চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৮ ব্যাচের রজত জয়ন্তী আজ ১ জুলাই শনিবার দিনব্যাপী বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সকাল ৯টায় ৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
দুপুরে বিদ্যালয়ের হল রুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম শেখ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গোপাল সূত্রধর।
স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা ইউসিসিএ’র (বিআরডিবি) চেয়ারম্যান আবু কাউছার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মোঃ তাজুল ইসলাম, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডঃ আবদুল্লাহ আল-মামুন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামী ধরতে গিয়ে প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে নারীর কপালে ঠেকানোর ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। স্বর্ণ আত্মসাতের অভিযোগে প্রবাসীকে ধরতে গিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এমন ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ জয়নাল আবেদীনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কার্য দিবসে তদন্ত কমিটিকে তদন্ত করে এর প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের থলিয়ারা গ্রামের সৌদি প্রবাসী নূরুল আলম নূরুর বিরুদ্ধে মাসখানেক আগে সদর থানায় ৪০০ গ্রাম স্বর্ণ আত্মসাতের মামলা হয়। এতে অভিযোগ আনা হয়, নূরুল আলম সৌদি আরব থেকে আব্দুল কুদ্দুস নামের এক ব্যক্তির স্বর্ণ এনে পুরোটা বুঝিয়ে দেননি।
এ ঘটনায় আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে এনামুল হক বাদী হয়ে মামলা করেন। গত শুক্রবার বিকেল ৫টার প্রবাসী নূরুল আলমকে গ্রেপ্তারের জন্য সাদা পোশাকে তার বাড়িতে যায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এস.আই রেজাউল করিমসহ আরো কয়েকজন। এ সময় নূরুল আলমের বাড়িতে তার ভাতিজার সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠান চলছিল।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে একদল লোক নূরুল আলমকে খুঁজতে আসে। তারা তাকে না পেয়ে আক্রমানাত্মক হয়ে উঠে। এসময় অনুষ্ঠানে আসা বাড়িতে উপস্থিত নারীসহ অন্যদের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। তারা নূরুল আলমের স্ত্রী, সন্তান, পিতাসহ পরিবারের লোকজনকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করে। এক পর্যায়ে এস.আই রেজাউল প্রবাসীর স্ত্রী বন্যার কপালে দিকে প্রকাশ্যে পিস্তল তাক করে। পাশাপাশি পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা ঘরে থানা নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। ভুক্তভোগীরা তখন তারা গোয়েন্দা পুলিশ নাকি ডাকাত বুঝে উঠতে পারিনি।
ঘটনার সময় উপস্থিত নুরুল আলমের ভাই সারোয়ার আলম অভিযোগ করেন, সাদা পোশাকে যাওয়া লোকজন বাড়িতে প্রবেশ করেই তার ভাইকে খোঁজ শুরু করে। ভাই বাড়িতে নেই বলা হলেও তারা মানতে নারাজ। এ সময় সাদা পোশাকে আসা লোকজন নুরুল আলমের স্ত্রী বন্যা বেগমসহ কয়েকজনকে মারধর করে।
তিনি বলেন, আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে স্বর্ণ নিয়ে মামলা হয়েছে। স্বর্ণ আমার ভাই আনেনি। আমার ভাইকে ধরতে হলে কেন আমাদের বাড়িতে এভাবে হামলা হবে। বিষয়টি আমরা থানা পুলিশকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে আদালতে মামলা করব। তিনি বলেন, সাদা পোশাকে আসা লোকজন পিস্তল তাক করার পাশাপাশি গুলিও করেছে। গুলির খোসাও আমাদের কাছে আছে। তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে খোসা কার।
এ ব্যাপারে নূরুল আলমের স্ত্রী বন্যা বলেন, প্রবাসে আব্দুল কুদ্দুসকে ব্যবসায়ীক অংশীদার না করায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনার দিন আমাদের বাড়িতে সুন্নতে খাৎনার অনুষ্ঠান চলছিল। এমন সময় ৫/৬ জন সাদা পোশাকে এসে ডিবি পরিচয় দিয়ে আমাদের কাছ থেকে আলমারির চাবি নেয়। এ সময় তারা তল্লাশি করে কিছু পায়নি। কিন্তু আমাদের ঘরে থাকা প্রায় ৫ লাখ টাকাসহ গলায় থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। বিষয়টি দেখে চিৎকার করায় শিশু নিশাতের মাথায় বন্দুক দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয়। প্রতিবাদ করায় তারা আমার কপালে পিস্তল ঠেকায় এবং ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ডিবি পুলিশের এস. আই রেজাউল করিম বলেন, বাদী পক্ষ বিষয়টি আমাদেরকে জানালে প্রথমে পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মোফাজ্জল আলী একজন কনস্টেবলকে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর আমি যাই। দূর থেকেই ওই বাড়ি চিল্লাফাল্লা শুনছিলাম। আমি যাওয়ার পর তারা খারাপ আচরণ করে। আসামীকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। এ নিয়ে ধস্তাধস্তি হয়। আমার হাতে পিস্তল ছিলো। তবে কারো দিকে তাক করিনি। কাউকে মারধর করা হয়নি। আমাদের টার্গেট যেহেতু আসামী ধরা সেহেতু সেই লক্ষ্যেই আমরা এগোচ্ছি। যে কারণে তখন আমরা অ্যাকশানে যাইনি। সদর উপজেলা বিশ্বরোড এলাকার বাদী এসে বাড়িতে আসামীর অবস্থানের কথা জানালে সেখানে যাওয়া হয়।
এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, ইতিমধ্যেই আমরা তদন্ত কাজ শুরু করেছি। যারা প্রবাসীর বাড়িতে গিয়েছিলেন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তদন্ত কাজ শেষ হলে প্রতিবেদন জমা দিব।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, কোনো অফিসার যদি আসামী ধরতে গিয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে তাহলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব। আমরা বিষয়টির গভীরভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব। ইতিমধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ জয়নাল আবেদীনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কার্য দিবসে তদন্ত কমিটিকে তদন্ত করে এর প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ এর উদ্যোগে ২৭ নভেম্বর ব্যাপক কর্মসূচিতে ৪১তম ঐতিহাসিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আন্দোলন এবং এতে শাহাদাৎ বরণকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র উবায়দুর রউফ পলু দিবস পালিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের গৃহীত কর্মসূচি অনুসারে এদিন সকালে শহরতলীর শেরপুর কবরস্থানে উবায়দুর রউফ পলুসহ কবরবাসী সকলের কবর জিয়ারত দোয়া ও মোনাজাত, লোকনাথ রায় চৌধুরী ধীঘির চতুষ্পার্শ্বে শোক র্যালি প্রদক্ষিণ, সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন মসজিদে পলুর আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধ্যায় শহরের পূর্ব পাইকপাড়া অধ্যাপক হরলাল রায় রোডে অবস্থিত অস্থায়ী কার্যালয় চত্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ আহসান উল্লাহ হাসান এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষণ দেবনাথ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, কবি দেওয়ান দিদারুল আলম মারুফ, শহীদ পলু’র ছোট ভাই মাসুদুর রহমান।
উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন দিবস উদযাপন উপ-কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আমির ফারুক।
সদস্য সচিব জিয়া কারদার নিয়ন এর উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি সাংবাদিক মোঃ আবুল হাসনাত অপু, সাধারণ সম্পাদক আলী মাউন পিয়াস, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ বাবুল চৌধুরী, স্থায়ী কমিটির সদস্য মোঃ আরমান উদ্দিন পলাশ, মীর মোস্তাফিজুর রহমান, অ্যাড. শেখ জাহাঙ্গীর, জেলা ন্যাপ সভাপতি অ্যাড. মোঃ সফিকুল ইসলাম, গুণীজন সংবর্ধনা পরিষদ সভাপতি মোঃ আবদুল বাছেদ, কবি মোঃ ইউনুছ, নারী নেত্রী রোমানা আক্তার শ্যামলী, অ্যাড. আলী আক্কাস, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, হারুণ আল রশিদ প্রমুখ।
দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন কাজী মাকসুদুল আলম দেলোয়ার।
এ সময় সামসুজ্জামান বাবু, বশির আহমেদ, আরমান উদ্দিন, হাসিনা হক, ইমুনি ইস্টিয়ান সহ বিশিষ্ট জন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা ঐতিহাসিক জেলা আন্দোলনে উবায়দুর রউফ পলু’র শাহাদাৎ বরণের স্মৃতিচারণ করে সরকারের নিকট ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাবলিক (সরকারি) বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, তিতাস নদী খনন, বন্ধ থাকা আবাসিক গ্যাস সংযোগ চালুর ও বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিঃ প্রত্যাহার করে আগের মতো তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুণর্বহালের দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বালু ফেলে মাছচাষের একটি জলাশয় ভরাট করেন প্রভাবশালীরা। সেই বালু অপসারণ শুরু করেছে প্রশাসন।
আজ ২৪ মে বুধবার সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশাররফ হোসেনের উপস্থিতিতে জলাশয় থেকে বালু অপসারণ শুরু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সদর উপজেলার বড়হরণ রেলগেট এলাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন একটি মাছচাষের জলাশয় রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জলাশয়টি মাছচাষের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ইজারা নিয়ে আসছেন। সম্প্রতি স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী গভীর রাতে বালু ফেলে জলাশয়টি ভরাট করতে থাকেন। জলাশয়ের পাশে সড়কের পানি যাওয়ার কালভার্টটিও ভরাট করে দেন।
জলাশয় ভরাটের প্রতিবাদে গত ৭ মে স্থানীয় বাসিন্দারা মানববন্ধন করেন। পরদিন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসাইন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। সেখানে গিয়ে জলাশয় ভরাটকারীদের কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে জলাশয় থেকে বালু অপসারণের নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে ওই বালু নিলামে তোলা হয়। ১৫ হাজার বর্গফুট বালু ৮১ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি হওয়ার পর বুধবার জলাশয় থেকে বালু অপসারণ শুরু হয়েছে।
নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম বলেন, অবৈধভাবে জলাশয় ভরাট করছিল একটি চক্র। তারা এ জলাশয়ের ওপর দোকান তৈরি করে বিক্রি করতে মানুষের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়েছেন। জলাশয়ের সঙ্গে খালের কালভার্টও ভরাট করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশের পর নিলামে বিক্রি করে বালু অপসারণ করা হচ্ছে।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন বলেন, জলাশয়টি বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলায় এলাকার পানি চলাচলের একটি নালা বন্ধ হয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই আশপাশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। এ অবস্থায় বালু অপসারণ করে পানি চলাচলের পথ সুগম করা জরুরি। বালু বিক্রির টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘আমার জীবন আমার সম্পদ, বীমা করলে থাকবে নিরাপদ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ ০১ মার্চ বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় বীমা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সকালে জেলা প্রশাসকের অফিস প্রাঙ্গণ থেকে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের নেতৃত্বে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের কাউতলী মোড় প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের অফিস প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় বীমা দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও জীবনবীমা করপোরেশনের ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান, ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর ইনচার্জ মোহাম্মদ আরজু, ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর এরিয়া প্রধান মোঃ মিজানুর রহমান, ফারইষ্ট লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর ইনচার্জ মোঃ তাজুল ইসলাম, পপুলার ইন্সুরেন্স কোমপানীর ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান,সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর ইনচার্জ মোঃ আবুল বাশার প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা ও জনগণের আগ্রহ ও বিশ্বাস সৃষ্টির মাধ্যমে বীমা কোম্পানী গুলোকে কাজ করতে হবে।
সভায় জাতীয় বীমা কোম্পানী গুলোর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম কে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তিন শতাধিক ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মে এসব কম্বল বিতরণ করেন।
জানা গেছে, রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে হাজির হন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। পরে তিনি প্ল্যাটফর্মে থাকা শারীরিক প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ, ও অসহায় ছিন্নমূল মানুষের শরীরে কম্বল জড়িয়ে দেন।
কম্বল বিতরণের সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসেন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মাহবুব আলমসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।