চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালসহ দেশের সকল হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহ ও চিকিৎসারত অবস্থায় কোন রোগী মারা গেলে তদন্তের আগে হত্যা মামলা দায়ের এবং চিকিৎসকদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সর্বস্তরের চিকিৎসকদের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৯ জুলাই রবিবার দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গাইনী চিকিৎসক ডাঃ মারিয়া পারভীনের সভাপতিত্বে ও মাহফিদা আক্তার হেপীর সঞ্চালনায় মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএমএ’র প্রচার সম্পাদক ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডাঃ ফাইজুর রহমান ফয়েজ, বিএমএ’র সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডাঃ খোকন দেবনাথ, গাইনী চিকিৎসক আইরিন আক্তার প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, চিকিৎসকরা শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমাদেরও ভুলক্রুটি হতে পারে। আমাদের বিরুদ্ধে কোন বিষয়ে তদন্ত হলেও তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিবেন। কোন প্রকার তদন্ত না করেই ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালের দুইজন চিকিৎসককে গত দুই সপ্তাহ ধরে জেলে রাখা হয়েছে। আরেকজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
অথচ হাসপাতাল দিয়ে যারা ব্যবসা করছেন, তাদেরকে কিছু করা হচ্ছেনা। উল্টো ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার মামলা করা হয়েছে। বক্তারা বলেন, আমাদের কথা স্পষ্ট, চিকিৎসকদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে এবং আমাদের কর্মস্থল নিরাপদ করতে হবে। না হলে শান্তিপ্রিয় মানুষ যদি অশান্ত হয়, এর পরিনাম কি হয় তা আপনারা জানেন। আমাদের দাবি না মানলে সামনে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আজ ২ অক্টোবর সোমবার সকাল ৮.২৫ মিনিটে তিনি শহরের বাগানবাড়ি এলাকায় তাঁর শ্বশুর বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে যান।
আল-মামুন সরকারের শ্যালক তানভীর আহমেদ জানান, সোমবার সকাল সাতটার দিকে তিনি ঘুম থেকে উঠে শৌচাগারে যান। পরে আবার ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাঁর স্ত্রী জিনাত আখতার তাঁকে ডাক দেন। কিন্তু তাঁর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে চিকিৎসক ডাকলে তিনি এসে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আল-মামুন সরকার দীর্ঘদিন ধরে হার্ট, কিডনি, ফুসফুসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী আল-মামুন সরকার দশম শ্রেনীতে পড়ার সময় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও জেলা কৃষকলীগের আহবায়ক ছিলেন। ১৯৯৩ সালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
“নির্লোভ রাজনীতিবিদ ও সাদা মনের মানুষ হিসেবে পরিচিত আল-মামুন সরকার বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সাথে যুক্ত ছিলেন। সমাজসেবায় তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে মানবকল্যান পদক লাভ করেন।
এদিকে আল-মামুন সরকারের মৃত্যুর খবর শুনে সকালেই তার বাড়িতে ছুটে যান স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা, নবীনগর পৌরসভার মেয়র শিব শংকর দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বাদ আছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ঈদগাহ ময়দানে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে জানাজার আগে মরহুমের কর্মময় জীবনের প্রতি সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আহমদ হোসেন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এমপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি তাজুল ইসলাম এমপি, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, মরহুমের শ্যালক তানভীর আহমেদ। নামাজে জানাযায় ইমামতি করেন জেলা জামে মসজিদের খতিব সিগবাতুল্লাহ নূর। নামাজে জানাযার আগে জেলা পুলিশের একটি দল রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করে।
পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে শহরের শেরপুর কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে তার লাশ দাফন করা হয়।
এদিকে আল-মামুন সরকারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এমপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসনের এমপি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি তাজুল ইসলাম এমপি, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে হারপাওয়ার প্রকল্পের মাধ্যমে এ ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষে আজ ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। এতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানার সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ, জেলা আইসিটি অফিসার (প্রোগ্রামার) মোঃ সামছু উদ্দিন।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রশিক্ষণ শেষে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মকান্ডেও নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে। বক্তারা, প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞানকে সঠিক উপায়ে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিক্ষাতে দক্ষ কর্মী ও উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে আহ্বান জানান।
এই প্রকল্পের আওতায় জেলা সদর, কসবা এবং নবীনগর উপজেলার ১শ জন নারী উদ্যোক্তকে ই-কমার্স ও কল সেন্টার এজেন্ট বিষয়ক ৫মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে এই ল্যাপটপ দেওয়া হয়।
স্টাফ রিপোর্টার :
ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বুয়েটে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত সাবেকুন নাহার সনির বাবা হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া।
আজ ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
হাবিবুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিজেশ্বর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ভুইয়ার ছেলে। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
নিহত সনির ফুপাতো ভাই জাহিদুল ইসলাম ইমন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মামা তিনমাস ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। একমাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছিলেন ছয়টি কেমোথেরাপি দিতে। একটি থেরাপি দেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। সকালে ঘুমের মধ্যে তিনি মারা যান।’
তিনি আরো বলেন, মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বাদ এশা স্থানীয় বাজারের বড় মসজিদে জানাযা শেষে দাফন করা হবে।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মামা মেয়েকে হারানোর পর ‘সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গনের’ দাবি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলেন। সনি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন থেকে ৮ জুন ‘সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন’ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। সেই কর্মসূচিতে তিনি প্রতিবছর উপস্থিত হয়ে তার মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করে আসছিলেন। মামা মারা গেছেন কিন্তু আফসোস, দীর্ঘ ২১ বছরেও উনি তার সন্তান সনি হত্যার বিচার কার্যকর হতে দেখে যেতে পারেননি।’
২০০২ সালের ৮ জুন টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বুয়েট ছাত্রদল সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের টগর গ্রুপ। দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে বুয়েটের আহসান উল্লাহ হলের সামনে সাবেকুন নাহার সনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
সাবেকুন নাহার সনি কেমিকৌশল বিভাগের (৯৯ ব্যাচ) লেভেল ২, টার্ম ২ এর ছাত্রী ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশজুড়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। নিম্ন আদালতে মুকিত, টগর ও সাগরের মৃত্যুদন্ডের রায় হয়।
২০০৬ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্ট মুকিত, টগর ও সাগরের মৃত্যুদন্ডাদেশ বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত এসএম মাসুম বিল্লাহ ও মাসুমকে খালাস দেন হাইকোর্ট। পরবর্তী সময়ে মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত পালিয়ে যান অস্ট্রেলিয়ায়। পলাতক রয়েছেন নুরুল ইসলাম সাগর ওরফে শুটার নুরু। শুধু জেলে রয়েছেন টগর।
চলারপথে রিপোর্ট :
অন্তিম শয়ানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি। আজ ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শহরের শেরপুর গোরস্থানে দাফন করা হয় তাকে। এরআগে শহরের লোকনাথ ময়দানে বাদ মাগরিব নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদসহ শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং সর্বস্তরের মানুষ যোগ দেন।
গত ৬ মার্চ রাত সোয়া ১১টার দিকে ভারতের মুম্বাই টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন রিয়াজ উদ্দিন জামি।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। সাংবাদিক জামি গত বছরের আগস্ট মাস থেকে দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে ভুগছিলেন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফায় ভারতের মুম্বাইয়ে যান চিকিৎসার জন্য।
১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রথম দৈনিক ‘দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন জামি। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টুয়েন্টিফোর ও দৈনিক জনকন্ঠে ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। জামি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার মহেষপুর গ্রামের অধ্যাপক আব্দুস শহিদ ও ফাতেমা বেগমের দ্বিতীয় ছেলে। মৃত্যুকালে রিয়াজ উদ্দিন জামি স্ত্রী, দুই পুত্র সন্তান, দুই ভাই ও ৫ বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুতে বিভিন্ন সংগঠন শোক প্রকাশ এবং মরদেহে পুস্পস্তবক অর্পন করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ১ জুন শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন। এদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরসহ নয় উপজেলায় পাঁচ লাখ ৪১ হাজার ৫২০ জন শিশুকে ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সি শিশুর সংখ্যা ৫৮ হাজার ৩০০ এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সি শিশুর সংখ্যা চার লাখ ৮৩ হাজার ২২০।
আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এই কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যখাতে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। কোভিডের টিকাদানে বাংলাদেশ সফলতা অর্জন করেছে।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন আরো বলেন, ভিটামিন “এ”প্লাস ক্যাপসুল শিশুদের রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে। শিশুদের দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। সকল ধরনের মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ হ্রাস করে। তিনি একটি সুস্থ শিশু ও সুস্থ জাতি গঠনে ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে গণমাধ্যম কর্মীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ডাঃ মাহমুদুল হাসান।
বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।