চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ২৩ জুন শুক্রবার সকালে উপজেলার বাড়িউড়া নামক স্থানে মরদেহটি পাওয়া যায়।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সকালে মহাসড়কে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। মরদেহ দেখে মনে হয়েছে, হেঁটে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় কোনো গাড়ির চাপায় ঘটনাস্থলেই তিনি মারা গেছেন। তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯ বছর বয়সী সুলতান মাসুদ নামের এক শিশু ১০ মাসে কোরআনে হাফেজ হওয়ার গোরব অর্জন করেছে। তার এ কৃতিত্বে অভিভাবকসহ শিক্ষক-সহপাঠীরাও আনন্দিত। উজ্জল ভবিষ্যৎ কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন পরিবার। আজ ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে মাসুদ কোরআনে হাফেজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ‘আফটার স্কুল তাহফিজ প্রোগ্রাম’ এর প্রিন্সিপাল ও হিফজ বিভাগের প্রধান শিক্ষক মাওলানা হাফেজ মুফতি মনিরুল হক। মাসুদ সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা গ্রামের কৃষক জাকির হোসেনের ছেলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পশ্চিম পাইকপাড়ার চকলেট ফ্যাক্টরি এলাকার ‘আফটার স্কুল তাহফিজ প্রোগ্রাম’ (স্কুল এবং মাদরাসা) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র।
মাসুদের বাবা জাকির হোসেন জানান, ছোটবেলা থেকেই কোরআন হিফজের বিষয়ে মাসুদের প্রবল ইচ্ছা ও আকর্ষণ ছিল। মাদরাসায় ভর্তির জন্য মাসুদ নিজেই বায়না ধরলে তাকে ২০২৩ সালে ‘আফটার স্কুল তাহফিজ প্রোগ্রাম’ (বাংলা ও আরবি) বিভাগে ভর্তি করা হয়। শুরুতে তাকে বাংলার পাশাপাশি পবিত্র কোরআনের হিফজ সবক দেওয়া হয়। এর ১০ মাসের মধ্যেই মাসুদ কোরআনে হাফেজ হয়ে ওঠে।
হাফেজ মাসুদ বলেন, আমি চেষ্টা করেছি, আল্লাহ সহায় ছিলেন বলেই মহাগ্রন্থ কোরআন আয়ত্ত করতে পেরেছি। ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার জন্য আলেম হওয়ার স্বপ্ন তার।
‘আফটার স্কুল তাহফিজ প্রোগ্রাম’ এর প্রিন্সিপাল মাওলানা হাফেজ মুফতি মনিরুল হক জানান, মাসুদ শান্ত প্রকৃতির ছেলে। সঠিকভাবে দিক-নির্দেশনা অনুসরণ করে চলেছে। হাফেজ হতে তার প্রবল ইচ্ছা আর আকাঙ্খা ছিল। মাসুদ আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি করেছে। আল্লাহ তার ভবিষ্যত জীবনকে ইসলামের পথে কবুল করুক।
সরাইলে সিরাতুন্নবী (সা.) মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে আকাঈদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত সংরক্ষণ পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা শাখার উদ্যোগে সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে উক্ত মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
হেফাজত ইসলাম সরাইল উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মঈনুল ইসলাম খন্দকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত মহাসম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মুফতি রায়হান উদ্দিন, মুফতি কেফায়েত উল্লাহ আল মাহদি, মুফতি মুর্শিদ চৌধুরী, মুফতি মনিরুজ্জামান, মুফতি সালমান কাশেমী, মুফতি ইয়াছিন, মুফতি বাকি বিল্লাহ, হাফেজ মাওলানা এহসান উল্লাহ, মাওলানা জুবায়ের আহমেদ, মুফতি সুলাইমান, মাওলানা সাইফুর রহমান হাবিবী ও মাওলানা সিফাত জামিল।
উক্ত মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হেফাজত ইসলামের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেন, রাসুলের (সা.) শাণে যদি বাংলার মাটিতে কোন নাস্তিক মুর্তাদ কটূক্তি করে, রাসুলকে গালি দেয় তবে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদেরকে প্রতিহত করব। তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে। রাসুলকে নিয়ে কটুক্তিকারীদের বিরূদ্ধে সর্বোচ্চ বিচারের আইন পাস করতে হবে। রাসুলের দুশমনদের ফাঁসি দিতে হবে। তিনি আরও বলেন আল্লাহ এক, রাসুল সবার এক, আমাদের কাবা কেবলা এক, শরীয়ত এক। অতএব দ্বন্দ্ব ভুলে যান। আমরা সবাই এক। ধর্মের ব্যাপারে আমরা ওলামায়ে কেরামদের নেতা মানব। কোন বিষয়ে কোন ধরণের দাঙ্গা ফ্যাসাদ ও বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। আকাঈদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত সংরক্ষণ পরিষদ সরাইল উপজেলা শাখাসহ হেফাজতে ইসলামের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী ও তৌহিদি জনতা উক্ত মহাসম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ভাসমান ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র শীতার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন মঈন।
গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার পর সরাইল উপজেলা কমপ্লেক্স মোড় ও বাজারে ঘুরে ফিরে প্রায় ২ শতাধিক নারী পুরুষ ও শিশুকে কম্বল পরিয়ে দিয়েছেন নিজ হাতে।
কম্বল বিতরণকালে মঈন উদ্দিন মঈন এমপি’র সাথে ছিলেন সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া, সরাইল থানার সাব-ইন্সপেক্টর পঙ্কজ দাস, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শরীফ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. ইশতিয়াক আহমেদ বাপ্পী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হোসেন মিয়া, মো. বাবুল মিয়া, সরাইল সদর ইউপি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. ফরিদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক জিহাদ উদ্দিন ঠাকুর চয়ন প্রমুখ।
মাঘ মাসের এই হাড় কাঁপানো শীতে এমপি’র হাত থেকে কম্বল পেয়ে আবেগ আপ্লোত হয়ে পড়েন শীতার্ত লোকজন। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এমপি মঈন উদ্দিনের জন্য দোয়া করেন।
মঈন উদ্দিন মঈন এমপি বলেন, আমি আপনাদের ভোটে কামলা নিযুক্ত হয়েছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) এর সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সুখে দু:খে পাশে থেকে কাজ করাই আমার অঙ্গীকার। আমি কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠির নয়। আমি সকলের। সকলেই আমার।
তিনি আরো বলেন, আমি আপনাদের সেবক হিসেবে আমৃত্যু আপনাদের পাশে থাকতে চাই। এ জন্য তিনি সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে শিক্ষার্থীদের মাঝে দুর্নীতি বিরোধী চেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে সরাইল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১০ জুলাই সোমবার স্থানীয় অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বির্তক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহম্মদ সরওয়ার উদ্দিন।
সরাইল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোঃ আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহিদ খালিদ জামিল খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরজু মিয়া, সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিনা আক্তার, সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক মমিন হোসেন, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ইসমত আলী ও সাংবাদিক সফিকুর রহমান।
প্রতিযোগীতায় উপজেলার সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, কালীকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়, শাহবাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়, শাহজাদাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও পাকশিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, সঞ্জীব কুমার দেবনাথ, প্রধান শিক্ষক শেখ সাদী।
প্রতিযোগিতায় অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন ও সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় রানারআপ হয়। অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দলের প্রধান নাদিরা আক্তার শ্রেষ্ঠ বক্তার গৌরব অর্জন করে। প্রতিযোগিতা শেষে প্রধান অতিথি শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।