অনলাইন ডেস্ক :
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে রুনা লায়লা নামের এক হাজতিকে নির্যাতনের অভিযোগে যুব মহিলা লীগের সাবেক নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়াকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে পাঁচ টার দিকে তাকে একটি প্রিজন ভ্যানে করে পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেন কারাগারের জেল সুপার মো. ওবায়দুর রহমান।
এক কারা কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, পাপিয়া গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে প্রায় ৪০ মাস ধরে বন্দি ছিলেন। ২৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে জেল বিধি অনুযায়ী পাপিয়াকে ‘রাইটার’ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তিনি রুনা লায়লা নামে এক হাজতিকে সম্প্রতি নির্যাতন করে তার কাছ থেকে টাকা পয়সা লুট করে নেয়, এমন অভিযোগে রুনার ছোট ভাই জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন। পরে গঠন করা হয়েছে দুটি তদন্ত কমিটি। তার প্রেক্ষিতে সোমবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে একটি প্রিজন ভ্যানে করে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানে হয়েছে।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের (ভারপ্রাপ্ত) জেল সুপার মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পাপিয়ার হামলায় আহত রুনা কাতরাচ্ছেন হাসপাতালের বেডে।
গাজীপুরে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবন্দি বহিষ্কৃত মহিলা যুবলীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার মারধর ও নির্যাতনের শিকার রুনা লায়লা গুরুতর অবস্থায় এখনো গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ৭০৭ নাম্বার কক্ষে ভর্তি আছেন। হাসপাতালের বিছানায় রুনাকে কাতরাতে দেখা গেছে।
কারাগারের মারধরের শিকার হওয়ার পর থেকে রুনা অসংলগ্নভাবে কথা-বার্তা বলছেন। ২ জুলাই রবিবার বিকেলে রুনার বোন রওশন আরা বিষিয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে তার বোনের অবস্থা এখনো খুব একটা ভালো মনে হচ্ছে না।
রুনা লায়লা গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কড়িহাতা গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে। ওই ঘটনায় জেলা প্রশাসক বরাবর তার ভাই আব্দুল করিম অভিযোগ করেন।
ওই হাসপাতালের বেডে শুয়ে রুনা সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার (১৭ জুন) ভোর ৫ টায় মাইকিং করে আমাকে কারাগারের বিচার বৈঠকে যেতে বলে। সকাল ৯টায় বিচার বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি ময়লা পরিষ্কার করতে যাই। বিকেল ৪টায় থালা-বাসন পরিষ্কার করি। বিকেলে আমাকে আমার কক্ষ থেকে বদলি করে পাপিয়ার অধিনে ৪০১ নম্বর কক্ষে দেওয়া হয়।
তিনি আরো জানান, পরদিন রবিবার ভোর ৫টায় সোনালী নামে একজন মাইকিং করে তাকে বিচার বৈঠকে আসতে বলে। তিনি সেখানে যাওয়ার পর আবার ওপরে উঠেন টয়লেটে যাওয়ার জন্য, এরপর তার নামতে দেরি হয়। এটাই ছিল আমার অপরাধ। সকাল ৭টার দিকে ফাতেমা নামে একজন আমাকে ডেকে নেয়। ফাতেমা লাঠি দিয়ে আমাকে আঘাত করে। আমি আত্মরক্ষার্থে হাতের লাঠি ফেরানোর চেষ্টা করি। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। আরও মারধর শুরু করে। কিছুক্ষণ পড়ে একটা হাতুড়ি নিয়ে এসে আমাকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে আমি পড়ে যাই। পড়ে যাওয়ার পর লাথি মারে। এসময় হঠাৎ ছালমা এসে হাজির হয়। ছালমা এসে আমার পরনের কমলা রঙ্গের জামাটা ছিড়ে ফেলে। এমন অবস্থায় আমি পালানোর চেষ্টা করি। পালাতে গিয়ে পড়ে যাই। আমাকে ওরা ধরে নিয়ে আসে। নাজমা ও মিনা নামে দুজন গিয়ে আমাকে হাতকড়া পড়তে বলেন। আমি ভয় পেয়ে হাতকড়া পড়তে চাই না। আমাকে জোর করে হাতকড়া পড়ায়। হাতকড়া পড়িয়ে আমাকে একটা নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে। আবার আমাকে বিচার বৈঠকে নিয়ে আসে। সেখানে দুদিকে ২ হাত উপরে তুলে লোহাড় শিকল দিয়ে বেঁধে দেয়। পাপিয়া এসে পায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। তখন কারাগারের সবাই আমাকে উঁকি দিয়ে দেখে। আমি আমার শরীর ঢাকতে চেষ্টা করি। পাপিয়ার পিটানিতে আমি প্রস্রাব-পায়খানা আটকাতে পারিনি। আমি তখন পানি চাই। বার বার পানি পানি করে কাঁদতে থাকি। আমাকে ময়লা পানি খাওয়ার কথা বলে। আমাকে পানি দেওয়া হয়নি। আমার মাথায় পানি ঢেলে দেওয়া হয়।
রুনা লায়লা বলেন, একটা সময় পাপিয়ার আঘাতে আমি মাটিতে পড়ে যায়। মুনিয়া নামে একজন আমাকে আমার জামা পরিবর্তনের কথা বলে ময়লা স্তুপের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে। ওইখানে ঘণ্টা খানেক মারধর করলে আমি আর কিছু বলতে পারি না। চেতনা ফিরে পেলে আমাকে ওরা গাছে টানায়। ওড়না দিয়ে গাছে টানিয়ে রাখে। আমি খুব অসুস্থ বোধ করি। সন্ধ্যায় জেল সুপার ওবায়দুর আমার হাতকড়া খুলে দেয়।
রুনা লায়লার ভাই আব্দুল করিম বলেন, এ ঘটনায় গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি’র) কাছে নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করেছি। পরে গঠন করা হয়েছে দুটি তদন্ত কমিটি।
গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক শামসুল হুদা বলেন, রোগীর শরীরে রক্ত শূন্যতা দেখা গেছে। বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর রিপোর্ট আসেনি। রিপোর্টগুলো আসার পর রোগীর প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (ভারপ্রাপ্ত) ওবায়দুর রহমান বলেন, ওই নারী গোপনে ৭ হাজার ৪০০ টাকা নিয়ে কারাগারে আসেন। বিষয়টি পরদিন তদন্ত করে পাওয়া যায়। টাকার বিষয়ে কারাগারের হাবিলদার ফাতেমা বেগম জানতে চাইলে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন রুনা।
জেল সুপার (ভারপ্রাপ্ত) ওবায়দুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন দুইটি তদন্ত কমিটি গঠণ করেছে। এছাড়া এ ব্যাপারে ২৬ জুন জেলার ফারহানা আক্তার, ডেপুটি জেলার জান্নাতুল তায়েবা এবং মেট্রোনকে শো’কজ করা হয়েছে। তবে এখনও কারো জবাব পাওয়া যায়নি।
অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব কান্নি উইগনারাজাসহ জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ৯ সদস্যদের প্রতিনিধি দল।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে পৌঁছে প্রতিনিধি দলটি।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক নাফিউল হাসান, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান, ইউএনডিপির বাংলাদেশ আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান ওলোফ লিলার, ডেপুটি আবাসিক প্রতিনিধি সুশ্রী সোনালী দয়ালনে, কৌশলগত যোগাযোগ ও আউটরিচ বিশেষজ্ঞ কীর্তিজাই পাহারি, ইউএনডিপির কক্সবাজার সাব অফিস প্রধান কেইটা সুগিমোতো, হেড অব কমিউনিকেশনস মো. আব্দুল কাইয়ুম ও কনসালটেন্ট ভিডিওগ্রাফার রাগীব আহসান শামরাত।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিয়োজিত এপিবিএন’র ১৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. ইকবাল জানিয়েছেন, প্রতিনিধি দলটি ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক সি এর সাব ব্লক এইচ/৭১-এ অবস্থিত ইউএনইচসিআর এবং এনজিও ফোরাম পরিচালিত পাইলট প্রকল্পের মর্ডান ভিলেস, ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও পরিচালিত বর্জ্য অপসারণ, ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিবেশ সুরক্ষা ও প্রকৃতি কেন্দ্র, ৪ নম্বর ক্যাম্পের সিআইসি অফিস এবং খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এরপর প্রতিনিধিদলটি কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের আওতাধীন দক্ষতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে নির্মিত শেল্টার গুলো ঘুরে দেখেন ও সাধারণ রোহিঙ্গাদের ঘরে ঢুকে তাদের জীবনযাপনের মান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন।
প্রতিনিধি দলটি দুপুর ২টায় উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা ত্যাগ করেন বলে জানান তিনি।
এর আগে সকাল ৮টার দিকে খুনিয়া পালং ইউনিয়নের মির্জা আলীর দোকান সংলগ্ন আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ গৃহহীনদের মধ্যে বিতরণ করা মুজিব বর্ষের ঘর পরিদর্শন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্যাসের বিতরণ প্ল্যান্টে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্রাহকপর্যায়ে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
গতকাল ২১ এপ্রিল রবিবার দিবাগত রাত ১টা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের ঘাটুরা এলাকায় অবস্থিত তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিতরণ প্ল্যান্টে ত্রুটির কারণে গ্যাস সরবাহ বন্ধ রয়েছে। এর ফলে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের অন্তত ১২ হাজার গ্রাহক দুর্ভোগে পড়েছেন।
মূলত তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে গ্যাস নিয়ে তা গ্রাহক পর্যায়ে সরবরাহ করে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
প্রতিষ্ঠানটির বৈধ গ্রাহক সংখ্যা ২২ হাজারেরও বেশি। এসব গ্রাহকদের প্রতিদিন প্রায় ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. শাহ আলম জানান, গতকাল রাতে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশনের বিতরণ প্ল্যান্টে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এর ফলে বাখারাবাদের গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। জেলা সদর ও সরাইল উপজেলার একাংশের গ্রাহকরা গ্যাস পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, ত্রুটি মেরামতে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। ইতোমধ্যে অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি দুপুরের মধ্যেই গ্যাস সরবরাহ কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবশেষে জাপানের অর্থ সহায়তায় নির্মিত হতে যাচ্ছে মানিকগঞ্জের শিবালয়ের পাটুরিয়ায় পদ্মাপারের প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
সেই সঙ্গে উপজেলায় প্রায় ৪৬২ একর জমিতে প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে দুই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জাপানের ৩০ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র ও প্রতিনিধি দলের প্রধান সুতোমো সাসাগাওয়া।
গতকাল বুধবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জাপানের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা শিবালয় উপজেলার বোয়াল ও পদ্মাপার পাটুরিয়া এলাকা পরিদর্শন করেন।
বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান জাপানের ফুটস্টুল কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক হায়াসি বলেন, জাপান ও বাংলাদেশ সুন্দর সম্পর্কের এক বন্ধন। আমরা এখানে বিনিয়োগ করতে চাই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে জানা গেছে, প্রায় এক হাজার কোটি টাকা দিয়ে স্টেডিয়ামটি তৈরি করে বাংলাদেশকে উপহার দিতে চায় প্রতিনিধি দল।
এ সময় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাপানি প্রবাসী নেওয়াজ শরীফ জানান, শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করে বাংলাদেশকে উপহার দিতে চায় তারা। শুধু স্টেডিয়ামের জন্য প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। আমরা চাই, মানিকগঞ্জে অর্থনৈতিক উন্নয়ন জোনে বিনিয়োগ করতে। পাশাপাশি টুরিজম সেক্টরে বিনিয়োগ করতে। এর আগেও তারা দুইবার এসে ঘুরে দেখেছেন স্থান দুটি।
পরিদর্শন শেষে জাপানের বাংলাদেশি প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের অন্যতম শরিফ নেওয়াজ সাংবাদিকদের জানান, আগামী অর্থবছরে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাপান সরকারের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের সঙ্গে জাপানি বিনিয়োগকারীরা সংহতি প্রকাশ করেছে। প্রস্তাবিত এ স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজে শরিক হওয়ায় জাপানিরা গর্ববোধ করবেন।
শিবালয় উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদুর রহমান বলেন, ৪৬২ একর জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে তাদের। তাতে তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন, জাপানের ৩০টি প্রতিষ্ঠান এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা স্টেডিয়াম ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য বিনিয়োগ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন জাপান সফর করেন, তখন তারা শিবালয়ের এই দুইটি স্থানে বিনিয়োগের কথা জানান। সেই অনুসারে তারা জায়গা পরিদর্শন করেছেন। বর্তমান সরকার মানিকগঞ্জের শিবালয়ের বোয়ালীতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও পদ্মাপারে আন্তর্জাতিকমানের স্টেডিয়াম করার ঘোষণা দিয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়, প্রতিনিধি দলের প্রধান সুতোমো সাসাগাওয়া, হায়শি নবুয়া, জাপানের বাংলাদেশি প্রবাসী শরিফ নেওয়াজ, শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনিসুর রহমান প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আজ ৬ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সাথে তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা হয়েছে।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটকদের মুক্তি দেওয়া শুরু হয়েছে এবং এরইমধ্যে অনেকে মুক্তি পেয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে ১৭ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি ২১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বাহিরচর এলাকায় দৌলতদিয়া ইউনিয়নের জেলে কুব্বাত হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
জেলে কুব্বাত হালদার বলেন, বুধবার দিবাগত রাতে আমিসহ আমার চারজন সহযোগী ট্রলারে পদ্মায় মাছ ধরতে যাই। পদ্মায় বর্তমানে মাছের আকাল পড়েছে। রাতে পদ্মার বিভিন্ন স্থানে জাল ফেলি। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে বাহিরচর এলাকায় জাল তুলতেই বড় কাতল মাছটি জালে আটকা পড়ে। পরে স্থানীয় আড়তে আমি মাছটি ২০ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করি।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান শেখ বলেন, দৌলতদিয়া মৎস্য আড়ত থেকে আমি ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে ২০ হাজার ৪০০ টাকায় মাছটি ক্রয় করেছি। পরে বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করে ২১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি করেছি।