চলারপথে রিপোর্ট :
নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী বিক্রির সময় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে চার দোকানিকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ১২ জুলাই বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার, সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান শহরের আনন্দ বাজারের কাঁচা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে চার দোকানিকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার, সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এ সময় দোকানিরা ক্রয়-বিক্রয়ের ভাউচার সংরক্ষণ না করা, খচিরা বিক্রেতাদেরকে কোনো ধরনের রশিদ সরবরাহ না করা এবং মূল্য তালিকা না থাকায় বি-বাড়িয়া আড়ৎদারকে ৪ হাজার টাকা ও অপর তিনজন খুচরা ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকাসহ মোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্মাণাধীন চার লেন সড়কের কাজ পুনরায় শুরু হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন ফিরে আসবে। গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে সড়কটি পরিদর্শনে এসে এ তথ্য জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সচিব বলেন, ‘ভারতীয় পক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে তোমরা আসো, কাজ করো- আমাদের অসুবিধা হচ্ছে। যতো দ্রুততার সঙ্গে সম্ভব কাজ করো। এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে ভারতীয় হাইকমিশনার নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাও কথা বলেছেন উল্লেখ করে সচিব মো. এহছানুল হক বলেন, ‘বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার নজরে রয়েছে। জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে সড়কটি দেখার জন্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা আমাকে পাঠিয়েছেন।’ ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চার লেন সড়ক প্রকল্পের ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী গত ১০ই আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে যায়। এরপর থেকেই বন্ধ এই প্রকল্পের কাজ। এদিকে কাজ বন্ধ থাকায় সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েক কিলোমিটার চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারো যানবাহন। নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘ যানজটে নাকাল হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক, চুরি, ছিনতাই এবং অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে গ্রামবাসী।
আজ ১৮ ডিসেম্বর সোমবার বেলা ১১টায় রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ বাজারে গ্রামবাসী উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সেন্দ গ্রামের মাদক নির্মূল কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আলামিন, আব্দুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা তাজু মিয়া, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মারুফ মিয়া।
এ সময় বক্তারা বলেন, গ্রামের ভেতর বেশ কয়েকটি স্পটে প্রকাশ্যে মাদক ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে। এতে যুব সমাজ চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিংসহ নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। ভাঙে যাচ্ছে অনেক সংসার। নেশার টাকা জোগাড় করতে পারিবারিক ও সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে তারা। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বিভিন্ন সময় অভিযোগ করলেও প্রতিকার মিলছে না। বিভিন্ন সময় লোক দেখানো অভিযান চালানো হলেও পরক্ষণে তারা দ্বিগুণ উৎসাহে একই কাজে লিপ্ত হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে মাদক নির্মূলে জোর দাবি জানাচ্ছি।
পরে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান মারা গেছেন। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকাল পৌনে ৩ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি বেসরকারি আইসিইউ হাসপাতালে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফায়েজুর রহমান ফয়েজ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ ডাঃ মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়াবেটিক, হাই প্রেসার ও হার্টের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন। গতকাল দুপুর দেড়টায় তিনি জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিজস্ব কক্ষে অসুস্থতা অনুভব করেন। তখন হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি হার্ট এ্যাটাক করেছেন বলে বিষয়টি জানা যায়। পরে তাকে ঢাকা নেওয়া প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু তার আগেই ডাঃ মোঃ ওয়াহিদুজ্জামানের শারীরিক অবস্থান অবনতি ঘটলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কুমারশীল মোড়স্থ আইসিও স্প্যাশালাইজড হাসপাতালে তাকে আইসিওর লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। তবে বিকাল পৌনে ৩টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
চিকিৎসক মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি ২১ বিসিএস এর ক্যাডার। ২০২১সালে ২৩জুন তত্ত্বাবধায়ক পদে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিযুক্ত হন।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্মরণানুষ্ঠান ও ইফতার আয়োজনের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপমহাদেশের প্রখ্যাত আবৃত্তিশিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান আরিফের দ্বিতীয় প্রয়াণ দিবস পালিত হয়েছে।
আজ ১ এপ্রিল সোমবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ মিলনায়তন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের উদ্যোগে স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিতাস আবৃত্তি সংগঠন পরিচালক মো মনির হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সহকারী পরিচালক সুজন সরকারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী পরিচালক উত্তম কুমার দাস।
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশিষ্ট সংস্কৃতিসেবী অ্যাড. নাসির মিয়া, কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আবদুর রহিম, চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার সভাপতি কবি আমির হোসেন, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ পার্থ তলাপাত্র, গুণীজন সংবর্ধনা পরিষদ সভাপতি আবুল বাসেত, টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান, কবি শৌমিক সাত্তার, তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম সুজন, সোনালী সকাল পরিচালক ফাহিম মুনতাসীর।
এসময় হাসান আরিফ, তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সহসভাপতি মো আতিকুল ইসলাম, আবৃত্তিশিল্পী শরীফ মুহাম্মদ সাঈম, কন্ঠশিল্পী জুমানা কামালের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।