পুলিশের অভিযানে অপহৃত শিশু উদ্ধার

জাতীয়, 21 June 2023, 1328 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের পর ৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা অপহৃত এক শিশুকে ৬ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহৃত শিশু টেকনাফের হ্নীলা মৌলভীবাজার নাইক্ষ্যংখালী গ্রামের মো. ইউনুস ও সাজেদা বেগমের ছেলে খায়রুল আমিন (১২)। শিশুটি মৌলভীবাজার ইসলামিক আজিজিয়া ফয়জুল উলুম মাদ্রাসার হিফজ খানায় পড়ালেখা করে। শিশু অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১ নারীসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

banner

তারা হলেন নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. আলম (২৭), মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে আহমদ হোসেন (৫২), আহমদ হোসেনের ছেলে মো. পারভেজ (২০), সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আজিজা খাতুন (২১)। এরা সকলেই হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যাঘোনা বড়বিল গ্রামের বাসিন্দা।

অপহৃত পরিবারের অভিযোগের বরাত দিয়ে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল হালিম জানান, শুক্রবার সকাল ১০টায় হ্নীলা বাজার থেকে রঙ্গিখালী বন্ধু ফরহাদের বাসায় যাওয়ার জন্য হ্নীলা বাজার থেকে জনৈক আলমের ইজিবাইক (টমটম) গাড়িতে উঠে। পানখালী যাওয়ার পথে ভিকটিম খায়রুল আমিনের বন্ধু ফরহাদ (১২) এর সাথে দেখা হয়। ফরহাদ ভিকটিমকে তার বাসায় যাওয়ার জন্য বলে এবং কিছুক্ষণ পরে হ্নীলা বাজার থেকে আসার কথা বলে। ভিকটিম খায়রুল আমিনকে নিয়ে ইজিবাইক (টমটম) এর ড্রাইভার আলম পানখালী যাওয়ার পথে কৌশলে তার অপর সহযোগীকে গাড়িতে তোলে। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ভিকটিম খায়রুল আমিনকে টমটম গাড়ি নিয়ে রঙ্গিখালী পাহাড়ের ঢালায় নিয়ে যায়।
সেখানে ভিকটিম খায়রুল আমিনের হাত বেঁধে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। কিছুক্ষণ পর টমটম ড্রাইভার আলম তার গাড়ি নিয়ে সেখান থেকে চলে আসে। একই তারিখ রাত ১০টায় ভিকটিম খায়রুল আমিনকে পাহাড়ের উপরে তুলে অবস্থান করতে থাকে এবং রাত ১টায় ভিকটিম খায়রুল আমিনকে নিয়ে একজন অপহরণকারীর বাড়িতে চলে আসে। ভিকটিম খায়রুল আমিনকে অপহরণকারী সদস্য তার বাড়িতে নিয়ে আসলে ধৃত আজিজা খাতুন ভিকটিম ও তার স্বামীকে খাবার খেতে দেয় এবং তার বাড়িতে রাতে আটক রাখে।

পরদিন ১৭ জুন ভোরে ফজরের আজানের সময় টমটম ড্রাইভার আলমের গাড়িতে করে অপহরণকারীরা ভিকটিমকে পাহাড়ের পাদদেশে নিয়ে পুনরায় পাহাড়ের উপরে উঠে অবস্থান করতে থাকে এবং রাত ১টায় অপহরণকারীরা ভিকটিমকে সামনে রেখে তার মায়ের মোবাইলে ফোন করে ৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এসময় অপহরণকারীরা ভিকটিমকে গাছের ডাল দিয়ে মারধর করে ভিকটিমের মাকে কান্না শোনায়।

ভিকটিমের মামা থানায় নিখোঁজ ডায়রি করার পর বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়। অপহরণকারীদের অবস্থান জেনে স্থানীয় লোকজন ও গ্রাম পুলিশের সহায়তায় দফায় দফায় পাহাড়ের উপর বিভিন্ন ঘর-বাড়ি তল্লাশি করা হয়। অপহরণকারীরা অত্যন্ত অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে।

টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপরেশন) আব্দুর রাজ্জাক নেতৃত্বে অফিসারসহ পুলিশ ফোর্সের একটি চৌকস অভিযানিক দল সার্বক্ষনিক উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখে। অভিযান পরিচালনাকালে ২০ জুন সন্ধ্যায় টমটম ড্রাইভার আলমকে আটক পূর্বক ভিকটিম উদ্ধারের জন্য পাহাড়ের উপর অভিযান চলমান রাখার এক পর্যায়ে মঙ্গলবার ভোর ৫টায় পাহাড়ের উপর ভিকটিমসহ অপহরণকারীদের সন্ধান পেয়ে তাড়া করলে অপহরণকারীরা ভিকটিম খায়রুল আমিনকে রেখে পালিয়ে যায়।

থানা পুলিশ সকাল সাড়ে ৫টায় ভিকটিম খায়রুল আমিনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ঘটনায় জড়িত অপহরণকারীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখে ভিকটিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। শিশু অপহরণ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. আলম (২৭), মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে আহমদ হোসেন (৫২), আহমদ হোসেনের ছেলে মো. পারভেজ (২০), সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আজিজা খাতুনকে (২১) আটক করা হয়।

Leave a Reply

ইটালি প্রবাসী দিদারের মা আনোয়ারা বেগমের…

শফিকুল ইসলাম বাদল : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর Read more

কসবায় মায়ের অভিযোগে ছেলের কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে Read more
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : পুকুরের পানিতে ডুবে ইসরাত জাহান নোভা (৯) Read more

ইরান কখনও আপোস করবে না: আয়াতুল্লাহ…

অনলাইন ডেস্ক : জায়নবাদীদের সাথে ইরান কখনও আপোস করবে না Read more
ফাইল ছবি

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পাঁচ দিনের…

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানার পৃথক Read more
ফাইল ছবি

প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে…

অনলাইন ডেস্ক : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবার এবং আহতদের কল্যাণ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক…

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর Read more

কারাগারে হাজতির মৃত্যু

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জুনায়েদ মিয়া (৩২) নামে Read more

আখাউড়ায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

চলারপথে রিপোর্ট : কৃষকদের সেচ দক্ষতা বাড়াতে পানি ব্যবহারকারী গ্রুপের Read more

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ১১তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য: রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের Read more

স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে…

অনলাইন ডেস্ক : স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে অনশন Read more

ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানালো ২১…

অনলাইন ডেস্ক : ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে মিশরসহ ২১টি Read more

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিলেন রাষ্ট্রপতি

জাতীয়, 3 January 2024, 744 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

banner

আজ ৩ জানুয়ারি বুধবার দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রপ্রধান ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা বঙ্গভবনের ক্রেডিনশিয়াল হলে ডাকযোগে ভোট দেন।

দেশবাসীর উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আসুন নিজে ভোট দেই এবং অন্যকে ভোট দানে উৎসাহিত করি। একজন নাগরিক হিসেবে ভোট দেওয়া প্রত্যেকের দায়িত্ব। ভোটের মাধ্যমে জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক রায় দেয়। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটই হচ্ছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি। সকলের অংশগ্রহণে এ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।’

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) অনুচ্ছেদ ২৭ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে সক্ষম হন। নিবন্ধিত ভোটার, যারা কারাবন্দী বা আইনি হেফাজতে আছেন, প্রবাসী বাংলাদেশী এবং ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা, যারা অন্য কোনো ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকবেন তারা আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

ভোটকেন্দ্রে যেতে অসমর্থ এমন চার ধরনের ভোটাররা ডাকে (পোস্টাল ব্যালটে) ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে এ বিধান চালু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে এবারের সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানে উৎসাহিত করতে প্রচারণার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানে উৎসাহিত করতে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসহ সংশ্লিষ্টদের মাঝে প্রচারণার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ইসির বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, একজন ব্যক্তি যিনি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে আগ্রহী, তাকে পোস্টাল ব্যালট পেপারের জন্য তার নির্বাচনী এলাকার রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদনে অবশ্যই ভোটারের নাম, ডাক ঠিকানা এবং ভোটার তালিকায় ক্রমিক নম্বর থাকতে হবে। রাষ্ট্রপতির ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালটের বিষয়টি জনপ্রিয় করতে চায় নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী পাবনা সদরের ভোটার। রিটার্নিং অফিসার সময়সীমার মধ্যে তাদের প্রাপ্ত পোস্টাল ভোটগুলো বিবেচনা করবেন এবং সেই ভোটগুলো গণনা করে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করবেন।

এসময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

খেলাধুলা-শরীরচর্চায় মেধার বিকাশ হয়: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 9 June 2023, 1100 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
খেলাধুলা-শরীর চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এগুলোর মধ্যে দিয়ে মেধার বিকাশ হয়, দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধ বাড়ে।

banner

আজ ৯ জুন শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ‘শেখ হাসিনা আন্তব্যাংক ফুটবল টুর্ণামেন্ট ২০২৩’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খেলাধুলা, শরীর চর্চা, সংস্কৃতি চর্চা এগুলোর মধ্যে দিয়ে মানুষের যেমন মেধা বিকশিত হয়, ঠিক সেভাবে আমাদের দেশের মানুষের উজ্জীবিত হওয়া, আত্মবিশ্বাস বাড়ে, দেশের প্রতি ভালোবাসা বাড়ে, দায়িত্ববোধ বাড়ে, কর্তব্যবোধ বাড়ে।

তিনি বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা যত বেশি খেলাধুলায় সম্পৃক্ত থাকবে ততবেশি আমি মনে করি শুধু লেখাপড়া না, পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীর চর্চা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সঙ্গে যেন সম্পৃক্ত থাকে আমি সেটিই চাই।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই বাংলাদেশ সব দিক থেকে বিশ্বে সেরা হবে। খেলাধুলা, অর্থনৈতিক উন্নতি, সবদিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মর্যাদা নিয়ে চলবে। আত্ম মর্যাদা নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে।

ফুটবলের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফুটবলের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। আমার বাবা ফুটবল খেলতেন, আমার দাদা ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। এমনকি আমাদের নাতিপুতিরাও ফুটবল খেলে। সেদিক থেকে ফুটবলের সঙ্গে আমাদের অন্য রকম সম্পর্ক রয়েছে। তার থেকে বড় কথা সারা বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল।

এ ফুটবল টুর্ণামেন্ট আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এ আয়োজন সারাদেশে একটা অভূতপূর্ব সাড়া জাগিয়েছে। এ আয়োজন যেন এখানেই থেমে না যায়। আমাদের দেশে অনেক খেলা আছে। সে খেলাগুলোও যেন আস্তে আস্তে যুক্ত করে এ ধরনের প্রতিযোগিতা যেন আরও চলতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিযোগিতার মধ্যে থেকে উৎকর্ষ সাধন হবে। আর এখান থেকে আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এক সময় আমরা বিশ্বকাপ খেলতে পারবো। হয়তো বিশ্বকাপ একদিন জিততেও পারবো।

ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের দাবির প্রেক্ষিতে একটি স্টেডিয়াম করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন আমার কাছে দাবি করেছে একটি স্টেডিয়াম, অবশ্যই একটি স্টেডিয়াম আমি করে দিবো। পূর্বাচলে একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম হচ্ছে, তার কাছে আরেকটা ফুটবল স্টেডিয়ামসহ আমাদের স্পোর্টসের জন্য যেন একটি স্টেডিয়াম হয় সেই ব্যবস্থাটা আমরা করে দিবো।

বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে শেখ হাসিনা বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া আদায় করি, গত কয়েকদিন যেভাবে গরম পড়েছে, আল্লাহর মেহেরবানিতে গতকাল এবং আজকে বৃষ্টি হয়েছে, এ বৃষ্টি যেন আমাদের জন্য একটা শান্তির বারতা নিয়ে এসেছে। আমি জানি আমাদের কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে, আমি জানি আমাদের এ অসুবিধা থাকবে না।

সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামে বসে এ টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা উপভোগ করেন। প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ টুর্নামেন্টে আল-আরাফাহ ব্যাংককে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয় করে ইউনিয়ন ব্যাংক।

প্রধানমন্ত্রী বিজয়ী এবং রানার্সআপ দলের মধ্যে ট্রফি ও পুরস্কার তুলে দেন।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দুটো গান পরিবেশন করা হয়। গ্যালারি ভর্তি দর্শক ফাইনাল খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, যুব ও ক্রিড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, সেনা বাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বাব) এর চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার।

৩৪টি ব্যাংকের অংশগ্রহণে গত ১৩ মে ‘শেখ হাসিনা আন্তঃ-ব্যাংক ফুটবল টুর্ণামেন্ট’ শুরু হয়। সেনাবাহিনীর স্পোর্টস বোর্ডের সহযোগিতায় এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক্‌স।

১২৬ সিসির কম হলে মহাসড়কে নয় : শহরে সর্বোচ্চ গতি ৩০ কি.মি.

জাতীয়, 20 February 2023, 1395 Views,

চলারথে ডেস্ক :
ঢাকাসহ অন্যান্য শহরে মোটর সাইকেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা হচ্ছে ৩০ কিলোমিটার। আর মহাসড়কে ১২৬ সিসির (ইঞ্জিন ক্ষমতা) কম মোটর সাইকেল চলাচল করতে পারবে না।

banner

এছাড়া মহাসড়কে আরোহী নিয়েও মোটর সাইকেল চালানো যাবে না। খসড়া ‘মোটর সাইকেল চলাচল নীতিমালা-২০২৩’ এ এসব তথ্য উঠে এসেছে।

মোটর সাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণে এসব বিষয় যুক্ত করে একটি নীতিমালার খসড়া করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. আনিসুর রহমানের নেতৃত্বাধীন ৯ সদস্যের একটি কমিটি।

কমিটিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।

খসড়া নীতিমালায় তিনটি উদ্দেশ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে ১. মোটর সাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো। ২. মোটরসাইকেলের নিরাপদ ব্যবহার ও অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ মোটর সাইকেল ব্যবহারে উৎসাহ তৈরি। ৩. মোটর সাইকেল চালকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিশ্বে স্পোর্টি ও স্কুটি এই দুই ধরনের মোটর সাইকেল বেশি চলাচল করে। বাংলাদেশে বিক্রয়, বিপণন ও সড়কে চলাচলকারী প্রায় সব মোটর সাইকেলই স্পোর্টি শ্রেণির, যা অপেক্ষাকৃত দুর্ঘটনা প্রবণ। অন্যদিকে স্কুটি মোটর সাইকেল তুলনামূলক ভাবে নিরাপদ। এ জন্য নীতিমালায় স্কুটি মোটরসাইকেলের প্রসার এবং স্পোর্টির ব্যবহার কমানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে খসড়া প্রণয়ন কমিটির প্রধান আনিসুর রহমান বলেন, মোটর সাইকেল দরকার, এটা ঠিক। কিন্তু এটা গণপরিবহনের বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেলে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বেড়ে যাবে। বিশেষ করে মহাসড়কে মোটর সাইকেলের চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা জরুরি।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসেবে ২০১৮ সালে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ছিল ৯৪৫ জন, যা ২০২২ এসে ২৫৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর দিক দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশ শীর্ষে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ২০২১ সালে মোটরসাইকেল বেশি চলাচল করে, এমন ১৬টি দেশের (বাংলাদেশসহ) ওপর সড়ক নিরাপত্তাসংক্রান্ত একটি গবেষণা করে বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট (এআরআই)।

এতে উল্লেখ করা হয়, প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রতি ১০ হাজার মোটর সাইকেলের বিপরীতে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন ২৮ দশমিক ৪ জন। তাদের প্রায় ৪০ শতাংশেরই বয়স ২৪ থেকে ৩০ বছর। মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর এই হার সারা বিশ্বে সর্বোচ্চ। যদিও মাথাপিছু মোটর সাইকেল ব্যবহারকারীর হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থান পেছনের (১৬ দেশের মধ্যে) দিকেই।

বুয়েটের ওই গবেষণা উল্লেখ করা হয়েছে, ১০ হাজার মোটর সাইকেলের বিপরীতে বাংলাদেশে ২৮ জন মারা গেলেও ভিয়েতনামে এই সংখ্যা মাত্র ৪ জন এবং ভারতে ৯ জন।

জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 17 December 2023, 893 Views,
ছবি: সংগৃহীত

ডেস্ক রিপোর্ট :
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নগণের ভোট ও ভাতের অধিকার আন্দোলন সংগ্রাম করে আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি। আজকে নির্বাচনী সংস্কার আমরা করেছি। আজকের জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কাকে তারা নির্বাচিত করবে। কে সরকারে আসবে।

banner

তিনি বলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাস-খুন করে জনগণের হৃদয় জয় করা যায় না। এটা তাদের (বিএনপি-জামায়াত) জানা উচিত এবং তাদের সে অনুযায়ী কাজ করা উচিত।’

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা আন্দোলনের নামে মানুষ পোড়ায়, আন্দোলনের নামে রেল গাড়িতে যাতে দুর্ঘটনা হয় সেজন্য মৃত্যুর ফাঁদ তৈরি করে রাখে। মানুষ হত্যা করে, মানুষকে পুড়িয়ে মারে। জিয়াউর রহমান যেমন মানুষ হত্যা করেছে, খালেদা জিয়া এসেও একই কাণ্ড করেছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, কোটালিপাড়া বোমা রেখে দেওয়ার মত বহু ঘটনা তারা ঘটিয়েছে। ঠিক একই ভাবে আজকে লন্ডনে বসে হুকুম দেওয়া হচ্ছে। ওখান থেকে হুকুম দেওয়া হয় আর এখন থেকে তাদের দল আগুন দেয়। এই যে আগুন নিয়ে খেলা এই খেলা ভালো নয়। বাংলাদেশের মানুষ এটা কখনো মেনে নেবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানোবো যারা অগ্নি সন্ত্রাসী, তাদের বিরুদ্ধে সকলকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ওরা হরতাল দিয়ে লুকিয়ে থাকে। ঘরে বসে থাকে। তার সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছে সে সুযোগ নিয়ে গুপ্তস্থান থেকে তারা হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি দেয় আর মানুষ হত্যার নির্দেশ দেয়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, লন্ডনে বসে সে এসবের হুকুমদাতা।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ জানে তাদের কিসে ভালো কিসে মন্দ। আর কোন দল ক্ষমতায় থাকলে তাদের কল্যাণ হয়।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোন অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর পকেট থেকে উঠে আসেনি। আওয়ামী লীগ এদেশের মাটি মানুষের সংগঠন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এই সংগঠন গড়ে উঠেছে। কাজেই এই সংগঠনের শিকড় অনেক গভীরে প্রোথিত। আওয়ামী লীগকে এভাবে তারা কোনদিনই উৎখাতও করতে পারবে না, দাবাতেও পারবে না।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তৃতা করেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও সুজীত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল আলম মিলন এমপি, কেন্দ্রীয় নেত্রী মেরিনা জাহান কবিতা, এমপি, কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শেখ বজলুর রহমান ও হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি এবং সহপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম।

আজ জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী

জাতীয়, 18 January 2025, 243 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ ১৯ জানুয়ারি রবিবার। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি তিনি বগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে তার ডাকনাম ছিল কমল। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত করে। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি ও সাবেক সেনাপ্রধান।

banner

সংক্ষিপ্ত জীবনী : জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের এ দিনে বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মনসুর রহমান পেশায় ছিলেন একজন রসায়নবিদ। বগুড়া ও কলকাতায় শৈশব-কৈশোর অতিবাহিত করার পর জিয়াউর রহমান বাবার কর্মস্থল করাচিতে চলে যান। শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৫৫ সালে তিনি পাকিস্তান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে অন্যান্য সেনা কর্মকর্তাদের মতো তিনিও বিদ্রোহ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সামনে আসেন তৎকালীন সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান। কয়েক বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করা জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের ৩০ মে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে নিহত হন।