চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ইঁদুর মারার ট্যাবলেট খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ২২ জুন বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের বারপাকিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হচ্ছে- উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের বারপাকিয়া এলাকার ইলিয়াস মিয়ার মেয়ে ফাতেমা বেগম (৪) ও একই এলাকার কাশেম মিয়ার মেয়ে জান্নাত (৪)। তারা সম্পর্কে মামাতো ফুফাতো বোন।
অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া জানান, দুপুরে উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের বারপাকিয়া এলাকায় নিজ বাড়ির পাশে দুই শিশু খেলা করছিল। খেলার কোনো এক ফাঁকে ঘরের পাশে ইঁদুরের গর্তে ইঁদুর মারার জন্য রাখা সাদা ট্যাবলেট চকলেট মনে করে খেয়ে ফেলে তারা অচেতন হয়ে পড়ে। পরে স্বজনেরা তাদের উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে এক শিশুর মৃত্যু হয়। অপর শিশুকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত হয়।
সরাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে দুই শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে গরু চোরের বল্লমাঘাতে মোহাম্মদ পারভেজ (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। গত সোমবার গভীর রাতে উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের চর-কাকরিয়া গ্রামের মেঘনা নদীর পাড়ে এই ঘটনা ঘটে।
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ পারভেজের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করে। নিহত পারভেজ অরুয়াইল ইউনিয়নের চর-কাকরিয়া গ্রামের গ্রামের উবায়দুল্লার ছেলে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানায়, সোমবার রাতে চোরের দল পারভেজের বড় ভাই হুমায়ূন কবিরের গোয়ালঘর থেকে ২টি গরু চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের চোখে পড়ে। পরে কয়েকজন জেলে হুমায়ূন কবিরের বাড়িতে এসে বিষয়টি জানালে হুমায়ূন কবির তার ছোট ভাই পারভেজকে নিয়ে গরু চোরদের ধরতে মেঘনা নদীর পাড়ে যায়।
এ সময় চোরেরা অন্ধকারের মধ্যে পারভেজকে বল্লমাঘাত করে গরু দুটো ফেলে নৌকায় করে পালিয়ে যায়।
পরে গ্রামবাসী পারভেজকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে পারভেজ মারা যায়।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, গরু চুরি করার সময় চোরদের বল্লমাঘাতে পারভেজ নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। আমরা তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সভায় যোগদান শেষে ঢাকায় ফেরার পথে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জািতক বিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে বহনকারী প্রাইভেটকারকে ধাওয়া করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
৮ এপ্রিল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে সরাইল উপজেলা সদরের উচালিয়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে, পুলিশী তৎপরতায় অল্পের জন্যে হামলার হাত থেকে বেঁচে যান তিনি।
এর আগে দুপুরে আশুগঞ্জে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচীতে যোগদান শেষে সরাইল উপজেলা সদরের গরুর বাজার এলাকায় সরাইল উপজেলা বিএনপি আয়োজিত অবস্থান সভায় যোগ দেন তিনি।
সরাইলের সভায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সম্প্রতি সরাইলে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, সরাইলের মানুষ আপনাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামী দিনেও আপনাদেরকে একইভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, সরাইলের মাটি বিএনপির ঘাঁটি, তারেক রহমানের ঘাঁটি, বেগম জিয়ার ঘাঁটি। সরাইলের মানুষকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবেনা।
এদিকে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সরাইলে আসার খবর পেয়ে সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উচালিয়াপাড়া মোড়ে জড়ো হয়। পরে তারা প্রতিবাদ মিছিল বের করে। সভা শেষে পুলিশী প্রহরায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার গাড়িটি উচালিয়া পাড়া মোড়ে পৌছামাত্র ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা গাড়িটিকে ধাওয়া করেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে গাড়ীটিকে নিরাপদে স্থান ত্যাগ করার সুযোগ করে দেন।
এ সময় সরাইল উপজেলা ছাত্র ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ শরিফ উদ্দিন বলেন, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সরাইল-আশুগঞ্জের কেউ নন। তিনি এই এলাকায় বহিরাগত। তিনি প্রায়ই সরাইল এলাকার এসে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেন। পাশাপাশি সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনকে নিয়ে কটুক্তি করেন। তার প্রতিবাদে আমরা তাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছি। আগামীদিনেও একইভাবে তার মিথ্যাচারকে প্রতিহত করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে নিয়মিত বেড়েই চলছে হাতির চাঁদাবাজি। ভয়ে চাঁদা দিলেও হাতির ঘনঘন আগমনে অতিষ্ঠ এখানকার ব্যবসায়িরা। সড়কে হঠাৎ করে হাতি দেখে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছে শিশু শিক্ষার্থীরা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মোড় থেকে সকাল বাজার পর্যন্ত প্রধান সড়কে দাঁড়িয়ে চাঁদা উত্তোলন করেছে একটি হাতি। স্থানীয় ব্যবসায়ি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সম্প্রতি সরাইল সদরে হাতির সহায়তায় চাঁদা উত্তোলনের চিত্র প্রায়ই চোখে পড়ছে। হাতির উপরে বসে থাকেন মালিক। মালিকের ইশারায় বা সিগনালে হাতি প্রধান সড়কে ধীর গতিতে হাঁটে। হাঁটার সময় মালিকের সিগনালে হাতি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বা অটোরিকশার যাত্রীদের কাছে শোর বাড়িয়ে দিয়ে চাঁদা দাবি করে। টাকা দিলে শৌর উঁচু করে ঘুরিয়ে পিঠে বসা মালিকের কাছে টাকাটা দ্রুত পৌঁছে দেয়। হাতির শৌর বাড়িয়ে দিলে অনেক ব্যবসায়ি ও পথচারী ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। আকৃতি বড় হওয়ায় চাঁদা উত্তোলনের সময় সড়কের বিশাল অংশ দখল করে দাঁড়িয়ে থাকায় যানজট লেগে যায়।
ব্যবসায়ি নাদির হোসেন, আসমত আলী, জুলফিকারসহ অনেকেই বলেন, ২/৩ বা ১ মাস পরপর যদি আসে সমস্যা নেই। কিন্তু প্রতিমাসে ঘুরে ফিরে ৪-৫ বার আসছে। এমন নিয়মিত চাঁদাবাজিতে আমরা অতিষ্ঠ। টাকা না দিলে অথবা বিলম্ব হলে হাতিটি এমন ভাব ধরে মনে হয় শৌরের সাহায্যে মানুষকে উঠিয়ে নিবে। এটাতো আসলে মালিকরা প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। আমরা জানি না মালিক পিঠে বসে থেকে হাতিকে দিয়ে এভাবে চাঁদা উত্তোলন বিধি সম্মত কিনা। আমরা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ও মাহে রমজানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সেক্টর সদর দপ্তর, সরাইল ও সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর ব্যবস্থাপনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দুঃস্থ ও দরিদ্র জনগণের মাঝে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৮ এপ্রিল সোমবার বিকালে উপজেলার চাউরা কবি সানাউল হক ডিগ্রী কলেজ মাঠে ১০০টি দরিদ্র পরিবারের মাঝে এ ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সরাইল ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সৈয়দ আরমান আরিফ, পিএসসি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিঙ্গারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ভুইঁয়া, মেম্বার মামুন চৌধুরী, চাউরা কবি সানাউল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আসাদুল হক শিপন, সিনিয়র শিক্ষক আবু সালেহসহ, সরাইল ২৫ ব্যাটালিয়নের অন্যান্য অফিসার ও সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
খাদ্য সামগ্রী মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, চিনি, সয়াবিন তৈল ও আলু এবং ইফতার ও রাতের খাবার।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সব সময়ই সমাজের দরিদ্র ও বিপন্ন মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও আমাদের এই কাযক্রম অব্যাহত থাকবে বলে বিজিবির পক্ষে থেকে জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে নদী থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার সকালে সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের আজবপুর বাজারের পাশে মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম।
তিনি জানান, সকালে উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের আজবপুর বাজারের পাশে মেঘনা নদীতে ভাসমান অবস্থায় এক অজ্ঞাত ব্যক্তির (পুরুষ) লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে। তার নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তার শরীরেও আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তার বয়স আনুমানিক ৩৮ হবে।
ওসি আরো বলেন, মৃতের মরদেহ উদ্ধার করে দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।