চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন ও পাহাড়পুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন এবং পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
গতকাল শনিবার সকাল ১০ টার হরষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে হরষপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ সারোয়ার রহমান ভ‚ইয়ার সভাপতিত্বে এবং বিকাল ৪টায় পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল হাই মাস্টারের সভাপতিত্বে পৃথক দুটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পৃথক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন। আমি আমার সংসদীয় এলাকা বিজয়নগর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলাবাসীর জীবনমানের উন্নয়ন ও দুই উপজেলার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষার উন্নয়ন, আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, রাস্তাঘাটের উন্নয়নের জন্য কাজ করছি।
তবে কিছু ঠিকাদারের গাফিলতির জন্য সময় মতো কাজ শেষ হচ্ছে না। সময় মতো উন্নয়ন কাজ শেষ না হওয়ায় আপনাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
তিনি বিজয়নগরের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, বিজয়নগরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আগামীতে আরো উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করা হবে। বিজয়নগরের সকল সমস্যার পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে।
তিনি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি বজায় রাখতে আগামী নির্বাচনেও নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।
সভা দুটিতে বক্তব্য রাখেন হরষপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী সালাহউদ্দিন সেলিমের সঞ্চালনায় হরষপুরের মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জজ আদালতের পিপি অ্যাডঃ মাহবুবুল আলম খোকন, কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ রাশেদুল কাউসার ভ‚ইয়া জীবন, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম মাহমুদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মৃধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডঃ শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডঃ লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম রুবেল প্রমুখ।
মতবিনিময় সভাগুলোতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলমান বন্যায় ৪ উপজেলার ৮৬০টি পুকুরের অন্তত ৭৫৬ টন মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে সাড়ে ১৮ থেকে ১৯ কোটি টাকার বেশি লোকসান হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আখাউড়া উপজেলার খামারিসহ মাছ ব্যবসায়ীরা। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় পুকুর, দিঘি ও খামারের সংখ্যা ২ হাজার ৩৪৮। এগুলোর মোট আয়তন ৬২১ হেক্টর। এসব জলাশয়ে প্রায় ৫০০ ব্যবসায়ী মাছ চাষ করেন। আর চাষির সংখ্যা ২ হাজার ১০৭। বন্যায় ১২১ দশমিক ৮৬ হেক্টর আয়তনের ৪৩০টি দিঘি, খামার ও পুকুরের সব মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা মূল্যের মোট ৪৫৬ টন মাছ পানিতে ভেসে গেছে। আর ১ কোটি ১৫ লাখ পোনা পানিতে ভেসে গেছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আখাউড়ার মোগড়া ইউনিয়নের নিলাখাদ গ্রামের খামারি বলেন, ‘বন্যায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা সামলে ওঠা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। বন্যার পানিতে পাঁচ কোটি টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এই ক্ষতি কীভাবে পূরণ করব, বুঝতে পারছি না।’
বন্যার পানিতে প্রায় দেড় কোটি টাকার মাছ ভেসে যাওয়ার দাবি করেছেন কর্ণেল বাজারের বাসিন্দা বাছির মিয়া। তিনি বলেন, পুকুরে মাছ মাত্র বড় হয়েছিল। কয়েক দিনের মধ্যেই বাজারে বিক্রি করতেন। কিন্তু বন্যার পানিতে সব মাছ ভেসে দেড় কোটি টাকার লোকসান হয়েছে।
মোগড়া গ্রামের বাসিন্দা দুলাল মিয়া বলেন, ‘পানি কমলেও আমার পুকুরে আর মাছ নেই। যা মাছ ছিল সব পানিতে ভেসে গেছে। প্রায় এক কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে।’
এ বিষয়ে ক্ষয়ক্ষতি-সংক্রান্ত প্রাথমিক একটি তালিকা করেছে আখাউড়া উপজেলার মৎস্য কার্যালয়।
আখাউড়া উপজেলার মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, বড় ব্যবসায়ীরা অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ইউনিয়ন পর্যায়ে খামারিদের ক্ষতির তালিকা করা হচ্ছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।
এদিকে কসবা উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বন্যার পানিতে ২০০ পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ ভেসে গেছে। এগুলোর আয়তন ৩৮ হেক্টর। ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার বড় মাছ ও ১০ লাখ টাকার পোনা পানিতে ভেসে গেছে। বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামো ভেঙে মোট ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আখাউড়া উপজেলা মৎস্য কার্যালয় জানিয়েছে, সদর উপজেলায় ৬০ হেক্টর আয়তনের ১৪৫টি পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ ভেসে গেছে। ১৫ লাখ টাকা মূল্যের ১২ লাখ পোনা ও ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার বড় মাছ পানিতে ভেসে গেছে। অবকাঠামো ভেঙে যাওয়াসহ বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ায় মোট ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বিজয়নগর উপজেলায় ১১ হেক্টর আয়তনের ৮৫টি পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। ১৩ লাখ টাকা মূল্যের ১ লাখ পোনা ও ৪০ লাখ টাকার বড় মাছ পানিতে ভেসে গেছে। বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামো ভেঙে যাওয়ায় মোট ৫৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির বলেন, বন্যার পানিতে ৮৬০টি পুকুর প্লাবিত হয়ে সাড়ে ১৮ থেকে ১৯ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। খামারি ও ব্যবসায়ী মিলিয়ে ৮৬০ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
২০ আগস্ট রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ইমিগ্রেশন-সংলগ্ন খাল দিয়ে ভারতে থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি আসতে শুরু করে। এরপর আখাউড়া উপজেলাসহ পর্যায়ক্রমে কসবা উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ২শ বোতল ফেনসিডিল সহ যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব -৯ এর সদস্যরা।
আজ ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের পূর্ব কাশিনগর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ২০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারপূর্বক যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মোঃ মুসলিম আহমেদ (২৫) উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাশিমনগর এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে।
র্যাব এর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আভিযানিক রবিবার বিকালে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জব্দকৃত আলামতসহ আসামীকে বিজয়নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে র্যাব-৯, সিলেট এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলায় পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি শাহপরান ওরফে পরানকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৩ এপ্রিল সোমবার রাতে জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পরানের বিরুদ্ধে ১০টি মাদক মামলা চলমান রয়েছে। তিনি একটি মামলায় পলাতক ছিলেন। পরান উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের উথারিয়াপাড়া এলাকার প্রয়াত নান্নু মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) ইকবাল হোছাইন জানান, পরান তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার একটি মাদক মামলায় পলাতক ছিলেন। সোমবার ভোরে তাকে বিজয়নগরের সিঙ্গারবিল এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা গ্রেফতার করে।
এসময় তার কাছ থেকে মাদক বিক্রির নগদ ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা এবং দুটি স্মার্ট ফোন জব্দ করা হয়। পরে বিকেলে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১৬৮ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১০০/১৫০ জনকে আসামী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিগত ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিএনপির নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের গাড়ি ভাংচুর, হামলা ও বিষ্ফোরনে ঘটনায় বিএনপি নেতা এস.এম. রাষ্টু বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে বিজয়নগর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।
বাদী এস.এম রাষ্টু বিজয়নগর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের মৃত মিয়া চান সরকারের ছেলে।
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম ভূইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মৃধা, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফয়জুন নাহার টুনি, কাজী শফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রতিষ্ঠাতা কাজী শফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল খাঁন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউছার ভূইয়া, জেলা যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস.এম. মাহবুব, ইউপি চেয়ারম্যান কাজী ছৈয়দুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান শামীউল হক চৌধুরী শামীম, ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ভূইয়া, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ইউপি চেয়ারম্যান সারোয়ার রহমান ভূইয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান রতন, আওয়ামীলীগ নেতা তৈফিকুল ইসলাম মুকুল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সুর্নিমল সাহা, শিক্ষক জিয়াউর রহমান, পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়াসহ ১৬৮ জন।
এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১০০/১৫০ জনকে আসামী করা হয়।
মামলায় বাদী এস.এম রাষ্টু অভিযোগ করে বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
নির্বাচনের আগে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপজেলার মীর্জাপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে গেলে আসামীরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে বিএনপির প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের উপর আক্রমন করে। আসামীরা খালেদ মাহবুব শ্যামলের দুটি গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এলাকায় ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে ও বিএনপির নেতা-কর্মীদেরকে মারধোর করে। ঘটনার পরদিন বাদি থানায় মামলা করতে গেলে আসামীদের হস্তক্ষেপে মামলা করতে পারেননি। তাই মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাফায়েত আহমেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার ছতরপুর জামিয়া রশিদীয়া মাদরাসার ছাত্র মুজাহিদ। বয়সমাত্র ৯বছর। আর এই অল্প বয়সেই হাফেজে কুরআন হওয়ার গৌরব অর্জন করে এলাকাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই বালক। তার এ কৃতিত্বে অভিভাবকসহ শিক্ষক ও সহপাঠীরা আনন্দিত। তার উজ্জল ভবিষ্যৎ কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তার পরিবার।
মুজাহিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মহেষপুর পাক্কাবাড়ীর ইসমাঈল ভুঁইয়ার ছেলে। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই কোরআন হিফজের বিষয়ে মুজাহিদের প্রবল ইচ্ছা ও আকর্ষণ ছিল। মাদরাসায় ভর্তির জন্য মুজাহিদ নিজেই বায়না ধরলে তাকে ২০২২ সালে জামিয়া রশিদিয়া ছতরপুর মাদ্রাসার (নুরানি) বিভাগে ভর্তি করানো হয়। শুরুতে তাকে বাংলার পাশাপাশি পবিত্র কোরআনের রিডিং পড়ানো হয়। এর পরে হিফজের উপযুক্ত হলে আল্লাহর রহমতে ১৪ মাসের মধ্যেই কোরআনের হাফেজ হয়ে ওঠে।
তার শিক্ষক হুসাইন আহমাদ বলেন, মুজাহিদের বাবা পেশায় একজন রাজ মিস্ত্রি। দিন এনে দিন খাওয়া পরিবার। তার লেখা পড়ার যাবতীয় খরচ আমাদের পক্ষ থেকে বহন করা হয়েছে। সে অত্যন্ত মেধাবী ছেলে। সঠিক পরিচর্যা হলে সে জগত বিখ্যাত একজন আলেম হতে পারবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমাদের মাদ্রাসায় মুজাহিদ সহ আরো অনেক এতিম ও গরীব অসহায় মেধাবীদের যাবতীয় খরচ আমরা বহন করে থাকি।
হাফেজ মুজাহিদ বলেন, আমি চেষ্টা করেছি, আল্লাহ সহায় ছিলেন বলেই মহাগ্রন্থ কোরআন আয়ত্ত করতে পেরেছি। ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার জন্য আলেম হওয়ার স্বপ্ন তার।
মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি রহমতুল্লাহ কাসেমীর কাছে জানতে চাইলে বলেন, ছেলেটি অত্যন্ত নম্র-ভদ্র। পড়ালেখার সমস্ত খরচ তার বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক হুসাইন আহমাদ এর বড় ভাই বহন করেছেন। আল্লাহ পাক ওনার এই সহযোগিতা কে কবুল করুন এবং তাকেও দ্বীনের দায়ী হিসেবে যেন আমরা গড়ে তুলতে পারি সকলের নিকট দোয়া চাই।