চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে স্ত্রীকে চা বানানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে বাড়িতে লাশ হয়ে ফিরলেন মো. বাচ্চু মিয়া (৭৫)। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের কাচারির মোড়ে অটোরিকশা উল্টে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
নিহত বাচ্চু মিয়া (৭৫) উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে বাচ্চু মিয়া অটোরিকশা দিয়ে নবীনগর আসার পথিমধ্যে শ্রীরামপুর গ্রামের কাচারি মোড় সড়কে অটোরিকশাটি উল্টে গেলে বাচ্চু মিয়া ছিটকে রাস্তায় পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে গাড়ির চালকসহ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী রেজিয়া বেগম বলেন, আমার স্বামী ঘর থেকে বের হওয়ার সময় আমাকে বলেছেন, তুমি চা বানাও, আমি ঘুরে এসে চা খাব। ওনার কথামতো চা বানিয়ে অপেক্ষা করছিলাম। এ সময় খবর এলো তিনি অটোরিকশা থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন। হাসপাতালে গিয়ে দেখি তিনি মারা গেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর একটি হাওর নদী নালা বেষ্টিত এলাকা, এই এলাকার সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নের জন্য অনেক গুলো প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে। প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন হলে নবীনগরের সাধারণ মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য সহ অনেক সুবিধা ভোগ করতে পারবে। বর্তমান সরকারের সকল উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে নবীনগর হয়ে উঠবে আধুনিক ডিজিটাল নবীনগর।
নবীনগর উপজেলাবাসী জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি ঢাকা,চট্টগ্রাম ,সিলেট সহ সারা দেশের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগের পথ উন্মোচন হবে। এমন একটি মেগাপ্রকল্প নবীনগর টু আশুগঞ্জ রাস্তা সড়ক ও জনপদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে নির্মাণাধীন। উক্ত প্রকল্পের মনতলা থেকে সীতারামপুর ব্রিজ এর উত্তর পাশে অ্যাপ্রুচ সড়কে সীতারামপুর গ্রামবাসীর অধিগ্রহণকৃত কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙ্গা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হলে সংসদ সদস্য স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলেছেন। সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে অধিগ্রহণকৃত সকল মালিকদের বক্তব্য শুনে সকলকে আশ্বস্ত করে দায়িত্ব নিয়ে সকলে কাজ করে দিবেন বলে নিশ্চয়তা প্রদান করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য বলেন আমি আপনাদেরকে কথা দিচ্ছি আপনাদের নায্য অধিকার আপনারা বুঝে পাবেন, আইনের মধ্য থেকে আপনাদের সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকল্পে কাজ করব, কারণ আমি চাই আগামী জুন মাসের মধ্যে উক্ত ব্রিজ দিয়ে গাড়ি চলাচল করবে। উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেকের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজামুদ্দিন আহম্মদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী সাহান, জেলা পরিষদ সদস্য নাসির উদ্দিন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা এহসানুল হক রিপন, নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সুজিত কুমার দেব, নবীনগর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ইয়াবের হাসান জামিল, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম নজু, সাইফুর রহমান সোহেল, মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ আবু কাওসার, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজ, সহ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, নবীনগর পূর্ব ও পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.কে হেলাল এবং নুরে আজ্জম সহ উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে মায়ের সাথে চিকিৎসা করাতে গিয়ে সিয়াম নামে (৬ বছরের) শিশু সন্তান নিখোঁজ হয়ে গেছে। সন্তানকে খুঁজতে গিয়ে দিনভর নিখোঁজ রয়েছে ওই সন্তানের মা রিনা বেগম। নিখোঁজ সিয়াম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর পৌর এলাকার আলিয়াবাদ গ্রামের মালদ্বীপ প্রবাসী রায়হান মিয়ার ছেলে, রিনা বেগম তার স্ত্রী ।
সরেজমিনে নিখোঁজ সিয়ামের বাড়িতে গেলে তার চাচা ওবায়দুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল দশটায় রিনা তার ছেলে সিয়ামকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যায়,চিকিৎসা শেষে ডাক্তারের পরামর্শ ও ওষুধ আনতে গেলে সেই সময় হারিয়ে যায় সিয়াম। হাসপাতালে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি, ওই সময় হাসপাতালের সামনে থাকা এক পথচারী রিনাকে বলেন, একটি ছেলে রসুল্লাবাদ গ্রামের অটোরিকশায় উঠতে দেখছি। এই কথা শুনে রিনা ছেলের খোঁজে বেড়িয়ে যায়। আমাকে দুপুর ১ টার দিকে ফোন করে সিয়াম নিখোঁজ হওয়াসহ এসব কথা জানান রিনা। তখন রিনা নবীনগর ফল বাজারে আছে এবং তার মোবাইলে চার্জ নেই একথাও আমাকে বলেছে। এটাই ছিলো তার সাথে শেষ কথা। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।সংবাদ পেয়ে আমরাও সিয়ামকে খোঁজতে বেড়িয়ে যায়।
এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের ছবি দিয়ে নিখোঁজ হবার সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। দিন শেষে রাত হয়ে গেলো এখনো তাদের কোনো খোঁজখবর পাইনি।একদিকে ছেলে নিখোঁজ অন্য দিকে ছেলেকে খোঁজতে গিয়ে মা নিখোঁজ। এই ঘটনার পর থেকে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে গোটা নবীনগরে এলাকাবাসী ভীড় করছে সিয়ামদের বাড়িতে। পরিবারে চলছে শোকের মাতম। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত মা ও ছেলের কোন খবর পাওয়া যায়নি। বাজারের সিসি ক্যামেরা ফুটেজেও দেখা যাচ্ছে না তাদেরকে।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাহবুব আলম বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে,পুলিশ এ বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৪টি ড্রেজার জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৯ অক্টোবর সোমবার বিকেলে উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের বীরগাঁও বাজারের পাশ থেকে বালু উত্তোলনের সময় ড্রেজারগুলো জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম।
তিনি জানান, নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও বাজারের পাশে মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে একটি চক্র ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছিল। খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ড্রেজারে থাকা সবাই পালিয়ে যায়। তথ্যের সত্যতা পাওয়ায় ৪টি ড্রেজার জব্দ করে নবীনগর সদরে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এগুলোর কোনো মালিক বা তাদের কোনো প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।
তিনি আরো জানান, এর আগেও নবীনগরের এসিল্যান্ড অভিযান চালিয়ে ৫টি ড্রেজার জব্দ করেছিলেন। পরে তারা মুচলেকা দিয়ে ড্রেজারগুলো নিয়ে যায়। আজ জব্দ করা ড্রেজারগুলোর মধ্যে আগে মুচলেকা দেওয়া ড্রেজারও রয়েছে। যেহেতু তারা মুচলেকা দেওয়ার পরও আবার অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছে, এ ঘটনায় যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে গতকাল ২০ মে রছুল্লাবাদ ইউনিয়নের কালঘড়া গ্র্রামের ৩নং ওয়ার্ডের বিট পুলিশিং ও সচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত বিট কর্মকর্তা এস.আই মো. বাছির মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার।
যুবলীগ নেতা মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ডা. শফিকুর রহমান, মাদকমুক্ত নবীনগর চাই সংগঠনের সভাপতি মো. আবু কাওছার, শ্রীকাইল কলেজের সাবেক জি. এস আজিজুর রহমান রাসেল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সুমন আহমেদ মাস্টার, বিশিষ্ট সমাজ সেবক শফিউল আলম, ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার মামুন মিয়া, ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার সাদেক মিয়া, কালঘড়া হাফিজ উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় এর অভিভাবক সদস্য কামাল সরকার, সাবেক ছাত্রনেতা আবু কাউসার সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন ইদানিং গ্রামে চুরি ও ইভটিজিং বিষয়ে মাদক সেবীদেরকে দায়ী করে বলেন- যারা মাদক সেবন করে টাকার জন্য তারাই ছিচকে চুরি করে থাকে ও বিভিন্ন দোকানে বসে আড্ডা দেয়, তাই রাত ৯ টার পরে গ্রামে কোন দোকান খোলা রাখা যাবে না এবং কোন কারণ ছাড়া রাতের বেলায় সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে চলাফেরা করিলে প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। আপনারা প্রত্যেকেই যার যার পরিবারের সন্তানদেরকে দায়িত্ব নিয়ে মাদকের কুফল সম্পর্কে বোঝাবেন ও সচেতনতা বৃদ্ধি করবেন। নতুবা একদিন চোখের পানি ফেলতে হবে। মাদকের চাহিদা কমিয়ে আনার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠন মাদকমুক্ত নবীনগর চাই সংগঠন ও কাজ করছে।