অনলাইন ডেস্ক :
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে রুনা লায়লা নামের এক হাজতিকে নির্যাতনের অভিযোগে যুব মহিলা লীগের সাবেক নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়াকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে পাঁচ টার দিকে তাকে একটি প্রিজন ভ্যানে করে পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেন কারাগারের জেল সুপার মো. ওবায়দুর রহমান।
এক কারা কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, পাপিয়া গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে প্রায় ৪০ মাস ধরে বন্দি ছিলেন। ২৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে জেল বিধি অনুযায়ী পাপিয়াকে ‘রাইটার’ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তিনি রুনা লায়লা নামে এক হাজতিকে সম্প্রতি নির্যাতন করে তার কাছ থেকে টাকা পয়সা লুট করে নেয়, এমন অভিযোগে রুনার ছোট ভাই জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন। পরে গঠন করা হয়েছে দুটি তদন্ত কমিটি। তার প্রেক্ষিতে সোমবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে একটি প্রিজন ভ্যানে করে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানে হয়েছে।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের (ভারপ্রাপ্ত) জেল সুপার মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পাপিয়ার হামলায় আহত রুনা কাতরাচ্ছেন হাসপাতালের বেডে।
গাজীপুরে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবন্দি বহিষ্কৃত মহিলা যুবলীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার মারধর ও নির্যাতনের শিকার রুনা লায়লা গুরুতর অবস্থায় এখনো গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ৭০৭ নাম্বার কক্ষে ভর্তি আছেন। হাসপাতালের বিছানায় রুনাকে কাতরাতে দেখা গেছে।
কারাগারের মারধরের শিকার হওয়ার পর থেকে রুনা অসংলগ্নভাবে কথা-বার্তা বলছেন। ২ জুলাই রবিবার বিকেলে রুনার বোন রওশন আরা বিষিয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে তার বোনের অবস্থা এখনো খুব একটা ভালো মনে হচ্ছে না।
রুনা লায়লা গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কড়িহাতা গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে। ওই ঘটনায় জেলা প্রশাসক বরাবর তার ভাই আব্দুল করিম অভিযোগ করেন।
ওই হাসপাতালের বেডে শুয়ে রুনা সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার (১৭ জুন) ভোর ৫ টায় মাইকিং করে আমাকে কারাগারের বিচার বৈঠকে যেতে বলে। সকাল ৯টায় বিচার বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি ময়লা পরিষ্কার করতে যাই। বিকেল ৪টায় থালা-বাসন পরিষ্কার করি। বিকেলে আমাকে আমার কক্ষ থেকে বদলি করে পাপিয়ার অধিনে ৪০১ নম্বর কক্ষে দেওয়া হয়।
তিনি আরো জানান, পরদিন রবিবার ভোর ৫টায় সোনালী নামে একজন মাইকিং করে তাকে বিচার বৈঠকে আসতে বলে। তিনি সেখানে যাওয়ার পর আবার ওপরে উঠেন টয়লেটে যাওয়ার জন্য, এরপর তার নামতে দেরি হয়। এটাই ছিল আমার অপরাধ। সকাল ৭টার দিকে ফাতেমা নামে একজন আমাকে ডেকে নেয়। ফাতেমা লাঠি দিয়ে আমাকে আঘাত করে। আমি আত্মরক্ষার্থে হাতের লাঠি ফেরানোর চেষ্টা করি। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। আরও মারধর শুরু করে। কিছুক্ষণ পড়ে একটা হাতুড়ি নিয়ে এসে আমাকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে আমি পড়ে যাই। পড়ে যাওয়ার পর লাথি মারে। এসময় হঠাৎ ছালমা এসে হাজির হয়। ছালমা এসে আমার পরনের কমলা রঙ্গের জামাটা ছিড়ে ফেলে। এমন অবস্থায় আমি পালানোর চেষ্টা করি। পালাতে গিয়ে পড়ে যাই। আমাকে ওরা ধরে নিয়ে আসে। নাজমা ও মিনা নামে দুজন গিয়ে আমাকে হাতকড়া পড়তে বলেন। আমি ভয় পেয়ে হাতকড়া পড়তে চাই না। আমাকে জোর করে হাতকড়া পড়ায়। হাতকড়া পড়িয়ে আমাকে একটা নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে। আবার আমাকে বিচার বৈঠকে নিয়ে আসে। সেখানে দুদিকে ২ হাত উপরে তুলে লোহাড় শিকল দিয়ে বেঁধে দেয়। পাপিয়া এসে পায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। তখন কারাগারের সবাই আমাকে উঁকি দিয়ে দেখে। আমি আমার শরীর ঢাকতে চেষ্টা করি। পাপিয়ার পিটানিতে আমি প্রস্রাব-পায়খানা আটকাতে পারিনি। আমি তখন পানি চাই। বার বার পানি পানি করে কাঁদতে থাকি। আমাকে ময়লা পানি খাওয়ার কথা বলে। আমাকে পানি দেওয়া হয়নি। আমার মাথায় পানি ঢেলে দেওয়া হয়।
রুনা লায়লা বলেন, একটা সময় পাপিয়ার আঘাতে আমি মাটিতে পড়ে যায়। মুনিয়া নামে একজন আমাকে আমার জামা পরিবর্তনের কথা বলে ময়লা স্তুপের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে। ওইখানে ঘণ্টা খানেক মারধর করলে আমি আর কিছু বলতে পারি না। চেতনা ফিরে পেলে আমাকে ওরা গাছে টানায়। ওড়না দিয়ে গাছে টানিয়ে রাখে। আমি খুব অসুস্থ বোধ করি। সন্ধ্যায় জেল সুপার ওবায়দুর আমার হাতকড়া খুলে দেয়।
রুনা লায়লার ভাই আব্দুল করিম বলেন, এ ঘটনায় গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি’র) কাছে নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করেছি। পরে গঠন করা হয়েছে দুটি তদন্ত কমিটি।
গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক শামসুল হুদা বলেন, রোগীর শরীরে রক্ত শূন্যতা দেখা গেছে। বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর রিপোর্ট আসেনি। রিপোর্টগুলো আসার পর রোগীর প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (ভারপ্রাপ্ত) ওবায়দুর রহমান বলেন, ওই নারী গোপনে ৭ হাজার ৪০০ টাকা নিয়ে কারাগারে আসেন। বিষয়টি পরদিন তদন্ত করে পাওয়া যায়। টাকার বিষয়ে কারাগারের হাবিলদার ফাতেমা বেগম জানতে চাইলে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন রুনা।
জেল সুপার (ভারপ্রাপ্ত) ওবায়দুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন দুইটি তদন্ত কমিটি গঠণ করেছে। এছাড়া এ ব্যাপারে ২৬ জুন জেলার ফারহানা আক্তার, ডেপুটি জেলার জান্নাতুল তায়েবা এবং মেট্রোনকে শো’কজ করা হয়েছে। তবে এখনও কারো জবাব পাওয়া যায়নি।
অনলাইন ডেস্ক :
আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সবসময় দেশের জনগণের কথা চিন্তা করতে হবে এবং জনবান্ধব আইন প্রণয়ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এম.পি। তাহলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও উদ্দেশ্য উভয়ই বাস্তবায়ন হবে বলেও জানান তিনি। আনিসুল হক বলেন, কারও চোখের দিকে তাকিয়ে কিংবা কারও ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষা করে ভালো আইন তৈরি করা যায় না।
আজ ৫ মে রবিবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ২০২৪-২৫ এর খসড়া চূড়ান্তকরণ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মানসম্পন্ন আইন প্রণয়নে দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, লেজিসলেটিভ কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতে দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি লেজিসলেটিভ ক্যাডার সার্ভিস গঠনের বিষয়েও কাজ করতে হবে।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কর্মকর্তাদের আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘লজ অব বাংলাদেশ’ লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের খুবই জনবান্ধব একটি কাজ। এর মাধ্যমে জনগণ মুহূর্তেই বাংলাদেশে প্রচলিত সকল আইন দেখে নিতে পারেন। এখন ‘লজ অব বাংলাদেশ’ এর আলোকে ১৯৭২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে জারিকৃত সকল এসআরও ও অন্যান্য বিধি-বিধানের সংকলনে অনলাইন ভিত্তিক ‘রুলস অব বাংলাদেশ’ তৈরি করা গেলে জনগণ খুবই উপকৃত হবে। এটি খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করতে হবে।
লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে উভয় বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা, অভাবনীয় উন্নয়নের রূপকার, সন্ত্রাস-মৌলবাদ সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী লড়াই সংগ্রামের আপোষহীন যোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান হয়।
আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সহ-সভাপতি বিশ্বজিত পাল বাবু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, কোষাধ্যক্ষ আজিজুল আলম সঞ্চয় ও কার্যকরী সদস্য মজিবুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
নাইজেরিয়ার নাগরিক চার্লস ইফেন্ডে উদজুয় ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশে আসেন ২০১৯ সালে। কিছুদিন পর একটি মাদক মামলায় তার পাসপোর্ট জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর পলাতক অবস্থায় কাপড় কিনে নাইজেরিয়ায় রপ্তানি করে আসছিলেন তিনি। ব্যবসার আড়ালে একটি প্রতারক চক্র গড়ে তোলেন। ২০২১ সালে ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশে এসে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করা নাইজেরিয়ার আরেক নাগরিক ফ্র্যাংক কোকো ওবিরক্স ছিলেন তার প্রধান সহযোগী।
ওই দুই নাইজেরীয়সহ এ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বুধবার রাজধানীর বাড্ডা, বসুন্ধরা আবাসিক ও কদমতলীর শামীমবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আজ ২৫ মে বৃহস্পতিবার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নিজেদের একটি উন্নত দেশের ধনী ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ী ও উচ্চবিত্তদের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়াত চক্রটি। এরপর ভুক্তভোগীর অনিচ্ছা সত্ত্বেও সম্পর্ক গভীর করতে নাটক সাজাত তারা। পরে তারাই কাস্টমস কর্মকর্তা সেজে ভুক্তভোগীকে ফোন করে পার্সেল গ্রহণের জন্য ধাপে ধাপে টাকা নিয়ে আত্মগোপন করত।
তিনি আরো জানান, গত ১৭ মে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে এক নারীর ঠিকানায় একটি পার্সেল পাঠায় চক্রটি। পরদিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাস্টমস কর্মকর্তা পরিচয়ে এক নারী জানায়, তার নামে একটি মূল্যবান পার্সেল বিমানবন্দরে এসেছে। পার্সেল ডেলিভারি করতে কাস্টমস চার্জ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে। এরপর ওই নারীর কাছ থেকে তিন ধাপে ৭৩ হাজার ৩২০ টাকা নেয় চক্রটি। পরে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে ওই নারী থানায় অভিযোগ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাটোরের বড়াইগ্রামে পরকীয়া প্রেমের জেরে প্রেমিককে হত্যা করে লাশ ১০ ফুট মাটির নিচে পুঁতে রেখেছিলো প্রেমিকা। পরে মোবাইল ফোন লোকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে র্যাব ও পুলিশ মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করে প্রেমিকের লাশ।
আজ ১১ আগস্ট শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার জলন্দা গ্রামের প্রেমিকা হোসনে আরা বেগমের বাড়ির টিউবওয়েল এর পাশে ১০ ফুট গভীরের মাটি সরিয়ে উদ্ধার করা হয় প্রেমিক শাহিন শাহ (৪৫ ) এর মৃতদেহ। এ ঘটনায় হোসনে আরা বেগমকে (৪০) আটক করে পুলিশ। শাহিন শাহ নাটোর সদর উপজেলার কাপুড়িয়া ইউনিয়নের দস্তানাবাদ গ্রামের মোজাহার শাহের ছেলে। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী সহকারী।
জানা যায়, স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে ৩ সন্তানের জননী হোসনেআরার সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে শাহিন শাহ। গত ৬ মাস ধরে এ সস্পর্ক চলছিলো। কিন্তু গত ৯ আগস্ট রাতের কোন এক সময় হত্যা করা হয় প্রেমিক শাহিন শাহকে। পরে লাশ টিউবওয়েলের পাশে ১০ ফুট গর্ত করে পুঁতে রাখা হয়। এদিকে শাহিন শাহের কোন খোঁজ না পাওয়ায় নাটোর সদর থানা ও র্যাব-৫ কার্যালয়ে এজাহার দায়ের করে তার পরিবারের লোকজন। পরে মোবাইল ফোন লোকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে র্যাব এর সদস্যরা হোসনেআরার বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে সে। পরে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে র্যাব ও পুলিশ।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, ঘাতক ওই নারীকে আটক করা হয়েছে। একই সাথে ওই নারীকে হত্যার কাজে সহযোগিতাকারী আরও দুইজনকে আটক করার জন্য পুলিশ অভিযানে নেমেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ২৪ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১ জনকে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) পদে বদলি করা হয়। অন্যদের পুলিশের অন্যান্য বিভাগে পদায়ন করা হয়েছে। আজ ১৭ জুলাই সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ বিষয়ে আলাদা দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
পুলিশ সুপার পদে বদলি: সিনিয়র সহকারী সচিব মাহাবুর রহমান শেখ সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী- ঢাকার বিশেষ শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার আজিম-উল-আহসানকে ঝিনাইদহ, ঢাকা পুলিশ অধিদপ্তরের এআইজি মনজুর রহমানকে মৌলভীবাজার, ঢাকা টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীনকে বান্দরবান, বান্দরবান পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলামকে নাটোর, নাটোর পুলিশ সুপার সাইফুর রহমানকে রাজশাহী, অপরাধ তদন্ত বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধরকে খাগড়াছড়ি, ঢাকা মেটোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার উত্তম প্রসাদ পাঠককে ঠাকুরগাঁও, ঢাকার বিশেষ শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার জি এম আব্দুল কালাম আজাদকে রাজবাড়ী, ঢাকা মেটোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আবুল হাসনাত খানকে বাগেরহাট, ঢাকা মেটোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার তারেক বিন রশিদকে লক্ষ্মীপুর এবং শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামানকে জামালপুরে পুলিশ সুপার পদে বদলি করা হয়েছে।
অন্যান্য বিভাগে বদলি: একই কর্মকর্তার অপর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার আশিকুর রহমানকে ঢাকার বিশেষ শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার, মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়াকে হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার, রাজশাহী পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেনকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার নাইমুল হককে ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার, ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনকে অপরাধ তদন্ত বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার, রাজবাড়ী পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামানকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার, জামালপুর পুলিশ সুপার নাছির আহমেদকে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের পুলিশ সুপার, বাগেরহাটের পুলিশ কে এম আরিফুল হককে রাজশাহী মহানগরের উপপুলিশ কমিশনার, লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পুলিশ সুপার, পিরোজপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলামকে ঢাকা বিশেষ শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার, পুলিশ অধিদপ্তর ঢাকার (টিআর) পুলিশ সুপার শামীমা আক্তারকে ঢাকা স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশনের পুলিশ সুপার, পুলিশ স্টাফ কলেজের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সরকার ওমর ফারুককে রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ অধিদপ্তর ঢাকার (টিআর) পুলিশ সুপার তাহিয়াত আহমেদ চৌধুরীকে সিলেট মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার পদে বদলি করা হয়েছে।
জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, এক মাস পেরোতেই আবার পুলিশের মাঠ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন পদে রদবদল হলো। আগের দিন রোববার ১৬ উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ও ৩৫ অতিরিক্ত ডিআইজির পদমর্যাদার কর্মকর্তা বদলি হয়েছেন। এর মধ্যে রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজিসহ একই পদমর্যাদার ১৩ কর্মকর্তারও কর্মস্থল বদল করা হয়েছে। রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ বিষয়ে আলাদা দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এর আগে গত ১৩ জুন পুলিশের ডিআইজি পদমর্যাদার সাত কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার ২২ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছিল। নির্বাচনের আগে পুলিশের মাঠ প্রশাসনে এই রদবদলকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ পদক্ষেপ বলে অনেকে মনে করছেন। পুলিশ সদরদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, এসপি পদে রদবদল হলে ২৫তম ও ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তারা অগ্রাধিকার পাবেন। এ ছাড়া ২৮ ব্যাচের একটি বড় অংশ দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতিপ্রত্যাশী।
এদিকে, পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের ৭২০ কর্মকর্তার পদোন্নতি চেয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর। এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়। প্রস্তাবটি পাওয়ার পর তা মূল্যায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শূন্য পদ না থাকলেও সুপারনিউমারারি বা সংখ্যাতিরিক্ত পদোন্নতি দিয়ে ইনসিটু (পদোন্নতির পরও আগের পদে দায়িত্ব পালন) করা যেতে পারে।