চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
আজ ২৪ জুন শনিবার বেলা ১১টায় কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন।
কসবা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ভোরের কাগজের কসবা উপজেলা প্রতিনিধি খ.ম. হারুনুর রশীদ ঢালীর সভাপতিত্বে ও কসবা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল-মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন কসবা পৌরসভার মেয়র এম.জি হাক্কানী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিমুল এহসান খান, সংবর্ধিত অতিথি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সঞ্জিব সরকার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি, সংবর্ধিত অতিথি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সময় টিভির ব্যুরো চীফ উজ্জ্বল কুমার চক্রবর্তী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, কসবা বিআরডিবির চেয়ারম্যান জহিরুল হক খান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, আইসিটি সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পীকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আগামী ৫ আগস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৫তম জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৪ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন এবং ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমমানের ৪৯ তম শাহাদাত বার্ষিকী জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা আজ ২৯ জুলাই সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ মোঃ বিল্লাল হোসাইন, ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তার।
সভায় দিবস গুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে।
সভায় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম মাহমুদুর রহমান, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদদূসসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংষ্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সালাম ভাটপাড়া মাদরাসার ২০০১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত মোট ২৪ বছরের ফারেগীন ছাত্রবৃন্দের পুণর্মিলনী উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মাদরাসার মিলনায়তনে সকাল ৮টা থেকে তিলাওয়াতে কুরআনের মাধ্যমে শুরু হলে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, হাফেজ মাওলানা ইমরান খাঁন (শাহপরান) ও হাফেজ মুফতি বেলায়েতুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে শত শত হাফেজের উস্তাদ হা. বেলাল হোসাইন বলেন, আজ তোমাদেরকে এভাবে একত্রে এক প্লাটফর্মে দেখে আমি অনেক আনন্দিত, অনেক উৎফুল্ল। হারানো সন্তানকে ফিরে পেয়ে মা যেমন আনন্দিত হয়, আমি তারচেয়েও বেশি আনন্দিত আজ। সময়ের পালাবদলে যদিও তোমরা বিদায় নিয়ে দেশের দিগন্তে ছড়িয়ে আছো,কিন্তু তোমরা সবসময় আমার মন মস্তিস্কে বসবাস করো। তোমাদের সফলতার কথা শুনলে, জানলে আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাই। তোমাদের আজকের আয়োজন আমাকে খেদমত জীবনের স্বার্থকতা উপলব্ধি করার সুযোগ করে দিয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে দাওয়াতি মেহমান, ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য বৃন্দ ও ছাত্র সহ অত্র জামিয়ার সকল উস্তাদগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রায় দেড় শতাধিক ফারেগীন হাফেজদেরকে পাগড়ি ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে। অত্র মাদরাসার সকল উস্তাদদেরকেও হাদিয়া প্রদান করা হয়েছে।
সবশেষে উস্তাজুল হুফফাজ হা. বেলাল হোসাইনকে সকল ছাত্রদের পক্ষ থেকে উমরাহর প্রতিশ্রুতি দিয়ে আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে উক্ত অনুষ্ঠান শেষ হয়।
মোঃ রিফাতুল ইসলাম নামের (১১) বছরের বালক মধ্যপাড়া দারুল ফিকরি ইসলামি মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে হারিয়ে গেছে। গত ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। রিফাতুলের তার গায়ের রং-ফর্সা, শারীরিক গঠন : হালকা পাতলা, উচ্চতা : ৪ফুট ৫ ইঞ্চি, হারিয়ে যাওয়ার সময় তার পড়নে ছিল মিস্টি কালারের পাঞ্জাবি এবং সাদা পায়জামা এবং একটি কোরআন শরীফ ছিল। এ ব্যাপারে রিফাতুলের বাবা মোঃ শিপন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে (যার নং-৫৫৪/২৪, তারিখ :২৩/৮/২৪ ইং। কেউ মোঃ রিফাতুল ইসলামের সন্ধান পেলে অনুগ্রহপূর্বক যোগাযোগ করতে বিনীত অনুরোধ করেছেন তার বাবা মোঃ শিপন মিয়া। যোগাযোগের ঠিকানা : মোঃ শিপন মিয়া, পিতা-মৃত মোঃ আমির হোসেন, সাং-চড়পাড়া, থানা-গৌড়িপুর, জেলা-ময়মনসিংহ বর্তমান ঠিকানা- মধ্যপাড়া, দিঘীর পাড়, মৃত মোঃ সাইমুল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। মোবাইল : ০১৯৭৬-৩৯৯০২৪।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মোট ১৬ টি কলেজ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ৪১৮ জন জিপিএ-৫ পায়। এর মধ্যে শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকেই ৩১৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। অর্থাৎ বাকি ১৫টি কলেজ থেকে মাত্র ১০১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা ফলাফল বিবরণী থেকে এ তথ্য জানা যায়। ফলাফল বিবরণী অনুযায়ি ওই ১৬টি কলেজ থেকে মোট চার হাজার ১৮৮ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে তিন হাজার ২৫৬ জন উত্তীর্ণ হন। পাশের হার ৭৭.৭৫। ফলাফলের দিক থেকে অন্যগুলোর চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে এক হাজার ৬৭ জন পরীক্ষা দিয়ে শতকরা ৯২.৪১ হারে ৯৮৬ জন উত্তীর্ণ হয়। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩১৭ জন।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ থেকে। কলেজটির পাসের হার ৮২.৮৭। ৮৬.৬৫ হারে পাশ করা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ জন। এছাড়া বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১১ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রী কলেজ থেকে নয়জন, চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রী কলেজ থেকে ছয়জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিটি মডেল কলেজ থেকে একজন জিপিএ-৫ পায়।
বাকি নয়টি কলেজ থেকে কেউ জিপিএ-৫ পায়নি। কলেজগুলো হলো, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মহিলা কলেজ, আলহাজ বেগম নুরুন্নাহার কলেজ, লায়ন ফিরোজুর রহমান রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, এ মোনেম কলেজ, সুহিলপুর আলহাজ হারুণ অর রশিদ কলেজ, অণে¦ষা বিদ্যাপীঠ (স্কুল ও কলেজ), শালগাঁও কালীসীমা স্কুল এন্ড কলেজ, সাদেকপুর ইউনিয়ন হাই স্কুল এন্ড কলেজ। ১৬ কলেজের মধ্যে ১০টি কলেজে পাশের হার ৫০ এর উপরে। এর নিচে পাশ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সাদেকপুর থেকে ১১ জন পরীক্ষা দিয়ে ১১.১১ হারে একজন, শালগাঁও থেকে ৭৩ জন পরীক্ষা দিয়ে ৪৯.৩২ হারে ৩৬ জন, অণে¦ষা থেকে ৪৬.১৫ হারে ৩৯ জনের মধ্যে ১৮ জন, আইডিয়াল থেকে ৪২.৭৮ হারে ১৮০ জন থেকে ৭৭ জন, লায়ন ফিরোজুর থেকে ৪২.৮৬ হারে ৭০ জন এ ৩০ জন ও নুরুন্নাহার থেকে ৩৩.৩৩ হারে ৬৯ জন থেকে ২৩ জন পাশ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরনের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আশার পক্ষ থেকে ৪০০শত কম্বল হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে এই কম্বল হস্তান্তর করা হয়।
আশার পক্ষ থেকে আশার সিনিয়র ডিষ্ট্রিক ম্যানেজার মোঃ শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে কম্বলগুলো হস্তান্তর করেন।
এ সময় অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ ফরহাদ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, স্বনির্ভর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী পরিচালক এস.এম শাহীনসহ বিভিন্ন এনজিওর কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।