অনলাইন ডেস্ক :
কুয়েতের পার্লামেন্ট কোরআন পোড়ানোর সঙ্গে জড়িত দেশগুলোর তৈরি পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে। আজ ১১ জুলাই মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে পার্লামেন্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
এ ছাড়াও ‘ইসলামের নীতি লঙ্ঘন করে’ এমন দেশে রপ্তানি নিষিদ্ধ করার জন্যও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এ ধরনের লঙ্ঘন প্রচার করা’ ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশনগুলোর বিরুদ্ধে তথ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সূত্র : রয়টার্স
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করার জন্য ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে কঠোর জবাব পেতে হবে। তিনি বলেছেন, ইরান ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতার রক্তের বদলা নেওয়া দায়িত্ব মনে করে।
আজ ৩১ জুলাই বুধবার ভোরে রাজধানী তেহরানে হামাস নেতার হত্যাকাণ্ডের পরপরই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “অপরাধী এবং সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী রেজিম আমাদের স্বদেশে আমাদের প্রিয় মেহমানকে শহীদ করেছে এবং আমাদেরকে শোকাহত করেছে, তবে এর মধ্য দিয়ে নিজের জন্য কঠোর শাস্তির ভিত্তি তৈরি করেছে।”
তিনি আরো বলেন, “ইহুদিবাদী ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ইসমাইল হানিয়ার দীর্ঘ আত্মত্যাগ ও সংগ্রামী জীবনের প্রশংসা করেন সর্বোচ্চ নেতা।”
এদিকে, ইরানের জাতিসংঘ মিশনের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে, “গুপ্তহত্যার জবাব হবে একটি বিশেষ অভিযান— শক্তিশালী। যেটির লক্ষ্য থাকবে হত্যাকারীদের মধ্যে গভীর অনুশোচনা তৈরি করা।”
এর আগে ইরানের শক্তিশালী বাহিনী ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের পক্ষ থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
লেবাননে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত মোজতবা আমানি বিপ্লবী গার্ডের হুমকির সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছেন, “জবাব অবশ্যই আসছে।”
লেবাননের রাজধানী বৈরুত থেকে ইরানি রাষ্ট্রদূত বলেছেন, “ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পরিধি বাড়াতে চাইছিল না ইরান। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলকে এই অঞ্চলকে শিকার বানাতেও দেবে না ইরান।”
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নিজেদের প্রভাব বিস্তারে দীর্ঘদিন ধরে প্রক্সি বাহিনীকে সহায়তা করে আসছে ইরান। ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেনসহ অন্যান্য দেশগুলোকে ইরান রাইফেল, ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্যান্য মারণাস্ত্র দিয়ে থাকে। যদিও ইরান এ বিষয়টি প্রকাশ্যে কখনও স্বীকার করে না।
অপরদিকে দখলদার ইসরায়েলকে অস্ত্র দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। তারা মূলত ইসরায়েলকে দিয়ে ইরানকে দমিয়ে রাখতে চায়। সূত্র: সিএনএন, পার্সটুডে
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনে অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি বাড়ানো নিয়ে ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছে সৌদি আরব। এ সিদ্ধান্ত নিলে ইসরায়েলকে ‘ভয়াবহ পরিণতি’ভোগ করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে রিয়াদ। সূত্র : আরব নিউজ
স্থানীয় সময় শনিবার এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানায় সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সৌদি প্রেস এজেন্সি প্রচারিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সৌদি আরব আন্তর্জাতিক আইনের চলমান ইসরায়েলি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আপত্তি জানাচ্ছে। ’
মন্ত্রণালয় সতর্ক করে বলেছে, ‘যদি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বসতি সম্প্রসারণ পরিকল্পনা চালিয়ে যায়, তবে এর ‘ভয়াবহ পরিণতি’ হতে পারে।’
এর আগে, ইসরায়েলের কট্টরপন্থী অর্থমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেন, তার সরকার পশ্চিম তীরের বসতি সম্প্রসারণ ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের কার্যক্রমের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এসব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের উত্তর গাজার জাবালিয়ায় জাতিসংঘের পরিচালিত ‘আল-ফাখুরা’ নামে একটি স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে।
গতকাল শনিবার ভোরে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত ওই স্কুলটিতে ইসরায়েলী বাহিনীর অবিরাম হামলা থেকে বাঁচতে শত শত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল।
গাজা থেকে কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিনিধি তারেক আবু আজজুম জানান, স্কুলের ভেতর মরদেহ পড়ে আছে। মেডিকেল টিমগুলো আহতদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি আরো জানান, উত্তর গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত স্থল আক্রমণ থেকে বাঁচতে অনেক ফিলিস্তিনি সুরক্ষার জন্য ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের আশপাশে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের আল-ফাখুরা স্কুলে আশ্রয় নেওয়া লোকেরা, যাদের অনেকের চিকিৎসা সমস্যা ছিল, তারা ভেবেছিল তারা সেখানে আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পারে।
গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় প্রাণহানির সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার সরকারি মিডিয়া অফিসের মহাপরিচালক ইসমাইল থাওয়াবতা।
অনলাইন ডেস্ক :
বিরল এক মাছের বদৌলতে এক দিনের ব্যবধানে সাধারণ জেলে থেকে কোটিপতি বনে গেলেন পাকিস্তানের করাচির এক ব্যক্তি। আজ ১০ নভেম্বর শুক্রবার সকালে নিলামে ওই মাছটি বিক্রি করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে ভারতীয় গণমাদ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হাজি বালোচ নামে সৌভাগ্যবান ওই মাছ ব্যবসায়ী করাচির অন্তর্গত ইব্রাহিম হায়দারি নামে একটি দরিদ্র জেলেপল্লিতে বসবাস করেন। সোমবার তার কয়েকজন কর্মী আরব সাগর থেকে ‘গোল্ডেন ফিশ’ নামে বিরল ওই মাছটি ধরেন। মহামূল্যবান ওই মাছটি বাংলাদেশে ‘ভোলা মাছ’ নামে পরিচিত।
পাকিস্তানের মৎস্যজীবী ফোরামের নেতা মুবারক খান বলেছেন, শুক্রবার সকালে করাচি বন্দরে জেলেদের ধরে আনা মাছটি নিলামে সাত কোটি রুপিতে (পাকিস্তানি মুদ্রা) বিক্রি হয়েছে।
ভোলা মাছের পেটের ভেতরে বিজ্ঞানীরা এমন এক বস্তুর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন, যা চিকিৎসাক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এর পর থেকে মাছটিকে মহামূল্যবান এক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভোলা মাছের পেটের ভেতরে সুতার মতো কুণ্ডলী পাকানো ওই বস্তুটি মূলত অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
ভোলা মাছ ২০ থেকে ৩০ কেজি পর্যন্তও বড় হয়ে থাকে এবং এর দৈর্ঘ্য হতে পারে দেড় মিটার পর্যন্ত। পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে এ মাছের বিপুল চাহিদা রয়েছে।
আরেকটি বিষয় হলো : ভোলা মাছের একটি সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যগত বিশেষত্বও রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী কিছু ওষুধ তৈরি এবং স্থানীয় রন্ধনপ্রণালিতে এ মাছের চাহিদা বিপুল।
সৌভাগ্যবান জেলে বালোচ বলেন, আমরা আরব সাগরের মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরছিলাম। তারপর হঠাৎ করেই এ মাছটি আমাদের জালে উঠে আসে, এটি আমাদের কাছে আসা এক দৈব সম্পদের মতো।
বালোচ জানিয়েছেন, মাছটি বিক্রি করে যে অর্থ তিনি পেয়েছেন তা তার সহযোগী জেলেদের মধ্যেও ভাগাভাগি করবেন। মূলত প্রজনন মৌসুম এলেই গভীর সমুদ্র থেকে এই মাছটি উপকূলের কাছাকাছি আসে।
অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ায় ৪২৫ অভিবাসীকে আটক করেছে, দেশটির কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন বিভাগ। রাজধানী কুয়ালালামপুরের চেরাসের তামান কনটের তিনটি ভিন্ন ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। যাদের বয়স ৮ থেকে ৫৪ বছর।
গতকাল শুক্রবার মধ্যরাত ১টায় অভিযানে ৮০ জন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা মোট ৬০০ জন দেশি-বিদেশি নাগরিকের কাগজপত্র চেক করেন এবং এর মধ্য থেকে যাদের কাগজপত্র নেই এমন ৪২৫ জন বিদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে। যার মধ্যে ৩৭২ জন পুরুষ এবং ৫৩ জন নারী রয়েছেন।
আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশের ২৫২, মিয়ানমার ১০৮, ইন্দোনেশিয়া ৩০, নেপাল ২০, পাকিস্তান ৭, কম্বোডিয়া ৬ এবং ফিলিপাইনের ২ জন রয়েছেন।
কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের পরিচালক শ্যামসুল বদরিন মহসিন সাংবাদিকদের বলেছেন, পাস বা পারমিটের অপব্যবহার, অবৈধভাবে পরিচয়পত্র ছাড়াই (অতিরিক্ত অবস্থান) ও বিভিন্ন অরাধের কারণে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে রাখা হয়েছে। ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৬৬ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশনস ১৯৬৩ এর অধীনে আরও বেশি তদন্ত করা হবে বলেও যোগ করেন শ্যামসুল বদরিন মহসিন।
কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের পরিচালক শ্যামসুল বদরিন মহসিন বলেন, আমরা সবসময় জনগণের দেওয়া অভিযোগ এবং তথ্যের ভিওিতে ব্যবস্থা নেবো এবং যারা অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় থাকেন, তাদের পাসের অপব্যবহার এবং এই দেশে অনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালনাকারী বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে আপস করব না।