অনলাইন ডেস্ক :
কুয়েতের পার্লামেন্ট কোরআন পোড়ানোর সঙ্গে জড়িত দেশগুলোর তৈরি পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে। আজ ১১ জুলাই মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে পার্লামেন্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
এ ছাড়াও ‘ইসলামের নীতি লঙ্ঘন করে’ এমন দেশে রপ্তানি নিষিদ্ধ করার জন্যও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এ ধরনের লঙ্ঘন প্রচার করা’ ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশনগুলোর বিরুদ্ধে তথ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সূত্র : রয়টার্স
চলারপথে রিপোর্ট :
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ডাকাতের গুলিতে মো. সোহাগ নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় ১ এপ্রিল শনিবার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহাগ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার ৬ নং নাটেশ্বর ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামের আব্দুল হাকিম ট্যান ডলার বাড়ির মো. কোবাদ মিয়ার ছেলে। সোহাগের মৃত্যুতে তার গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
ছয় ভাই-বোনের মধ্যে ছোট ছেলেকে হারিয়ে সবাই পাগল প্রায়। কোনোভাবে সোহাগের এই মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। মৃত্যুর খবরে সোহাগের স্ত্রী এক বাচ্চা নিয়ে অসহায় অবস্থায় রয়েছেন।
স্থানীয় প্রবাসীরা জানান, রাত আটটার দিকে জোহানেসবার্গে সোহাগের কনফেকশনারী দোকানে ডাকাত দল অতর্কিত গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করে। বর্তমানে সোহাগের মরদেহটি আফ্রিকার হিলব্র ক্লিনিকে রাখা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ইউক্রেন যুদ্ধের সময়ে ভারতকে কম দামে অশোধিত তেল বিক্রি করেছে রাশিয়া। ওই তেল শোধনের পরে ইউরোপে রফতানি করে বিরাট মুনাফা অর্জন করেছে ভারতীয় সংস্থাগুলো, এমনটাই জানা গেছে সদ্য প্রকাশিত একটি রিপোর্টে। কেপলার ও ভরটেক্সা নামে দুই সংস্থার দাবি, ভারতে রুশ তেল আমদানির পরিমাণ যেমন বেড়েছে, তেমনই বেড়েছে ভারত থেকে পরিশোধিত তেল রফতানির পরিমাণ।
দুই সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে, ইউক্রেনে রুশ হামলার আগে প্রতিদিন ইউরোপীয় বাজারগুলোতে ১ লাখ ৫৪ হাজার ব্যারেল ডিজেল ও জেট ফুয়েল রফতানি করত ভারত। তারপরেই ইউক্রেনে হামলার প্রতিবাদে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করে ইউরোপীয় দেশগুলো। রুশ সংস্থাগুলোর সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কও ছিন্ন করে পশ্চিমি দুনিয়া। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতকে খুবই কম দামে অশোধিত তেল রফতানি করে রাশিয়া। আন্তর্জাতিক চাপের মুখেও অনড় থেকে রুশ তেল কেনা চালিয়ে যায় ভারত।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরে কেটে গেছে এক বছরেরও বেশি সময়। কেপলারের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে লাফিয়ে বেড়েছে ভারত থেকে ইউরোপে পরিশোধিত তেল রফতানির পরিমাণ। গত অর্থবর্ষে প্রতিদিন গড়ে ২ লাখ ব্যারেল তেল রফতানি করেছে ভারত। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইরাকের বদলে রাশিয়ার থেকেই সবচেয়ে বেশি তেল কিনেছে ভারত। কম দামে রুশ তেল কিনে পরিশোধিত তেল রপ্তানি করা হয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলিতে।
কেপলার ও ভরটেক্সার রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত এক বছরে ১২-১৬ শতাংশ বেড়েছে ভারতের ডিজেল রফতানির পরিমাণ। ফ্রান্স, তুরস্ক, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলোতেই সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ডিজেল রফতানি করেছে ভারত। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কম দামে রুশ তেল কিনা তা শোধন করার পর সঠিক দামেই ইউরোপের বাজারে বিক্রি করছে ভারত। তার ফলে ব্যাপক মুনাফাও অর্জন হয়েছে। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের করাচির একটি ফ্যাক্টরিতে বিনামূল্যের পণ্য নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। ওই ফ্যাক্টরির পণ্য বিতরণ কেন্দ্রে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে সেখানে পদদলনের ঘটনা ঘটে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নিহতদের সবাই নারী। এদের মধ্যে তিনজন শিশুও রয়েছে।
দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। তারা জানিয়েছেন, পণ্য বিতরণ কেন্দ্রের পাশে থাকা একটি নালাতে পড়ে যান নারী ও শিশুসহ অসংখ্য মানুষ। তখন একে-অপরের ওপর চাপা পড়েন। এছাড়া একটি অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে, ওই নালার ওপর একটি বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়ে। এতে অনেকেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
এ দুর্ঘটনার পর নিহতদের মরদেহ করাচির বালদিয়া শহরের আব্বাসী শাহীদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে তাদের কাছে নয়টি মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া আহত অবস্থায় আরো ছয়জনকে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে দু’টি মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে শহরের সরকারি হাসপাতালে। এতে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সংবাদমাধ্যম জিও টিভি জানিয়েছে, যে ফ্যাক্টরিতে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে প্রতি বছর রমজান মাস উপলক্ষে বিনামূল্যের পণ্য ও জাকাত বিতরণ করা হয়। এর অংশ হিসেবে এবারো অসহায়দের ডাকা হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, জাকাত ও পণ্য নিতে সেখানে অসংখ্য মানুষ জড়ো হন। ওই সময় ফ্যাক্টরির নালায় পড়ে যান অনেকে। নিহতদের বেশিরভাগের মৃত্যু হয়েছে নালায় পড়ে। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে।
করাচির এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের আশঙ্কা মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।
সূত্র : খবর দ্য ডন
অনলাইন ডেস্ক :
ব্যাংকক সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের আন্তরিকতাপূর্ণ একান্ত বৈঠক, দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং দু’দেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছে।
গতকাল ২৬ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানীর গভর্নমেন্ট হাউজে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ তথ্য জানান।
দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ সময় অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়।
দেশের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ব্যাংককে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. প্রাণপ্রী বাহিদ্ধা নুকারা প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ড. হাছান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন, এরপর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাসহ সবিস্তারে অনেকগুলো বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের যে ভ্রাতৃপ্রতিম ও বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক, সেটা আরও জোরদার, বহুমাত্রিক ও বিস্তৃত করার ব্যাপারে দুই প্রধানমন্ত্রী গভীর আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন, বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজে থাই বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা চাইলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক জোন করার কথাও বলেছেন।
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১.৩ মিলিয়ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের জন্য বাংলাদেশে যেসব সমস্যা উদ্ভূত হচ্ছে বৈঠকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ড. হাছান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডেও অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন, এখনো অনেকে আসছেন। থাইল্যান্ডও এই পালিয়ে আসা মানুষের ভারে জর্জরিত। এই সমস্যা সমাধানে উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
এ দিন গভর্ণমেন্ট হাউজে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদত্ত রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনারে থাই প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে ছিলেন। শেখ হাসিনা তার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান। বৃহস্পতিবার ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন শেখ হাসিনা। সেখানে দেওয়া ভাষণে সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা।
অনলাইন ডেস্ক :
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থানীয় সময় আজ ১ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে মানবিক বিরতি শেষ হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১০৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরো অনেকে আহত হয়েছে। গাজা শাসনকারী হামাস সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডা. আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, ইসরায়েল এদিন সকাল থেকে গাজায় তীব্র বোমাবর্ষণ শুরু করে। এখন পর্যন্ত ১০৯ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সরকারি ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা বলেছিল, ৬৫ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই ‘শিশুসহ নিরীহ বেসামরিক’। গাজাজুড়ে ইসরায়েলি বোমা হামলাকে আবাসিক এলাকায় নির্বিচার বলে বর্ণনা করেছে ওয়াফা।
দিনের প্রথম দিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছিল, ‘মানবিক বিরতি শেষ হওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২। কয়েকজন মানুষ আহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ২৪ নভেম্বর কার্যকর হয়েছিল এবং শুক্রবার সকালে তা শেষ হয়েছে।
আনাদোলুর সংবাদদাতা জানিয়েছেন মানবিক বিরতি শেষ হওয়ার পর পরই পূর্ব গাজা উপত্যকায় ভারী গোলাবর্ষণ এবং ইসরায়েলি কামানের আঘাত আবার শুরু হয়েছে। উত্তর ও মধ্য গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনি দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি