স্পোর্টস ডেস্ক
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দুই ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জিতল টাইগাররা।
এর আগে ২০১৮ সালে দেরাদুনে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। গত বছর মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-১ এ ড্র করে দুই দল।
আজ ১৬ জুলাই রবিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান করে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। জয়ের জন্য বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের টার্গেট দাঁড়ায় ১৭ ওভারে ১১৯ রান।
সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও আফিফ হোসেন। উদ্বোধনী জুটিতে তারা গড়েন ৬৭ রানের জুটি। এরপর মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে ফেরেন লিটন, আফিফ ও শান্ত।
লিটন আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে করেন ৩৫ রান। ২০ বলে দুই ছক্কায় ২৪ রানে ফেরেন আফিফ হোসেন।
দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি বোল্ড হওয়ার আগে ৬ বলে ৪ রানে ফেরেন।
বিনা উইকেটে ৬৭ রান করা বাংলাদেশ এরপর মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে হারায় ৩ উইকেট। এরপর সাকিবের সঙ্গে ২১ বলে ৩১ রানের জুটি গড়ে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়। তার আগে ১৭ বলে করেন ১৯ রান।
হৃদয় আউট হওয়ার পর শামিম পাটোয়ারিকে সঙ্গে নিয়ে ৫ বল আগেই ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন সাকিব। ১১ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব। ৭ বলে ৭ রান করেন শামিম।
রবিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান করে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল।
এদিন ব্যাটিংয়ে নেমেই তাসকিন আহমেদের গতির মুখে পড়ে ১৬ রানেই দুই ওপেনারের উইকেট হারায় সফরকারীরা। ২.৪ ওভারে ১৬ রানেই রহমানউল্লাহ গুরবাজের পর সাজঘরে ফেরেন হজরতউল্লাহ জাজাই।
এরপর দলের হাল ধরেন ইব্রাহিম জাদরান ও মোহাম্মদ নবি। ৭.২ ওভারে আফগানদের সংগ্রহ ছিল ৩৯/২ রান। ২০ বলে ১১ এবং ১৪ বলে ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন ইব্রাহিম জাদরান ও মোহাম্মদ নবি। সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিটে শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ থাকে প্রায় দুই ঘণ্টা।
রাত সোয়া ৮টায় বৃষ্টি থেমে গেলে ফের খেলা শুরু হয়। দীর্ঘ সময় খেলা বন্ধ থাকায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে যায় ৩ ওভার। বৃষ্টির পর খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আফগান ব্যাটসম্যানরা। বৃষ্টির পর খেলতে নেমে ২৮ রান তুলতেই হারায় ৩ উইকেট।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে আফগান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। তার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন আফগান সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি।
নবি দুই দফা নাসুম আহমেদের বলে ক্যাচ তুলে বেঁচে যান। প্রথমবার নবির ক্যাচ ফেলে দেন সাকিব। দ্বিতীয়বার ফেলেন উইকেটকিপার লিটন দাস। সাজঘরে ফেরার আগে নবি ২২ বলে করেন ১৬ রান।
নবি আউট হওয়ার পর ইব্রাহিম জাদরান দ্রুত কিছু রান স্কোর বোর্ডে জমা করতে চেয়েছিলেন। ১০ম ওভারে মোস্তাফিজ উইকেট নিলেও তাকে এক চার আর সমান ছক্কায় ১৫ রান আদায় করে নেন ইব্রাহিম।
১১তম ওভারে সাকিব বোলিংয়ে এসেই তুলে নেন ইব্রাহিম জাদরান ও নজিবুল্লাহ জাদরানের উইকেট। ইব্রাহিম জাদরান আউট হওয়ার আগে ২৭ বলে ২২ রান করেন। ৫ রানে ফেরেন নজিবুল্লাহ। তার বিদায়ে ১১ ওভারে ৬৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় আফগানরা।
ষষ্ঠ উইকেটে করিম জানাত ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই ২৯ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন। ২১ বলে ২৫ রান করা আজমতউল্লাহকে ফেরান মোস্তাফিজ। আর ১৫ বলে ২০ রান করা করিম জানাতকে আউট করেন তাসকিন। আফগানিস্তান ১৭ ওভারে ৭ উইকেটে হারিয়ে ১১৬ রান করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৩ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। দুটি করে উইকেট নেন সাকিব-মোস্তাফিজ।
অনলাইন ডেস্ক :
ওয়ানডে বিশ্বকাপ-২০২৩ ভারতের মাটিতে এ বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৯ নভেম্বর। সরাসরি ওঠা আট দলের সঙ্গে বিশ্বকাপে খেলবে বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা আরও দুই দল। বিশ্বকাপে যেসব দল সরাসরি জায়গা পেয়েছে, তাদের মধ্যে প্রথমে রয়েছে নিউজিল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে মঙ্গলবার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরে আগে ব্যাটিং পেয়ে ৯ উইকেটে ২৪৬ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে আয়ারল্যান্ড ১৬.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ৬৫ রান তোলার পরই নামে বৃষ্টি। তা আর না থামায় আম্পায়াররা খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। এতে আইরিশদের সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যে ক্ষীণ সম্ভাবনা ছিল, সেটিও শেষ হয়ে গেছে। আর শেষ দল হিসেবে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার টিকিট পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওয়ানডে সুপার লিগের দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্ট ৯৮। আয়ারল্যান্ডের পয়েন্ট ৬৮। তিন ম্যাচের সিরিজে তারা বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জিততে পারলে পয়েন্ট হতো ৯৮। তখন নেট রান রেটে আয়ারল্যান্ডের সরাসরি যোগ্যতা অর্জনের সম্ভাবনা বেশি থাকত।
স্বাগতিক দেশ হিসেবে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের সরাসরি বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিতই ছিল। আসরে সরাসরি অংশগ্রহণের বিষয়টি আগেই নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। ভারত-বাংলাদেশসহ ১৩ দলের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের মাধ্যমে সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে আরও ছয়টি দল। তারা হলো— নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
ভারতে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপ হবে ১০ দলের। আট দল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় রইল বাকি দুই দল। বাকি দুটি দল যোগ্যতা অর্জন পর্ব খেলে উঠবে। জিম্বাবুয়ের মাটিতে আগামী জুন-জুলাই মাসে হবে এটির বাছাইপর্ব।
সেখানে সুপার লিগ থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে উঠতে ব্যর্থ হওয়া বাকি পাঁচ দলের (ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলংকা, আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে ও নেদারল্যান্ডস) সঙ্গে লড়বে প্রাক-বাছাই পেরিয়ে আসা আরও পাঁচ দল। তারা হলো – নেপাল, ওমান, স্কটল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্র।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭৭ রানের বিশাল জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। টি-টোয়েন্টিতে এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জয়। এর আগে ২০২১ সালের ২১ অক্টোবর বিশ্বকাপে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ৭ উইকেটে ১৮১ রান করে ৮১ রানের রেকর্ড জয় পায় বাংলাদেশ। সেটাই রানের দিক থেকে টি-টোয়েন্টিতে সেরা জয়।
আজ ২৯ মার্চ বুধবার তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড।
বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের পরে খেলা মাঠে গড়ানোয় ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে যায় ৩ ওভার করে। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ১৭ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান করে বাংলাদেশ।
উদ্বোধনী জুটিতে ৫৬ বলে ১২৪ রানের রেকর্ড গড়েন লিটন কুমার দাস ও রনি তালুকদার। ১৮ বলে দেশের হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়া লিটন ফেরেন ৪১ বলে ১০টি চার আর তিন ছক্কায় ৮৩ রান করে।
২৩ বলে তিন চার আর ২টি ছক্কায় ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন রনি তালুকদার। ১৩ বলে তিন চার আর এক ছক্কায় ২৪ রান করে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়।
মাত্র ২৪ বল মোকাবেলা করে ৩ চার আর দুই ছক্কায় ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন সাকিব আল হাসান।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বল থেকেই উইকেট হারাতে থাকে আয়ারল্যান্ড। সময়ের ব্যবধানে উইকেট পতনের কারণে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান তুলতে সমর্থ হয় আইরিশরা।
৭৭ রানের জয়ে ৪ ওভারে মাত্র ২২ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
স্পোর্টস ডেস্ক
আইপিএলের ফাইনাল ম্যাচ এমন হবে, সেটি কল্পনাও করতে পারেননি অনেক ক্রিকেটভক্ত। বলা যায়, একেবারেই একপেশে লড়াই। যে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এই মৌসুমের লিগপর্বে রান তুলেছিল ২৬৬, ২৭৭ এমনকি ২৮৭ করে, সেই দলই ফাইনালে অলআউট হয়ে গেছে মাত্র ১১৩ রানে।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) ৩ পেসার- আন্দ্রে রাসেল, মিচেল স্টার্ক ও হার্শিত রানার তোপে পুরো ইনিংসও খেলতে পারেনি হায়দরাবাদ। অলআউট হয়ে গেছে ৯ বল আগেই। লক্ষ্য ছোট হওয়ায় আইপিএলের তৃতীয় শিরোপা ঘরে তুলতে কোনো বেগই পেতে হয়নি কলকাতাকে। মাত্র ১০.৩ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখে হায়দরাবাদের দেওয়া লক্ষ্য টপকে যায় তারা।
চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে ১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ঝোড়ো ব্যাটিং করে কলকাতা। দলীয় ১১ রানে ওপেনার সুনিল নারিন (২ বলে ৬) আউট হয়ে গেলেও রান তোলায় গতি কমাননি ভেঙ্কটেশ আয়ার ও রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ৮ ওভারেই ৯৩ রান তোলেন তারা।
৩২ বলে ৩৯ রান করে আউট হয়ে যান গুরবাজ। তবে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ভেঙ্কটেশ। ফিফটি হাঁকান তিনি। ২৬ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ভেঙ্কটেশ। তার সঙ্গে ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক শ্রেয়ার আয়ার।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে একেবারেই অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে পড়ে হায়দরাবাদ। দলীয় ৬ রানে ২ উইকেট, ২১ রানে ৩ উইকেট হারায় প্যাট কামিন্সের দল।
ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে অভিষেক শর্মাকে (৫ বলে ২) বোল্ড করে দেন মিচেল স্টার্ক। দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ট্রাভিস হেডকে (১ বলে ০) রানের খাতাই খুলতে দেননি বৈভব অরোরা। রাহুল ত্রিপাতি ম্যাচ ধরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ১৩ বল খেললেও ৯ রান করে স্টার্কের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি।
এরপর ধৈর্য ধরে হায়দরাবাদকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এইডেন মার্করাম ও নিতিশ কুমার রেডি। ১০ বলে ১৩ রান নিতেই নিতিশের উইকেট নেন হার্ষিত রানা। ফলে ভেঙে যায় কষ্টার্জিত ২৬ রানের ছোট জু্টি।
মার্করামও টিকে থাকতে পারেননি। ২৩ বলে ২০ রান করে আন্দ্রে রাসেলের শিকার হন তিনি। ৬২ রানে ৫ উইকেট হায়দরাবাদের। কিছুই করতে পারেননি শাহাবাজ। ৭ বলে করেন ৮ রান।
যাকে নিয়ে কলকাতার শঙ্কা ছিল, সেই হেনরিখ ক্লাসেনও ছিলেন একেবারে অনুজ্জ্বল। শেষ দিকে অন্তত তাকে নিয়ে কিছুটা হলেও আশা করছিল হায়দরাবাদ। সেটিও হলো না। ১৭ বলে ১৬ রান করে আউট হয়ে যান ক্লাসেন।
শেষ দিকে একাই লড়াই করে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন (১৯ বলে) অধিনায়ক কামিন্স। রাসেলের বলে স্টার্কের হাতে ক্যাচ হন তিনি।
কলকাতার হয়ে আন্দ্রে রাসেল নেন ১৯ রান খরচায় ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার করেন হার্শিত রানা ও মিচেল স্টার্ক।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা আওয়ামীলীগ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্রীড়াঙ্গন এখন সমৃদ্ধ হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অভিভাবক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপিকে যখনই স্মরণ করি তখনই ক্রীড়াঙ্গনকে প্রসার এবং সমৃদ্ধি করার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।
আজ ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকালে নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে এ্যাডটার্চ কাপ T- ২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট ২০২৪ এর ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে তিনি আরো বলেন, এক্স ক্রিকেট এসোসিয়েশন খেলার যে আয়োজন করেছে তা প্রশংসার দাবিদার। এে খেলায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অংগ সংগঠন বা ক্লাব অংশ গ্রহণ করায় খেলাটি পুরিপূর্ণতা পেয়েছ। তিনি ক্রীড়া সংস্থাকে আরোও সমৃদ্ধি করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। ডাঃ আব্দুল মতিন সেলিমের উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্যে রাখেন এক্স ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সদস্য ও আম্পায়ার মাইনুল হোসেন চপল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য নাজমুল হক সেলিম, আব্দুস সাকির ছোটন, আলী মাসুম, আবু কাউসার খান, আল মামুন, মঞ্জুর-ই মাসুদ, সাবেক ক্রিকেটার শামীম ভূইয়া, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য মহিম চৌধুরী। ফাইনাল খেলায় ফুলবাড়িয়া স্পোর্টিং ক্লাবকে ৮ উইকেটে পরাজিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কিংস্ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন বিজয়ী দলের আশফাক আহমেদ রোহান।
খেলা পরিচালনা করেন আম্পায়ার মাইনুল হোসেন চপল ও নাজমুল হক সেলিম।
খেলায় সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ডাঃ সাইফুদ্দিন সুব্র, আলী মাসুম, আলমগীর সুজন ও নাদিম বাবু।
অনলাইন ডেস্ক :
সম্প্রতি পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের মাঠে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়ের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানিয়ে পাকিস্তানে ক্রিকেটারদের এ সাফল্যকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যা দেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, পুরো জাতি তাদের অর্জনে গর্বিত।
খেলোয়াড়দের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, জয়ের পর অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং জাতির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম।
প্রধান উপদেষ্টা একটি জাতিকে একত্রিত করতে খেলাধুলার শক্তির কথা খেলোয়াড়দের স্মরণ করিয়ে দেন। সম্প্রতি প্যারিস অলিম্পিকে একজন উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করার কথা উল্লেখ করেন ড. ইউনূস।
জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ড. ইউনূসকে তার কার্যালয়ে এ সংবর্ধনা আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রত্যেক খেলোয়াড় এখানে আসতে পেরে খুশি। এটি সত্যিই আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।
শান্ত বলেন, খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের কঠোর পরিশ্রম পাকিস্তানে তাদের সাফল্যের জন্য মুখ্য ছিল। এ কঠিন সময়ে সাফল্য আনার জন্য খেলোয়াড়দের স্বাগত জানান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদ, পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।