চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় বাচ্চু মিয়া (৭৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।
আজ ২২ জুন বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকার কাছারি মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বাচ্চু গোপালপুর মধ্যপাড়ার মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, সকালে বাচ্চু মিয়া বাড়ি থেকে অটোরিকশায় করে নবীনগর সদরে আসছিলেন। পথে শ্রীরামপুর এলাকায় অটোরিক্সাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। এ অবস্থায় বাচ্চুকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহটি ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার উপজেলা ফ্রেন্স ফোরামের উদ্যোগে ৭ জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় নবীনগর প্রেসক্লাবে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসক্লাব সভাপতি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামলের সভাপতিত্বে ও প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন যায়যায়দিন পত্রিকার নবীনগর প্রতিনিধি গোলাম মোস্তফা, প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবু কামাল খন্দকার, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহাবুব আলম লিটন, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম মিনাজ, নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য তাজুল ইসলাম মনা, মোহাম্মদ হোসেন শান্তি, প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির সদস্য পিয়াল হাসান রিয়াজ, সাংবাদিক খানজাহান আলী চৌধুরী প্রমুখ।
আলোচনা শেষে কেক কাটা অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের কনিকাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো কনিকাড়া গ্রামের তাজুল ইসলামের মেয়ে সায়মা (১২) ও কসবা উপজেলার কুঠি গ্রামে ইব্রাহিম মিয়ার মেয়ে ইলমা (৬)। সায়মা সম্পর্কে ইলমার খালা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নিহত সায়মার মা জুহেরা বেগম জানান, দুপুরে ইলমা ও সায়মা বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে যায়। এসময় ইলমা পানিতে পড়ে ডুবে যায়। তাকে বাঁচাতে সায়মাও পানিতে লাফ দেয়। তবে সাঁতার না জানার কারণে তারা তীরে আসতে পারেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরাও চেষ্টা করে তাদের উদ্ধার করতে পারেননি। পরে তারা দু’জনই পানিতে তলিয়ে গিয়ে মারা যায়।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে বিধিনিষেধ অমান্য করে কৃষিজমির মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় ফসলি জমির এসব মাটি দিচ্ছেন সাতজনের ওই সিন্ডিকেট। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য কৃষি জমির মাটি কাটার বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুড়িঘর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবনির্মিত সড়ক দিয়ে সারিবদ্ধভাবে জমির মাটি নিয়ে যাচ্ছে বেশ কয়েকটি ট্রাক্টর। নিয়মিত এ সড়ক দিয়ে ট্রাক্টর চলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যান চলাচল কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কের পাশের কৃষি জমি থেকে বেকু দিয়ে মাটি উত্তোলন করে ট্রাক্টরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আশপাশের অন্তত ছয়টি ইট ভাটায়। প্রতিটি জমি থেকে ৩ থেকে পাঁচ ফুট গভীর করে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রকাশ্যে শত শত একর কৃষি জমি থেকে মাটি পুড়ানো হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সালাম, সুমন, জাহান, মক্কা, প্রভাতি ও তিতাস নামক ইটভাটায় হাসান, আনিস, শাহ আলম, হাকিম, মোবারক, সৈয়দ ও মজিদ মাটি সরবরাহ করছেন।
জমিতে বেকু দিয়ে মাটি উত্তোলনের সময় দুজন ট্রাক্টরচালক জানান, আমরা মাটি নিচ্ছি প্রতিদিন ৮০০ টাকা বেতনে। মাটি জমির মালিক থেকে কিনে মক্কা ও তিতাস নামের দুটি ইটভাটায় বিক্রি করেছেন মজিদ ও শাহ আলম।
আলফাজ নামের এক ট্রাক্টর চালক জানান, আমরা শুধু মাটি পরিবহন করছি। কৃষিজমি থেকে মাটি কিনেছেন হাসান।
মজিদ নামে ইটভাটায় মাটি সরবরাহকারী বলেন, মাটিতো অনেকে কাটছেন। তাতে কোনো সমস্যা নাই। আমরা মাটি কিনেছি জমির মালিক থেকে।
হাসান নামের আরেক মাটি সরবরাহকারী বলেন, আমিও কিছু কেটেছি। অনেকেই তো ইটভাটায় মাটি দিচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, আমরা ইটভাটায় মাটি দিতে একজনকে কন্ট্রাক্ট দিয়েছি। সে মাটি দিচ্ছে।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল ছিদ্দিক বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অ্যাসিল্যান্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বলেন, মাটি কেটে টপ সয়েল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটা অত্যন্ত খারাপ কাজ। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রশাসন থেকে অভিযান পরিচালনা করে ৭-৮টি বেকু জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন করা উচিৎ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে অবৈধভাবে ডোবা ভরাটের দায়ে একজনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের জালশুকা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এই জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান। তিনি জানান, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় একটি চক্র অবৈধভাবে ফসলি জমি খননযন্ত্র দিয়ে কেটে বালু উত্তোলন করছেন ও খাল-ডোবা ভরাট করছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় বড়াইল ইউনিয়নের জালশুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে সরকারি খালের অংশ ও মালিকানাধীন ডোবা অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ভরাট করার সময় শফিক মিয়া নামে একজনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে শফিক মিয়াকে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ড্রেজার মেশিনের পাইপসমূহ জনস্মুখে বিনষ্ট করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, পৃথক আরেক অভিযানে উপজেলার গোসাইপুর ইউনিয়নের গোসাইপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে ড্রেজার দিয়ে বালু এনে ফসলি জমি ভরাট করতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে কাউকে না পাওয়ায় জনসম্মূখে পাইপসমূহ বিনষ্ট করা হয়। ভবিষ্যতে আর যদি কেউ ভরাট কাজ করে তবে মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে মামলা করার নির্দেশ প্রদান করা হয়। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযান পরিচালনার সময় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা এস এম রাসেল মাহমুদ ও নবীনগর থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র আল-আকসা মসজিদ দখল করে দখলদার ইসরাইল বাহিনীর বরবরচিত হামলার ও ফিলিস্তিনিদের উপর নির্বিচারে গণহত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৩ অক্টোবর শুক্রবার বাদ জুম্মা নবীনগর এস আর মসজিদ থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এস আর মসজিদ প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মুফতি বেলায়েতুল্লাহ কাসেমীর সভাপতিত্বে ও মাওলানা মেহেদী হাসান এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম নবীনগর উপজেলার সভাপতি মাওলানা আমিরুল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল কাঈয়্যুম ফারুকী, নবীনগর দাওয়াতুল হক পরিষদের সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা মাকবুল হোসাইন, মাওলানা আনোয়ার বোসাইন, মাওলানা রাঈখান উদ্দিন আনছারী, মাওলানা মুমিনুল হক, মাওলানা ফোরকান উদ্দিন নবীপুরী, মাওলানা জসীম উদ্দিন, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা মোকতার হোসাইন আমিনী, মাওলানা আল আমিন, মাওলানা ফরহাদ হোসাইন ফরিদী, মাওলানা আব্দুর রউফ, মাওলানা রবিউল্লাহ, মাওলানা কামরুল ইসলাম প্রমুখ।