চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় স্কাফ সিরাপসহ আঁখি আক্তার নামে এক নারীকে আটক করেছে আখাউড়া থানা পুলিশ। তবে আঁখি আক্তার মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত না থাকলেও মাদক ব্যবসায়ীর গচ্ছিত রাখা স্কাফ সিরাপ তার গোসলখানায় পাওয়ায় আঁখি আক্তারকে আটক করা হয়। এসময় তার গোসলখানায় থাকা ১০০ বোতল ভারতীয় স্কাফ সিরাপ উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের ভারত সীমান্ত সংলগ্ন আনোয়ারপুর গ্রামের আঁখি আক্তারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আঁখি আক্তার ওই গ্রামের ওমান প্রবাসী সুমনের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের পুলিশ প্রবাসী সুমনের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় বাড়ির গোসলঘর থেকে ১০০ বোতল ভারতীয় স্কাফ সিরাপ পাওয়া যায়। পরে স্কাফ সিরাপসহ আঁখি আক্তারকে আটক করা হয়।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুল ইসলাম জানায়, আটককৃত আঁখি আক্তার মূলত মাদক ব্যবসায়ী না। তার বাড়িটি সীমান্ত লাগোয়া হওয়ায় ওপার থেকে আসা মাদকের চালান তার বাড়িতে রেখে সুযোগমত অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হত। বিনিময়ে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আঁখি আক্তার টাকা নিতেন। কিছুদিন থেকে এমন একটি খবর আমাদের কাছে ছিল। রবিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে স্কাফ সিরাপসহ তাকে আটক করি। তার বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে সোমবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় সোমা আক্তার (২৭) নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলায় হয়েছে। আখাউড়া পৌরশহরের চন্দনসার এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই নারী হলো পৌরশহরের চন্দনসারের টিপু মিয়ার স্ত্রী সোমা আক্তার (২৮)। এ ঘটনায় হোসনে আরা বেগম (৫৫) কে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে সোমার স্বামীর চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী মর্জিনা আক্তার সূচি একটি শিশুকে বকা দেয়। সোমা তার প্রতিবাদ করলে সূচি তার উপর ক্ষিপ্ত হয়।
এক পর্যায়ে সূচির স্বামী আরিফ হাসান জিকু ও শ্বশুর আব্দুল আওয়াল এসে সোমাকে মারধর শুরু করে। এসময় সূচি সোমার তলপেটে লাথি দিলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। গুরুতর আহত সোমাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়। পরে শুক্রবার বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আখাউড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, শনিবার দুপুরে নিহত সোমা আক্তারের পিতা মো সেলিম মিয়া বাদি হয়ে ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের মধ্যে ১ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় সুধীজনদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা,জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী জনসচেতনতা, বাল্য বিবাহ বন্ধকরণ, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও স্থানীয় পর্যায়ে কৃষিপণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ হাবিবুর রহমান। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নূরে আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওয়াহিদ সারোয়ার, উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান, দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দিন, উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আবু ইউসুফ নূরুল্লাহ, প্রধান শিক্ষক কাজী মোঃ তারেক, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারি মোঃ রফিকুল ইসলাম, মাদরাসার সুপার কাজী কেফায়েতুল্লাহ মাহমুদী, ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা কাজী মাইনুদ্দিন, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি প্রমুখ।
বক্তারা, আখাউড়া পৌরশহরের যানজট নিরসন, ফুটপাত হকার দখল মুক্ত, দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ, মাদক পাচার রোধ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নত করণে জেলা প্রশাসনের নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান আখাউড়াকে জনবান্ধব করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য পৌর মেয়র ও ইউএনওকে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রাখতে হবে। নীতি নৈতিকায় সবাইকে কাজ করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুস্থ বিনোদনের জন্য যা যা করা দরকার তাই করা হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোন টেটা বল্লম থাকবে না। কেউ টেটা বল্লম তৈরি করতে পারবে না। ভোক্তাদেরকে গুজবে কান না দেওয়ার আহবান জানান। প্রশাসনকে বেশি বেশি বাজার মনিটরিং করার নির্দেশ দেন তিনি। সবার সামনে পজেটিভ ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে তুলে ধরতে হবে। এজন্য তিনি জনপ্রতিনিধিসহ সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান। আলোচনা শেষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমানকে শুভেচ্ছা স্মারক ক্রেস্ট দেওয়া হয়। পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
পরে জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান উপজেলা পরিষদ চত্বরে ২টি বনজ ও ঔষধী গাছ রোপন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মুক্তা আক্তার (১৪) নামে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মুক্তা উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ছতুরা শরীফ গ্রামের দিন মজুর মোঃ ফারুক মিয়ার মেয়ে আজ ৫ আগস্ট শনিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঘরের তীরের সাথে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় পরিবারের লোকজন।
আখাউড়া থানার ওসি মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে। এ ব্যপারে একটি অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাতের আঁধারে সুযোগ বুঝে ফল-ফলাদি চুরি করতেন একদল চোর। পরে গাছের মালিকদের গালাগালিতে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে চিঠি দিয়ে মালিকের কাছে ক্ষমা চাইলেন চোর। সেই সঙ্গে ফিরিয়ে দিয়েছেন চুরি করা ফলও।
এমনই এক আলোচিত ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামে। মালিকের বাড়িতে চুরি করা ফল পৌঁছে দিয়ে চিঠির মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখন গ্রামজুড়ে আলোচনা চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে বাউতলা গ্রামে পেঁপে, কলা, আমসহ গাছের নানা রকমের ফল চুরির ঘটনা ঘটছে। শখের বশে বাড়ির আশপাশে লাগানো নানা প্রকারের ফল-ফলাদি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন ফল-ফলাদি চুরি হওয়ায় অনেকের মাঝে এক রকম চাপা ক্ষোভ বিরাজ করে। সর্বশেষ ঐ গ্রামের আবু তাহের মিয়ার মেয়ে আসমা আক্তার এবং সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি থেকে কলা ও পেঁপে চুরি হয়। এ নিয়ে আসমা আক্তার কষ্টে চোরদের উদ্দেশ্যে গালাগালি করেন। এ ঘটনার দুই দিন পর রাতের কোনো এক সময় তাদের বাড়ির বারান্দায় চুরি করা একটি পাকা কলার বড় কাঁদি রেখে যান চোরেরা। সঙ্গে একটি চিঠিও দিয়ে যান।
ওই চিঠিতে চোরের দল লিখেছে, ‘আমরা আপনার কলা গাছ থেকে কলা চুরি করেছি। তাই আপনারা আমাদেরকে গালাগালি করেছেন। আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পেরেছি। তাই আমাদের পরিমাণ মতো কলা খেয়ে বাকিটা আপনার জন্য নিয়ে এসেছি। আপনারা আমাদেরকে মাফ করে দেন। আর যদি গালাগালি করেন তাহলে বাকি কলা নিয়ে যাব।’
এ সময় সাদ্দাম হোসেন বলেন, বাড়িতে কোনো গাছের ফল-ফলাদি রাখা যাচ্ছে না। শখ করে বিভিন্ন জায়গা থেকে এনে কলা, পেঁপেসহ নানা প্রকারের ফলের গাছ লাগানো হয়। অনেক গাছে ফল এসেছে। কিন্তু কে বা কারা রাতের আঁধারে নিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, একটি চিঠি পাওয়া গেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে সন্দেহমূলক ছেলেদের হাতের লেখা পরীক্ষা করে বোঝা যাবে এ কাজগুলো কারা করছে। সবার মাঝে কৌতূহল জেগেছে গ্রামে এসব কারা করছে সে বিষয়ে জানার জন্য।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু কালাম বলেন, মৌসুমী ফল মানুষ শখ করে বাড়ির আশপাশে লাগিয়ে থাকে। এসব চুরি করে নিয়ে যাওয়া দুঃখজনক।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্বকর্মাপূজা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ২ দিন বন্ধ থাকবে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। তবে বন্ধের সময় স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বিশ্বকর্মাপূজা উপলক্ষে ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর দুইদিন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন বলে জানিয়েছেন। পূজার ছুটি শেষে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে যথারীতি আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বৃহৎ ও রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয় উত্তরপূর্ব ভারতে। রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে হিমায়িত মাছ, প্লাস্টিক, রড, সিমেন্ট ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ইত্যাদি।