অনলাইন ডেস্ক :
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দেড় বছরেরও বেশি সময় পর আফগানিস্তান দলে ফিরেছেন মোহাম্মদ শেহজাদ।
আগামী ১৪ জুলাই সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শুরু হবে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সিরিজে ফেরানো হয়েছে উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শেহজাদকে।
সিলেটে অনুষ্ঠেয় ম্যাচ দুটির জন্য রোববার দল ঘোষণা করে আফগানিস্তান। রশিদ খানের নেতৃত্বে ১৬ জনের দলে শেহজাদের সঙ্গে ফিরেছেন আরেক ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাইও।
আফগানিস্তানের সবশেষ পাকিস্তান সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন আফসার জাজাই, গুলবাদিন নাইব, শরাফউদ্দিন আশরাফ ও উসমান গনি।
টি-টোয়েন্টি দলে প্রথমবার ডাক পেয়েছেন ওয়াফাদার মোমান্দ। গত বছরের জুলাইয়ের পর কোনো ২০ ওভারের ম্যাচ খেলেননি ২৩ বছর বয়সি মিডিয়াম পেসার। ক্যারিয়ারে ১৮ টি-টোয়েন্টি খেলে তার শিকার ১৫ উইকেট।
আফগানিস্তান: রশিদ খান (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ, হযরতউল্লাহ জাজাই, মোহাম্মদ শেহজাদ, ইব্রাহিম জাদরান, মোহাম্মদ নবি, নাজিবউল্লাহ জাদরান, সাদিক আতাল, করিম জানাত, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, ফজলহক ফারুকি, নাভিন উল হক, ওয়াফাদার মোমান্দ, ফরিদ আহমেদ মালিক, নুর আহমেদ ও মুজিব উর রহমান।
অনলাইন ডেস্ক :
ইন্টার মায়ামির হয়ে স্বপ্নের অভিষেক হলো লিওনেল মেসির। লিগস কাপে ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নামেন আর্জেন্টাইন তারকা। সেই সময় তার দল ১-০ গোলে এগিয়ে। পরে আজুল সমতা টানে ম্যাচে। তবে যোগ করা সময়ে গোল করতে দলকে জায়ের আনন্দে মাতিয়েছেন মেসি।
বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোরে ডিআরবি পিএনকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি মায়ামি জিতেছে ২-১ গোলে। রবার্ট টেলর মায়ামিকে এগিয়ে নিয়েছিলেন প্রথমার্ধে। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫তম মিনিটে উরিয়েল আনতুনা সমতা এনে দেন আজুলকে।
একটা সময় মনে হচ্ছিল ১-১ সমতায় শেষ হবে খেলা। কিন্তু একেবারে অন্তিম মুহূর্তে জাদুকরী রূপে হাজির হন মেসি। ফ্রি-কিকে গোল করে দলকে উপহার দেন জয়। যা দেখতে মাঠে এসেছিলেন অসংখ্য সমর্থক।
লিওনেল মেসি মাঠে কতটা প্রভাব রাখতে পারেন, এদিন তার খেলায় সেটা আরও একবার প্রমাণ হয়েছে। ৫৪তম মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামার পাঁচ মিনিটের মধ্যে সতীর্থকে গোলের সুযোগ তৈরি করে দেন মেসি। তবে জোসেফ মার্তিনেজ সেটা কাজে লাগাতে পারেননি।
৭১তম মিনিটে বুসকেতসের বাড়ানো বল ধরে বক্সের বাইরে থেকে বাঁপায়ে শট নেন মেসি। তবে সেই শট প্রতিহত হয়। ৮৭তম মিনিটে মেসির পাস ধরে গোল করেন রবার্ট টেলর। তবে মেসি নিজেই অফসাইডে থাকায় গোলটি বাতিল হয়।
তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে ফ্রি কিক থেকে মেসি বাঁপায়ের শটে জাল খুঁজে নিলে উৎসবে মাতে মায়ামির সমর্থকরা।
২০২১ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে পাড়ি দিয়েছিলেন মেসি। সেখানে দুই বছর কাটিয়ে এ মৌসুমে নাম লিখিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে। অনেকে বলে থাকেন, ইউরোপের ফুটবলের চাপ কাটাতে মেজর লিগ সকারের দলে যোগ দিয়েছেন মেসি।
তবে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক যে আসলে নতুন জায়গায় নতুন কিছু জয় করতে এসেছেন, সেটাই যেন প্রথম ম্যাচে প্রমাণ করে দিলেন। মেসির সৌজন্যে গত মে-র পর এই প্রথম কোনো ম্যাচ জিতল মায়ামি।
এদিন মায়ামির জার্সিতে একই সঙ্গে অভিষেক হয় মেসি ও তার সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ সার্জিও বুসকেতসসের। মায়ামি কোচ আগেই আভাস দিয়ে রেখেছিলেন, দুজনই খেলতে পারেন বদলি হিসেবে। হয়েছেও সেটাই।
মেসিকে মাঠে নামানো হয় বেঞ্জামিন ক্রেমাশ্চির জায়গায়। ডেভিড রুইজের জায়গায় নামেন বুসকেতস। মেসি-বুসকেতসের যুগলবন্দীতে মায়ামি গোলের সম্ভাবনাও জাগিয়েছে পরে।
স্পোটর্স ডেস্ক :
উগান্ডা এবারই প্রথম বিশ্বকাপ খেলছে। জিম্বাবুয়ের মতো দলকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে দলটি। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ৫৮ রানে অলআউট হয়ে হেরেছে বড় ব্যবধানে। পরের ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে জয় পেয়েছে দলটি। তবে এবার ফের হেরে বসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। আকিল হোসেনের স্পিনে উগান্ডাকে গুঁড়িয়ে দিয়ে বড় জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গায়ানায় সি গ্রুপের ম্যাচে আজ ৯ জুন রবিবার ১৩৪ রানে জিতেছে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ১৭৪ রানের লক্ষ্য দিয়ে ১২ ওভারে উগান্ডাকে ৩৯ রানে থামিয়ে দিয়েছে তারা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে উগান্ডা আফগানিস্তানের বিপক্ষে করেছিল ৫৮ রান। যা ছিল এই বিশ্বকাপের সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। লজ্জার সেই রেকর্ড নিজেরাই ভাঙলো আফ্রিকা অঞ্চলের দলটি। ৩৯ রানে সব উইকেট হারিয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম রানে আলআউট হওয়ার লজ্জার রেকর্ড গড়লো উগান্ডা। বিশ্বকাপে এর আগে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড ছিল নেদারল্যান্ডসের।
২০১৪ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৩৯ রানে গুঁটিয়ে গিয়েছিল ডাচরা। দ্বিতীয় রেকর্ডটিও তাদেরই দখলে। সেবারও প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। ২০২১ আসরে মাত্র ৪৪ রানে অলআউট হয়েছিল ডাচরা। আর আজ ডাচদের সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছে উগান্ডা। ডাচদের সঙ্গে যৌথভাবে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডটা নিজের করে নিয়েছে আফ্রিকার দেশটি। অবশ্য ডাচদের চেয়ে ৯ বল বেশি খেলেছে উগান্ডা। ডাচরা যেখানে ১০.৩ ওভার খেরেছে সেখানে উগান্ডা খেলেছে ১২ ওভার।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার। দুই ওপেনার ব্রান্ডন কিং এবং জনসন চার্লস দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ভালোভাবেই। উগান্ডাকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন আলপেস রামজানি। ৪.৩ ওভারে ব্রান্ডন কিংকে বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান। দলীয় ৪১ এবং ব্যাক্তিগত ১৩ রানে ফেরেন তিনি। চার্লসকে সঙ্গ দিতে মাঠে আসেন নিকোলাস পুরান। আজ তার সামনে ছিল টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ার সুযোগ। কিন্তু অল্পের জন্য রেকর্ড গড়া হয়নি তারা। ক্রিস গেইলকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি তিনি। রেকর্ড গড়ার পথে বেশ ভালো ভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে ২২ রানে মাসাবার বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফির যান পুরান।
প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দারুণ বোলিং করেছে দলটি। ক্যারিবিয় ব্যাটসম্যানদের হাত খুলে খেলার খুব একটা সুযোগ দেননি উগান্ডার বোলাররা। জনসন চার্লস (৪৪), রোভম্যান পাওয়েল (২৩) ও শেরফান রাদারফোর্ড (২২) কাউকেই খোলসের বাইরে বের হতে দেয়নি ব্রায়ান মাসাবার দল। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ক্যারিবীয় ঝড় আটকে দেয় তারা। শেষদিকে আন্দ্রে রাসেলের দিকে তাকিয়ে ছিল দল। শুরুতে ধীরেগতিতে রান করলেও পরে রানের চাকায় গতি আনেন এই ক্যারিবীয় তারকা। তার ১৭ বলে ৩০ রানের ইনিংসে ভর করে বড় সংগ্রহ পায় দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। রাসেলের ইনিংসে কোনো ছক্কা না থাকলেও ছিল ৬টি চারের মার। উগান্ডার পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা। ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন আলপেশ রামজানি, কসমস কেউয়াটা ও দীনেশ নাকরানি।
উগান্ডার সামনে লক্ষ্যটা ছিল ১৭৪। তবে সেই টার্গেটকে চ্যালেঞ্জ করা তো দূরে থাক, উগান্ডার ব্যাটিং লাইনআপ মাথা তুলেই দাঁড়াতে পারেনি পুরো ম্যাচজুড়ে। উগান্ডাকে ধসিয়ে দেওয়ার মূল নায়ক স্পিনার আকিল। একাই পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচ বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই মুকাসাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন আকিল। সেই শুরু, এরপর একে একে পাঁচটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের নায়ক তিনিই। প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্পিনার হিসেবে টি-২০ বিশ্বকাপে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন আকিল।
৪ ওভার বল করে ১১ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন আকিল। উগান্ডার ইনিংসের মাত্র একজন ব্যাটার ছুঁয়েছেন দুই অংক। ২৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে তখন বিশ্বকাপে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল তাদের। এক জুমা মিয়াগি শেষের দিকে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন লজ্জার রেকর্ড এড়াতে। তার ১৩ রানেও অবশ্য লজ্জা এড়াতে পারেনি উগান্ডা। ৩৯ রানে অলআউট হয়ে নেদারল্যান্ডসের সাথে যৌথভাবে টি-২০ বিশ্বকাপে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়েছে তারা। ১২ ওভারের মাঝেই তাদের গুটিয়ে দিয়ে ১৩৪ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বড় জয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ২০ ওভার ১৭৩/৫
উগান্ডা: ১২ ওভার ৩৯/১০
ফল : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩৪ রানে জয়ী।
চলারপথে ডেস্ক :
তানজিম সাকিব, শরিফুল ও সৌম্যের বোলিং তাণ্ডবে স্বাগতিকরা শতরানের আগেই অলআউট হয়ে যায়। ৯৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে সহজেই ৯ উইকেটের বিশাল জয় পায় বাংলাদেশ। ফলে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে জয়ের স্বাদ পেলো টাইগাররা।
আজ ২৩ ডিসেম্বর শনিবার নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় শুরু হয় এই ম্যাচ। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল শান্ত।
টাইগারদের বোলিং তোপে ৯৮ রানে অলআউট হয়ে যায় কিউইরা। ৯৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শান্তর হাফ সেঞ্চুরিতে ১৫ দশমিক ১ ওভারেই জয় তুলে নেয় টাইগাররা।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ব্যথা পান দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সৌম্য। প্রথম ওভারেই অ্যাডাম মিলনের বলে আঘাত পান তিনি। তবে তা সামলে নিয়ে খেলা চালিয়ে নিলেও হঠাত বিপত্তি বাধে চোখে। ঠিকমতো দেখতে পাচ্ছেন না বলে ইঙ্গিত করেন বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমের দিকে। ফিজিও এসে চোখে ড্রপ দিলেও শেষ পর্যন্ত এড়ানো যায়নি সমস্যা। মাঠ ছেড়ে উঠে যান সৌম্য সরকার। ৫ দশমিক ৪ ওভারে বিনা উইকেটে তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৫ রান।
এরপর ক্রিজে আসা অধিনায়ক শান্ত করেন হাফ সেঞ্চুরি। এরমধ্যে ইনিংসের এগারতম ওভার করতে আসা ও’রর্ককে টানা মেরেছেন চারটি ৪! তবে সেই ও’রর্কের বলেই কট বিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন এনামুল বিজয়। জয়ের জন্য যখন আর মাত্র ১৫ রান দরকার তখনই আউট হন তিনি। ৭টি চারের মারে ৩৩ বলে ৩৭ রান করেন এই ওপেনার।
এরপরে ক্রিজে আসেন লিটন। তবে তিনি শুধু সঙ্গ দেন শান্তকে। নিজেরের হাফসেঞ্চুরির পাশাপাশি দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন শান্ত। ফলে স্বাগতিকদের মাটিতে প্রথম জয়ের স্বাদ পেলো টাইগাররা।
এর আগে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ে নেমে সমান ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন তানজিম সাকিব, সৌম্য ও শরিফুল। বাকি একটি উইকেট নেন মোস্তাফিজ। অবিশ্বাস্য বোলিং করেছেন এই তিন পেসার।
এরমধ্যে ৭ ওভার বল করে গড়ে ২ রান করে দিয়েছেন তানজিম সাকিব। মেডেন ও নিয়েছেন ২ ওভার আর উইকেট নিয়েছেন তিনটি। হয়েছেন ম্যান অব দ্যা ম্যাচ।
সমান ওভার বল করে শরিফুলও নিয়েছেন তিন উইকেট। তিনি ওভারপ্রতি দিয়েছেন গড়ে ৩ দশমিক ১০ রান। অলরাউন্ডার সৌম্য হাত ঘুড়িয়েছেন ৬ ওভার। উইকেট নিয়েছেন ৩টি যার মধ্যে দুটোতেই উড়িয়ে ফেলেছেন কিউই ব্যাটারের স্ট্যাম্প।
শুরুতেই আঘাত হানে তানজিম সাকিব। পাওয়ারপ্লে’র মধ্যেই তুলে নেয় দুই উইকেট। অফ স্ট্যাম্প লাইনে বল করে রাচিন রবীন্দ্রকে মুশফিকের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান সাজঘরে। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ৮ রান।
রাচিনকে ফেরানোর পরের ওভার মেডেন, এরপরের ওভারেই ফেরান হেনরি নিকোলসকে। ২২ রানেই দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে নিউজিল্যান্ডের।
এরপরে টপাটপ তিন উইকেট তুলে নেন আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম। ২ উইকেট হারানোর পর টম ল্যাথামকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন উইল ইয়াং। তবে ৩ রানের ব্যবধানে জোড়া আঘাতে দুজনকেই সাজঘরে ফেরত পাঠান শরিফুল। এরপরের ওভারে আবারও উইকেট পান তিনি। এবার তুলে নেন মার্ক চাপম্যানকে। ততক্ষণে ৬৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে নিউজিল্যান্ড।
তবে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারেনি কিউইরা। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই ব্যক্তিগত তৃতীয় উইকেট তুলে নেন তানজিম সাকিব। ফেরান টম ব্লান্ডেলকে।
এরপরেই দৃশ্যপটে ঢোকেন সৌম্য। ক্রিজে পড়ে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে উড়ে যায় ক্লার্কসনের স্টাম্প। যেন কিছুই বুঝতে উঠতে পারেননি তিনি। ১৬ রানে ফেরেন তিনি আর ৮৫ রানে ৭ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ১ রানের ব্যবধানে আবারও অ্যাডাম মিলনের উইকেট উপড়ে ফেলেন সৌম্য। এবারও বোল্ড করেন মিলনেকে ফেরত পাঠান সাজঘরে।
৯৭ রানে আবারও উইকেট পান গত ম্যাচে দেড়শ পার করা এই অলরাউন্ডার। এবার ফেরান অদিত্য অশোককে। ১২ বলে ১০ রান করে ফিরে যান তিনি। ফলে ৯৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে কোনোমতে শতরান পার করার চেষ্টায় ছিল বিপর্যস্ত কিউইরা।
তবে কিউই শিবিরে শেষ আঘাত হানেন মোস্তাফিজ। ফলে দলীয় ৯৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এটাই নিউজিল্যান্ডের সর্বনিম্ন স্কোর। তবে শেষ ম্যাচ জিতলেও সিরিজ ঠিকই জিতে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
অনলাইন ডেস্ক :
স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার কাছে ওয়ানডে সিরিজে হারলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ শুরু করেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। মঙ্গলবার কলম্বোতে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। শ্রীলঙ্কা নারী দলের দেওয়া ১৪৬ রানের লক্ষ্যে ১ বল হাতে রেখে পৌঁছে বাংলাদেশ।
সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দলীয় ১৬ রানেই ফিরে যান ওপেনার ভিস্মি গুনারত্নে। ফারিয়া তৃষ্ণা প্রথম উইকেট এনে দেন বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন লঙ্কান অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু ও তিনে নামা হার্শিতা। তবে ব্যক্তিগত ৩৮ রানে নাহিদা আক্তারের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন বাঁ-হাতি আতাপাত্তু।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে হারশিতা ও নিলাক্ষী ডি সিলভা মিলে ৪৭ রানের আরেকটি জুটি গড়েন। হারশিতাকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন সুলতানা খাতুন। ৪৪ বলে ৫ চারে ৪৫ রান করেন, এই জুটি ভাঙার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় লঙ্কানরা। হাসিনী পেরেরা করেন ১ রান। কাভিশা দিলহারি ও আনুশকা সঞ্জীবনী পারেননি রানের খাতাই খুলতে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান করতে সমর্থ হয় শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ফাহিমা খাতুন। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন ফারিহা তৃষ্ণা, সুলতানা খাতুন, নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৫ রান করে শামিমা সুলতানা কাভিন্দির শিকারে পরিণত হন। ২৩ রানের মাথায় আরেক ওপেনার রুবিয়া হায়দারও বিদায় নেন। ১৬ বলে ৯ রান করে তিনি প্রাবোধিনির বলে ক্যাচ তুলে দেন।
চতুর্থ উইকেটে সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক জ্যোতি। ৫১ রানের জুটির পর বিদায় নেন মোস্তারি। তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ১৭। এরপর তৃতীয় উইকেটে রিতুমনি ও জ্যোতি যোগ করেন ৭১ রান।
ম্যাচ টাই হওয়ার পর রানআউটের শিকার হন ২৩ বলে ৩৩ রান করা রিতুমনি। তবে ৫১ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন জ্যোতি। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ২টি ছক্কা। এতে দীর্ঘ ৯ বছর পর লঙ্কানদের হারিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল টাইগ্রেসরা।
অনলাইন ডেস্ক :
স্কটল্যান্ডের কাছে বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে ৩১ রানে হেরে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব থেকে ছিটকে গেল জিম্বাবুয়ে। এর আগে ২০১৮ বিশ্বকাপে আরব আমিরাতের কাছে হেরে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিতে হয়েছিল দলটিকে।
আজ ৪ জুলাই মঙ্গলবার টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রান তোলে স্কটল্যান্ড। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেছেন লিস্ক। এ ছাড়া ক্রস ৩৮, ম্যাকমালেন ৩৪, জর্জ মানজি ৩১ এবং ক্রিস্টোফার ম্যাকব্রাইড ২৮ রান করেছেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে উইলিয়ামস তিনটি এবং চাতারা নিয়েছেন দুটি উইকেট।
জবাবে খেলতে নেমে ১৮তম ওভারের মধ্যে ৯১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল জিম্বাবুয়ে। এখান থেকে রায়ান বার্ল ও ওয়েলেসলি মাধেভেরে ৭৪ বলে ৭৩ রানের জুটিতে জিম্বাবুয়ের আশা টিকিয়ে রেখেছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত দলকে টেনে তুলতে পারেননি তারা। ফলে ৪১.১ ওভারেই ২০৩ রান তুলে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ফলে ৩১ রানে পরাজয় বরণ করে জিম্বাবুয়ে।
বাছাইপর্ব থেকে দুটি দল খেলবে বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে। শ্রীলঙ্কা আগেই চূড়ান্তপর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে। বাকি ছিল একটি জায়গা। জিম্বাবুয়ে আজ জিতলেই শূন্যস্থানটি পূরণ হতো। কিন্তু হারে ৫ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে নেমে গেল জিম্বাবুয়ে। ৩১ রানে হেরে নেট রান রেটে চতুর্থস্থানে থাকা নেদারল্যান্ডসের চেয়েও পিছিয়ে পড়েছে জিম্বাবুয়ে।
স্কটিশরা আবার শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডসের। যার অর্থ ওই ম্যাচে স্কটল্যান্ড হেরে গেলেও দুইয়ে ওঠার কোনো সম্ভাবনা নেই জিম্বাবুয়ের।
আগামী পরশু নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি খেলবে স্কটল্যান্ড। এই ম্যাচটা জিতলেই চূড়ান্তপর্বে উঠবে স্কটল্যান্ড। কিন্তু হারলে? নেদারল্যান্ডস যদি অনেক বড় ব্যবধানে জেতে তাহলে ডাচরাই উঠে যাবে বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে।