অনলাইন ডেস্ক :
অনূর্ধ্ব-১৯ দলে বহুবার ২২ গজে একসঙ্গে দৌড়েছেন তাওহীদ হৃদয় ও শামীম পাটোয়ারি। দেশকে ম্যাচ জিতিয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন করেছেন। এবার জাতীয় দলের হয়ে দলকে ম্যাচ জেতানোর দায়িত্ব সামলালেন তারা।
আফগানিস্তানকে নাগালের মধ্যে আটকেও রেখেও দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। তরুণ হৃদয় ও শামীম ব্যাট হাতে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন। চাপ থেকে কামব্যাক দেখান তারা। জয়ের প্রান্তে গিয়ে হারায় তিন উইকেট। শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ।
আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে আফগানদের ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ফ্রেশ উইকেটে নতুন বলে সুবিধাও তুলে নেন। তৃতীয় ওভারে প্রথম সাফল্যের পর অষ্টম ওভারে আফগানদের ৫২ রানে ৪ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ।
ওই চাপ সামাল দেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী। তিনি ৪০ বলে হার না মানা ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন। চারটি চার ও একটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। তার সঙ্গে জুটি দেন নাজিবুল্লাহ জাদরান ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই। নাজিব খেলেন ২৩ রানের ইনিংস। পেসার ওমরজাই ১৮ বলে চারটি ছক্কার শটে ৩৩ রান করেন। আফগানিস্তান ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তোলে।
জবাব দিতে নেমে চাপে পড়ে বাংলাদেশ দলও। ৩৯ রানে তৃতীয় ও ৬৪ রানে হারায় চতুর্থ উইকেট। এরপর হৃদয় ও শামীম দুর্দান্ত জুটি গড়েন। তারা ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের প্রান্তে নিয়ে আসেন।
দলের রান ১৩৭ হলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বাঁ-হাতি ব্যাটার শামীম পাটোয়ারি। তিনি ২৫ বলে তিনটি চারের শটে ৩৩ রান করেন। হৃদয় ৩২ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৪৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ছয় রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। দলের রান ১৫৩ হতে একে একে ফিরে যান মেহেদি মিরাজ (৮), তাসকিন আহমেদ (০) ও নাসুম আহমেদ। এক বল থাকতে চার মেরে জেতান শরিফুল ইসলাম।
চলারপথে ডেস্ক :
বড় দলকে বাংলাদেশ প্রথম হারাল, এমন নয়। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডকে সিরিজ হারানোর সুখস্মৃতি এখনও খুব একটা দূরের গল্প নয়। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই জয়টা আলাদা। তাদের সঙ্গে প্রথম বলে তো অবশ্যই , একই সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে খেলার ধরন, মানসিকতা, উইকেট সবকিছু মিলিয়েই।
সপ্তাহিক কর্মদিবসের প্রথম দিন বিকেল তিনটায় খেলা, তবুও গ্যালারি ছিল ভর্তি। তাদের গর্জনের সুরেও বোধ হয় ‘ভালো দল’ দেখার সেই সাক্ষী। মিরপুরে সন্ধ্যে নামার আগে জ্বলে উঠা মোবাইলের ফ্লাশলাইটে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে বদলে যাওয়ার শুরু হলো কি না, উঠবে এখন এই আলোচনাও।
অনেকদিন ধরে হতাশার টি-টোয়েন্টি দল বিশ্বকাপের পর খেলতে নেমেছিল প্রথমবার। একাদশ, স্কোয়াডেও বদলও এসেছিল বেশ কিছু। ‘পারফরমারদের’ নিয়ে গড়া ‘সাকিব আল হাসানের দল’ দেখিয়েছে নতুন আশার আলো, দিয়েছে টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার বার্তাও।
আজ ১২ মার্চ রবিবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এক ম্যাচ আগেই প্রথমটিতে জেতা স্বাগতিকদের জন্য নিশ্চিত হয়েছে সিরিজও। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড পায় ১১৭ রানের সংগ্রহ। ৭ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় স্বাগতিকরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। সফরকারীদের স্কোরকার্ডে তখন জমা হয়েছে ১৬ রান, ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই প্রথম আঘাত হানেন তাসকিন। তাকে বড় শট হাঁকাতে গিয়ে ডিপ থার্ড ম্যানে হাসান মাহমুদের হাতে ক্যাচ দেন ডেভিড মালান। ৮ বল খেলে এই ব্যাটার করেন ৫ রান। সঙ্গী হারালেও তিনে নামা মঈন আলীকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ফিল সল্ট। ইংলিশদের চাপে ফেলতে তাসকিনকে দিয়ে টানা তিন ওভার করান সাকিব। উইকেটের দেখা না পেলেও ওই ওভারগুলোতে ১৯ রান দেন এই পেসার।
সপ্তম ওভারে নিজেই বোলিংয়ে এসে সল্টকে সাজঘরের পথ দেখান সাকিব। বাঁহাতি এই স্পিনারের ফ্লাইটেড ডেলেভারিতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বসেন ইংলিশ ওপেনার। সাকিব দারুণ ক্যাচ নিলে ১৯ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন সল্ট।
এরপর দারুণ এক ইয়র্কারে জস বাটলারের স্টাম্প ভাঙেন হাসান। ৪ রানে বাটলার ফিরে গেলে মেহেদী হাসান মিরাজকে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে শামীম পাটোয়ারির তালুবন্দি হন মঈন। ৫৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড।
এরপর স্যাম কারানের সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি গড়েন বেন ডাকেট। তাদের জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ, ১৬ বলে ১২ রান করা কারান হয়েছেন স্টাম্পিং। এক বল পরেই ক্রিস ওকসকেও শূন্য রানে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন মিরাজ।
এই স্পিনার ৪ ওভারে কেবল ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার। কম খরুচে ছিলেন বাংলাদেশের প্রায় সব বোলারই। তাসকিন আহমেদ নিজের ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন, এক উইকেট নিতে সাকিব ৩ ওভারে দেন ১৩ রান। ১ উইকেট নেওয়া হাসান মাহমুদ ২ ওভারে ১০ রান দেন। মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে এক উইকেট নেন।
অল্প রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশের দরকার ছিল কেবল উইকেটে টিকে থাকা। মাঝেমধ্যে বড় টার্ন নিচ্ছিল বল, পিচও ছিল কিছুটা স্লো; কিন্তু মিরপুরের এই উইকেটে কীভাবে খেলতে হয় বাংলাদেশের ব্যাটারদেরই তা সবচেয়ে ভালো জানা। শুরুটা অবশ্য ছিল কিছুটা হতাশার।
রান খরায় ভুগতে থাকা লিটন দাস এদিনও আউট হন হতাশাজনকভাবে। ৯ বলে ৯ রান করে এই ব্যাটার স্যাম কারানের বলে পুল করতে যান। ডিপ স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো ফিল সল্টে হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ১৬ রানে এসে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রনি তালুকদারও পারেননি নিজের ইনিংস লম্বা করতে।
১৪ বলে ৯ রান করে এই ব্যাটার ক্যাচ তুলে দেন মঈন আলীর হাতে, জফরা আর্চারের বলে। তাওহীদ হৃদয় ব্যাটিংয়ে এসে দারুণ দুটি শট খেলেন। কিন্তু এই ব্যাটারও পারেননি ইনিংস টেনে নিতে। ২ চারে ১৮ বলে ১৭ রান করে পয়েন্টে দাঁড়ানো ওকসের হাতে তিনি ক্যাচ দেন রেহান আহমেদের বলে।
বাকিরা যখন পথ ধরছেন সাজঘরে, ফর্মে থাকা শান্ত তখন একাই টেনেছেন দলকে। সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন কেউই তাকে দিতে পারেননি যোগ্য সঙ্গ। এক পর্যায়ে এসে ভয়ই ধরেছিল বাংলাদেশের। এর মাঝে অবশ্য মিরাজের ১৬ বলে ২ ছক্কায় ২০ রান কিছুটা চাপ কমায়। ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আফিফ হোসেন ধ্রুব যখন ফেরেন, তখনও বাংলাদেশের ১৩ বলে দরকার ১৩ রান।
শান্ত ফিরলেই বাংলাদেশের জন্য ছিল হারের বড় শঙ্কা। কিন্তু ক্রিস জর্ডানের করা ১৯তম ওভারে প্রতি আক্রমণে যান তাসকিন আহমেদ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এই ওভারে দুজন মিলে হাঁকান তিন বাউন্ডারি, শান্ত অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৩ চারে ৪৬ রান করে। জর্ডানের পঞ্চম বলে তাসকিনের চারে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো মিরপুর।
নাজমুল হোসেন শান্ত জড়িয়ে ধরেন ক্রিজে থাকা আরেক ব্যাটার তাসকিন আহমেদকে। শান্ত চিৎকার করে এমন কিছুই বলতে চাইলেন কি না, ‘আমরা এসেছি নতুনের বার্তা নিয়ে’ এটুকু অবশ্য নিশ্চিত হওয়া গেল না।
জয়ের বড় কৃতিত্ব অবশ্য ব্যাটিং করতে শেখা তাসকিনেও। তিনি পরপর দুই চার মেরে সাত বল থাকতে দেশকে সিরিজ জেতান।
বিনোদন ডেস্ক :
ইংরেজ অভিনেত্রী এমা ওয়াটসন। ২০০১ সালে ‘হ্যারি পটার’ ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় তার অভিষেক হয়।
এমা দীর্ঘদিন অভিনয় করছেন না। অভিনয়ের বিষয়ে তিনি ‘ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে’ জানান, তিনি অভিনয় পেশায় তেমন খুশি নন।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ‘লিটন উইমেন’ ছবির কাজ শেষ করেন। এরপর তাকে আর কোনো সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা যায়নি।
২০২৩ সালের শেষে অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার পাঁচ বছর পূর্ণ হবে তার।
এমা ওয়াটসন বলেন, আমার মনে হয়, আমাকে একটা জায়গায় আবদ্ধ করে রাখার অনুভূতি হয়েছিল। সবচেয়ে কঠিন কাজ মনে হয়েছিল এই যে, আমাকে বাইরে সবার কাছে এমন একটা জিনিস বিক্রি করতে হবে, যার ওপর আমার নিজের তেমন নিয়ন্ত্রণ নেই। একটা সিনেমা করতে যাওয়া এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়া ও বিভিন্ন বিষয়ে মুখপাত্র হিসেবে কাজ করা আমার জন্য খুবই কঠিন ছিল।
হ্যারি পটার অভিনেত্রী আরো বলেন, ‘আমি উপলব্ধি করলাম যে, আমি এমন সব বিষয়ের মুখোমুখি হতে চাইতাম যেখানে আমার কাজের জন্য সমালোচনা করা হবে ঠিকই, কিন্তু এমনভাবে না যে, আমি নিজে নিজেকে ঘৃণা করব। হ্যাঁ, আমি অনেক কিছু নষ্ট করেছি, এটা আমার নিজেরই সিদ্ধান্ত ছিল, আমার আরও ভালোভাবে কাজ করা উচিত ছিল যদিও।’
এমা বলেন, ‘আপাতত আমি চুপচাপ বসে সঠিক সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে চাই। আমি যা করছি সেটা আমার খুবই পছন্দের। নিজেকে ভেঙে অসংখ্য মানুষ ও চেহারায় রূপ দিতে হবে না- এমনটাই চাচ্ছি আমি। আর রোবট মোডে চলে গিয়ে কাজ করতেও চাই না আমি।’
এমা ‘হ্যারি পটার’ ছাড়াও ‘নোয়া’, ‘দ্য পার্কস অব বিইং আ ওয়ালফ্লাওয়ার’, ‘দ্য ব্লিং রিং’, ‘বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট’, ‘লিটন উইমেন’সহ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন।
‘লিটল উইমেন’ চলচ্চিত্রটি বেস্ট পিকচারসহ ছয়টি শাখায় মনোনয়ন পেয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন চিত্রনায়ক শাকিল খান (শাকিল আহসান)। মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। তবে এবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
আজ ২৯ নভেম্বর বুধবার বিকেলে শাকিল খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২৭ নভেম্বর সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে শাকিল খানের পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তার ভাগনে শাহরিয়ার নাজিম।
শাকিল খান বলেন, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ডেকেছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আসন্ন নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার জন্য তিনি আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন। এ কারণেই এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না। নির্বাচনে অংশ না নিলেও আওয়ামী লীগের পক্ষে নৌকার প্রচার-প্রচারণায় কাজ করবো। প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন ‘তোমার জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে’।
বাগেরহাট-৩ আসন থেকে শাকিল খানসহ ১১ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তবে দল থেকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
স্পোর্টস ডেস্ক :
লাসিথ এম্বুলদেনিয়ার বাজে ফর্ম ও প্রবীন জয়াবিক্রমা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তরুণ স্পিনার খুঁজছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে একপ্রকার জোর করেই নিলেন ৩০ বছর বয়সী প্রভাথ জয়সুরিয়াকে। সেই জয়সুরিয়াই আজ স্পিনার হিসেবে দ্রুততম ৫০ উইকেট শিকারের ইতিহাস গড়লেন টেস্টে। ভেঙেছেন ৭১ বছরের পুরোনো রেকর্ড।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে গল টেস্টে ইতিহাস গড়তে কেবল ৭ উইকেটই প্রয়োজন ছিল জয়সুরিয়ার। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে কাজ এগিয়ে রাখেন এই বাঁহাতি স্পিনার। দ্বিতীয় ইনিংসেও দেখা পান কাঙ্ক্ষিত দুই উইকেটের। পাল্টে দেন ইতিহাসের পাতা।
৭১ বছর আগে মাত্র ৮ ম্যাচেই ৫০ উইকেট শিকার করেছিলেন ক্যারিবীয় স্পিনার আলফ ভ্যালেন্টাইন। জয়সুরিয়া তার চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেছেন। পেসার ও স্পিনার মিলিয়ে অবশ্য রেকর্ডটি অজি পেসার চার্লি টার্নারের দখলে। ১৮৮৮ সালে মাত্র ৬ ম্যাচেই ৫০ উইকেট স্পর্শ করেন তিনি। সেই তালিকার চারে আছেন জয়সুরিয়া। সাত ম্যাচে ৫০ উইকেট নিয়েছেন সাবেক ইংলিশ পেসার টম রিচার্ডসন ও প্রোটিয়া পেসার ভারনন ফিল্যান্ডার।
দেশের হয়ে খেলার জন্য ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই নিজের সবটুকু ঢেলে দিয়েছিলেন জয়সুরিয়া। কিন্তু বয়স ৩০ হওয়ার আগ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা টেস্ট দলের জার্সি গায়ে চাপানোর সুযোগ হয়নি। ২০১৮ তে ওয়ানডে খেলেছিলেন দুটি। কাকতালীয়ভাবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যখন টেস্ট অভিষেক হলো তখন তার বোলিং দেখে অবাক সবাই। এমনকি করুনারত্নে নিজেও ভাবেননি এমন মুড়ি মুড়কির মতো উইকেট শিকার করবেন এই বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম তিন ম্যাচেই পকেটে পুড়েন ২৯ উইকেট। বাকি ২১ উইকেট নিতে অবশ্য চার ম্যাচ লাগে তার। এর মধ্যে ফাইফারের দেখা পেয়েছেন ছয়বার।
বিনোদন ডেস্ক :
আলিয়া ভাটের দাদু নরেন্দ্র নাথ রাজদান আর নেই। বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি।
অভিনেত্রী নিজেই বৃহস্পতিবার দাদুর মৃত্যুর খবর জানালেন। মৃত্যুর খবর অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার সময় দাদুর ৯২তম জন্মদিনের কয়েকটি মুহূর্ত ভাগ করে নেন। দাদুর মৃত্যুতে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন বলিউড সেনসেশন।
দাদুকে নিয়ে আলিয়ার আবেগঘন পোস্ট—
আলিয়া লেখেন, ‘আমার দাদু, আমার হিরো। ৯৩ বছর বয়সেও গলফ খেলেছেন। কাজ করেছেন ৯৩ বছর পর্যন্ত। সেরা অমলেট বানাতেন। আমাকে সেরা গল্প শোনাতেন, ভায়ালিন বাজাতেন। নিজের পপৌত্রী (রাহা)-র সঙ্গে খেলা করতেন। ক্রিকেট ভালোবাসতেন, আঁকতে ভালোবাসতেন আর সর্বোপরি নিজের পরিবারকে ভালোবেসেছেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত…। জীবনকে ভালোবেসেছেন!
আমার হৃদয় বিষাদে ভরপুর, একই সঙ্গে আনন্দে…। কারণ আমার দাদু একটাই কাজ করেছেন, আমাদের আনন্দ জুগিয়েছেন। এর জন্য আমি কৃতজ্ঞ এবং আর্শীবাদ ধন্য যে ওঁনার ছত্রছায়ায় বড় হতে পেরেছি। আবার দেখা না হওয়া পর্যন্ত…’।
ভিডিওতে দেখা গেল, সপরিবারে জন্মদিনের কেক কাটছেন আলিয়ার দাদু। কেকের উপর লাগানো মোমবাতি হাতে করে নেভাতে সাহায্য করছেন রণবীর। এরপর তাঁর দাদুর বার্তা, ‘সব সময় হাসতে থাকো’।
আলিয়ার এই পোস্টে সহকর্মীদের সমবেদনা ভরা বার্তা- করণ জোহর লেখেন, তোমার জন্য একটা আলিঙ্গন পাঠালাম। মাসাবা গুপ্তা লেখেন, অনেক ভালোবাসা আলিয়া। অনুরাগীরা আলিয়ার দাদুর আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।
আইফা-তে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আলিয়ার: আইফা অ্যাওয়ার্ডের আসরে যোগ দিতে আবুধাবি যাওয়ার কথা ছিল আলিয়ার। সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার নিতে রওনাও দিয়েছিলেন। এয়ারপোর্টে পৌঁছে দাদুর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে শুনে হাসপাতালে ছোটেন। দুঃসময়ে পরিবারের পাশে থাকতে চেয়েছেন অভিনেত্রী। এর জন্য আয়োজকদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে পুরস্কারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আলিয়া।
বাবার সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসকে বছর কয়েক আগে সোনি রাজদান জানিয়েছিলেন, ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী রাম গোপালের ট্রুপের সঙ্গে সারা ইউরোপ ট্যুর করতেন তার বাবা নরেন্দ্র নাথ রাজদানে। ভায়োলিন বাজাতেন তিনি। তেমনই এক কনসার্টের ব্যাকস্টেজে সোনির মায়ের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তার, তারপর শুরু সেই প্রেম কাহিনি। নরেন্দ্র নাথ রাজদানের মৃত্যুতে শোকের ছায়া ভাট ও রাজদান পরিবারে।