চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়নের সাধক কবি মনমোহন দত্তের জন্মস্থান সাতমোড়া আনন্দ আশ্রমে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সাধক কবি মনোমোহন এর একটি ম্যুরাল স্থাপন করা হয়। প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যায় ম্যুরালটি আজ ২৬ জুন সোমবার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক।
উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আনন্দ আশ্রমের সভাপতি শংকরী দত্ত।
প্রধান অতিথি ছিলেন উদ্বোধক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাতমোড়া ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন আহমেদ।
বক্তব্য রাখেন, আবু কামাল খন্দকার, সরোপ রতন দত্ত দয়ালমনি, মাহাবুব আলম লিটন, মোহাম্মদ হোসেন শান্তি, পীযুষ কান্তি আচার্য, আব্বাস উদ্দিন হেলাল প্রমুখ। পরে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় মলয়া সংগীত পরিবেশন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে জোরপূূর্বকভাবে ‘পদত্যাগ’ করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকার প্রভাবশালীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে এ ঘটনায় অধ্যক্ষকে স্বপদে পুনর্বহালের দাবিতে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা এলাকায় বিক্ষোভ করে আন্দোলনে নেমেছে।
এদিকে এ ঘটনার পর আজ ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উদ্বিগ্ন প্রধান শিক্ষকেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সাথে দেখা করে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এর প্রতিকার চেয়েছেন।
এ বিষয়ে নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাউছার বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার এ ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলার সকল শিক্ষকদের নিয়ে মানববন্ধন করে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
জানা গেছে, উপজেলার কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার স্কুল এন্ড কলেজে রবিবার আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে জাহাঙ্গীর আলম খানের নেতৃত্বে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী লোক অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করেন। তারা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে জানতে চান, আমরা কেন আসছি আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন? জবাবে অধ্যক্ষ ‘না’ বলার পরই তারা উচ্চস্বরে চেঁচিয়ে তাকে এক্ষুণি পদত্যাগ করতে চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন।
অধ্যক্ষ তখন বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ইউএনওর সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও আগত ব্যক্তিরা তাকে সেই সময়টুকু দিতে চাননি। এক পর্যায়ে লোকজনের প্রচন্ড চাপে পড়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদাউসুর রহমান একটি সাদা কাগজে ‘পদত্যাগ’ করে কলেজ থেকে চলে যান।
গভর্ণিং বডির সভাপতি বরাবর লেখা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ওই পদত্যাগপত্রে অবশ্য কোনো ধরণের কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিদ্যালয়ের সামনে স্লোগান দিতে থাকে। গত সোমবারও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের পুনর্বহালের দাবিতে এলাকায় দিনভর বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্ষোভের সঙ্গে বলে, সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের প্রিন্সিপাল স্যারকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। আমরা স্যারকে স্বপদে বহাল দেখতে চাই। অন্যথায় আমাদের আন্দোলন চলবে।
এ বিষয়ে ফেরদাউসুর রহমান বলেন, জাহাঙ্গীর আলম খানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন বহিরাগত তখন আমাকে পদত্যাগের জন্য ধমকাচ্ছিলেন। তাদের সাথে কোন শিক্ষার্থী ছিলো না। এদের মারমুখী আচরণে আমি এক পর্যায়ে প্রাণ বাঁচাতে বাধ্য হয়ে সাদা কাগজে পদত্যাগপত্র লিখে দেই। নয়তো আমাকে ওরা তখনই প্রাণে মেরে ফেলতো। বিষয়টি পরে ইউএনও মহোদয়কে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে পদত্যাগে বাধ্য করানো নেতৃত্ব দেয়া জাহাঙ্গীর আলম খানের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি। তবে ওইদিন পদত্যাগে বাধ্য করানো লোকদের মধ্যে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একজন দুর্নীতিবাজ। তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের একজন নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। তার এক যুগের আমলের রেজাল্ট দেখলেই সেটি বুঝা যাবে। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে তার পদত্যাগ চাইছিলেন।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাকে এই পদত্যাগ করানো হয়েছে বলে শুনেছি। তবে সরকারি পরিপত্র জারির পর জোরপূর্বকভাবে এ ধরণের পদত্যাগ গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে আলম এর বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের কর আদায়ের নামে জনসাধারণের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
বিগত কয়েক মাস ধরে ইউনিয়নের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে জেলা প্রশাসকের ‘খন্ডকালিন কর আদায়কারি’ পরিচয় দিয়ে মাসুদ নামে এক ব্যক্তি বিগত ৫ বছরের কর আদায় করছেন। খন্ডকালীন কর আদায়কারী পরিচয় দানকারী আইডেন্টটি কার্ড কিংবা জেলা প্রশাসকের কোন অনুমোদন পত্র দেখাতে পারেননি।
জানা যায়, নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের কর আদায়ের রশিদ বহিতে বিগত ২০১৭-১৮, ১৮-১৯, ১৯-২০, ২০-২১, ২১-২২ এই পাঁচ অর্থ বছরের বাস্তভিটা কর প্রতিটি বাড়ি ঘরের শ্রেনীভেদ অনুযায়ী ৩০০ থেকে ২০০০ টাকা করে আদায় করছে। অথচ ইউনিয়ন পরিষদের কর আদায়ের সরকারি তথ্য মোতাবেক বিগত২০১৭-১৮ থেকে ২১-২২ পাচঁ অর্থ বছরের কর পরিশোধিত রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের বিধি অনুযায়ী কর আদায়ের রেজিস্ট্রার বহি শুধু এক অর্থ বছরের জন্য এবং কর আদায়ের বিগত বছরের রশিদ বহি তাদের নিজ নিজ পরিষদে রেজিস্ট্রার স্টকে সংরক্ষিত থাকে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ইউনিয়ন পরিষদের বার্ষিক আয়-ব্যায়ের বিবরণীতেও প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের সকল তথ্য আলাদাভাবে হালনাগাদ করা রয়েছে। এরপরও জনগণের কাছ থেকে জোর পূর্বক কর আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকায় জনসাধারণের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিগত চেয়ারম্যানগণ বে-আইনিভাবে জোরপূর্বক কোন কর চাপিয়ে দেয়নি। জনগণের কথা চিন্তা করে সমন্বয়ের মাধ্যমে বিধি মোতাবেক সরকারি কোষাগারে তারা কর জমা দিয়েছে।
৯ নং ওয়াডের বাসিন্দা মজনু মিয়া জানান, বিগত সময়ে আমরা এমন দেখেনি, তারা আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক ৫ বছরের কর আদায় করেছে।
এ ব্যাপারে ৯ নং ওয়ার্ডের অপর এক বাসিন্দা বাকির হোসেন বলেন,আমার ভাই ঘর তুলেছে পাঁচ মাস হয়েছে কিন্তু আমার কাছ থেকে তারা জোরপূর্বক ৫ বছরের কর আদায় করেছে।
২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম বলেন,আমাদের অজান্তে বে-আইনীভাবে চেয়ারম্যন বিগত পাঁচ বছরের টাকা তুলছে যা সে ব্যক্তিগত ভাবে টাকা আত্মসাৎ-এর জন্য করেছে। আমরা নির্বাচিত হয়েছি ১ বছর হলো,বিগত চেয়ারম্যান তাদের আমলের কর সমন্বয় করে পরিশোধ করে দিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ মিয়া বলেন, তিনি এবং তার পূর্বের সকল চেয়ারম্যানগণ সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করে কর সমন্বয় করে পরিশোধ করে দিয়েছেন। চেয়ারম্যান টাকা আত্মসাৎ-এর জন্য জনগণের উপর চাপ দিয়ে এ কর আদায় করছে। কর আদায় নিয়ে জনগনের মাঝে ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে চেয়াররম্যান নূরে আলম কর আদায়ের ব্যাপারে তার কোন এখতিয়ার নেই জানিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের তার অফিসে চায়ের আমন্ত্রন জানান।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম কে তাঁর সরকারি ০১৭৩০৪৪৯৬০ নাম্বারে বার বার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। ক্ষুদেবার্তা পাঠালে কোন জবাব দেননি। তবে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক বলেন, আমার জানা মতে জেলা প্রশাসক অফিস থেকে কাউকে কর আদায়ের জন্য পাঠানো হয়নি। জেলা প্রশাসক মহোদয় আপনার ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়ে আমাকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী আরাফাতুল ইসলামের স্বপ্ন পূরণে পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা প্রশাসন। আজ ১২ জুলাই বুধবার দুপুরে মেধাবী ওই শিক্ষার্থীকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে এনে আর্থিক সহযোগিতা করেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল ছিদ্দিক।
শিক্ষার্থী আরাফাতুল ইসলাম উপজেলার রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের আলমগীর হোসেনের ছেলে। মেধাবী ওই শিক্ষার্থীর বাবা ছোটখাটো একটি টং দোকান দিয়ে সংসার চালান। এর মধ্যে ছেলেকে বুয়েটে পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে আরাফাতুল ইসলামের অসহায়ত্বের বিষয়টি নজর কাড়ে ইউএনও একরামুল ছিদ্দিকের। পরে তার পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন ইউএনও। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বুধবার নিজ কার্যালয়ের ডেকে এনে তাকে আর্থিক সহযোগিতা করেন তিনি।
বুয়েট ছাত্র আরাফাতুল ইসলাম বলেন, ইউএনও স্যার আমার অসহায়ত্বের খবর পেয়ে আমার স্বপ্ন পূরণে পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমি খুব আনন্দিত ও গর্বিত। আমি আমার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারলে মানুষের পাশে দাঁড়াব।
ইউএনও একরামুল ছিদ্দিক বলেন, উপজেলা প্রশাসন সব সময় মেধাবী, হতদরিদ্র মানুষের পাশে ছিল, আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। কৃতী ছাত্র আরাফাতুলকে প্রাথমিকভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে। প্রয়োজনবোধে ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের দাররা গ্রামে দেবরের দেয়া আগুনে গৃহবধূ লতিফা বেগম অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ও অভিযুক্ত দেবরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহিলা পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে মানববন্ধন পালিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি শোভা পালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাথী চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীমা শিকদার দীনা, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আসমা খানম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নেলি আক্তার, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড সাজিদুর রহমান, রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ-উর-রহমান, নোঙ্গর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি শামীম আহমেদ, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতির ফাহিম মুনতাসির প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের দাররা গ্রামে দেবর জালাল তার ভাবী লতিফা বেগমকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। বক্তারা অবিলম্বে লতিফা বেগমকে হত্যাকারী জাললকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ বুধবার দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লতিফা বেগম। তিনি দাররা গ্রামের প্রবাস ফেরত মোঃ জাকারিয়া আল-আমিনের স্ত্রী।
নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগর উপজেলা কাজলিয়া থেকে পরিত্যাক্ত ৬৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার শিবপুর ইউনিয়ন কাজলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন স্কুল ভবন ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য বেকো দিয়ে মাটি উত্তোলণের সময় গুলি গুলো স্থানীয়রা দেখে প্রশাসন কে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে গুলি গুলো উদ্ধার করেন।
স্থানীয় বাসীন্দারা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তি যুদ্ধের সময় এখানে মুক্তি যোদ্ধাদের আস্থানা ছিল, তারা মনে হয় গুলি গুলো এখানে রেখে গেছেন। শিবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শেখ মো.কামাল বলেন, উপজেলা কাজলিয়া সরকারি প্র্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবণ নির্মাণের জন্য বেকো দিয়ে মাটি উত্তোলণ করার সময় ৬৮ রাউন্ড এলএমজি গুলি দেখতে পেয়ে প্রশাসন কে খবর দিলে ঘটনা স্থলে গিয়ে গুলি গুলো উদ্ধার করা হয়।