চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় সোহেল রানা ওরফে দুষ্টু (২৪) হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার প্রেমিক রাকিব (২৩)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রাকিবুল হাসানের কাছে সোহেল রানা ওরফে দুষ্টুকে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে রাকিব। আদালতে রাকিব জানায় বাড়িতে চলে যাওয়ার কথা বলায় সে দুষ্টুকে পিটিয়ে হত্যা করে। গ্রেফতারকৃত রাকিব কসবা উপজেলার গুনিনপাড়া (কলেজপাড়া) এলাকার মোঃ নাছির মিয়ার ছেলে। সে পেশায় একজন ইজিবাইক চালক।
নিহত সোহেল রানা ওরফে দুষ্টু দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার সাবের আলীর সন্তান। সে কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করতো।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন জানান, গত সোমবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কসবা থেকে ঘাতক রাকিবকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে রাকিব বিজ্ঞ বিচারক রাকিবুল হাসানের কাছে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে।
জবানবন্দিতে রাকিব জানায়, দুষ্টু আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ গ্রামের অজান্তা হিজরাকে গুরু মানতেন। সেই সুবাধে দুষ্টু কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
আনুমানিক ৭/৮ মাস আগে সোহেল রানা ওরফে দুষ্টুর রাকিবের পরিচয় হয়। ইজিবাইক চালানোর সূত্র ধরে সোহেল রানা ওরফে দুষ্টুর সাথে রাকিবের পরিচয় হয়। রাকিব দুষ্টুকে নিয়ে তার ইজিবাইক দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নেওয়া-আসা করতো। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে রাকিব দুষ্টুর ভাড়া বাসায় আসা যাওয়া করতো।
গত ঈদ-উল আযহার পরদিন ৩০ জুন রাতে দুষ্টু রাকিবকে ফোন দেয়। ফোন পেয়ে রাকিব দুষ্টুর বাসায় যায়। সেখানে যাওয়ার পর দুষ্টু রাকিবকে জানায় সে দিনাজপুর নিজ বাসায় চলে যাবে। এই কথা শুনে রাকিব ক্ষিপ্ত হয়ে দুষ্টুকে গালাগাল করে। এনিয়ে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে রাকিব দুষ্টুর বাসা থেকে চলে আসলে দুষ্টুও রাকিবের পেছন পেছন আসে। পরে দুষ্টু গোপীনাথপুর এলাকার সেকান্দারপাড়ায় গেলে রাকিব একটি গাছের ঢাল দিয়ে দুষ্টুর মাথায় আঘাত করে। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে রাকিব একটি ইটের ভাঙা অংশ দিয়ে আবারো দুষ্টুর মাথায় আঘাত করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুষ্টুকে রেখে রাকিব পালিয়ে যায় ও দুষ্টুর গুরু অজন্তার মাকে ফোন দিয়ে জানায় দুষ্টুর লাশ গোপীনাথপুর এলাকার সেকান্দারপাড়ায় পড়ে আছে। পরে সে ফোন বন্ধ করে দেয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাসের হেলপারসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।
আজ ২৭ জুন বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার সৈয়দাবাদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী থানার টিক্কলহাটি গ্রামের তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে বাস হেলপার সাইফ (২০) ও একই গ্রামের বাসযাত্রী কাশেম মিয়ার ছেলে রাজু (২০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লামুখী বিসমিল্লাহ্ পরিবহনের একটি যাত্রী বাস একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে ট্রাকের পিছনে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় সাইফ ও রাজুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসাপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশীষ কুমার সান্যাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত দুইজনের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। বাস ও ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় পারুল আক্তার (৪৫) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
আজ ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে কসবা পৌর এলাকার চড়নাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পারুল আক্তার চড়নাল গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার স্ত্রী।
গৃহবধূর স্বামী ইব্রাহীম মিয়া জানান, কয়েক মাস আগে ছোট মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর থেকে প্রায় সময়ই তাকে অন্যমনস্ক বা বিকারগ্রস্ত হয়ে আবোল তাবোল কথা বলতে দেখা গেছে। কিছুক্ষণ ভাল থাকতো আবার কিছুক্ষণ অন্যমনস্ক হয়ে নিজের মর্জিমাফিক চলত। এসব সমস্যায় চিকিৎসাও চলছিল। গত বুধবার তাকে কুমিল্লা নেয়া হয়েছিল চিকিৎসকের কাছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে পরিবারের সকলের জন্য নাস্তা তৈরি করে বড় মেয়ের কক্ষে পাঠায়। বড় মেয়ে তার ছোট ভাইকে নিয়ে নাস্তা খাওয়ার সময় রান্না ঘর থেকে গোঙ্গানীর শব্দ শুনে গিয়ে পারুল আক্তারের গলাকাটা পড়ে আছে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় গৃহবধূ পারুল। ঘটনার সময় গৃহবধূর হাতে ছিল রান্নার কাছে ব্যবহৃত বটি দা।
কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, পৌর এলাকার চড়নাল গ্রামে গৃহবধূ পারুল আক্তার গলা কেটে আত্মহত্যার ঘটনায় লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচনে সীমাহীন অনিয়ম ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর সহযোগীতায় ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ২০ কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী এবং বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন (আনারস প্রতীক) এবং নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান (তালা প্রতীক) মোঃ মনির হোসেন।
আজ ২২ মে বুধবার দুপুরে অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবনের বাসভবনের সামনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওছার ভূইয়া জীবন অভিযোগ করে গত ২১ মে মঙ্গলবার কসবায় প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে উপজেলার ৮৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে মান্দারপুর ভোট কেন্দ্র, শাহপুর ভোট কেন্দ্রসহ ২০টি ভোট কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের ( আনারস প্রতীক) বের করে দিয়ে প্রতিপক্ষ ও বিজয়ী প্রার্থী ছাইদুর রহমান স্বপনের (কাপ পিরিচ প্রতীক) সমর্থকরা আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগীতায় ব্যালেট পেপারে সীল মেরেছে।
তিনি বলেন, আমি ও মনির (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী) বার বার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবিহিত করলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের দিন আইন-শৃংখলা বাহিনীর এলোপাথারি মারধোরে তার ৫ শতাধিক কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ২০টি ভোট কেন্দ্রের সামনে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের কর্মী সমর্থকদেরকে মারধোর করে সরিয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষের প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা কেন্দ্রে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ব্যালেট পেপারে সীল মারে। এসব ঘটনার স্থিরচিত্র ও ভিডিও তার কাছে আছে দাবি করে তিনি প্রহসনের এই ভোটের ফলাফল বাতিল করে ২০টি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহনের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মনির হোসেন বলেন, উপজেলার বায়েক এলাকার তাদের একজন কর্মীকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করে তুলে নিয়ে গেলেও তার কোনো সন্ধান এখনো তারা পাননি। তারা বলেন, প্রতিপক্ষের কর্মী-সমর্থকদের হামলা-মামলার ভয়ে তাদের সমর্থকরা এখন আতঙ্কে আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী (তালা প্রতীক) মোঃ মনির হোসেন, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক আফজাল হোসেন রিমন, যুগ্ম আহবায়ক কাজী মানিক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক আবু তাহের উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপন (কাপ পিরিচ প্রতীক) ৮৫ হাজার ৯৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৭ ভোট।
অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব ছিলেন।
অপর দিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোঃ শফিকুল ইসলাম (চশমা প্রতীক) ৭৬৫৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন (তালা প্রতীক) পেয়েছেন ৪৯১৯১ ভোট।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি জনগণের কাছে আসে না। তারা রাজনীতি করে ঢাকায় বিভিন্ন দূতাবাসে। তারা মনে করে দূতাবাস দিয়ে জনগণের ঘাড়ে উঠতে পারবে।
আজ ১৫ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কসবায় উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জনগণকে মূল্য দেয় না। এনা ক্ষমতায় এলে দেশটা বিরান হয়ে যাবে। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারপর সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে ব্যবস্থা ছিল- সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সেটিকে বাতিল করে দিয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, র্যাবের ওপর আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বিএনপির আমলে র্যাবকে তৈরি করেছিল আমেরিকা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা আসলে র্যাবকে দেয়নি, জনগণকে ভয় দেখানোর জন্য দিয়েছে।
কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম হাক্কানীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূইয়া ও জেলা পরিষদ সদস্য এম এ আজিজ প্রমুখ।