চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহাটে সুনামধন্য কিছু কোম্পানির নামের মোড়ক ব্যবহার করে খাবার স্যালাইন, শিশুদের খাবার, জুস, বিড়ি, গুলসহ বিভিন্ন ধরনের বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্য জব্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ৩ জুলাই সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার চিতলী-বৈটপুর বাজারে ব্যবসায়ী আলামিন শেখ বাবুর গোডাউনে অভিযান চালিয়ে এসব ভেজাল পণ্য জব্দ করা হয়। পরে স্থানীয়দের সামনে এসব পণ্য ধ্বংস করা হয়। এ সময় ব্যবসায়ী আলামিন শেখ বাবুকে দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং তার দোকানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। ব্যবসায়ী আলামিন শেখ বাবুকে একই অপরাধে এর আগেও একবার জরিমানা করা হয়েছিল।
অভিযানে র্যাব-৬ খুলনার কোম্পানি কমান্ডার মো. বদরুদ্দোজা, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান, বাগেরহাট জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তরফদারসহ পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, দেশের নামিদামি কোম্পানির মোড়কে বিভিন্ন নকল পণ্য উৎপাদন ও বিক্রির সংবাদ পেয়ে আলামিন শেখ বাবুর দোকানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের খবর পেয়ে দোকান ও গোডাউন মালিক বাবু পালিয়ে যায়। পরে দোকানে থাকা দুই কর্মচারীর তথ্য অনুযায়ী গোডাউন থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল ও নকল পণ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে ওরস্যালাইন, শিশুদের খাবার, জুস, মশলা, চানাচুর, বিড়ি, গুলসহ অন্তত ৫০ প্রকারের খাবার ছিল। আমরা খাবারগুলোকে ধ্বংস করেছি। পলাতক মালিক আলামিন শেখ বাবুকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
র্যাব-৬ খুলনার কোম্পানি কমান্ডার মো. বদরুদ্দোজা বলেন, ভেজাল ও নকল খাদ্যের বিরুদ্ধে র্যাবের এই ধরনের অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতেও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘শবে কদর’ কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত। আজ লাইলাতুল কদর। এটি একটি সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত। লাইলাতুল কদর সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় আমি কোরআন নাজিল করেছি লাইলাতুল কদরে।’ ‘লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ ‘এ রাতে ফেরেশতারা ও জিবরাইল তাদের প্রভুর অনুমতিক্রমে সব সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করেন। শান্তিময় এ রাত ফজরের সূচনা পর্যন্ত’। (সুরা কদর)।
এ রাত কোরআন নাজিলের রাত। মহত্ব ও গুরুত্বসহকারে মহান আল্লাহর ইবাদতের রাত। এ রাত হলো হাজার মাস তথা তিরাশি বছর চার মাসের চেয়ে উত্তম। ওই ব্যক্তির চেয়েও ভাগ্যবান আর কে হতে পারে, যে এ রাতে নির্ঘুম থেকে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার সুযোগ পেয়েছে। এ পবিত্র রাতে ফেরেশতারা পৃথিবীতে আসে মানবজাতির জন্য বরকত, রহমত ও কল্যাণ নিয়ে।
সূর্যাস্তের পরপরই এ রাতে মহান আল্লাহ তার আরশ থেকে প্রথম আকাশে নেমে আসেন। মায়া আর দয়া নিয়ে, প্রেম ও ভালোবাসা দিয়ে মানবজাতিকে ডাকেন আর বলেন, ‘কে আছ পাপী! তুমি ক্ষমা চাও, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব। কে আছ দুঃখী! আমি তোমার দুঃখ মোচন করব। কে আছ রোগী! আমি তোমাকে সুস্থ করে দেব। কে আছ দায়গ্রস্ত! আমি তোমাকে দায়মুক্ত করে দেব। তোমাদের কার রিজিকের প্রয়োজন! আমার কাছে চাও, আমি তার রিজিক বৃদ্ধি করব।’ মহান আল্লাহ এভাবে ফজর পর্যন্ত ডাকতে থাকেন। যারা তার ডাকে সাড়া দিয়ে প্রার্থনায় লিপ্ত হয়, তারা কল্যাণকামী হয়। সৌভাগ্যবান হয়।
শবে কদরের রাতে কুরআন নাজিল সম্পর্কে আল্লাহতাআলা বলেন, ‘রমজান মাস! যে মাসে কুরআন নাজিল হয়েছে মানবের দিশারি রূপে ও হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শন। (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৫)। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আরও বলেন, ‘উজ্জ্বল কিতাবের শপথ! নিশ্চয় আমি তা নাজিল করেছি এক বরকতময় রাতে; নিশ্চয় আমি ছিলাম সতর্ককারী, যাতে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ধারিত হয়। এ নির্দেশ আমার তরফ থেকে, নিশ্চয় আমিই দূত পাঠিয়ে থাকি। এ হলো আপনার প্রভুর দয়া, নিশ্চয় তিনি সব শোনেন ও সব জানেন। তিনি নভোমণ্ডল-ভূমণ্ডল ও এ উভয়ের মাঝে যা আছে সে সবের রব। যদি তোমরা নিশ্চিত বিশ্বাস করো; তিনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তিনি জীবন ও মৃত্যু দেন, তিনিই তোমাদের পরওয়ারদিগার আর তোমাদের পূর্বপুরুষদেরও। তবু তারা সংশয়ে রঙ্গ করে। তবে অপেক্ষা করো সে দিনের, যেদিন আকাশ সুস্পষ্টভাবে ধূম্রাচ্ছন্ন হবে। (সুরা-৪৪ দুখান, আয়াত: ১-১০)।
শবে কদর ও কোরআন অবতরণ এবং এই রাতের ফজিলত সম্পর্কে দয়াময় আল্লাহ কোরআনে ‘সুরা কদর’ নামে একটি স্বতন্ত্র সুরা নাজিল করেছেন। তাতে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি মর্যাদাপূর্ণ কদর রজনীতে। আপনি কি জানেন, মহিমাময় কদর রজনী কী? মহিমান্বিত কদর রজনী হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। সে রাতে ফেরেশতাগণ হজরত জিবরাইল (আ.) সমভিব্যাহারে অবতরণ করেন; তাঁদের প্রভু মহান আল্লাহর নির্দেশ ও অনুমতিক্রমে, সকল বিষয়ে শান্তির বার্তা নিয়ে। এই শান্তির ধারা চলতে থাকে ঊষার উদয় পর্যন্ত। (সুরা-৯৭ কদর, আয়াত: ১-৫)।
শবে কদরের রাতের ফজিলত সম্পর্কে বলা হয়েছে, এ রাত গুনাহ মাফের রাত। হাদিসে এসেছে- ‘যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ঈমান সহকারে ও আল্লাহর কাছ থেকে বড় শুভফল লাভের আশায় ইবাদতের জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে, তার পেছনের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে’ (বুখারি ও মুসলিম)। এ রাতের কল্যাণ থেকে একমাত্র হতভাগ্য লোক ছাড়া আর কেউ বঞ্চিত হয় না (ইবনে মাজাহ ও মিশকাত)।
কিয়ামুল লাইল: ‘কিয়ামুল লাইল’ অর্থ হলো রাত্রি জাগরণ। মহান আল্লাহর জন্য আরামের ঘুম স্বেচ্ছায় হারাম করে রাত জেগে ইবাদত করা আল্লাহর প্রিয় বান্দাহদের একটি গুণ। মহান আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাহদের পরিচয় দিয়েছেন এভাবে- ‘তারা রাত্রি যাপন করে রবের উদ্দেশে সিজদাবনত হয়েও দাঁড়িয়ে থেকে’ (সুরা ফুরকান : ৬৪)।
‘তাদের পার্শ্বদেশ বিছানা থেকে পৃথক থাকে (অর্থাৎ তারা শয্যা গ্রহণ করে না; বরং এবাদতে মশগুল থাকে)। তারা গজবের ভয়ে এবং রহমতের আশায় তাদের রবকে ডাকতে থাকে এবং আমি যা দিয়েছি তা থেকে দান করে থাকে। কেউ জানে না। তাদের আমালের পুরস্কারস্বরূপ (আখিরাতে) তাদের জন্য কী জিনিস গোপনে রাখা হয়েছে’ (সুরা সিজদা : ১৬-১৭)। নবীজি (সা.) একদিন সাহাবায়ে কেরামদের (রা.) সামনে বনি ইসরাইলের এক উপাসকের কথা বলছিলেন। সে ব্যক্তি এক হাজার মাস ধরে আল্লাহর ধ্যান ও সাধনায় লিপ্ত ছিল। এ কথা শুনে সাহাবায়ে কেরাম (রা.) আফসোস করতে লাগলেন আর বললেন, আমরা এত বছর ইবাদত করব কীভাবে? তাছাড়া আমাদের অনেকে তো এত বছর বেঁচেও থাকি না। ঠিক তখনই জিবরাইল (আ.) এ রাতের সুসংবাদসহ সুরা কদর নিয়ে নবীজির (সা.) কাছে হাজির হলেন এবং এ উম্মতকে শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে প্রমাণ করে দিলেন। (তাফসিরে মাজহারি)।
নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমরা মাহে রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো।’ (বুখারি)। এ রাত হলো জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার রাত। হজরত আয়েশা (রা.) একবার রাসুল (সা.)কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি লাইলাতুল কদর সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে আমি ওই রাতে কী দোয়া করব? তখন নবীজি (সা.) বললেন, তুমি এ দোয়াটি করবে- ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফউন; তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’ফু আন্নি’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি তো ক্ষমাশীল! ক্ষমাকে তুমি ভালোবাস। অতএব, আমাকে তুমি ক্ষমা কর।
নবীজির (সা.) সময় অনেক সাহাবী (রা.) রমজানের ২৭ তারিখকে লাইলাতুল কদর হিসেবে স্বপ্ন দেখেছেন। সাহাবীরা (রা.) নবীজিকে (সা.) স্বপ্নের কথা জানালে নবীজি (সা.) বলেন, আমিও এমনটা স্বপ্নে দেখেছি। হজরত উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, ‘মহান আল্লাহর শপথ করে বলছি-নবীজি (সা.) ২৭ রমজানের রাতকে লাইলাতুল কদরের রাত বলেছেন।’ অন্য হাদিসে রয়েছে, নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যদি দুর্বল অথবা কোনো কারণে অক্ষম হয়ে থাকে, সে যেন রমজানের ২৭ তারিখ রাতে ইবাদত করে।’ (মুসলিম)। আরেক হাদিসে এসেছে-নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদর পেতে চায়, সে যেন তা রমজানের সাতাশতম রাতে অনুসন্ধান করে। (মুসনাদে আহমদ)।
চলারপথে ডেস্ক :
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর নবনির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুনের ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, আপনাদের শক্তি দিয়ে আমি দেখিয়েছি, যতদিন থাকব আমার জীবন এবং আমার বাড়িঘর সব আপনাদের। আমার মালিকানা কিছু লাগবে না। সবকিছুর মালিক আপনারা। যেকোন সময় যেকোনো মুহুর্তে আমার এবং আমার মা’র ঘরের দরজা খোলা থাকবে ২৪ ঘণ্টা। সে হিসেবে আপনারাই আমার সবচেয়ে আপনজন।
শহরের মালিক যে জনগণ এটা আপনাদের ভোটে বিজয়ের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে। নির্বাচনে আপনাদের জয় হয়েছে, আর যারা অপরাধী তারা অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সে হিসেবে তাদের আর কিছু বলার নেই। কেউ আঘাত করলে তাকে পাল্টা আঘাত করতে হয় না।
২৬ মে শুক্রবার দুপুরে মহানগরের ছয়দানা এলাকার তাঁর বাড়িতে ভিড় জমান উৎসুক জনতা। এসময় উৎসুক জনতা ও নেতা-কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার মা মানে আপনাদের মা। আমার বাড়িঘর আপনাদের সবার জন্য উন্মুক্ত। যেকোনো সময়, যেকোনো প্রয়োজনে আপনারা আসবেন। আমার মা এবং আমি মিলে আপনাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করব। সবার জন্য এ শহর। আমরা কারও সঙ্গে দ্বন্দ্ব চাই না। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই।’ শহরের মালিক যে জনগণ এটা আপনাদের ভোটে বিজয়ের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে। নির্বাচনে আপনাদের জয় হয়েছে, আর যারা অপরাধী তারা অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সে হিসেবে তাদের আর কিছু বলার নেই। কেউ আঘাত করলে তাকে পাল্টা আঘাত করতে হয় না।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শহরের মালিক যে জনগণ এটা আপনাদের ভোটের বিজয়ের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী থেকে শুরু করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলব, সবার পারিবারিক একটা মর্যাদা আছে। সবাই যেন সবাইকে সহযোগিতা করে। এ শহরের মানুষ যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দিবে। আপনারা (কর্মী-সমর্থক) দুঃসময়ে আমার পাশে ছিলেন। আল্লাহর পরে এ দুঃসময়ে আপনারা আমার এবং আমার মা জায়েদা খাতুনের পাশে ছিলেন। আমি এবং আমার মায়ের কাজ দিয়ে এই শহরকে আপনাদের সহযোগিতায় চালাব।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনা করছেন। উনি আমাদের অভিভাবক, উনাকে সহযোগিতা করব। আমাদের নেতাকর্মীদের যারা হয়রানি করছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা বন্ধ করতে হবে। কাউকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা যাবে না। কারণ যারা শহরের মেয়র বানাতে পারে, তারা এই সমাজে সবকিছু প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। পেশিশক্তি দিয়ে মানুষের মন জয় করা যায় না। ওয়ার্ড, থানা ও মহানগরের সবাইকে নিয়েই পঞ্চায়েত সিস্টেম করে শাসন ব্যবস্থা এবং সিটির কাজগুলো করা হবে।
এরআগে শুক্রবার সকালে সদ্য বিজয়ী মেয়র জায়েদা খাতুন এবং তার ছেলে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে শুভেচ্ছা জানাতে ছয়দানা এলাকার বাসায় নগরবাসী ও কর্মী-সমর্থকরা ভিড় জমায়। সকাল থেকেই শত শত এলাকাবাসী আনন্দ মিছিল এবং ফুল ও মিষ্টি নিয়ে তাদের বাসায় যায়। সেখানে গিয়ে তারা থেমে থেমে মিছিল করতে থাকে, এক পর্যায়ে তাদের মিছিলের শব্দ পেয়ে জাহাঙ্গীর আলম বাসা থেকে নিচে নেমে আসেন এবং তাদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন। পরে সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মী এবং সাাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন।
তিনি তাদের বলেন, আমি আপনাদের ঋণ শোধ করতে পারবো না। আজ আমাদেরকে শুভেচ্ছা জানাতে আমার বাসায় এসেছেন। আমিও সিদ্ধান্ত নিয়েছি শনিবার কিংবা রোববার আমি আপনাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জানাবো।
অনলাইন ডেস্ক :
নতুন সরকার গঠনের পর প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১৫ জানুয়ারি সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নতুন সরকারের প্রথম আনুষ্ঠানিক মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।
বৈঠকের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী তার তরফ থেকে মন্ত্রীদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টির ওপর উনি (প্রধানমন্ত্রী) জোর দিয়েছেন তা হলো মুদ্রাস্ফীতি এবং দ্রব্যমূল্য। মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। বিশেষত, আগামী রমজানে যেন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রমজানে যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে, সেগুলোর সরবরাহ পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনী যে ইশতেহার দেওয়া হয়েছিল, সে মোতাবেক সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইশতেহারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিষয়গুলোকে ভিত্তি করে যেন কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয় এবং সেই কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারপ্রধান কৃষি উৎপাদনের কথা বলেছেন জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, কৃষি উৎপাদন যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলেছেন। কৃষিপণ্য সংরক্ষণে আরও সংরক্ষণাগার তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট জনগণ। এই চারটি স্তম্ভকে ভিত্তি করে যে মন্ত্রণালয় যে অংশের সঙ্গে জড়িত সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা নিয়ে বাস্তবায়ন করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
‘যেসব প্রকল্প শেষ পর্যায়ে আছে, সেগুলো দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যে প্রকল্প থেকে জনগণ সরাসরি উপকার পাবে সেগুলো দ্রুত নিতে বলেছেন। নতুন প্রকল্প নেওয়ার আগে সেটি কীভাবে জনগণের কল্যাণে লাগবে, তা খুব ভালোভাবে পরীক্ষা করতে বলছেন। সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির কথা বলেছেন। জানিয়ে দিয়েছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথাও। সব মন্ত্রণালয়কে একই নীতি অনুসরণ করতেও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, সামাজিক নিরাপত্তার কর্মসূচি যেগুলো আছে সেগুলো যেন প্রকৃত উপকারভোগীরা পায়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী সরকারি শূন্য পদ পূরণের নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, নারী উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে সাফল্যের যে ধারা তৈরি হয়েছে, সেটি যেন কোনো অবস্থাতেই ব্যাহত না হয় সেদিকে নজর দিতে বলেছেন।
‘রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং নতুন বাজার অনুসন্ধান করে সেখানে প্রবেশে কীভাবে সহায়তা করা যায় সে বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছেন। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং কৃষিজাত পণ্য; গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশে যেভাবে সহায়তা দেওয়া হয়েছিল- এই তিনটি ক্ষেত্রেও যেন বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সে নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
প্রধানমন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর (আইসিটি) শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিতে বলেছেন জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, সেটি যেন কর্মমুখী হয়। ফিল্যান্সিং যেন আরও বাড়তে পারে, সেই নির্দেশনা দিয়েছেন। যুব সমাজকে খেলাধুলা ও সংস্কৃতিচর্চার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি নিতে বলেছেন, যেন তারা মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ থেকে বিরত থাকতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতা সমন্বিতভাবে মোকাবিলা করার নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য সংক্রান্ত বিষয়ে মানুষের যে কষ্ট হচ্ছে, সেটি লাঘবের জন্য তিনি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না- এ প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজ মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক হলো। সেখানে প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। দেখেন কাল থেকে কী হয়, কাল থেকে নিশ্চয়ই কার্যক্রম দেখবেন, আমি আশা করছি।
দুর্নীতি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট করে কী বলেছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করতে বলেছেন। সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বলেছেন।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন আরএমজিকে (তৈরি পোশাকশিল্পে) আমরা বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিয়েছিলাম বলেই এ খাতে এত ভালো করেছি। চামড়া ও পাট এ দুটি কাঁচামাল আমাদের দেশেই হয়। এ দুটিকেও গার্মেন্টসের মতো সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য উনি বলেছেন। যেন এই তিনটি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারে আমরা সাফল্য অর্জন করতে পারি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের রীতি হচ্ছে- প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠক যখন হয় তিনি (প্রধানমন্ত্রী) তখন তার কলিগদের অফিসিয়ালি একত্রে পান। তিনি তখন তার পক্ষ থেকে একটি প্রারম্ভিক বক্তব্য দেন। যেহেতু প্রথম মিটিং সে উপলক্ষে তিনি তার তরফ থেকে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে তিনি যে বিষয়গুলোতে জোর দিয়েছেন সেগুলো আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
বগুড়ার নন্দীগ্রামের ইজিবাইক চালক মুকুল হোসেন হত্যার ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা ও নন্দীগ্রাম থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে শনিবার রাতে শেরপুর ও নাটোর থেকে তাদের গ্রেফতার ও ছিনতাইকৃত ইজিবাইকটি উদ্ধার করে। নিহত মুকুল হোসেন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খাদাস উলাল পাড়ার মৃত দুদু মন্ডলের ছেলে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বগুড়ার শেরপুর উপজেলার টুনিপাড়া এলাকার জাবেদ আলীর ছেলে এমদাদুল হক মিলন, নাটোরের সিংড়া উপজেলার সাতারদিঘী এলাকার মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন প্রামানিক, গুরুদাসপুর উপজেলার পশ্চিম ধানুয়া মধ্যপাড়ার তোসির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জলিল সবুজ, একই এলাকার মৃত রমজান আলীর ছেলে সুবহান, রাজশাহীর চারঘাটের উত্তর রায়পুর এলাকার শাহাদতের ছেলে ঝন্টু ওরফে বেলাল ও একই এলাকার ইসারুলের ছেলে নাজিরুল ইসলাম।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ স্নিগ্ধ আক্তার জানান, গত ১৬ সেপ্টেম্বর নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের একটি জমি থেকে ইজিবাইক চালক মুকুল হোসেনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই সময় লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরে আত্মীয়-স্বজন তার লাশ দেখে শনাক্ত করে। এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মুকুল হোসেন ইজিবাইকসহ নিখোঁজ হন। পরে এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোছাঃ মরিয়ম বাদী হয়ে নন্দীগ্রাম থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তারপর থেকে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদেন্তর এক পর্যায়ে গত শনিবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার ও ছিনতাই করা ইজিবাইকটি উদ্ধার করে।
অনলাইন ডেস্ক :
লটারিতে প্রথম ধাপে স্কুলে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের আগামী ৫ দিনের মধ্যে ভর্তি সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। ২৯ নভেম্বর বুধবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে।
আজ ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার মাউশির উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) ও ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, ডিজিটাল লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফলাফল শিট (অপেক্ষমাণ তালিকাসহ) এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলাফল শিটের প্রথম তালিকা অনুযায়ী- আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে। এরপর আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি শুরু করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, প্রথম তালিকা থেকে ভর্তির পরবর্তী ৪ কর্মদিবস প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি করা হবে। তারপরের তিনদিনে দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমিক নম্বর অনুসারে ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে।
শিক্ষার্থী যাচাই যেভাবে
কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারির আওতাভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের https://gsa.teletalk.com.bd লিংকে প্রবেশ করে প্রতিষ্ঠানের User ID ও Password দিয়ে Login করে ডাউনলোড অপশনে Click করতে হবে। এরপর ওই প্রতিষ্ঠানে কারা আবেদন করেছিল, সেই তালিকা পাওয়া যাবে।
ডিজিটাল লটারিতে তার প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত প্রথম তালিকা এবং প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকার শিক্ষার্থীদের আবেদন সংক্রান্ত তথ্য এ লিংক থেকে যাচাই করতে পারবেন। লিংকে তথ্যাদি টাইপ করে Submit করলে আবেদনকারী কতবার আবেদন করেছে, তাও জানা যাবে।
এক্ষেত্রে কোনো আবেদনকারী তথ্য পরিবর্তন করে একাধিকবার আবেদন করে থাকলে ডিজিটাল লটারিতে তার ভর্তির নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ডে নির্বাচিতদের তালিকা প্রদর্শন করবেন।
ভর্তির জন্য যেসব কাগজপত্র লাগবে
নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাইকালীন শিক্ষার্থীর জন্মসনদের মূল কপি, জন্মসনদের অনলাইন কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করতে হবে)। পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) মূল কপি ভালো করে দেখতে হবে।
যেসব কারণে বাদ পড়বেন নির্বাচিতরা
ভর্তির সময়ে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করার নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) তাকে ভর্তি করা যাবে না।
কোটার ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম প্রযোজ্য
শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বশেষ জারি করা ভর্তি নীতিমালায় যেসব কোটা সংরক্ষিত রয়েছে, ভর্তির সময়ে ওইসব কোটায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কোটা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে। শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছাড়া অন্য কোটায় শূন্য আসন পূরণ না হলে সাধারণ নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অপক্ষেমাণ তালিকার ক্রমানুসারে শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। কোনোভাবেই আসন শূন্য রাখা যাবে না।
মাউশির নির্দেশনা অনুসরণ না করে বিধিবহির্ভূতভাবে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলে এবং পরে তা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে দায়ী থাকবেন বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।
আজ ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বোতাম টিপে লটারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এরপর শুরু হয় দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে লটারি। ফলাফল প্রস্তুত করা হয় সম্পূর্ণ সফটওয়্যারের মাধ্যমে। এদিন দুপুর ২টার দিকে লটারির ফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।
লটারির ফলাফল ই-মেইলে স্কুলপ্রধানদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে মাউশি। আর শিক্ষার্থীরা কে, কোন স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে- সেটা আবেদনের সময় তাদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে মনোনীত সবাই এসএমএস পাবে।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, দেশের ৬৫৮টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শূন্য আসন ছিল এক লাখ ১৮ হাজার ১০১টি। বিপরীতে আবেদন করেছিল ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১৩ জন। তাদের মধ্যে প্রথম দফায় এক লাখ ৩৯ জনকে ভর্তির জন্য মনোনীত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫৩ হাজার ১১ জন ছাত্র ও ৪৭ হাজার ২৬ জন ছাত্রী। তৃতীয় লিঙ্গের রয়েছে দুজন।
অন্যদিকে বেসরকারি মাধ্যমিকে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ৪৮৯ জন শিক্ষার্থী। দেশের মহানগর ও জেলা সদর পর্যায়ের ৩ হাজার ১৮৮টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে তারা ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে শূন্য আসন রয়েছে ১০ লাখ ৩ হাজার ৯৯৩টি।
মাউশির মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন বলেন, ‘ডিজিটাল লটারিতে তিন ধাপে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের পর্যায়ক্রমে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।’
তিনি জানান, দুটি অপেক্ষমাণ তালিকায় ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৩ শিক্ষার্থীকে নির্বাচন করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকায় সরকারি স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৮০ হাজার ৪৭৯ জন শিক্ষার্থী। বেসরকারি স্কুলে সুযোগ পেয়েছে ৯৬ হাজার ২১৮ জন। দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকায় সরকারি স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৫৭ হাজার ৭৭৪ জন। বেসরকারি স্কুলে সুযোগ পেয়েছে ৬৪ হাজার ৬১২ শিক্ষার্থী।