চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের আয়োজনে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে ১২ দিনব্যাপী বৃক্ষমেলা শুরু হয়েছে।
আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে ১২দিনব্যাপী এই বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন করেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, সামাজিক বন বিভাগ, কুমিল্লার বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরাম উল্লাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, বৃক্ষায়নের ভালো দিক আছে, বৃক্ষায়নের ব্যাপারে সর্তক না হলে ডেঙ্গুর বিস্তার হতে পারে। এ ব্যাপারে আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা যদি পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকি তাহলে ডেঙ্গুর আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করা যাবে। সকলে মিলে সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে হবে। তিনি সকলকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্দোলনকে সফল করার কথা আহবান জানিয়ে বলেন, শুধু খাদ্য শস্য উৎপাদন নয়, পৃথিবীকে সবুজে সবুজে ভরিয়ে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি শিক্ষার্থীদের হাতে গাছের চারা তুলে দেন। মেলায় বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা নিয়ে ২৬টি স্টল বসে।
চলারপথে রিপোর্ট :
উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে আজ ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্ত ও পুণ্যার্থীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্নঘাট তিতাস নদীর তীরে এসে সমবেত হয়। পরে তারা তিথি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গঙ্গাস্নানে অংশ নেয়।
এসময় ভক্তরা পিতৃ-পুরুষের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় নদীর তীরে বসে পুরোহিতের মাধ্যমে তর্পনবিধি পালন করে পবিত্র মন্ত্র জপ করেন। নদীর পবিত্র জলে এই গঙ্গাস্নানের মধ্য দিয়ে ভক্তরা পরিবারের মঙ্গল কামনার পাশাপাশি দেশ ও জাতির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করেছেন।
গঙ্গাস্নানে অংশ গ্রহন শেষে খোকন কান্তি আচার্য্য বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারো বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের অষ্টমী তিথিতে এই গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শাস্ত্রে বলা হয়েছে এই গঙ্গা স্নানের মধ্য দিয়ে জড়ো দেহের পাপ মোচন হয়। যেখানে ভক্তি সহকারে ভক্তরা সমবেত হন, সেখানে ভগবান বিরাজমান থাকেন। গঙ্গাস্থানের মধ্য দিয়ে মনের বাসনা পূর্ণ হয়। সকলেই পরম সুখ লাভ করে থাকেন।
মায়া রানী মোদক জানান, গঙ্গাস্নানের মধ্য দিয়ে আমি নিজের পরিবারের জন্যে মঙ্গল কামনা করেছি। দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় শান্তি কামনা করেছি। ভগবান যেন সবার মঙ্গল করেন।
সুবল দাস বলেন, তিতাস নদীর পবিত্র জলে স্নানের মধ্যদিয়ে ভগবানের কাছে পাপ মুক্তির জন্যে প্রার্থনা করেছি। তিনি সকলের যেন মঙ্গল করেন সেই প্রার্থনা ও করেছি।
গঙ্গাস্নান পরিচালনা কমিটির সভাপতি রতন রায় কর্মকার জানান, গঙ্গাস্নানের জন্য একটি পাকা ঘাট জরুরি দরকার। আমরা স্থানীয় ভাবে বালির বস্তা ফেলে ঘাটটিকে স্নানের জন্য উপযোগী করেছি।
এছাড়া গঙ্গাস্নানের জন্য যে ঘাটটি আছে, সেটি দখল দূষণের কবলে পড়ে অনেকটাই শীর্ণকায়ে পরিণত হয়ছে। আমরা এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীর কাছে ঘাটটি রক্ষায় সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
এদিকে ঐতিহ্যবাহী এ গঙ্গাস্নানকে কেন্দ্র করে তিতাস নদীর তীর ঘেষে বসেছে লৌকজ মেলা। মেলায় নাগরদোলা, হরেক রকম বাহারী খাবার মুড়ি-চিড়া, মাঠা, তিল্লাই, বাতাসাসহ মাঠির তৈরী বাহারী খেলনা দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানীরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস চলন্ত অবস্থায় দু’ভাগে ভাগ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ ২৭ জুন মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ট্রেনটি আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন পার হওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে। মেরামত শেষে বেলা পৌনে ১২টার দিকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।
আখাউড়া, রেলওয়ে জংশন স্টেশন সূত্র জানা যায়, ট্রেনের ১৩১০ ও ১৩০৫ নম্বর বগি চলন্ত অবস্থায় আলাদা হয়ে যায়। পিছনের দিকের ওই দু’টি বগির সংযোগস্থলের যন্ত্র ভেঙে খসে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের টিএক্সআর কার্যালয়ে দায়িত্বরতরা বগি দু’টি সংযোগ করলে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
এ বিষয়ে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকাররী প্রকৌশলী (হেড টিএক্সআর) মো. শামীম আহমেদ জানান, ট্রেনের দুই বগির মাঝখানের বাফার শেঙ্ক ভেঙে যায়। মেরামত করতে ২০ মিনিটের মতো সময় লেগেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উদ্যোগে আজ ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে শহরের টি.এ. রোডের’ আইএবি মিলনায়তনে “জেলা যুব সম্মেলন” অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) মাওলানা আরিফ বিন মেহের উদ্দিন।
ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা আহবায়ক মুফতি আশরাফুল ইসলাম বিলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি মাওঃ আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মাওঃ গাজী নিয়াজুল করীম, দীনি সংগঠনের জেলা সদর আলহাজ্ব সৈয়দ আনোয়ার আহমদ প্রমুখ।
সম্মেলনে দ্বিতীয় অধিবেশনে ২০২৩-২০২৪ সেশনের জন্য মুফতি আশরাফুল ইসলাম বিলালকে সভাপতি, হাফেজ মাওঃ শাহ মোহাম্মদ উল্লাহকে সহ-সভাপতি এবং মোহাম্মদ আল আমিন হোসাইনীকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয় ও তাদেরকে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। একুশের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান, জেলা পুলিশের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু। এর পরে জেলা পুলিশের একটি চৌকষ দল শহিদদের স্মরনে গার্ড অব অর্নার প্রদান করেন।
পরে শহীদ মিনার জন সাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে দিলে পৌরসভার পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস, পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলার পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিট, সিভিল সার্জন কার্যালয়, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, এলজিইডি, গণপূর্ত বিভাগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এদিকে পুষ্পস্তবক অর্পনকে কেন্দ্র করে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।