অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্রমবর্ধমান রোগীর স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। এ হাসপাতালকে সুন্দর, আধুনিক ও বড় হাসপাতালে পরিণত করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছি। যাতে একই সময় ৪০০০ রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে পারেন। আশা করি, শিগগিরই এর কাজ শুরু করতে পারব।
প্রধানমন্ত্রী আজ ১০ জুলাই সোমবার তার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৭৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। অ্যালামনাই ট্রাস্ট কলেজের শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, বিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিজ্ঞান সামনের দিনগুলোতে বিকাশ লাভ করবে। তাই বাংলাদেশকেও একই গতি বজায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণার সংখ্যা আমাদের দেশে কম। মুষ্টিমেয় সংখ্যক ব্যক্তি এ বিষয়ে গবেষণায় নিয়োজিত আছেন। কাজেই চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণার প্রতি আমাদের আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত। কারণ বর্তমান যুগে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ওপর পর্যাপ্ত গবেষণা খুবই প্রয়োজনীয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চালাতে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেবে।
অনলাইন ডেস্ক :
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে একটি বড় পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘পরমাণু শক্তি আমরা শান্তি রক্ষায় ব্যবহার করব।’
আজ ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়াম আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বিশ্বব্যাপী পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের ওপর জোর দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে পারমাণবিক জ্বালানি ইউরেনিয়াম বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে রাশিয়া। এর ফলে আজ থেকে পরমাণু স্থাপনার মর্যাদা পেল রূপপুর প্রকল্প।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর আকাশপথে রাশিয়া থেকে ঢাকায় পৌঁছায় পারমাণবিক জ্বালানি। এরপর বিশেষ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সড়কপথে এটি রূপপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনই জ্বালানি ব্যবহার করা হবে না, এটি মজুত করে রাখা হয়েছে রূপপুরে। এরপর আজ সকালে পারমাণবিক জ্বালানির দ্বিতীয় চালান রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সিপিসি-১, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্প, র্যাব-৫, রাজশাহীর একটি আভিযানিক দল আজ ১২ সেপ্টেম্বর রাতে বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন শ্যামপুর ইউনিয়নের বাজিতপুর পুরাতন গ্রামস্থ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১। মোঃ তোজাম্মেল হক (৩৭) (মূলহোতা), পিতা- মোঃ ফয়েজ উদ্দিন, ২। মোঃ মাসুদ রানা (৪৫), পিতা- মৃত লায়েস উদ্দিন, উভয় সাং-বাজিতপুর (পুরাতন গ্রাম) , থানা- শিবগঞ্জ, জেলা- চাঁপাইনবাবগঞ্জদ্বয় কে ১০০(একশত) গ্রাম হেরোইন সহ গ্রেফতার করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় উল্লেখিত আসামী মোঃ তোজাম্মেল হক মাদক বিক্রির উদ্দেশ্যে মাদক বহন করে অন্যত্র যাচ্ছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব এর একটি চৌকস আভিযানিক দল শিবগঞ্জ থানার বাজিতপুর গ্রামে ফাঁকা রাস্তায় তাকে আটক করে।
আটকের পরে জিজ্ঞাসা বাদে সে জানায় যে, সে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে বিক্রির উদ্দেশ্যে মোঃ মাসুদ রানা এর বাড়ীতে হেফাজতে রাখে। আভিযানিক দলটি তাকে নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে নিরপেক্ষ সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তল্লাশি করে তার ঘর থেকে ১০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে এবং তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানা যায় যে মো: তোজাম্মেল হক প্রায়শঃই মাদক ক্রয় করে উক্ত ব্যক্তির কাছে হেফাজতে রেখে তার মাধ্যমে এলাকার বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করত।
উপরোক্ত ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। র্যাব-বিশেষ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমাদের সংকটে, আমাদের সংগ্রামে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে কাজী নজরুল ইসলাম অফুরান এক প্রেরণার উৎস এবং চিরদিন তিনি বাঙালির জীবনে বেঁচে থাকবেন।’
আজ ২৭ আগস্ট রবিবার সকালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাতীয় কবির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘এই দিনে আজকে আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ সমূলে তুলে ফেলতে হবে। আজকে আমরা এই শপথ করি। বাংলাদেশের যারা সত্যিকারে বাঙালি তাদের কাছে আমাদের এই চেতনার উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতীয় কবি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কবিতা, গানে, চেতনায় বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। আমরা এখনো সা¤প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়ছি, তার সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে। সা¤প্রদায়িকতা এখনো আমাদের এই স্বাধীন দেশে অগ্রগতির পথে, স্বাধীন দেশের বিকাশের ধারার অন্তরায় রয়ে গেছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আগস্ট মাস শেষ হয়নি, এই আগস্ট মাস বাঙালি জাতির জন্যে ট্রাজেডির মাস, এই মাসে বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি আমরা। কাজী নজরুল ইসলামকেও হারিয়েছি। নজরুল আগেও প্রাসঙ্গিক ছিলেন এখনো আছেন, তিনি আমাদের যেকোনো সংগ্রামে অপূরণীয়, তিনি চিরদিন আমাদের হৃদয়ে থাকবেন।’
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে দলের নেতাদের নিয়ে জাতীয় কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান ওবায়দুল কাদের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সায়েম খান প্রমুখ।
এছাড়া যুবলীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতীয় কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদের কর্মসূচিতে আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একুশের পদাবলি অনুষ্ঠান হয়েছে।
স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার।
কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
প্রধান বক্তা ছিলেন সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন।
বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আহবায়ক আল আমীন শাহীনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান পারভেজ এর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গীতিকার কবি দেওয়ান মারুফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু হোরায়রাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, প্রথম আলোর প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন, সাংবাদিক মাজহারুল করিম অভি, পথিক টিভির সিইও লিটন হোসেন জিহাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী সংসদের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ পারুল, সুর তাল সঙ্গীত নিকেতন এর পরিচালক দেবাশীষ দেবু, বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিন, উপস্থাপক আবদুন মতিন শিপন।
হাবিবুর রহমান পারভেজ ও নুসরাত জাহান জেরিন সঞ্চালনায় আবৃত্তি করেন বাচিক শিল্পী আশরাফ পিকো, আল আমীন শাহীন, হাবিবুর রহমান পারভেজ, নুসরাত জাহান বুশরা, লিটন হোসেন জিহাদ, পাবলো চৌধুরী, নুসরাত জাহান জেরিন,উৎস সরকার, সিয়াম আরামিন, নাবিল আবদুল্লাহ, সাহেবর জিয়াসমিন তাপসী, ফাহমিদা আক্তার, প্রজ্ঞা চৌধুরী প্রাচী, প্রাচুর্য চৌধুরী, লাভিয়া জান্নাত, অঅপসানা, ইসমাত নাভিলা, সামিহা, মারজিয়া প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (ভিডিপি) সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বাড়াতে বিভিন্ন পেশা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ ৩০মে মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংগে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ নির্দেশ দেন।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। রাষ্ট্রপতি আশা করেন যে, সমাজে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে গ্রামে-গঞ্জে নিয়োজিত আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা ইতিবাচক অবদান রাখবেন।
“সামাজিক স্থিতিশীলতা উন্নয়নের পূর্বশর্ত। এই বাহিনী দেশের অভ্যন্তরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অন্যান্য পেশাগত বাহিনীকে সহযোগিতা করে আসছে,” বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপ্রধান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা পরবর্তীতে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আনসার ও ভিডিপি-র ভূমিকার প্রশংসা করেন।
আনসার ও ভিডিপির প্রধান বাহিনীর সদস্যদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গৃহীত নানা পদক্ষেপসহ সার্বিক কর্মকান্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহউদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।