দেশের উন্নয়নে বাধা দিলে বরদাশত করব না: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 2 July 2023, 868 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
সব দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হলো- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা সেই নীতিই মেনে চলি। আমাদের উন্নয়নে বা আমাদের অগ্রযাত্রায় কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করুক- সেটা আমরা চাই না, সেটা আমরা বরদাশত করব না।

banner

আজ ২ জুলাই রবিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী রূপ তো এ দেশের মানুষ দেখেছে। এদের কাছে রাজনীতি বলে কিছু নেই, ক্ষমতা হচ্ছে তাদের অর্থ বানানোর মেশিন; ক্ষমতা হচ্ছে জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী দল। ওরা যদি ক্ষমতায় আসে, আবার এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে; এ দেশের সর্বনাশ করে দেবে। কাজেই সেটা যেন তারা করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘কানাডার ফেডারেল কোর্ট এই কথাই বলেছিল যে বিএনপি একটা সন্ত্রাসী সংগঠন। ওই সন্ত্রাসী সংগঠনের কোনো অধিকার নেই বাংলাদেশের মানুষ নিয়ে কথা বলার।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু লোক আছে, কথায় কথায় নালিশ করে, তো নালিশ করে কি হয়! ওই যে কথায় আছে না, ‘নালিশ করে বালিশ পাবে’। ওরা কিন্তু ওটাই পাওয়ার যোগ্য।

বিএনপির হাতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতিত হওয়ার বর্ণনা দিতে গিয়ে আওয়ামী সভাপতি বলেন, ‘২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান- কেউই বাদ যায়নি তাদের অত্যাচার-নির্যাতন থেকে, মানুষকে গুলি করে মারা, হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে মারা, চোখ তুলে নেওয়া, হাত কেটে নেওয়া- এমন কোনো সন্ত্রাসী কাজ নাই বিএনপি না করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর কারও প্রতি প্রতিশোধ নিতে চায়নি। প্রতিশোধ যদি নিতে যেতাম, তাহলে ওই বিএনপি বা জামায়াতের অস্তিত্ব থাকত না।’

এ সময় তিনি বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলসহ বিভিন্ন সময়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রাণহানি ও নির্যাতনের যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেসব বিষয়ে বিচার নিশ্চিতে আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীদের কাজ করার নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ পুড়িয়ে মারা, পুলিশ মারা, বিভিন্ন সময় আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করা, বহু আসামি এখনও ঘুরে বেড়ায়। এরা যেন ঘুরে বেড়াতে না পারে। এদের যেন যথাযথ শাস্তি হয়। এদের যেন বিচার হয়।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফিউজিটিভ (পলাতক) হয়ে ওই লন্ডনে বসে এখন সোশাল মিডিয়ায় বড় বড় কথা বলে। চোরের বড় গলা- কথায় আছে, সেই চোরের বড় গলাই আমরা শুনি। এত সাহস থাকলে বাংলাদেশে আসে না কেন?’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১০ ট্রাক অস্ত্র, একুশে অগাস্ট গ্রেনেড হামলা করে আমাদের হত্যার চেষ্টা, আইভী রহমানসহ আমাদের ২২ জন নেতাকর্মী হত্যা করেছে- মানি লন্ডারিং, দুর্নীতি এমন কোনো অপকর্ম নাই যে না করে গেছে। আজকে সাজাপ্রাপ্ত, পলাতক।’

দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। ‘মাই হাউস, মাই ফার্ম’, কমিউনিটি ক্লিনিক, ডিজিটাল বাংলাদেশ, ‘মাই ভিলেজ, মাই টাউন’ ইত্যদি কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং নানা সামাজিক নিরাপত্তামূলক কাজের মাধ্যমে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। গ্রামগুলো এখন আর গ্রাম নাই। আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করেছি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। আমার লক্ষ্যই হলো দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা।

তিনি বলেন, ‘৬ বছর নির্বাসনে থেকে ফেরার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরেছি। দেশের এমন কোনো অঞ্চল নেই যেখানে যাইনি। নৌকা, সাম্পান, লঞ্চ, রিকশা-ভ্যানে চড়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েছি। সে অভিজ্ঞতা থেকেই গ্রামাঞ্চলের উন্নয়ন করছি।’

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তিনি দেশবাসীর মুখে হাসি ফোঁটাতে চেয়েছিলেন। যার জন্য দ্বিতীয় বিপ্লব কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যা করা হয়। একই বছরের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। দেশের অগ্রগতি থামিয়ে দেওয়ার জন্যই এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। বঙ্গবন্ধুকে এমন সময়ে হত্যা করা হয়েছিল যখন দেশ অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল।’

টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া আসনের সংসদ সদস্য শেখ হাসিনা তার নির্বাচনী এলাকার মানুষকে কৃতিত্ব দিয়ে বলেন, ‘দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমাকে অনেক বেশি সময় দিতে হয়। সাধারণত অন্য সংসদ সদস্যরা শুধুমাত্র তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার দেখাশোনা করেন। আমাকে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হয়। কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ার বাসিন্দারা আমার এলাকার দায়িত্ব নিয়েছেন বলেই আমি সারা দেশে বেশি নজর দিতে পারছি।’

মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ার উন্নয়ন নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের অভিজ্ঞতার কথা শুনতে চান। এ সময় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। এজন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বার্ধক্যজনিত কারণে অবসরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে রাজনীতিতে থাকার অনুরোধ জানান। তারা শেখ হাসিনাকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন।

মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাবুদ্দিন আজম উপস্থিত ছিলেন।

মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ। দুপুরে মধ্যাহ্নভোজ শেষে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।

Leave a Reply

আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা দফতরের প্রধান হলেন…

হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা Read more

১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেনটাইন’স ডে

হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে : ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিশ্ব Read more

এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” প্রতিপাদ্যে…

মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর : নাসিরনগর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে এবং Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পিঠা উৎসব

চলারপথে রিপোর্ট : তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার, কারাগারে…

চলারপথে রিপোর্ট : অবৈধভাবে শটগানের কার্তুজ রাখায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের Read more

সরাইলে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন Read more

আশুগঞ্জে ২৫ কেজি গাঁজাসহ চারজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে পৃথক অভিযানে ২৫ কেজি Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাইদুল Read more

আয়নাঘর পরিদর্শন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা…

অনলাইন ডেস্ক : ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের কুখ্যাত আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন Read more

নবীনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নারীর মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগরে মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি Read more

আখাউড়ায় মাদকসহ চারজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়ায় মাদকসহ চারজন গ্রেফতার হয়েছে। আজ ১১ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাত মাদকসেবীকে সাজা

চলারপথে রিপোর্ট : মাদক সেবনরত অবস্থায় আটক করে ৭ যুবককে Read more

পরিকল্পনার মাধ্যমে জলবায়ু সহিষ্ণু একটি গ্রিন নগরীতে গড়ে তোলা যায় এই পরিকল্পনা করেছি: গণপূর্তমন্ত্রী

জাতীয়, 11 July 2024, 315 Views,

অনলাইন ডেস্ক:
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, যে পরিকল্পনায় বাস্তব অগ্রগতি নেই সে পরিকল্পনা মূল্যহীন।

banner

আজ ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে রাজউক ভবনের অডিটোরিয়ামে সিটি ক্লাইমেট ফাইন্যান্স গ্যাপ ফান্ড এর সহায়তায় রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) এবং GIZ (Deutche Gesellschaft Fur Internationale zusammenarbeit) কর্তৃক প্রস্তুতকৃত “হাজারীবাগ ও লালবাগের জন্য জলবায়ু সহিষ্ণু সবুজ কর্ম পরিকল্পনা” শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু পরিকল্পনার কথা বলি, কিন্তু বাস্তবে হাজারীবাগের ট্যানারিগুলি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল এখন পর্যন্ত তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। যেখানে সরিয়ে নিয়েছি সেখানেও কাজটি ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না হলে শুধু পরিকল্পনা করে লাভ নেই। দ্রুততম সময়ের মধ্যে গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে হবে। আমি চাই আগামীকাল থেকেই আপনারা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করবেন। এবছরের শেষেই যেন কাজের অগ্রগতি দৃশ্যমান হয় আপনারা সেভাবে কাজ করবেন।

গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা আইন কানুন ও বিধিনিষেধ মেনে চলি। ক্লাইমেটের রেজিলিয়েন্সের জন্য ওয়ার্কশপ ও প্লানিং এর প্রয়োজন আছে। কিন্তু একটা কথা সবসময় চিন্তা করতে হবে আমাদের দ্বারা যেন ক্লাইমেট নষ্ট না হয়। আমরা যখন বাড়ি বানাবো তখন যতটুকু ছেড়ে দেয়া দরকার ততটুকু যেন ছেড়ে দেই। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় আমাদের পাশের যে বাড়ি আছে পারলে আমরা সেটিও দখল করার চেষ্টা করি। এই সব থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে।

তিনি বলেন, রাজউককে বলব আমরা সবাই মিলে এই কাজটি শুরু করে দিতে চাই। ২০২৪ সালের ইতোমধ্যে ৬ মাস চলে গিয়েছে। সময় চলে যাবার আগেই এই কর্মপরিকল্পনাটি শেষ করতে না পারলেও অন্তত যেন শুরু করতে পারি।

কর্মশালায় উদ্বোধনী বক্তব্যে রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয় শুধুমাত্র পুরান ঢাকার জন্য। ৪০০ বছরের এই শহরে নগরায়নের ফলে পুরান ঢাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা থেকে আবাসন ব্যবস্থায় নানা ধরনের ঘাটতি আছে। যার কারণে এখানে প্রতিনিয়ন নানা দুর্ঘটনা ঘটে।

মন্ত্রী আরও জানান, পুরান ঢাকাকে কিভাবে আরো উন্নত করা যায় সে লক্ষ্যে আমরা লালবাগ ও হাজারিবাগ এলাকাকে উন্নত করার পরিকল্পনা করেছি। ওভার পপুলেটেড একটি নগরীকে কিভাবে পরিকল্পনার মাধ্যমে জলবায়ু সহিষ্ণু একটি গ্রিন নগরীতে গড়ে তোলা যায় সে জন্য এই পরিকল্পনা করেছি। আমরা একটি ব্রাউন ফিল্ডকে কিভাবে গ্রিন আইল্যান্ড করা যায় সে ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জি আই জেড কান্ট্রিডিরেক্টর মার্টিনা বারকার্ড বলেন, জার্মান ও বাংলাদেশ সরকার মিলে পুরান ঢাকার জন্য জলবায়ু সহিষ্ণু সবুজ কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে এবং নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই পরিকল্পনাটি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এই দুই এলাকার নগরবাসীর জীবন মান আরো উন্নত হবে।

কর্মশালায় হাজারিবাগ ও লালবাগের জলবায়ু সহিষ্ণু সবুজ কর্ম পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন নগর পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন। কর্মশালাটির সভাপতিত্ব করেন রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) মো ছিদ্দিকুর রহমান সরকার। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো নবীরুল ইসলাম, জি আই জেড কান্ট্রিডিরেক্টর মার্টিনা বারকার্ড।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান, রাজউক প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাবেক সভাপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন প্রমুখ।

জাতীয় নির্বাচনকে স্বচ্ছ করার জন্য যা যা দরকার আমরা করেছি : প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 23 November 2023, 604 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনকে স্বচ্ছ করার জন্য যা যা দরকার আমরা সেগুলো করেছি।

banner

আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন চলাকালীন সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসক সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে কোনো অফিসার বদলি করা, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বদলি, এগুলো নির্বাচন কমিশনারের অনুমতি ছাড়া করা যাবে না। যদি নির্বাচন কমিশন চায় তখন সেটা পরিবর্তন করা যায়, তাছাড়া করা যাবে না।

তিনি বলেন, জাতির পিতা যে সংবিধান দিয়েছিলেন এবং নির্বাচনে যে নীতিমালা দিয়েছিলেন, সেখানে একটা বিষয় ছিল যে, ব্যালট পেপারের পেছনে প্রিজাইডিং অফিসারের সিল থাকবে, জিয়াউর রহমান নির্বাচনের আগে অর্ডিন্যান্স করে তা সবকিছু বাতিল করে দেয়। অর্থাৎ বাক্স ভরে ভরে রেখে দেওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে, তখনই বিভিন্ন সংস্কার করেছে। যাতে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হয়। জনগণ তার ভোট দিতে পারে, যাতে জনগণ তার অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। আমরাই স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা এবং জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে, সেক্ষেত্রে মানুষকে সচেতন করা, সেগুলো আওয়ামী লীগই করেছে। আমরা জোট করে বিভিন্ন প্রস্তাবনা নিয়ে এসে, একে একে তা বাস্তবায়ন করেছি।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের সঙ্গে যুক্ত ছিল। বাজেট থেকে শুরু করে সবকিছু প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে যেত। সেই জায়গা থেকে স্বাধীন করে দিয়েছি। নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে আমরা আইন করি। যেগুলো আগে করা ছিল না। আইনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। সেখানে কোনো হস্তক্ষেপ করা হয়নি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জনগণের জন্য কাজ করি। আমরা যখন জনগণের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করেছি ঠিক সে সময় দেশে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু হয়েছে। আপনারা আগের কথা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি। সাধারণ মানুষ কত কষ্ট করে একটা বাস তৈরি করে, সেটা ভাড়া দিয়ে খায়। তাদের সেই রুটি রুজিতে হাত দিয়েছে তারা। সিএনজি, গাড়ি, লঞ্চ, স্টিমার, রেল কোনোকিছু বাদ যায়নি। ট্রেন তো খালেদা বন্ধ করতে চেয়েছিল, আমরা তো আলাদা মন্ত্রণালয় করে সারা বাংলাদেশে রেল লাইন করে দিয়েছি, মানুষ যত অল্প পয়সায় চলতে পারে তার ব্যবস্থা করেছি। তারপর কত মানুষের জীবন নিয়েছে। প্রায় তিন হাজারের মতো মানুষকে তারা আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। জ্বালাও-পোড়াও করে একটা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে তারা কি পেয়েছে জানি না।

তিনি বলেন, নির্বাচনে আসার মতো আত্মবিশ্বাস তাদের নেই। কারণ ২০০৮ নির্বাচনে তারা মাত্র ৩০টি সিট পেয়েছে। আর আমরা দেশ পরিচালনা করে মানুষের আস্থা অর্জন করেছি। আমরা ভোটে অনেক এগিয়ে। এটা জেনেই তারা নির্বাচনে না এসে, নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে।

দেশের মানুষ এখন সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ এখন সুন্দর জীবন যাপন করছে। অনেকে এখন দেশে দেশে ফ্রিল্যান্সিং করে কাজ করছে। যারা ভূমিহীন তাদেরকে আমরা বিনা পয়সায় ঘর করে দিচ্ছি। একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না।

আজ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু

জাতীয়, 30 April 2023, 1083 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে ডেস্ক :
২০২৩ সালের মাধ্যমিক (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আজ ৩০ এপ্রিল রবিবার শুরু হচ্ছে। সারাদেশে ১১ শিক্ষা বোর্ড থেকে এ বছর পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ পরীক্ষার্থী। দেশের ২৯ হাজার ৭৯৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার ৮১০টি কেন্দ্রে এবার পরীক্ষা হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এবার প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি।

banner

সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণ নিশ্চিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এর মধ্যে গত ২৬ এপ্রিল থেকে দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফেসবুক ও মোবাইল লেনদেনে নজরদারিও শুরু করেছে বিটিআরসি।

নির্দেশনা অনুযায়ী, ট্রেজারি-থানা থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারীরা কোনো ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রশ্নপত্র বহনে কালো কাচযুক্ত মাইক্রোবাস বা এরূপ কোনো যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না। ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীর দেরি হলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, দেরি হওয়ার কারণ একটি রেজিস্ট্রারে লিখে রাখা হবে।

এবার দেশের বাইরে আট কেন্দ্রে ৩৭৪ জন পরীক্ষার্থী নিচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় দেওয়াসহ শিক্ষক, অভিভাবক অথবা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

ট্রাক চালকের মোবাইল ফোনে মিললো ডাকাতির রহস্য

জাতীয়, 9 April 2023, 1244 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
৪৭ লাখ টাকার সুপারি ডাকাতি করলেও মাত্র এক হাজার টাকার মোবাইল ফোনের লোভ সামলাতে পারেননি। ট্রাক চালকের এই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ডাকাতির রহস্য উন্মোচন, ডাকাত দলকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হয়। আজ ৯ এপ্রিল রবিবার সকালে পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান।

banner

পিবিআই জানায়, গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার হারুয়া এলাকায় ট্রাক ভর্তি ৪৭ লাখ টাকার সুপারি ডাকাতি হয়। ডাকাত দলের সদস্যরা চালকের হাত-পা ও মুখ বাঁধে ট্রাকটি কিশোরগঞ্জের ভৈরব হাজী হাসমত আলী কলেজের কাছে পৌছায়। সেখানে চালক বাবুলকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে ট্রাক নিয়ে চলে যায় ডাকাতরা।

এ ঘটনা মেসার্স জুলেখা ট্রান্সপোর্টের মালিক কামাল হোসেন ২৪ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পরে নারায়নগঞ্জ থেকে ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়। চলতি বছরের ৫ মার্চ মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। পরে চালক বাবুলের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ডাকাত দলের সদস্য বাগেরহাটের শুভ শেখকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়।

তার তথ্যমতে পটুয়াখালীর মো. বাপ্পি (৩০), রিগান খান (২৬), চাঁদপুরের মামুন প্রধানকে (৪০) গ্রেফতার করে পিবিআই। তারা গত শনিবার ময়মনসিংহ আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার বলেন, ডাকাতিতে ছয়জন অংশ নিয়েছিল। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

ইয়াবাসহ তিন নারী আটক

জাতীয়, 16 January 2024, 640 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
৩ হাজার ৫২৫ পিস ইয়াবাসহ ৩ নারী মাদক কারবারিকে আটক করেছে র‌্যাব। আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল ফ্লাইওভার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট সহ তাদের আটক করা হয়।

banner

আটককৃতরা হলেন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মুছনী গ্রামের ইউনুছ এর মেয়ে জোছনা মনি (২১), কক্সবাজার সদর উপজেলার বাজারঘাটা গ্রামের মৃত জহির আহমেদের মেয়ে রিয়া মনি (২২), টেকনাফের আলিকালি গ্রামের মুত্তুল হোসেনের মেয়ে সায়মন জনি (২০)।

র‌্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্প জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে কতিপয় মাদক কারবারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন মহিপালস্থ ফ্লাইওভারের নীচে রাস্তার উপর ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। র‌্যাবের একটি দল ওইস্থানে উপস্থিত হওয়া মাত্রই র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ৩ মাদক কারবারি কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। র‌্যাব সদস্যরা তাদের আটক করে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ, তল্লাশি করে ভ্যানিটি ব্যাগ ও শপিং ব্যাগের ভিতরে বিশেষ কায়দায় রক্ষিত ১৮টি নীল রংয়ের পলিপ্যাকের ভেতর থেকে ৩ হাজার ৫শত ২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতরা র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন সুকৌশলে ইয়াবা ট্যাবলেট কক্সবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে স্বল্পমূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে ফেনীসহ আশেপাশের জেলার বিভিন্ন মাদক কারবারি ও সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রি করে আসছে।