চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভাটেক (ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা) চালক মোঃ শাহপরান (১৮) কে নেশাজাতীয় পানি খাইয়ে তাকে অজ্ঞান করে তার বিভাটেকটি নিয়ে যাওয়ার সময় অজ্ঞানপার্টির ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার বিকেলে জনগণের সহযোগীতায় সদর উপজেলার সুহিলপুর বাজার এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার ও চুরি করে নেয়া বিভাটেকটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ গ্রামের কাশেম মিয়ার ছেলে ইমন মিয়া (১৭), একই এলাকার আবদুল হালিমের ছেলে জাকির খান (১৫) ও একই এলাকার চাঁন বাদশার ছেলে মোঃ হোসেন।
অসুস্থ্য শাহপরানকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার দুপুরে জেলার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের দত্তখোলা গ্রামের আলী আজমের ছেলে বিভাটেক চালক শাহপরান তার বিভাটেক নিয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সুহিলপুর কবরস্থানের সামনে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করার সময় উল্লেখিত তিন আসামী যাত্রীবেশে সুহিলপুর বাজারে যাওয়ার জন্য তার বিভাটেকে উঠে।
এক পর্যায়ে আসামীরা সুহিলপুর বাজারের কাছে এসে তাদের কাছে থাকা নেশাজাতীয় পানির বোতল শাহপরানকে খাওয়ার কথা বললে শাহপরান এই পানি খেয়ে কিছুক্ষনের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে তারা শাহপরানকে রাস্তার পাশে ফেলে বিভাটেকটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অন্য বিভাটেক চালকরা তা দেখে আশপাশের লোকজনের সহায়তায় তিনজনকে আটক করে পুলিশকে খবর দিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাদেরকে গ্রেফতার ও বিভাটেকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় শাহপরানের পিতা আলী আজম সদর মডেল থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতদেরকে আজ রবিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অসুস্থ্য শাহপরানকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঘূর্ণিঝড়, বন্যাসহ দেশের দুর্যোগে মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রম প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারণায় অবদান রাখায় বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মো: মানসুরুল হক।
‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস, ২০২৪ উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে তাকে উক্ত সম্মাননা প্রদান করা হয়।
জাতিসংঘের ডি আর আর ফেলো- মো: মানসুরুল হক মডেলিং, নাট্যাভিনয় সহ উপস্থাপনার মাধ্যমে মিডিয়া জগতে পরিচিত হলেও মূলত তিনি দেশের প্রথম স্যাটেলাইট চ্যানেল এটিএন বাংলায় প্রচারিত ‘উন্নয়নে বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও উপস্থাপনার মাধ্যমেই দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেন।
এছাড়া মানসুরুল হকের পরিকল্পনা ও উপস্থাপনায় চ্যানেল আই- তে ‘দুর্যোগ কথা’ -ও আরটিভিতে ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশে’ শীর্ষক অনুষ্ঠান প্রচারিত হচ্ছে নিয়মিতভাবে। সরকারি চাকুরিজীবী হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে কর্মরত মানসুর সাম্প্রতিক সময়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে মিডিয়ার মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, তার পিতা মোঃ জহিরুল হক ছিলেন বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট এসোসিয়েশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। তারই সুযোগ্য উত্তরসূরী মোঃ মানসুরুল হক কর্মজীবনে একজন সফল ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার হাস্যোজ্জ্বল প্রাণবন্ত ব্যক্তিত্ব ও মানবিক কার্যক্রমের জন্যও তিনি সুপরিচিত। একজন উপদেষ্টা হিসেবে ড্রিম ফর ডিসএবিলিটি ফাউন্ডেশনের সাথে সম্পৃক্ত মানসুরুল হক দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণে কাজ করে চলেছেন। দেশের কল্যাণে আজীবন কাজ করে যাওয়া তার অন্যতম স্বপ্ন ও লক্ষ্য।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সর্বজনীন পেনশন স্কীম সংক্রান্ত অবহিতকরন সভা আজ ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অবহিতকরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসাইন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলামিনুল হক পাভেল।
অবহিতকরণ সভায় ¯স্লাইড (তথ্য চিত্র) প্রদর্শন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ।
অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, বর্তমান সরকার গত ১৫ বছরে দেশে অনেক উত্তম কর্মকান্ড করেছেন। পেনশন স্কীম চালু বর্তমান সরকারের একটি সর্বোত্তম কর্মকান্ড। সর্বজনীন পেনশন স্কীমে মানুষের সুরক্ষার বিষয়টি রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম আরো বলেন, সঞ্চয় মানুষের শেষ জীবনের জন্য খুবই জরুরী। এই পেনশনের ফলে শেষ বয়সে কাউকে বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হবে না, এটা তাদের শেষ অবলম্বন। এটা সরকারের একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, সর্বজনীন পেনশন নিয়ে একটা মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটা একটা গুজব। সরকার কখনো কারো টাকা মারে না। তিনি সবাইকে সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অর্ন্তভুক্ত হওয়ার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগন, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যায়ের প্রাক্তন ছাত্রদের সমন্বয়ে সংগঠন এসোসিয়েশন অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্নদা এক্স স্টুডেন্টস (আবেশ) এর উদ্যোগে কৃতি ছাত্রদের সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট বিতরণ অনুষ্ঠান হয়েছে।
আজ ৬ মার্চ সোমবার বিকেলে স্কুল প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠানে জিপিএ ৫ সহ প্রায় ৩ শত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আবেশ এর সভাপতি গ্রুপ ক্যাপ্টেন সাগীর আহমেদ।
স্বাগত জানান সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইমাম শামীম, বক্তব্য রাখেন অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫৭ ব্যাচের ছাত্র শিল্প উদ্যোক্তা খলিলুর রহমান, ৭১ ব্যাচের ছাত্র নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এম ইমদাদুল হক, আবেশ এর উপদেষ্টা মোঃ হাবিবুর রহমান. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ তৌফিকুল ইসলাম মিথিল, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষক আবদুস সাকির ছোটন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার আনন্দবাজারে পরিবেশ অধিদপ্তর জেলা প্রশাসন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহযোগিতায় আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
পরিচালিত মোবাইল কোর্টে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন মজুদ ও বিক্রয় করায় ২টি প্রতিষ্ঠানকে ২ টি মামলায় মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং দোকানগুলো থেকে মোট ২৮ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন জব্দ করে। একইসাথে প্রায় ৫০ টি দোকানে পলিথিন মজুদ, বিক্রয় ও ব্যবহার বন্ধে প্রচারনা চালানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন মোঃ ইকরামুল হক নাহিদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিসল চক্রবর্ত্তী ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতা করেন। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।