অনলাইন ডেস্ক :
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ ২২ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে তাঁর সাম্প্রতিক জেনেভা সফর। সরকার প্রধান রাষ্ট্রপতিকে তাঁর সাম্প্রতিক বিদেশ সফরের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সফল সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। সূত্র : বাসস
রাষ্ট্রপতি আশা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের ফলে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য বিনিয়োগসহ দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে।
বঙ্গভবনের মুখপাত্র জানান, বৈঠকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী একে অপরকে শুভেচ্ছা জানান ও কুশলাদি বিনিময় করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং তাঁর সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীও এসময় রাষ্ট্রপতি এবং তাঁর সহধর্মিনীকে ফুলের তোড়া উপহার দেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ ২৪ মার্চ রবিবার সচিবালয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর অফিসকক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলা, নির্মাণ খাতে সবুজায়ন, পরিবেশ সুরক্ষাসহ এসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত।
উল্লেখ্য, ৭ ও ৮ মার্চ ফ্রান্সের প্যারিসে ৭০টি দেশের ১৪০০ প্রতিনিধি ‘বিল্ডিং অ্যান্ড গ্লোবাল ফোরাম ২০২৪’-এ মিলিত হন। ফোরামে ফ্রান্স সরকারের আমন্ত্রণে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে। ফোরামে কপ-২৮ সম্মেলনের সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস এবং পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ৯ দফা সিদ্ধান্ত সংবলিত Declaration de Chaillot গৃহীত হয়।
উক্ত ঘোষণার আলোকে ফ্রান্স ও বাংলাদেশ সরকারের পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে সাক্ষাতে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দিনাজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত আব্দুর রশিদ নামে এক দিনমজুরের চিকিৎসা করানোর জন্য নবজাতক সন্তানকে বিক্রি করেন তার স্ত্রী রোকেয়া। পরে বিষয়টি জানার পর প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বিক্রি করে দেওয়া সেই কন্যাশিশুকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে তার বাবা-মায়ের কাছে। এসময় তৈরি হয় এক আবেগঘন মুহূর্ত।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় কন্যাশিশুকে তার বাবা আব্দুর রশিদ ও মা রোকেয়া বেগমের হাতে তুলে দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। দিনাজপুর সদর উপজেলার রাজবাড়ী কাটাপাড়া এলাকায় থাকেন তারা।
রাতেই শিশুটিকে প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিলে ছুটে আসেন আশপাশের মানুষ। তৈরি হয় আবেগঘন মুহূর্ত। শিশুটিকে কোলে নিয়ে কথা বলতে পারছিলেন না মমতাময়ী মা রোকেয়া বেগম। তার চোখ ছিল আনন্দ অশ্রূতে ছলছল। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন আব্দুর রশিদ। জন্মের পর নিজ কন্যার মুখও দেখা হয়নি তার। সেই কন্যা শিশুকে ফিরে পেয়ে আনন্দিত সেও।
এসময় দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহাগ চন্দ্র সাহা, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. জিন্নাহ আল মামুন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল রায়হান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একরামুল হক আবির ও অন্তু খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। গুলিবিদ্ধ দিনমজুরের চিকিৎসাসহ পরিবারটিকে পুনর্বাসনের সব ধরনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানায় প্রশাসন।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল রায়হান বলেন, মায়ের কাছে সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে পেরে ভালো লাগছে। এর চেয়ে মধুর স্মৃতি আর নেই। সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে তাদের সর্বোচ্চ সহায়তা করার। বিশেষ করে তাদের থাকার বিষয়টি নীতিমালার আওতায় এনে তাদের পুনর্বাসন করবো। তাদের আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত সামাজিক সুরক্ষার বেষ্টনীর আওতায় পরিবারটিকে নিয়ে আসা হবে।
দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিন্নাহ আল মামুন বলেন, সংবাদটি জানার পর আমরা সবাই সংযুক্ত হয়ে মায়ের কাছে যেন সন্তান ফিরে আসে সেই পদক্ষেপ নেয়। সেখানে হৃদয়বিদারক ঘটনা থেকে আনন্দদায়ক ঘটনায় রূপান্তরিত হয়। এতে সবাই খুশি, এটা সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফসল।
দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, বাবা-মায়ের ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের কারণে এই শিশুটিকে তাদের আত্মীয়ের কাছে তুলে দিয়েছিলেন মর্মে জানতে পারি। ছাত্রসমাজ, পুলিশ বিভাগ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের চেষ্টায় আবারও শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি। ওই দম্পতিও অনেক আনন্দিত। এটা আমাদের দায়িত্ব ছিল, সেই দায়িত্বটুকুই পালন করেছি। শিশুটিকে বিক্রির টাকা ফেরতের ব্যাপারে তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য যে অংশটুকু দিয়েছিল সেটি ফেরত দেওয়া হয়েছে।
আব্দুর রশিদ বলেন, আগে ভালো ছিলাম না, এখন অনেক ভালো লাগছে। জন্ম হওয়ার পর আজকে প্রথম শিশুটিকে দেখতে পাচ্ছি। যারা শিশুটিকে ফিরিয়ে এনে দিল তাদের ধন্যবাদ। সবচেয়ে বেশি কষ্ট লাগছে, ওর মা, বাবা হয়ে ওর জন্য কিছু করতে পারিনি। কারণ আমি নিজেই এক বিপদের মধ্যে। শিশুটি আমাদের কোলে এসেছে, যতই কষ্ট হোক তাকে মানুষ করবো।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট দুপুরে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আব্দুর রশিদ যান দিনাজপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে। স্ত্রীকে রেখে নিচে নামলে চলমান সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তার শরীরে গুলি লাগে। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাসায় চলে যান। পরে পেটের গুলিবিদ্ধ স্থানে পচন ধরলে পেশায় দিনমজুর রশিদ ৮ আগস্ট দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। রাতেই হয় অস্ত্রোপচার, এরপর আইসিইউতে। পরদিন বাড়িতে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম।
এদিকে হাসপাতালে রশিদের চিকিৎসার সামগ্রিক খরচ আসে ৩৬ হাজার টাকা। এই অর্থ তার পরিবারের জন্য যে বোঝা! মাথা গোঁজার ঠাঁইও নেই। থাকেন অন্যের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে। উপায় না পেয়ে হাসপাতালের চিকিৎসা খরচ পরিশোধ করতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুর রশিদের স্ত্রী বাধ্য হয়ে কুড়িগ্রামে তাদের এক আত্মীয়ের কাছে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তিনদিন বয়সী কন্যা সন্তানকে তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের পূর্বাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে রয়েছে ৭৬ কিলোমিটার সড়ক।
আসন্ন ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের ভোগাবে এই অংশের অন্তত ৪০ কিলোমিটার সড়ক।
দুটি সড়কে চারলেন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের কারণে এ শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সড়কের বেহাল দশা ও খানাখন্দের কারণে যান চালানো এখন বড় দায়। যানজট ও ধীর গতির কারণে প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হচ্ছে সড়কে। এতে একদিকে যেমন সময় নষ্ট হচ্ছে, তেমনি চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
সড়ক বিভাগ জানায়, ২০২০ সালের মার্চে শুরু হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটারের চারলেন সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। এর আওতায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার ও কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড় থেকে ধরখার পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক রয়েছে।
তবে করোনাকালীন সময়সহ নানা জটিলতায় বড় এই প্রকল্পের কাজে অনেকটাই ধীরগতি এসেছে। ফলে এখনও শেষ হয়নি রাস্তা নির্মাণ কাজ। এ কারণে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে এই সড়ক ব্যবহার করে চলাচলে। এসব সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরণের ৩০/৩৫ হাজার যানবাহন চলাচল করছে। এরমধ্যে যাত্রীবাহী যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার।
ঈদ মৌসুমে দেশের সব সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এর ব্যতিক্রম হবে না ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অধ্যুষিত এই রাস্তায়ও। এমতাবস্থায় আসন্ন ঈদে এ সড়ক ব্যবহার করে চলাচলে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হবে ঘরমুখো যাত্রীসাধারণের।
চালক ও যাত্রীরা জানান, দুটি সড়ক দিয়ে বিপুল সংখ্যক যানবাহন চলাচল করার কারণে সড়কগুলোর অবস্থা করুণ। নির্মাণকাজ করতে সড়ক খুঁড়ে রাখাসহ একপাশ বন্ধ করে রাখায় প্রতিদিনই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে তীব্র ধুলোবালির কারণে এসব পথে চলাচলকারীদের দুর্ভোগের অন্ত নেই।
তারা আরো জানান, সময় নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সড়কে বিভিন্ন সময়েই ঘটেছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। ফলে ঝুঁকি নিয়েই সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। রাস্তার খানাখন্দ ও যানজটের কারণে এক ঘণ্টার যাত্রাপথ চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে।
এ সময় সড়কগুলো দ্রুত মেরামত করার দাবি জানিয়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত যান চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রাকে নির্বিঘ্নে করতে অবশিষ্ট সড়ক দ্রুত মেরামত করা হবে।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, যানজট নিরসনে চালক ও হেলপারদের সচেতন করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশের সাতটি টিম সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট নিরসনে কাজ করছে।
চলারপথে ডেস্ক :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আগেও বলেছি, এখনও বলছি, উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদে যাওয়ার আগে এর অংশীজনদের সঙ্গে আবারও আলাপ-আলোচনা করা হবে। এর আগেও আমরা অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে যাতে এই আইনটির বিষয়ে এমন মনে না হয় যে, এটা উপাত্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য করা হচ্ছে। এটার উদ্দেশ্যই হচ্ছে উপাত্ত সুরক্ষা করা। উপাত্ত সুরক্ষাই যাতে দেওয়া হয়, সেই ব্যবস্থাই থাকবে এতে।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সেমিনার হলে ১৪শ বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী জজদের জন্য ১২শ ওরিয়েন্টশন কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সংবিধান উপহার দেন, সেখানে তিনি পরিষ্কারভাবে বাক-স্বাধীনতাকে একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে রাখেন এবং তার সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাও মৌলিক অধিকার হিসেবে রাখা হয়, যা বহু গণতান্ত্রিক দেশের সংবিধানে রাখা হয়নি। তাই কেউ যদি এমন দুশ্চিন্তা বা কল্পনা করেন যে, শেখ হাসিনার সেবামূলক সরকারের সময় এমন একটি আইন হবে, যেখানে জনগণের বাক-স্বাধীনতা বা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নষ্ট হবে, সেটা সঠিক নয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আগামী জাতীয় নির্বাচন করতে পারবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সংবিধানের ৬৬নং অনুচ্ছেদে বলা আছে, কারো যদি নৈতিক স্খলনের কারণে দুই বছর বা তার বেশি সাজা হয়, তাহলে তিনি সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে পারবেন না। এগুলো তো স্পষ্ট।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। তিনি ২০০৯ সালের ৯ মে ইন্তেকাল করেন। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে।
আজ ৯ মে বৃহস্পতিবার সকালে রংপুরের পীরগঞ্জে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করবে বিভিন্ন সংগঠন।
পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, ড. ওয়াজেদ মিয়ার পরিবার, উপজেলা আওয়ামী লীগ, ড. ওয়াজেদ স্মৃতি সংসদ ও ড. ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন ফাতিহা পাঠ, কবর জিয়ারত, মিলাদ মাহফিল ও গরিবদের মাঝে খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হলে ‘বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগার’-এর পক্ষ থেকে আলোচনা ও স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
ওয়াজেদ মিয়ার জন্ম ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের লালদীঘির ফতেহপুর গ্রামে।
তিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৬১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন এবং ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৬১-৬২ শিক্ষাবছরের জন্য হল ছাত্রসংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন।
তিনি ১৯৬৩ সালের ১ এপ্রিল তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনের চাকরিতে যোগ দেন।
১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
ওয়াজেদ মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের পদার্থবিজ্ঞান, ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও প্রকৌশলের ছাত্রদের জন্য দুটি গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি ১৯৯৩ সালে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ’ এবং ১৯৯৫ সালে ‘বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের চালচিত্র’ নামে দুটি বই লিখেছেন।