চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ২৩ জুন শুক্রবার সকালে উপজেলার বাড়িউড়া নামক স্থানে মরদেহটি পাওয়া যায়।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সকালে মহাসড়কে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। মরদেহ দেখে মনে হয়েছে, হেঁটে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় কোনো গাড়ির চাপায় ঘটনাস্থলেই তিনি মারা গেছেন। তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সকল জুলুমেরই শেষ আছে। আওয়ামী লীগ মনে করেছিল, যতোদিন তারা বেঁচে থাকবে ততোদিন ক্ষমতায় থাকবে। দেশের মানুষ তাদের জবাব দিয়ে দিয়েছে। এমন কোনো দিন নেই বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি আর হামলা হয়নি। এমন কোনো দিন নেই- রাত নেই শান্তিতে আমরা ঘুমাতে পেরেছি।’ দেশের মানুষ তাদের জবাব দিয়ে দিয়েছে। মানুষের সমর্থন ও ভালোবাসা যদি থাকে তাহলেই রাজনীতি করা যায়।
আজ ২৯ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। বিএনপি আশা করে এ সরকার গণমানুষের দাবির প্রতি লক্ষ্য রেখে দ্রুত একটি অবাধ, সুষ্ঠ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন করবে। বিএনপি আর কোনো ষড়যন্ত্র দেখতে চায় না। আরেকবার ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শুনতে চায় না। বিএনপি চায় না নির্বাচনকালীন সময় ব্যবহার করে আবারও কোনো দুষ্কৃতকারী বাংলাদেশের মানুষের ঘাড়ে চেপে বসে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর বিগত আওয়ামী লীগ সরকারে জুলুম-নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, সবাই এখন ঐক্যবদ্ধ থাকার সময়। ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়নি। আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে একটি নির্বাচন যদি আদায় করতে না পারি, তাহলে আন্দোলনের বিজয় ধুলিসাৎ হয়ে যাবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রকারীর শক্তি বিএনপিকে পরাজিত করতে পারবে না।
এ সময় রুমিন ফারহানা আগামী সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হতে পারলে নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করার ঘোষণা দেন।
সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ. বি. এম. মোমিনুল হক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফুজায়েল চৌধুরী।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় সড়ক মহাসড়কে ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া কৌশলী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কের সরাইল অংশের দু’পাশের ঝোপঝাড় পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন তিনি। দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে কাজটি সম্পন্ন করতে নিয়মিত পরিদর্শনও করছেন। স্বস্তি প্রকাশ করছেন সড়কে চলাচলকারী চালক যাত্রী ও পথচারীরা।
সূত্র জানায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের কুট্টাপাড়া মোড় থেকে বাড়িউড়া পর্যন্ত দু’পাশের ঝোপঝাড়ে সন্ধ্যার পর ডাকাত ও ছিনতাইকারীরা নিরাপদে আশ্রয় নিয়ে ওঁৎ পেতে বসে থাকে। সুযোগ পেলেই যাত্রীবাহী গাড়িতে ডাকাতি করে। নিজেদের রক্ষায় আবার ওই ঝোপঝাড়ের সহায়তায় সটকে পড়ে ডাকাতদল। অনেক সময় যাত্রীবেশে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে এসে যাত্রীর সর্বস্ব লুটে মারধর করে ঝোপঝাড়ে ফেলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। একই কায়দায় সরাইল-নাসিরনগর সড়কের ধর্মতীর্থ এলাকা থেকে ভূঁইয়ার ঘাট পর্যন্ত সুযোগ বুঝে ডাকাতি করে ওই ঝোপঝাড়েই আশ্রয় নেয় ডাকাতরা। উভয় সড়কের ঝোপঝাড় ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের নিরাপদ সহায়ক। তাই ওই দুই সড়কে ডাকাতি প্রতিরোধে তাদের আশ্রয় ও নিরাপদ জায়গা ঝোপঝাড় ধ্বংসের পরিকল্পনা করেছেন ইউএনও।
সরাইল সদরের চেয়ারম্যান ও কালিকচ্ছ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সহায়তায় রাজস্ব ফান্ডের টাকায় উভয় সড়কের দু’পাশের ঝোপঝাড় পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছেন। কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়মিত কাজ পরিদর্শন করছেন। ঝোপঝাড় পরিচ্ছন্নতার কাজ দেখে স্বস্তি প্রকাশ করছেন চালক যাত্রী ও সাধারণ পথচারীরা।
সিএনজি চালক মো. খালিদ বলেন, সন্ধ্যার পর এই সড়কে আমরা আতঙ্কে থাকি। ঝোপঝাড়ের ভেতর থেকে হঠাৎ বের হয়ে ইটা বা কাঠের টুকরা ফেলে গাড়ি আটক করে যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নেয়। পরিচ্ছন্নতার ফলে ডাকাতদের নিরাপদে ওঁৎ পেতে বসে থাকার জায়গা থাকবে না। খুবই ভালো লাগছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া বলেন, সড়কে চলাচলকারী চালক ও জন সাধারণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই আমরা দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সহায়তায় এই পরিচ্ছন্নতার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। ঝোপঝাড় না থাকলে সড়কে ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধ হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে জাতীয় পার্টির সরাইল উপজেলা শাখার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে সরাইলের সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটোরিয়াম হলরুমে এ কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় সরাইল উপজেলা জাতীয় পার্টির ১০১ জন সদস্য করে নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এতে সরাইল উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি মো. হুমায়ুন কবিরকে সভাপতি ও হাফেজ আলী নেওয়াজকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
সরাইল উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি মো. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও জাতীয় পার্টির নেতা আবু হানিফের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এর সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
এ কমিটি ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় পার্টির পার্টির আহবায়ক শাহ জামাল রানা, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হেলাল, জেলা জাতীয় পার্টি যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আজিজ, উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফজলুল হক মৃধা।
বক্তব্য রাখেন- উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সরাইল উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফেজ আলী নেওয়াজ, সরাইল উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফজলু মিয়া, শাহবাজপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি মেরাজ মিয়া, কালিকচ্ছ ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি ছায়েদ হোসেন, উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ মিয়া, উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির নেতা দুলাল বক্স, উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সহ-সভাপতি দুলাল চন্দ্র সূত্রধর, সরাইল সদর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি ফরিদ মিয়া, সরাইল উপজেলা জাতীয় মহিলা পার্টির সভাপতি শিরিন আক্তার, অরুয়াইল ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ, চুন্টা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির নেতা মো. বিল্লাল মিয়া, অরুয়াইল ইউনিয়ন জাতীয় যুব সংহতি সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন, পানিশ্বর ইউনিয়ন যুবসংহতির নেতা মো. কামাল হোসেন, পাকশিমুল ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল মোস্তফা, কালিকচ্ছ ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবুল ফাতাহ মোহাম্মদ মাসুক, জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের যুগ্ম আহবায়ক হোসাইন মোহম্মদ আজাদ, উপজেলা ছাত্র সমাজের আহবায়ক হোসাইন আহমদ শাওন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কে ডাকাতি ঠেকাতে সাত কিলোমিটার ঝোপঝাড় পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে।
আজ ১ এপ্রিল সোমবার সরাইল থানা ও কালিকচ্ছ ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় ধরন্তি এলাকায় এ কার্যক্রম শুরু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সড়কের দুই পাশে ছোট গাছপালা গজিয়ে ঝোপঝাড় সৃষ্টি হয়েছে। প্রায়ই এ সড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতের দল এসব ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকে। এ কারণে যাত্রী ও পরিবহন চালকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। এ অবস্থায় সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ থেকে ধরন্তি কুইট্টা ব্রিজ পর্যন্ত এবং কুইট্টা থেকে নাসিরনগর পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ করতে এক সপ্তাহ সময় লাগবে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, সড়কে নিরাপত্তার জন্য সরাইলের অংশ আমরা পরিষ্কার করছি। নাসিরনগর থানা পুলিশ বাকি অংশ করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলায় ছিল ক্রীড়ামোদী উৎসুক জনতার উপচে পড়া ভীড়। গতকাল ১ মে শনিবার বিকালে সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে উক্ত লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
সাদা ধুতি কাপড় পড়ে ভিন্ন রকম সাজে সজ্জিত হয়ে ঢোলের তালে তালে হেলে দোলে ও নেচে গেয়ে লাঠি খেলার মনোমুগ্ধকর নানা কসরত প্রদর্শন করেন লাঠি খেলোয়ারগণ। বিভিন্ন এলাকার ৭ টি টিম উক্ত লাঠি খেলায় অংশগ্রহন করেন। এ সময় উৎসব মুখর পরিবেশে খেলা উপভোগ করেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার উৎসুক লোকজন।
সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার সালাউদ্দিন সুরুজের সভাপতিত্বে লাঠি খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শের আলম মিয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন্তু।
খেলার বাড়তি আকর্ষণ ছিল সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার সালাউদ্দিন সুরুজ এর মধ্যকার লাঠি খেলা।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এই লাঠি খেলা এখন অনেকটা বিলুপ্তির পথে হলেও মাঝে মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ঢোলের শব্দের তালে তালে এই খেলা অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায় যা ক্রীড়ামোদী মানুষকে বিশেষ আনন্দ প্রদান করে বলে স্থানীয় লোকজনের ধারনা।