চলারপথে রিপোর্ট :
বরিশালে পরিবার থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন দুই অনাথ তরুণীর বিয়ে দিয়েছে সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র। বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় আজ ২৪ জুন শনিবার জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে নগরীর কালীজিরা এলাকায় সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে এই বিয়ের অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের তিনশ’ অতিথি আপ্যায়ন করেন আয়োজকরা। এই বিয়েকে কেন্দ্র করে গত এক সপ্তাহ ধরে উৎসবের আমেজ ছিল কেন্দ্রটিতে।
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের জেলা সমাজসেবা বিভাগের প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ জানান, শনিবার ওই কেন্দ্রে পুনর্বাসিত মেয়েদের ১৭ ও ১৮ তম বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে আশ্রিত রহিমার (১৯) বিয়ে হয়েছে নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর জাগুয়া এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর রাসেল হোসেনের সঙ্গে। অপরদিকে তামান্নার (২১) বিয়ে হয়েছে জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের মানিককাঠি এলাকার মুদি দোকানি ফরিদ হোসেনের সঙ্গে। রহিমা ৮ বছর এবং তামান্ন ওই কেন্দ্রে ৪ বছর ধরে বসবাস করছিলেন। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পুলিশের মাধ্যমে এই কেন্দ্রে আশ্রয় হয় তাদের। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে রহিমার বাড়ি পিরোজপুরে এবং তামান্নার বাড়ি জেলার মেহেন্দিগঞ্জ বলে তারা জানিয়েছেন।
সাজ্জাদ পারভেজ আরো জানান, সামাজিকভাবে কথা পাকাপাকি করে তাদের বিয়ে হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশে। বিয়ের পোশাক কেনা, পুনর্বাসন কেন্দ্র সাজসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গায়ে হলুদসহ বিয়ের আয়োজনে কমতি ছিলো না। অনুষ্ঠানে উভয় বর ও কনেকে সেলাই মেশিন, লেপ-তোষক, ক্ষুদ্র ব্যবসা করার জন্য ৫০ হাজার করে টাকা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন সাজ্জাদ পারভেজ। আশ্রিত হওয়ার পরও ব্যাপক আয়োজনে পরম মমতায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা করায় খুশী বলে জানিয়েছেন তামান্না ও রহিমা।
তামান্নার বর ফরিদ হোসেন ও রহিমার বর রাসেল হোসেন জানান, এর আগে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে এই কেন্দ্রে এসে ওই তরুণীদের বিয়ের জন্য পছন্দ হয় তাদের। এরপর পারিবারিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। এতে খুশি তাদের পরিবারের সবাই।
বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দুই অনাথ তরুণীর বিয়ে হওয়ায় ওই কেন্দ্রের সকলে খুশি। আমাদের মেয়েরা যাতে ভালো থাকে সেদিকে লক্ষ্য থাকবে প্রশাসনের। ভবিষ্যতেও তাদের খোঁজ খবর রাখা হবে। তাদের স্বাবলম্বী করার সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন জেলা প্রশাসক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ধামরাইয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা পাওনা ও বসত বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাই ফারুক হোসেনকে (৪০) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে বড় ভাই। এ ঘটনার পরই স্থানীয় এলাকাবাসী ঘাতক বড় ভাই ওসমান গনি ও তার স্ত্রী জিয়াসমিনকে আটকের পর পুলিশে সোর্পদ করেছে।
আজ ৪ অক্টোবর বুধবার দুপুরে ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের কাকরান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফারুক হোসেন কাকরান গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কাকরান গ্রামের কালা মিয়ার বড় ছেলে ওসমান গনির সঙ্গে ছোট ভাই ফারুক হোসেনের বাড়ির সীমানা এবং ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা পাওনা নিয়ে গত এক মাস ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি দুই ভাইয়ের বসতবাড়ির মাঝখান নিয়ে ফারুক হোসেন টিনের বেড়া দেয় এবং পাওনা টাকা দাবি করে। গত রবিবার বড় ভাই ওসমান গনি কোন টাকা দিবে না জানিয়ে টিনের বেড়া ভেঙ্গে ফেলে। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে বুধবার সকাল ৯টার দিকে বাড়ির উঠানেই বড় ভাই ওসমান গনি অতর্কিতভাবে ধারালো দা দিয়ে ছোট ভাই ফারুক হোসেনের মাথায়, পেটে ৬টি কোপ দেয় এবং তার ডান পা কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এসময় ঘটনাস্থলেই ওসমান গণির স্ত্রী জিয়াসমিন উপস্থিত থেকে তার স্বামীকে সহযোগিতা করেছেন বলে স্থানীয় এলাকাবাসী জানিয়েছেন। পরে স্থানীয়রা ফারুক হোসেনকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুপুর ২ টার দিকে অস্ত্রোপাচার করার সময় হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয় বলে স্থানীয় সোহেল মোল্লা জানান। এসময় স্থানীয় লোকজন ঘাতক ওসমান গনি ও তার স্ত্রী জিয়াসমিনকে আটকের পর পুলিশে সোর্পদ করেন।
স্থানীয় ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য আদর আলী জানান, পাওনা টাকা ও বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ মিমাংসা করে দেওয়ার জন্য ফারুক হোসেন আমাদের জানিয়েছিলেন। কিন্তু ওসমান গণি মিমাংসায় রাজি ছিল না।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন অর রশীদ বলেন, পাওনা টাকা ও বসত বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরেই ছোট ভাই ফারুক হোসেনকে মাথায়, পেটে ও ডান পায়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় ওসমান গণি ও তার স্ত্রী জিয়াসমিনকে আটক করা হয়েছে। তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় নিহত ফারুক হোসেনের স্ত্রী সীমা আক্তার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
আজ ৩ মে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। পরে রিজার্ভ গার্ডে তাকে বসিয়ে রাখা হয় এবং বেলা ১১টার দিকে কারাগারের মূল ফটক থেকে তিনি বের হয়ে যান।
গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার মামুনুল হকের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে তা যাচাই-বাছাই শেষে আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মাওলানা মামুনুল হককে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
জানা গেছে, মামুনুল হকের জিম্মাদার অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী আসতে দেরি হওয়ায় তাকে প্রায় এক ঘণ্টা রিজার্ভ গার্ডে বসিয়ে রাখা হয়। পরে বেলা ১১ টার দিকে সাদা রঙের একটি গাড়িতে করে তিনি কারাগারের মূল ফটো থেকে বের হয়ে যান।
এ সময় মামুনুল হকের সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে জিসান ও ভাগিনাসহ আরো কয়েকজন। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্ত পাবেন, এমন খবরে আলেম-ওলামারা কারা ফটকে ভিড় করেন। সন্ধ্যার পর থেকেই কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ভিড় করতে শুরু করেন মামুনুল হকের সমর্থকরা।
চলারপথে ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের ক্ষমতায় স্বাধীনতা বিরোধী, খুনী ও অগ্নি সন্ত্রাসীরা কখনই যেন ফিরতে না পারে সে বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে রিজ কার্লটন হোটেলের হলরুমে আমেরিকায় বাংলাদেশী প্রবাসীদের দেয়া এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘খুনী, স্বাধীনতা বিরোধী, যুদ্ধাপরাধীরা যাতে আর কখনই ক্ষমতায় ফিরতে না পারে তা নিশ্চিত করুন। এই বিএনপি-জামাত জোট বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ২০১৩ থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত তথাকথিত আন্দোলনের নামে বহু মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাস্তার পাশের হাজার হাজার গাছ উজাড় করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, ‘এই চক্র দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল যেখানে আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৪ বছরে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে একে আবারো উন্নয়নের মহাসড়কে তুলেছে।বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। আমরা এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধাগুলোকে সর্বোচ্চ কাজে লাগিয়ে দেশে বিদেশে রাষ্ট্র বিরোধী অপপ্রচার চালানোর জন্যে বিএনপি জামাত জোটের কঠোর সমালোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরও বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। বিএনপি-জামাত জোট ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা ব্যবহার করে আমাদেরই বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব অপপ্রচারে কান না দেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছে। তিনি বলেন, সবাইকে মাথা উঁচু করে ও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে বিশ্বে চলতে হবে।
বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সরকার অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা, বাসস্থান, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ প্রতিটি খাতের উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই আমরা এটা করতে পেরেছি।
দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের উন্নয়নে প্রবাসীরা অনেক অবদান রেখেছে।’
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে হুন্ডির পরিবর্তে বৈধ মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান কারণ, সরকার যথাযথ প্রক্রিয়ায় রেম্যিটান্স প্রেরণকে উৎসাহিত করতে ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে বিশ^ব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের পরও সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারনে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, চলমান যুদ্ধের কারণে উন্নতসহ অনেক দেশ সংকটে পড়লেও বহু দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা এখনও ভালো।
প্রধানমন্ত্রী খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন যেন বাংলাদেশ কোন সংকটে না পড়ে।
দেশের দারিদ্র্যের হার ১৮.৭ শতাংশ এবং অতি দারিদ্রের হার ৫.৬ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে কোন চরম দারিদ্র্য থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাংক অনুসরণ করে সারাদেশে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে বাড়ি দিয়ে আসছে।
তিনি আরো বলেন, তাঁরা ইতোমধ্যে আবাসন প্রকল্পের আওতায় ৩৫ লাখ লোককে বাড়ি দিয়েছেন এবং তাদের জীবিকা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না, কারণ সরকার প্রতিটি গৃহহীন লোককে বিনামূল্যে আবাসন প্রকল্পের আওতায় আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এ লক্ষে আরো ৬০ হাজার ঘর তৈরি হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান অন্ষ্ঠুান পরিচালনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঝিনাইদহে বারোইখালি এলাকায় আজ ২৫ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে পাঁচ জুয়াড়িকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন সদর উপজেলার আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রামের আসামি মৃত আফসার উদ্দিন বিশ্বাস ছেলে গোলাম রসুল, বারোইখালী গ্রামের শাহাদত শেখের ছেলে সবুজ হোসেন, মৃত সায়েম মন্ডলের ছেলে কালাম হোসেন, উদয়পুর গ্রামের বাহাদুর মীরের ছেলে রজব আলী,যশোর সদর উপজেলার মঙ্গলগাতী গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে হাসিনুর রহমান খোকন।
ঝিনাইদহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহীন উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে বারোইখালি এলাকায় টাকা দিয়ে জুয়া খেলা চলছে। সেসময় পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে জুয়া খেলা অবস্থায় পাঁচ জন জুয়াড়িকে আটক করে। ওইসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৯ হাজার ২৫০ টাকাসহ জুয়া খেলার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ময়মনসিংহের ভালুকায় ডাকাতির প্রস্তুতির সময় একটি পিকআপ ভ্যান ও দেশীয় অস্ত্রসহ ৯ ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ। ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার মেহেরাবাড়ির জিঞ্জিরা মাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারী গ্রামের আশরাফ আলী আশুর ছেলে মাজাহারুল ইসলাম (৪৫) ও মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে রুবেল মিয়া (২৫), ত্রিশাল উপজেলার গুজিয়াম গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে আফজাল মিয়া (২৯), মোক্ষপুর গ্রামের আকবর সরদারের ছেলে রিফাত সরদার (২৫) ও মৃত শাহাব উদ্দীনের ছেলে রিয়াদ মিয়া (৪৫), সানকিভাঙা এলাকার মৃত মকবুল ঘটকের ছেলে নাজমুল হক (২৮), গৌরীপুর উপজেলার চুরালী এলাকার কিতাব আলী কেদু মিয়ার ছেলে শামীম (২৫), শ্রীপুর উপজেলার মোলাইদ মধ্যপাড়া এলাকার আউয়ালের ছেলে সোলাইমান (২৮) এবং নেত্রকোনার বারহাট্টা দেওলী এলাকার অছিল উদ্দিনের ছেলে শামীম (৩৪)।
গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরোজা নাজনীন জানান, তারা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন যাবত তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করে আসছিলো।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন জানান, ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ৯ জনকে আটক করতে পারলেও দৌঁড়ে পালিয়ে যায় আরও ৭ জন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি নীল রঙের পিকআপ ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বুধবার সকালে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।