায় বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির টাওয়ার নির্মাণ করে অর্থ উপার্জন শুরু করলে দিন পাল্টে যায় বাবুর।

ছাত্রজীবনে জাতীয় পার্টির ছাত্রসংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজের রাজনীতি করলেও পরবর্তীতে ভোল পাল্টে রাজনীতি ছেড়ে নিরপেক্ষতার ভান ধরেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৪-৯৫ সালের দিকে জাতীয় ছাত্র সমাজের প্রথম সারির কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন বাবু। ঠিকাদারি করে টাকা-পয়সা কামিয়ে ২০১১ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ভেড়েন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে যেভাবে সারাদেশের অনেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেন, ঠিক সেভাবেই।

২০১১ সালে আওয়ামী লীগে ভিড়েই ইউপি নির্বাচনে অংশ নেন বাবু। তবে সেবার জয়ী হতে না পারলেও ২০১৪ সালে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নিতে সক্ষম হন তিনি।

তারপর থেকে বকশীগঞ্জ উপজেলা তথা জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নেন মাহমুদুল আলম বাবু।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকায় খুব সহজেই ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিট পান। পরে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দ্রুত নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে সক্ষম হন বাবু।

জানা যায়, নারী লোভী বাবু টাকা আর ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে চলতেন।

পুলিশের সাবেক এক ডিআইজির চাচাতো ভাই হিসেবে সর্বস্তরে শক্তি প্রদর্শনের দুঃসাহস দেখাতে থাকেন। আরও বেপরোয়া বাবু হয়ে ওঠেন সাধুরপাড়া ইউনিয়নের অঘোষিত সম্রাট!

২০১৬ সালের নির্বাচনে বিজয় তার জীবনে যেন চিরস্থায়ী আশীর্বাদ হয়ে ফিরে আসে। কারণ, ২০১৪ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর আর কোনো সম্মেলন হয়নি। তাই পদে থেকে ২০২১ সালে ফের নৌকার মাঝি হয়ে

ফিরে আসেন মাহমুদুল আলম বাবু।

একদিকে নৌকা প্রতীকের দুইবারের চেয়ারম্যান, অন্যদিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৯ বছরের সাধারণ সম্পাদক। কে ঠেকায় বাবুকে? ক্ষমতার দম্ভে বাবার মতোই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন ছেলে ফয়সালও।

নারী লোভী বাবুর চরিত্র ফাঁস হয়ে যায়, যখন তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিনা আক্তার দৃশ্যপটে আসেন। জানা যায়, সাবিনাকে দুইবার বিয়ে করেন বাবু। দ্বিতীয়বার বিয়ের পর সাবিনার কোলে বাচ্চা আসে। তবে পুনরায় সাবিনাকে অস্বীকার করেন বাবু।

সাবিনা যখন তার অধিকার ফিরে পেতে চান, তখন দুঃসাহসিক সংবাদকর্মী গোলাম রাব্বানী নাদিম একের পর এক সংবাদ প্রকাশ করতে থাকেন। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন নারী লোভী দাপুটে ক্ষমতাশালী চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু।

তার বিরুদ্ধে একের পর এক সংবাদ প্রকাশ করায় নাদিম ও অন্যদের নামে সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন বাবু। কিন্তু মামলার মেরিট না থাকায় তা খারিজ করে দেন ময়মনসিংহের সাইবার ট্রাইবুনালের বিচারক।

আর এই মামলা খারিজের চার ঘণ্টার মধ্যেই হামলার শিকার হন সাংবাদিক নাদিম।

সাংবাদিক ও সচেতন নাগরিকদের ধারণা, বাবু হয়তো জানতেন নাদিমকে কোনোভাবেই আটকানো যাবে না। তাই আগে থেকেই পরিকল্পনা করতে থাকেন, নাদিমকে কীভাবে শায়েস্তা করা যায় তা নিয়ে!

মামলা দিয়েও ব্যর্থ হয়ে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক নাদিমকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন বাবু ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।

এরই অংশ হিসেবে বাবু সশরীরে উপস্থিত থেকে হামলার নেতৃত্ব দেন বলে জানিয়েছেন নাদিমের সহকর্মী এবং সহযোগী মুজাহিদ বাবু।

বুধবার (১৪ জুন) রাত ১০টার দিকে অদূরে অন্ধকার গলিতে দাঁড়িয়ে থেকে ছেলে ফয়সাল ও অন্য সহযোগীদের দিয়ে হামলা করান নাদিমের ওপর। হামলার এক পর্যায়ে ইট দিয়ে থেঁতলে নাদিমকে অচেতন করে পালিয়ে যায় তারা।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরপর রাত ১২টায় সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেল ৩টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিক নাদিমের মৃত্যু হয়।

এদিকে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু মাস্টারমাইন্ড বলে মন্তব্য করেছেন জামালপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) নাসির উদ্দীন আহমেদ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে এসপি নাসির বলেন, এই ঘটনার পেছনে যেসব মাস্টারমাইন্ড রয়েছে, তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে।

হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘসময় পরও মূল হোতা কেনো আটক হয়নি এবং ওসি বলেছেন, সিসিটিভি ফুটেজে তাকে দেখা যায়নি- এ সম্পর্কে এসপি নাসির বলেন, ওসি সত্যিকার অর্থে ভুল বলেছে। এলআইসি টিম আমার আন্ডারে থাকে। টিম এখন মাঠে আছে। লাইভে বলেছি, লোকেশন দেখেছি, কোনদিকে আছে তারা। পেছন পেছন যাচ্ছে। মাহমুদুল আলম বাবু কিলিং মিশনের নায়ক। সেটা প্রথম থেকেই জানি।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা চেয়ারম্যান বাবুর পরিবারের আত্মীয়- এমন অভিযোগের বিষয়ে এসপি নাসির উদ্দীন বলেন, প্রথম থেকে বাবুর নাম আমি বলেছি। সে-ই প্ল্যান মেকার। প্রত্যেকটা জায়গায় বলেছি। আমাদের ব্যাকআপ আছে। আরও মাস্টারমাইন্ড আছে, তারাও বের হয়ে আসবে।

হামলার পেছনে শাহীনা বেগম রয়েছেন- পরিবারের এমন দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের অপরাধ বিজ্ঞান বা আইন বলে ঢাকা থেকে হামলার অংশ হতে পারবে না- এটা সত্য না। যদি নাম আসে আটক করবো, আসামির খাতায় নাম আসলে অবশ্যই আটক করবো। জড়িত থাকলে বা মামলা হলে সবাইকে আটক করা হবে।