চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহাটে সুনামধন্য কিছু কোম্পানির নামের মোড়ক ব্যবহার করে খাবার স্যালাইন, শিশুদের খাবার, জুস, বিড়ি, গুলসহ বিভিন্ন ধরনের বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্য জব্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ৩ জুলাই সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার চিতলী-বৈটপুর বাজারে ব্যবসায়ী আলামিন শেখ বাবুর গোডাউনে অভিযান চালিয়ে এসব ভেজাল পণ্য জব্দ করা হয়। পরে স্থানীয়দের সামনে এসব পণ্য ধ্বংস করা হয়। এ সময় ব্যবসায়ী আলামিন শেখ বাবুকে দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং তার দোকানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। ব্যবসায়ী আলামিন শেখ বাবুকে একই অপরাধে এর আগেও একবার জরিমানা করা হয়েছিল।
অভিযানে র্যাব-৬ খুলনার কোম্পানি কমান্ডার মো. বদরুদ্দোজা, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান, বাগেরহাট জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তরফদারসহ পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, দেশের নামিদামি কোম্পানির মোড়কে বিভিন্ন নকল পণ্য উৎপাদন ও বিক্রির সংবাদ পেয়ে আলামিন শেখ বাবুর দোকানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের খবর পেয়ে দোকান ও গোডাউন মালিক বাবু পালিয়ে যায়। পরে দোকানে থাকা দুই কর্মচারীর তথ্য অনুযায়ী গোডাউন থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল ও নকল পণ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে ওরস্যালাইন, শিশুদের খাবার, জুস, মশলা, চানাচুর, বিড়ি, গুলসহ অন্তত ৫০ প্রকারের খাবার ছিল। আমরা খাবারগুলোকে ধ্বংস করেছি। পলাতক মালিক আলামিন শেখ বাবুকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
র্যাব-৬ খুলনার কোম্পানি কমান্ডার মো. বদরুদ্দোজা বলেন, ভেজাল ও নকল খাদ্যের বিরুদ্ধে র্যাবের এই ধরনের অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতেও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৪৩তম ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। ১৯৮১ সালের এই দিনে প্রায় ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে দেশে ফিরে আসেন তিনি। দিনটিকে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামের সূচনার স্মারক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার সময় বিদেশে অবস্থানের কারণে তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান। জাতির ইতিহাসের এ বিষাদময় ঘটনার সময় স্বামী পরমাণুবিজ্ঞানী প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কর্মসূত্রে স্বামী ও বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে জার্মানিতে অবস্থান করছিলেন শেখ হাসিনা। পরে দীর্ঘ প্রবাসজীবন শেষে ভারত হয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি।
দেশে ফেরার আগেই ১৯৮১ সালের ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দলের জাতীয় কাউন্সিলে শেখ হাসিনাকে সর্বসম্মতিক্রমে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনে নানামুখী কার্যকর উদ্যোগ নেন তিনি। পাশাপাশি জনগণের গণতান্ত্রিক এবং ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবিরাম সংগ্রাম শুরু করেন।
তাঁরই উদ্যোগে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী-সমর্থকের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা দেখা দেয়। দেশবাসীও উজ্জীবিত হয় নতুন প্রেরণায়।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী শাসকদের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলে। তাঁর নেতৃত্বেই দলটি দীর্ঘ সময় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখলে ১৯৯০ সালে স্বৈরশাসকের পতন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। আর মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়সহ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে কয়েকবার গৃহবন্দি হয়েছেন শেখ হাসিনা। ওয়ান-ইলেভেনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ১১ মাস বিশেষ কারাগারে কারাবন্দিও ছিলেন তিনি।
তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এ পর্যন্ত চার মেয়াদে ক্ষমতাসীন হয়েছে। প্রথমবার ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হয়ে ২৩ জুন সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। দ্বিতীয়বার ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ মহাজোট চার-তৃতীয়াংশ আসনে বিশাল বিজয়ী হয়ে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বিশাল বিজয় নিয়ে ১২ জানুয়ারি সরকার গঠন করে তারা। তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও বিপুল জয়ের পর ৭ জানুয়ারি সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের জন্য সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সর্বস্তরের নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম গত মে মাসের ৬ তারিখ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থল শুল্ক ষ্টেশনে স্থাপিত ব্যাগেজ স্ক্যানার উদ্বোধন করেন। আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে আগত এবং বহিঃগমণকারী যাত্রীদের ব্যাগেজ চেকিং করার জন্য এই যন্ত্রটি স্থাপন করা হয়। ব্যাগেজ চেকিংয়ের পাশাপাশি কেউ মাদক কিংবা অবৈধ পণ্য বহন করছে কিনা সেটিও চিহ্নিত করা এর উদ্দেশ্য। কিন্তু উদ্বোধনের পর এক মাস পেরিয়ে গেলেও স্ক্যানার মেশিনে ব্যাগেজ চেকিং করা হয় না। স্ক্যানার বসানো কক্ষটি বেশির সময়ই থাকে তালাবদ্ধ। এতে এ চেকপোষ্ট দিয়ে পারাপার হওয়া যাত্রীদের ব্যাগেজ স্ক্যানিং কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। শুল্ক কর্মকর্তাদের ইচ্ছার উপরও নির্ভর করছে চেকিংয়ের কার্যক্রম। ফলে কেউ মাদক বা অবৈধ কোন পণ্য নিয়ে আসা যাওয়া করছে কিনা তা চিহ্নিত হয় না।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার পর্যটক আসা যাওয়া করে। এতদিন স্থল শুল্ক স্টেশনে ব্যাগেজ চেকিংয়ের কোন যন্ত্র না থাকায় শুল্ক কর্মকর্তারা যাত্রীদের ব্যাগেজ চেকিং করে আসছেন। সঠিকভাবে চেকিং কার্যক্রম করার লক্ষ্যে এক মাস আগে ব্যাগেজ স্ক্যানার মেশিন স্থাপন করা হয়। কিন্তু স্ক্যানার মেশিন উদ্বোধনের পরও এক মাস ধরে অজ্ঞাত কারণে ব্যাগেজ চেকিং কার্যক্রম করা হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্ক্যানার মেশিনের কক্ষটি তালাবদ্ধ। এক ঘন্টা অবস্থানকালে কোন যাত্রীর ব্যাগেজ স্ক্যান করতে দেখা যায় নি।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে আখাউড়া স্থল শুল্ক ষ্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ খান বলেন, স্ক্যানার কক্ষের রংয়ের কাজসহ কিছু কাজ এখনও শেষ হয়নি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিল্ডিংটি আমাদেরকে বুঝিয়ে দেয়নি। তবে স্ক্যানার মেশিন ঠিক আছে। আমরা মাঝে মধ্যে স্ক্যান করি। বিল্ডিংটি বুঝিয়ে দিলে আশা করি আগামী মাস থেকে পুরোপুরি স্ক্যানিং করতে পারব।
চলারপথে রিপোর্ট :
দিনাজপুরের পার্বতীপুর ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল দাদি-নাতনির। আজ ১৮ আগস্ট শনিবার বেলা ১১টার দিকে দিনাজপুর-পার্বতীপুর রেলওয়ে রুটে পার্বতীপুরের পুরাতন বাজার তিলাই নদীর রেল সেতুতে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন-চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের নশরতপুর গ্রামের রানীবন্দর মহিলা কলেজ পাড়ার আব্দুল মজিদ ওরফে বাবুর স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৬০) ও নাতনী মো. সাপিয়ার রহমানের মেয়ে সাথী (৭)।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দাদি মর্জিনা বেগম তার নাতনি সাথীকে নিয়ে পার্বতীপুর শহরের পুরাতন বাজার এলাকার নামাপাড়ায় মেয়ের বাড়িতে বিয়ের দাওয়াত খেতে যান। সকালে মর্জিনা বেগম তার নাতনি সাথীকে ট্রেন দেখাতে নিয়ে গিয়ে রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলেন। এসময় চারজন তিলাই নদীর রেল সেতু পার হওয়ার সময় দুইজন নদীতে লাফ দিয়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও দাদি ও নাতনি দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটির ধাক্কায় মারা যায়।
পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম নুরুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বান্দরবানের পাহাড়ে র্যাবের অভিযানে নব্য জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার ৯ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ সময় বিপুল পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ ১৩ মার্চ সোমবার দুপুর ১২টায় বান্দরবানের মেঘলাস্থ র্যাব কার্যালয়ে পার্শ্ববর্তী পার্বত্য জেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন।
এ সময় র্যাব-১১ এর কমান্ডার লে. কর্ণেল তানবির মাহমুদ পাশা, র্যাব কর্মকর্তা মশিউর উপস্থিত ছিলেন।
আটককৃতরা হলেন- নব্য জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার সদস্য কুমিল্লার দিদার হোসেন (২৫), নারায়ণগঞ্জের আল আমীন, ঢাকার কামরাঙ্গীচরের সাইনুন রায়হান, সিলেটের বিয়ানীবাজারের তাহিয়াদ চৌধুরী পাভেল (১৯), সিলেটের মো. লোকমান মিয়া (২৩), কুমিল্লা লাকসামের ইমরান হোসেন শান্ত (৩৫), ঝিনাইদহের মো. আমির হোসেন (২১), বরিশালের মো. আরিফুর রহমান ও ময়মনসিংহের শামিম মিয়া (২৪)।
এ সময় জঙ্গিদের আস্তানা থেকে ছয়টি বন্দুক, একটি পিস্তল, পিস্তলের গুলি, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, জঙ্গিদের ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, র্যাবের অভিযানে নব্য জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চলমান অভিযানে জঙ্গি সংগঠনের ৬৮ জন গ্রেফতার, সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত আরও ৭২ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও জঙ্গিদের পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণে সহযোগিতাকারী বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের ১৭ জন কেএনএফ সদস্যকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সরকারি কোষাগার থেকে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে বগুড়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার রায়ে উপজেলা হিসাব রক্ষক ও ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৪ জনকে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ ১০ জুলাই সোমবার বগুড়ার স্পেশাল জজ অম্লান কুমার জিষ্ণু তাদের বিরুদ্ধে এ রায় দেন। রায়ে একই সাথে আত্মসাৎ করা ১১ কোটি ৭৪ লাখ ৬১ হাজার ৮৬৩ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার সাবেক হিসাব রক্ষক খলিলুর রহমান, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড দুপচাঁচিয়া শাখার সাবেক ক্যাশ অফিসার আব্দুল বারী, আব্দুস সালাম ও ইউনুস আলী।
বগুড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, ভুয়া পেনশন হোল্ডার (পিপিও) তৈরি করে মাসিক ভাতা হিসেবে ওই টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এরপর মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট চার্জশিট জমা দেওয়া হয় আদালতে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং রায়ের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার রায়ে অর্থ আত্মসাৎ করায় প্রত্যেকের ১০ বছর করে জেল, প্রতারণার অভিযোগে তিনবছর জেল ও এক লাখ টাকা জরিমানা, আলামতের তথ্য গোপন করার অপরাধে দুই বছর করে জেল ও ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। বিভিন্ন অপরাধে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় মোট ১৫ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে আসামিদের আত্মসাৎকৃত ১১ কোটি ৭৪ লাখ ৬১ হাজার ৮৬৩ টাকা আগামী ৩ মাসের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
দুদকের সরকারি কৌশলী (পিপি) এস এম আবুল কালাম আজাদ আরো জানান, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পৃথক ধারায় মোট ১৫ বছর করে কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। মামলার বাদী ছিলেন বগুড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক সহকারি পরিচালক আমিনুল ইসলাম।