চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শুরু হয়েছে শিবপুর রাধিকা সড়কর নবীনগর অংশের কাজ দ্রুতই সমাপ্ত নবীনগর- রাধিকা সড়কের কনিকাড়া গ্রামের ভিতরের অংশের কাজ ও নবীনগর – সীতারামপুর ব্রিজ সংলগ্ন সড়কের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন- মোহাম্মদ এবাদুল করিম এম.পি। জাতীয় সংসদ সদস্যকে দেওয়া ঠিকাদারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আজ ২৪ জুন শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাড়ি ঘর সরানো সহ গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে।
অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের টাকা পাওয়া সহ ঠিকাদারের কাজের সিডিউল অনুযায়ী দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি হওয়াতে কাজটা সম্পন্ন করতে দেরী হয়ে যায়। নবীনগরের জাতীয় সংসদ সদস্য দফায় দফায় ঠিকাদার, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাথে মিটিং করে শিবপুর রাধিকা অংশের নবীনগর – সীতারামপুর ব্রিজ সংলগ্ন সড়কের উন্নয়ন কাজ চলমান ঈদের পরেই ব্রিজ দিয়ে গাড়ী চলাচল করতে পারবে। নবীনগর অংশের কনিকাড়ার সড়কের কাজ দ্রুত গতিতে সমপূর্ন করার নির্দেশ দেন। জাতীয় সংসদ সদস্য স্বাস্থ্য, শিক্ষার পর যিনি উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। শিবপুর রাধিকা অংশের কাজ এবং নবীনগর টু শিবপুর অংশের কাজ এক যুগে শুরু হওয়াতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ সর্বস্তরের জনগণ নবীনগরের জাতীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়য়েছেন।
উক্ত পরিদর্শনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সুজিত কুমার দেব, জেলা পরিষদ সদস্য মো. নাসির উদ্দিন, সাবেক ত্রাণ সম্পাদক নিয়াজুল হক কাজল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম নজু, কার্যকরী সদস্য মো. সাইফুর রহমান সোহেল, প্রেসক্লাব সভাপতি শ্যামাপ্রশাদ চত্রবতী, মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি মো. আবু কাওসার, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজসহ প্রেস ও ইলকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে মেয়াদোত্তীর্ন লাইসেন্স ও ডিপ্লোমা বিহীন ল্যাব টেকনিশিয়ান দিয়ে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একটি প্রাইভেট হাসপাতালকে অর্থদন্ড করা হয়েছে।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার এ অভিযান পরিচালনা করেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম। এসময় এই অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হাবিবুর রহমান।
জানা যায়, উপজেলার পৌরশহরে অবস্থিত মুক্তি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সের মেয়াদ বিগত দুই বছর পূর্বে শেষ হয়ে যাওয়া সহ ল্যাব টেকনিশিয়ান ডিপ্লোমা বিহীন এস এস সি পাস স্টাফ দিয়ে ল্যাব পরিচালনা করার দায়ে মেডিকেল প্র্যাক্টিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০১৯ অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম জানান, মেয়াদোত্তীর্ন লাইসেন্স ও এস এস সি পাস ল্যাব টেকনিশিয়ান দিয়ে ল্যাব পরিচালনা করার দায়ে অর্থদন্ড করা হয়েছে। প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে সঠিক স্বাস্থ্য সেবা সুনিশ্চিত করতে এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মো. মকবুল নামে এক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
১৫ জুন বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি লাউরফতেহপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য।
গতকাল শুক্রবার তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মকবুল ওই ওয়ার্ডের টানচারা গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, ১১ জুন মকবুলসহ আরো দুজন মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ওই নারী তিনজনকে আসামি করে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সোহেল বলেন, এ ঘটনায় জড়িত অন্য ২ আসামিকেও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জটিল রোগ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত মেধাবী ছাত্র সাজন সাহা। তিন মাস পর পর শরীরে দিতে হয় রক্ত।
তারপর জীবন যুদ্ধে টিকে থাকতে অসুস্থতা নিয়েও এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
সাজন সাহা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ভোলাচং পালপাড়া গ্রামের সঞ্জিত সাহা ও স্মৃতি রাণী সাহার ছেলে।
জানা গেছে, সঞ্জিত সাহা কাজ কারেন খাবার হোটেলে। একদিকে দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত অন্যদিকে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় সাজন সাহার শরীরে ধরা পড়ে জটিল রোগ থ্যালাসেমিয়া। গত ২ বছর আগে একমাত্র ছোট বোনটিও মারা যায় শারীরিক অসুস্থতায়। সব মিলিয়ে তার জীবনযুদ্ধ যেন হার মানায় সবকিছুকেই।
কথা হয় জীবন যুদ্ধে লড়াকু সৈনিক সাজন সাহার সঙ্গে। তিনি বলেন, শরীরে যখন রক্ত কমে আসে তখন শরীরজুড়ে জ্বর আসে, মাথা ব্যথা হয়, শরীর দুর্বল হয়ে ভেঙে আসে। তবু হার মানিনি। রক্ত দিয়ে আবারও নেমে পড়ি ভালো কিছু করার উদ্দেশ্যে। আমার মা আমাকে সব সময় অনুপ্রেরণা দেন ভাল কিছু করার জন্য। তবে শারীরিক দুর্বলতা আমাকে হার মানাতে না পারলেও দরিদ্রতা আমার এগিয়ে যাওয়ায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। বাবার সামান্য আয় দিয়ে আমার চিকিৎসা আর সংসার চালাতে হিমশিম খায়। আমার ইচ্ছে ছিল আইনজীবী হওয়ার। যেন দরিদ্র মানুষের ন্যায় বিচারে কাজ করে যেতে পারি। তারপরও আমি হতাশ হচ্ছি না। সৃষ্টিকর্তা যখন এইটুকু এগিয়ে নিয়ে এসেছেন, হয়ত তার ইচ্ছাতেই সবাই আমার পাশে থাকবেন। আমার এগিয়ে যাওয়া নিশ্চিত করবে।
তিনি আরো বলেন, আমার রক্তের গ্রুপ ও পজেটিভ। স্বেচ্ছাসেবী ব্লাড ফাউন্ডেশন আমার জন্য তিন মাস পর পর রক্তের ব্যবস্থা করে থাকেন। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
সাজনের সহপাঠীরা বলেন, সে একজন মেধাবী ছাত্র। নিয়মিত কলেজ করত। সে অসুস্থ হলেও দৃঢ়তার লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। সাজনে সবার জন্য আদর্শ হয়ে থাকবে।
সাজনের মা স্মৃতি রাণী জানান, আমার ছেলে প্রায় ১০ বছর ধরে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। আমার ছেলেকে নিয়ে আমি অনেক বড় স্বপ্ন দেখি তবে সাদ আর সাধ্যের ফারাক যে নির্মম বাস্তবতা। অর্থহীন সংসারে এগিয়ে যাওয়া অনেক কষ্ট। আমার ছোট মেয়েটিও দুই বছর আগে মারা গেছে। এখন সাজনই আমার একমাত্র সম্বল। যেহেতু আমার ছেলে অসুস্থ তাই আমি চাই সে একটা ভাল সরকারি চাকরি করুক।
নবীনগর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ এ কে এম রেজাউল করিম জানান, সাজনের কৃতিত্বে আমরা গর্বিত এবং আনন্দিত। সে কলেজের একজন নিয়মিত ছাত্র। আমরা আশা করি তার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি চিকিৎসা চালিয়ে যেতে সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসবে। আর আমরা নিজস্ব উদ্যোগে তার সহযোগিতায় পাশে থাকব।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। প্রয়োজনে তার পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২০ মে সোমবার সকালে জেলা নির্বাচন অফিস এবং বিজয়নগর ও নবীনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার কর্তৃক উপজেলা চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত (মহিলা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
আগামী ০৫ জুন এই তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত (মহিলা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার হতে তিনটি উপজেলায় সরগরম নির্বাচনী আমেজ তৈরী হয়েছে। এদিন সকালে সংশ্লিষ্ট এলাকার সকল প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নিজ নিজ কর্মী সমর্থক সহকারে জেলা এবং উপজেলা নির্বাচন অফিস গুলোতে ভিড় জমান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের আনারস প্রতীক তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী পছন্দ করায় লটারীর মাধ্যমে তাদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। পরে প্রার্থীরা কর্মীদের আনন্দ মুখর মিছিলে প্রতীক প্রচার করে এলাকায় ফিরে যান। দুপুর দুইটা হতে প্রতীক সম্বলিত লিফলেটসহ প্রচারণা মাইকিং শুরু হয়েছে তিনটি উপজেলায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায় রাতের আঁধারে জোরপূর্বক নতুন সড়ক তৈরি করতে তিন ফসলি প্রায় ৪০ বিঘা জমি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে। সরকারি অনুমোদন কিংবা সরকারি কোনো একোয়ার ভুক্ত জায়গা না হওয়া সত্বেও চেয়ারম্যানের একক ক্ষমতা বলে এসব জমি কাটা হচ্ছে। এ বিষয়ে গতকাল সোমবার ফসলী জমি কেটে সড়ক নির্মাণ কাজের উপর ১৪৪ ধারা জারি করেন হাইকোর্ট । এর আগে গত ৯ মে জমির মালিকেরা বাদী হয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেন।
এ ছাড়াও গত ২৮ শে এপ্রিল জমির মালিকরাসহ বহু কৃষক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম জমি কেটে রাস্তা নির্মাণ বন্ধ করার নির্দেশ দেন।তারপরও রাতের আঁধারে জমি কেটে চলছে চেয়ারম্যান।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রছুল্লাবাদ ইউনিয়নের রসূলাবাদ বাজারের পূর্ব পাশের বিলে চেয়ারম্যান খন্দকার মনির হোসেন কোন নোটিশ ও জমি অধিগ্রহণ এবং জমির মালিকদের সাথে কোনো আলোচনা ছাড়াই কতিপয় ব্যক্তিদের সুবিধা নিশ্চিত করতে অন্তত ৪০ বিঘা ফসলী জমি কেটে ফেলেছেন।
জমির মালিকদের দাবি পাশের আরেকটি জরাজীর্ণ রাস্তা মেরামত না করে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত স্বার্থে কৃষকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোর করে রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে প্রায় ২৫ জন কৃষকের বেঁচে থাকার সম্বল তিন ফসলি জমি কেটে নতুন রাস্তা তৈরি করছেন।
এ বিষয়ে রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যন খন্দকার মনির হোসেন বলেন রাস্তা ১৫ দিন আগেই নির্মান হয়ে গেছে, আদালত কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারির সম্বন্ধে আমি অবগত নই।
এছাড়া তিনি বলেন নতুন রাস্তার পাশে আরেকটি পুরাতন রাস্তা রয়েছে এটি সত্য নয়।প্রয়োজনে আপনারা এসে দেখেন।