অনলাইন ডেস্ক :
চীনে বারবিকিউ রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ৩১ জন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। ২১ জুন বুধবার রাতে চীনের উত্তর-পশ্চিম নিংজিয়া অঞ্চলে একটি রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণের জেরে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
আজ ২২ জুন বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চীনের উত্তর-পশ্চিম নিংজিয়া অঞ্চলে বুধবার রাতে একটি বারবিকিউ রেস্তোরাঁয় গ্যাস বিস্ফোরণে ৩১ জন নিহত হয়েছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে। এই ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সংশ্লিষ্ট স্থানগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
নিংজিয়া অঞ্চলের রাজধানী ইনচুয়ানের একটি বারবিকিউ রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণটি তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস ট্যাংক লিক হওয়ার কারণে হয়েছে বলে সিনহুয়া বৃহস্পতিবার জানিয়েছে।
সিনহুয়া আরো জানিয়েছে, বিস্ফোরণের পর আগুনে দগ্ধ হয়ে এবং ভাঙা কাঁচের আঘাতে আহত সাতজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আহতদের চিকিৎসার জন্য কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে বলেছেন এবং শিল্পসহ এই ধরনের প্রধান প্রধান সেক্টরে নিরাপত্তা তদারকি জোরদার করতে হবে বলে জানিয়েছেন।
রয়টার্স বলছে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য বছরের পর বছর চেষ্টা করা সত্ত্বেও গ্যাস এবং রাসায়নিক বিস্ফোরণের কারণে চীনে এই ধরনের দুর্ঘটনা অস্বাভাবিক নয়।
এর আগে ২০১৫ সালে চীনের উত্তরাঞ্চলীয় বন্দরনগরী তিয়ানজিনে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ১৭৩ জন নিহত হয়েছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলার আব্দুল্লাহপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে ফেরার সময় দুই বাংলাদেশি নাগরিক বিজিবি’র হাতে আটক হয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে আটক ওই দুইজনকে আখাউড়া থানায় সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।
আটককৃতরা হলো, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার দক্ষিণ সিংহগ্রামের নগেন্দ্র ভৌমিকের ছেলে নরেন্দ্র ভৌমিক (৫০) ও নারায়ণ ভৌমিকের ছেলে বিশ্বজিৎ ভৌমিক (২৫)। প্রায় এক মাস আগে তারা হবিগঞ্জের মাধবপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিল।
বিজিবি থেকে পাওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানায় যায়, সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবি টহলরত অবস্থায় ওই দুজনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, আগরতলার লঙ্কামোড়া এলাকার সমীর নামে একজনকে ১২ হাজার ও আখাউড়ার আব্দুল্লাহপুরের শামস্ ভূঁইয়ার ছেলে মো. আরিফকে দুই হাজার টাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে। এর আগে তারা চিকিৎসার জন্য অবৈধভাবে ভারতে যায়।
অনলাইন ডেস্ক :
ব্রাজিলের সাও পাওলো রাজ্যে একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ গেছে ৬১ আরোহীর। ভোপাস এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইট ৯ আগস্ট শুক্রবার ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় পারান রাজ্য থেকে যাত্রী নিয়ে সাও পাওলো শহরের প্রধান বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে ভিনহেদো এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।
টার্বোপ্রপ উড়োজাহাজটিতে ৫৭ জন যাত্রী এবং চারজন ক্রু ছিলেন। তাদের কেউ বেঁচে নেই বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সূত্র : বিবিসি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি খাঁড়াভাবে নেমে আসতে থাকে এবং ওই অবস্থায় ঘুরতে ঘুরতে একটি আবাসিক এলাকার কাছে ভূপাতিত হয়।
ভিনহেদোর পাশের ভালিনহোস শহরের কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ায় একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে বাসিন্দাদের কেউ হতাহত হননি।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
রেলপাত বসানোর কাজ পুরোপুরি শেষ। আনুষঙ্গিক অন্যান্য ফিটিংস লাগানোর কাজও শেষ হয়েছে। চলছে শেষ মুহূর্তের ঘষামাজা। সক্ষমতা যাচাইয়ের কাজও একই সঙ্গে চলমান।
সংশ্লিষ্টরা নিয়মিত আসছেন এর দেখভাল করতে। বলা চলে, পুরোপুরি প্রস্তুত আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ। অপেক্ষা ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের। আশা করা হচ্ছে, এ রেলপথ চালু হলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে। যাত্রী চলাচলে আরো ব্যাপকতা পাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী উল্লিখিত পথে মঙ্গলবার পরীক্ষামূলকভাবে এ পথে ট্রেন চালানোর কথা। তবে শোকের মাসের কারণে সেটি পিছিয়ে দেওয়া হয়। বুধবার এ বিষয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য সভায় পরীক্ষামূলক চলাচলের দিনক্ষণ ঠিক হতে পারে।
সেপ্টেম্বরে পরীক্ষামূলক চলাচলের পর ওই মাসেই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী রেলপথটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে।
এদিকে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মঙ্গলবার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি দেখতে আসেন। প্রায় ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তারা। প্রকল্প কর্মকর্তারা পরিদর্শনের সময় গত কয়েক দিনের মতো ‘গ্যাং কার’ নামে পরিচিত ‘ট্র্যাক কার’ পরিচালনা করা হয়। রেলওয়ের বিশেষ ওই কারটি আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে সীমান্তবর্তী শিবনগর পর্যন্ত ৬.৭৮ কিলোমিটার অংশ পর্যন্ত চলাচল করে।
গত ১৬ আগস্ট ‘গ্যাং কার’ বা ‘ট্র্যাক কার’ চালানো হয়ে। ‘গ্যাং কার’ নামে পরিচিত ‘ট্র্যাক কার’ বিশেষ আকৃতিতে নির্মিত রেলের ‘ইঞ্জিন’। এর সঙ্গে দুটি বগি সংযুক্ত করে উল্লিখিত পথে চালানো হয়।
দুই দেশের এ রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২.২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৬.৭৮ কিলোমিটার। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন ৫৭ কোটি পাঁচ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। প্রথমে প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ১৮ মাস। এরপর করোনার প্রভাবসহ নানা কারণে পাঁচ দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ নির্মাণকাজের মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী বছরের জুন নাগাদ করা হয়েছে।
প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভারতের নয়াদিল্লির টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের বাংলাদেশ প্রধান শরৎ শর্মা মঙ্গলবার পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘গ্যাং কারে উঠে বাংলাদেশ অংশের পুরো রেললাইন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। আরো কী কী কাজ করা দরকার সেটি পর্যবেক্ষণ করা হয়। কয়েক দিনের মধ্যেই রেলপথটি পুরোপুরি চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে।’
বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী ও আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. আবু জাফর মিয়া বলেন, ‘সীমান্ত পর্যন্ত রেললাইন বসানো হয়ে গেছে। ফিটিংস লাগানোও শেষ হয়েছে। লেভেল ঠিক রাখার কাজ চলছে। ইমিগ্রেশন ভবনের কাজ যেটুকু বাকি আছে, সেটি দ্রুত শেষ করা হবে।’ প্রকল্পের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
একাধিক সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রেলওয়ের এ সংযোগ প্রকল্পটি চালু হলে মূলত ভারতীয়রাই বেশি লাভবান হবেন। বিশেষ করে ভারতীয়রা আগরতলা থেকে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে কলকাতা গেলে বর্তমানের চেয়ে তিন ভাগের এক ভাগ সময় কম লাগবে। সূত্র : কালেরকণ্ঠ
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার কুররামে পৃথক গুলির ঘটনায় সাত শিক্ষকসহ আটজন নিহত হয়েছেন। আজ ৪ মে বৃহস্পতিবার জেলার আপার কুররাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জেলা সদর হাসপাতালের ডেপুটি মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কায়সার আব্বাস নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা পুলিশ অফিসার মুহাম্মদ ইমরান জানান, শালোজান রোডে প্রথমে গুলির ঘটনা ঘটে এবং এর কিছুক্ষণ পর তেরি মেঙ্গল স্কুলে গুলির ঘটনা ঘটে।
আব্বাস জানান, শালোজান রোডে গুলিতে একজন নিহত হন। এর কিছুক্ষণ পর স্কুলে গুলিবর্ষণের ঘটনায় সাতজন শিক্ষক নিহত হন।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে। এর বেশিরভাগ খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানে।
সূত্র : ডন
অনলাইন ডেস্ক :
লোহিত সাগরে ‘গ্যালাক্সি লিডার’ নামক একটি ইসরায়েলি পণ্যবাহী জাহাজ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। জাহাজটির মালিকানায় ইসরায়েলি এক ব্যবসায়ীর অংশীদারত্ব রয়েছে বলে দাবি করেছে হুথি। এদিকে, এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
হুথিরা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে তারা জাহাজটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তবে, ইসরায়েল এটিকে ইরানের ‘সন্ত্রাসবাদী’ কর্মকাণ্ডের অংশ বলে দাবি করছে।
যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন এ জাহাজের পরিচালনায় রয়েছে জাপান। এটির মালিকানায় ইসরায়েলি এক ব্যবসায়ীর অংশীদারত্ব রয়েছে। তুরস্ক থেকে ভারতগামী জাহাজটিতে কমপক্ষে ২৫ জন লোক ছিল।
এর আগে রবিবার হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের পতাকাবাহী যে কোনো জাহাজ আটকের ঘোষণা দেয়। ইয়েমেনের রাজধানী সানা থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আল-আত্তাব জানান, হুথি বিদ্রোহীরা আন্তর্জাতিক নাবিকদের ইসরায়েলি কোনো জাহাজে কাজ না করার জন্য আগে থেকেই সতর্ক করেছিল।
হুথির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা জাহাজের ক্রুদের সঙ্গে ইসলামিক নিয়ম-নীতি অনুসারে আচরণ করছি। তাদেরকে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। তবে ইসরায়েলের মালিকানাধীন যে কোনো জাহাজ বা যারা এ ধরনের জাহাজে কাজ করবে, আমাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরে আমাদের ভাইদের ওপর চলা আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আমরা সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবো। ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজা ও পশ্চিম তীরে হামলা চালানো বন্ধ করতে হবে।
এদিকে, এ বিষয়ে পৃথক বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় ও দেশটির সেনাবাহিনী। তাতে উল্লেথ তরা হয়েছে, হুতিদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া জাহাজটির মালিকানা বা পরিচালনার সঙ্গে তেল আবিবের কোনো সম্পর্ক নেই।
জাহাজটিতে থাকা ২৫ জন নাবিকের কেউই ইসরায়েলের নাগরিক নন। নাবিকরা ইউক্রেন, মেক্সিকো, ফিলিপাইন ও বুলগেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক। হুথিদের জাহাজ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পেছনে ইরানের হাত রয়েছে। ইরান ‘বিশ্বের মুক্ত নাগরিকদের’ বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
তবে ইসরায়েলের এই দাবির পাল্টা জবাবে ইরান বলেছে, জাহাজ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ঘটনার সঙ্গে তেহরান জড়িত নয়। কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই ইসরায়েল ঢালাওভাবে ইরানকে দায়ী করছে। সূত্র: আল জাজিরা