চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে ভাসমান বেডে আধুনিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন সবজি ও মসলা ফসলের উৎপাদন কলা-কৌশলের উপর মাঠ দিবস ও কৃষক প্রশিক্ষণ আজ ১০ জুলাই সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকালে উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকুড়া মাদ্রাসা মাঠে এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্প (বারি অংগ) সরেজমিন গবেষণা বিভাগ কুমিল্লার আয়োজনে মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি গবেষনা কেন্দ্রের পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন বারীর (জয়দেবপুর গাজীপুর) পরিচালক ড. দেলোয়ার আহমেদ চৌধুরী। ভাসমান সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদারের সভাপতিত্বে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন আর.এ.আর.এম ড. বিমল চন্দ্র কুন্ডু, কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মৌলভী বাজারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হায়দার হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ কৃষিবিদ মোঃ আল মামুন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের কুমিল্লার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ জামাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: সাইদুর রহমান, বৈজ্ঞানিক সহকারী হুসাইন কবির, কৃষক মোঃ আলী আসাদ, আরিচা বেগম ও শেখ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কৃষক-কৃষানিসহ স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দুপুরে নাসিরনগর উপজেলা কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণ রুমে “ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষের ওপর ”কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে চিতনা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কে আটটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে উন্নয়ন কাজ। এতে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচলের সময় ঘটছে দুর্ঘটনা।
এ অবস্থায় বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলার দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কাজটি তদারক করছে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ।
নাসিরনগর উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা ব্যয়ে দুই মাস আগে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে রাস্তার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। গুনিয়াউক ইউনিয়নের চিতনা গ্রাম থেকে ফান্দাউক ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রাম পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। কাজটি পায় হাসান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর আগে রাস্তা ছোট ছিল। তখন রাস্তার এক পাশে ছিল বৈদ্যুতিক খুঁটি। এখন যেহেতু রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে তাই কিছু খুঁটি ভেতরে পড়েছে। নির্মাণ সম্পন্ন করার আগে খুঁটি সরানো হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী।
গত মঙ্গলবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চিতনা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে চিতনা ও চাপরতলা গ্রামের সংযোগকারী একটি সেতুর গোড়া থেকে। সেতু থেকে নামতেই রাস্তার মাঝ অংশে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি। কিছু দূর যেতেই রাস্তার মাঝ অংশে আরো কয়েকটি খুঁটি দেখা যায়। বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় রাস্তার ওই অংশ দিয়ে পথচারী ও যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা খুঁটিগুলো সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
চিতনা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম বলেন, রাস্তার মধ্যে ৭-৮টা খুঁটি রেখেই নির্মাণকাজ চলছে। গত দুই-তিন দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তায় মাটির কাজ চলায় কাদা হয়ে গেছে। এই কর্দমাক্ত রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। বারবার বলার পরও খুঁটিগুলো সরানো হচ্ছে না।
অপর বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তার মইধ্যে বিদ্যুতের খুডি (খুঁটি) রাইখা কীভাবে রাস্তার কাজ করে আমার বুঝে আসে না।’
গুনিয়াউক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিতু মিয়া জানান, রাস্তার মাঝ অংশে বেশকিছু পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি রেখে নির্মাণকাজ চলছে। এটা বিদ্যুৎ অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন এবং দ্রুত খুঁটি সরিয়ে জনদুর্ভোগ কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করব।
এ বিষয়ে নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল ম্যানেজার তৌহিদ উল্লাহ খান বলেন, চিতনা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে এমন কোনো তথ্য তাঁদের জানা নেই। রাস্তা নির্মাণকারী কোনো সংস্থা তাঁদের এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। পল্লী বিদ্যুতের প্রধান কার্যালয়ে কোনো পক্ষ যোগাযোগ করেছে কিনা তাঁর জানা নেই। তবে রাস্তা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে নিজ খরচে বিদ্যুতের খুঁটি সরাতে হবে।
নাসিরনগর উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল হোসাইন বলেন, রাস্তার মাটির কাজ শেষ হয়েছে। পুরো কাজ শেষ হতে আরও সময় লাগবে। কাজ শেষ হওয়ার আগেই রাস্তায় যে সব বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়বে তা সরিয়ে কার্পেটিংয়ের কাজ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার শেষ হলো সপ্তাহব্যাপী বইমেলার সমাপনী, বিকালে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
উৎসকৃষ্ট বই মানুষকে দেয় অনাবিল আনন্দ। আর এই বইয়ের যোগান দেয় বইমেলা। তাইতো পছন্দের বই কিনতে বইপ্রেমীরা মুখিয়ে থাকেন অমর একুশে বইমেলার দিকে। কিন্তু সেই বইমেলা যদি বাসার পাশেই হয় তবে তো কথাই নেই। গ্রন্থের সাহচর্যেই মানুষ অগ্রসর হয়ে চলে সভ্যতা ও সংস্কৃতির ক্রম-অগ্রযাত্রার পথে। এর ধারা অব্যাহত রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসন আয়োজন করে ৭দিন ব্যাপী প্রাণের বইমেলা। উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত বইমেলা মঞ্চে প্রতিদিন আলোচনা সভা,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে,কবিতা আবৃত্তি,সাধারণ জ্ঞান,কুইজ প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রায় এক যুগ পর অনুষ্ঠিত বইমেলায় উচ্ছ্বাস দেখা গেছে অনেকের মাঝেই। প্রতিদিনই পাঠকের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল বইমেলা প্রাঙ্গণ। বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ছেলেমেয়েরাও মেলায় বই কিনতে আসে।মেলায় শিশুদের উপযোগী বইও এনেছেন বিক্রেতারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়ার সভাপতিত্বে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: রাফিউদ্দিন আহমেদ। গত ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এ বইমেলায় দেশের প্রখ্যাত লেখকদের বই দিয়ে সাজানো ছিল ২০টি বইয়ের স্টল। মেলায় সকাল থেকে শতশত বইপ্রেমী ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে উৎসবমূখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বইপ্রেমীরা এসে পছন্দের বই কিনে ঘরে ফিরেছেন। সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত চলে বইমেলা। বইমেলায় বিক্রি সন্তোষজনক ছিল বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। তবে গত সাতদিনে ২০টি স্টলে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার বই বিক্রি হয়েছে। শেষদিন ছিল ক্রেতাদের অনেক সমাগম। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শিবলী চৌধুরী বলেন বই কিনতে আগে ঢাকায় যেতে হতো। ঢাকা যাওয়া কষ্টকর। এখানে ঘরের পাশেই পছন্দের বই পাওয়া যাচ্ছে আমাদের প্রাণে বইমেলায়। তাই দীর্ঘ একযুগ পর নাসিরনগরে বইমেলার আয়োজন করায় নবাগত উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আবদুর রহিম বলেন,বই হচ্ছে প্রাণের খোরাক। আমার মনে হয় প্রতিটি মানুষের মাসে অন্তত ১টি বই কেনা উচিত এবং সেটা পড়া উচিত। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়াকে আমার বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অভিনন্দন এমন চমৎকার বইমেলার আয়োজন করার জন্য।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়া বলেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মাঝে বই পড়ার আগ্রহ তৈরী ও অভ্যাস গড়ে তোলার জন্যই বইমেলার আয়োজন করা। কিন্তু এত মানুষের ভালবাসা ও আগ্রহ বইমেলার প্রতি এটা আমার ধারণা ছিল না। সবাই পছন্দের বই কিনছে এটা দেখে আমি খুবই আনন্দিত। ভবিষ্যতেও আমরা এই বইমেলা অব্যাহত রাখবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে মেধা বিকাশে খাঁটি পণ্য সরবরাহে একটি বিশ্বস্থ প্রতিষ্ঠান এই শ্লোগানকে সামনে রেখে “স্মার্ট লাইভস্টক বাজার” স্কুল ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৬ মে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উদ্যোগে নাসিরনগর শিশু কানন চত্বরে অনুষ্ঠিত ক্যাম্পিংয়ে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি. এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
অধ্যক্ষ মোঃ আবদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্যাম্পিংয়ে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফি উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নূরে আলম, নাসিরনগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) জামিল ফোরকান, জেলা পরিষদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া হাকিম রাজা, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অসিম কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক লতিফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপু।
এ সময় উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, স্মার্ট লাইভস্টক বাজারের উদ্যোক্তা আল-মামুন চৌধুরী, সাহেরা বেগম, কোহিনুর আক্তার, শিক্ষক, অভিভাবক,শিক্ষার্থীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বি. এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি শিক্ষার্থীদের মধ্যে এন্টিবায়োটিক মুক্ত ডিম বিতরণ করেন।
বাজারের উদ্যোক্তা আল-মামুন চৌধুরী জানান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নীচ তলায় অবস্থিত “স্মার্ট লাইভস্টক বাজারে” দুধ, দই, ঘি, পনির, মিষ্টি, লাচ্ছি, দুধ চা, এন্টিবায়োটিক মুক্ত ডিম, পোল্ট্রি ও রাজ হাসেঁর মাংসসহ সকল প্রাণিজ পণ্য বিক্রয় করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এক ডিলারের বিরুদ্ধে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার কথা। তবে দেওয়া হচ্ছে ২৭-২৮ কেজি। বিতরণের সময় সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে ট্যাগ অফিসার থাকার কথা থাকলেও সে নিয়ম মানা হচ্ছে না। এতে ঠকছেন হতদরিদ্ররা। বিষয়টি ডিলার স্বীকার করলেও একে অন্যকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন সঠিক ওজনে চাল দিচ্ছেন না ডিলার। উপজেলার ফান্দাউক গ্রামে এ অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত ডিলারের নাম মো. বদর আলম। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর সরেজমিন গিয়ে সুবিধাভোগীদের চাল মেপে পাওয়া গেছে ২৮ কেজি।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৩টি ইউনিয়নে ২৬ ডিলার ও ৮ হাজার ৭০৫ উপকারভোগীর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ফান্দাউক ইউনিয়নের ডিলার বদর আলমের মাধ্যমে ৩০৪ জন চাল পাচ্ছেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে চাল বিতরণের কাজ। শেষ হওয়ার কথা ৭ মার্চ।
গত সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে সরেজমিন দেখা গেছে, ডিলার বদরের দোকানের সামনে কয়েকশ লোক জড়ো হয়েছেন। তাঁরা কার্ড দেখিয়ে সারিবদ্ধভাবে চাল নিচ্ছেন। কয়েকজন ওজনে কম দেওয়ায় চাল না নিয়ে বাড়িতে চলে যান। প্রতিবাদ করলে নাম কেটে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
সেখানে কথা হয় শিউলি বেগম ও মুর্শিদা বেগমের সঙ্গে। তাঁরা জানান, অশিক্ষিত হওয়ায় মিটারের মাপ বোঝেন না। বাড়িতে চাল নিয়ে দেখেন তিন কেজি কম। বেশি কথা বললে নাম কেটে দেবে। এ জন্য কিছু বলার সাহস পান না।
আলাল মিয়া, নজরুল মিয়া ও পৈলন খাঁ অভিযোগ করেন, চাল নিতে এলে ডিলার বলেছে, দুই কেজি কম নিতে হবে। এ জন্য তাঁরা চাল নেবেন না। দুই বছর ধরেই কম দেওয়া হচ্ছে। চাল দেওয়ার সময় সরকারি লোক থাকার কথা। কিন্তু তারা ৫-১০ মিনিট থেকে চলে যায়। এ দিন সরকারি লোক আসেনি বলে জানান তাঁরা।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ডিলার মো. বদর আলম বলেন, ‘আমার কী করার আছে। সরকারি গুদাম থেকে বস্তায় দু-তিন কেজি চাল কম থাকে। এরপরও আমি বলেছি ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার জন্য। হয়তো শ্রমিকরা ভুল করেছে।’ ট্যাগ অফিসার ছাড়া চাল দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে ট্যাগ অফিসার আসেনি।’
সরকারি ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী মো. মোজাম্মেল হকের। তিনি সেখানে ছিলেন না। তিনি বলেন, ‘আমি সরকারি চাকরি করি। আমার দায়িত্ব হাসপাতালে। চাল বিতরণে অনিয়ম হলে সেটা আমার দেখার কথা না। সেটি দেখবেন খাদ্য কর্মকর্তা।’
ডিলার ও ট্যাগ অফিসারের এমন দাবির বিরোধিতা করে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার আচার্য বলেন, ‘চাল বিতরণের সময় ট্যাগ অফিসার উপস্থিত থাকবেন। গুদাম থেকে চাল কম দেওয়ার সুযোগ নেই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফকরুল ইসলাম বলেন, হতদরিদ্রদের চাল বিতরণে ওজনে কম দেওয়ার সুযোগ নেই। অভিযোগ সত্য হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্যোগে আশার সদস্যদের মাঝে বীমা দাবি ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ২৩ অক্টোবর বুধবার বিকালে নাসিরনগর আশার আঞ্চলিক কার্যালয়ে এই বীমা দাবি ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়। বীমা দাবি ও চিকিৎসা সহায়তা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আশার হবিগঞ্জ সিনিয়র এডিশনাল ডিভিশনাল ম্যানেজার মোঃ জালাল উদ্দিন।
আশার নাসিরনগর অঞ্চলের ব্যবস্থাপক মো: দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূঁইয়া।
আশা নাসিরনগর সদর ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক মো: আশরাফ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আশা ফান্দাউক ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক মাসুদ পারভেজ, আশা ভলাকুট ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক আরিফুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আশার হতদরিদ্র মমতা রানীকে ৩ হাজার টাকা ও জেসমিন বেগমকে ৩ হাজার টাকা চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়। এছাড়াও বীমা নিস্পত্তি দাবি হিসেবে মরনোত্তর নিজাম উদ্দিনকে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা, রোকসানাকে ১৭ হাজার ৭৭২ টাকা ও মমতা রানী ১ লাখ ৫৪৯১ টাকা ঋণ মওকুফ করা হয়। এ সময় এবিএম, লোন অফিসারসহ আশা ব্রাঞ্চের কর্মকর্তা ও সুবিধাভোগী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি আশার হবিগঞ্জ সিনিয়র এডিশনাল ডিভিশনাল ম্যানেজার মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন, আশার নিজস্ব আয় থেকে নানাবিধ সামাজিক সেবামূলক কাজকর্মের একটি হল এই চিকিৎসা সহায়তা প্রদান। আশা সারাদেশে ঋণ কার্যক্রমের পাশাপাশি আশার বন্যা পরিস্থিতিতে চিকিৎসা ও খাদ্য সামগ্রী, সুদ মুক্ত ঋণ বিতরণ,শীত বস্ত্র বিতরণ, বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা শিবির, ফিজিওথেরাপী ক্যাম্প, প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালী করণ কর্মসূচীসহ সামাজিক কার্যক্রম চালু রয়েছে।