চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুর মহানগরীর বাসন এলাকার বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে মুনলাক্স কম্পোজিট গার্মেন্টস্ লিমিটেডের শ্রমিকরা। এতে ওই মহাসড়কে গাড়ির দীর্ঘ লাইন ও যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলের এসে মালিকপক্ষের সাথে আলোচনা করে সন্ধ্যার মধ্যে বেতন পরিশোধের আশ্বাসে শ্রমিকরা মহাসড়কে ছেড়ে কারখানার ভেতর অবস্থান নেয়।
আজ ১৭ জুলাই সোমবার বেলা সাড়ে তিনটায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টেকনগপাড়া এলাকায় শ্রমিক মহাসড়ক অবরোধ করে।
আন্দোলনরত শ্রমিক, পুলিশ ও কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গাজীপুরে মহানগরীর বাসন থানা এলাকার মুনলাক্স কম্পোজিট গার্মেন্টস্ লিমিটেডের প্রায় ৫’শ শ্রমিক কাজ করে। ঈদের আগে শ্রমিকদের জুনের অর্ধেক বেতন দিলেও বাকি ১৫দিনের বেতন বকেয়া রয়েছে। শ্রমিকরা সোমবার সকাল ৮টায় কারখানায় আসলেও কাজে যোগ না দিয়ে ওই বকেয়া বেতনের দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করে। গত জুন মাসের মাসের ১৫দিনের বেতন সোমবার বেলা ১২টার আগেই পরিশোধের কথা থাকলেও মালিকপক্ষ বেতন পরিশোধে ব্যর্থ হয়। পরে আন্দোলনরত শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পাশের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।
খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও বাসন থানা পুলিশের ঘটনাস্থলে পৌঁছে মালিক পক্ষ ও শ্রমিক পক্ষের সাথে আলোচনা আজ সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিক ৪টা ১৫মিনিটের সময় মহাসড়ক অবরোধ তুলে নিলে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এবিষয়ে জানতে মুনলাক্স কম্পোজিট গার্মেন্টস্ লিমিটেডের মালিক মো. মহিউদ্দিন জানান, ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে শ্রমিকদের বেতন নিয়ে রওনা দিয়েছি। আমরা পথিমধ্যে আছি। সন্ধ্যার মধ্যেই বেতনাদি পরিশোধ করা হবে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের বাসন থানার ওসি সানোয়ার জাহান সাংবাদিকদের বলেন, শ্রমিক আন্দোলনের খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে মালিক পক্ষের সাথে সমন্বয় করে বেতন পরিশোধের বিষয়ে ব্যবস্থা করা হয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে মালিকপক্ষ বেতন পরিশোধ করবে, এমন খবরে শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে কারখানায় চলে যায়। আন্দোলনে কিছু সময় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর দিকে ইঙ্গিত দিয়ে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শিকার হচ্ছে রেলওয়ে।
আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রেলভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে নিরাপদ রেলযাত্রাকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। গত ২৮ অক্টোবরের পর বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো যে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে, এ সময়ে রেলে সহিংসতা বাড়ছে। রেলকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্যে ফেলে হুমকি তৈরি করা হচ্ছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
সম্প্রতি ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যাত্রী হয়ে ট্রেনে উঠলে তো রেলের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। বিএনপি-জামায়াত ২০১৩-১৪ সালেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে। এবার বাসের বদলে ট্রেনকে প্রধান হাতিয়ার করা হচ্ছে। পরিকল্পিত দুর্ঘটনা ঘটাতে ফিশপ্লেট খুলে ফেলা হচ্ছে।
সকালে তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, পুরো ঘটনা তদন্ত না করে নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না।
রেলে দুর্ঘটনা কমাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রেলের নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। রেলপথের বিষয়ে যেন সহযোগিতা করা হয় এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি।
রেলপথের বড় দুর্ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, রেলপথে সরাসরি আক্রমণের প্রথম ঘটনা ঘটে ১৬ নভেম্বর। টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের দুইটি কোচে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এরপর ১৯ নভেম্বর জামালপুরের সরিষাবাড়িতে যমুনা এক্সপ্রেসে পরিকল্পিত নাশকতা করা হয়েছে। এ দুই ঘটনায় কোনো প্রাণহানি না হলেও বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পরের তিনটি দুর্ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ২২ নভেম্বর সিলেটে উপবন এক্সপ্রেসে আগুন ধরানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে ২০ ফুট রেলওয়ে ট্রাক কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনায় একজন যাত্রী মারা যান আর ৫০ জন আহত হন। ঘন কুয়াশার জন্য ট্রেন ধীরে চলছিল, তা না হলে আরও অনেক বেশি হতাহত হতো।
এরপর আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিমানবন্দর স্টেশন ছেড়ে ট্রেনটি তেজগাঁও এলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে তিনটি কোচ পুড়ে যায়, আর এখন পর্যন্ত ৪ জন মারা গেছেন।
মন্ত্রী বলেন, কর্ণফুলী সেতু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথের অনেক যন্ত্রাংশ চুরি করার নামে খুলে নেওয়া হয়েছে, যেন ট্রেন চলাচল করতে না পারে। তারা মনে করছে, এ ধরনের নাশকতা ঘটিয়ে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা করা সম্ভব। যদিও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। কিন্তু তারা কর্মসূচি না দিলে এমনটা হতো না।
চলারপথে রিপোর্ট :
১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসটি বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে গাঁথা থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন।
আজ ১৭ মে শুক্রবার সকালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তিনি সকালে মহানগর প্রভাতী ট্রেনে করে ঢাকা থেকে নিজ সংসদীয় এলাকায় আসেন।
এদিকে দুপুরে আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামে বনগজ-কৃষ্ণনগর সড়কের তিতাস নদীর উপর নির্মাণাধীন ব্রীজের কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘বিএনপি তাদের শাসনামলে যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকার আলবদরদের সাথে নিয়ে পাকিস্তানের দালাল হয়ে বাংলাদেশের জনগণকে শোষণ ও অত্যাচার করত। এখন যে সময়ে জনগণের উন্নয়ন হচ্ছে তা মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির সহ্য হচ্ছে না। সেজন্য এখন তাদের মাথা খারাপ হয়েছে।’ বিএনপির আমলে ঋণ খেলাপির তালিকা সবচেয়ে বেশি ছিলো বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বোরহান উদ্দিন, উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন বাবুল, সেলিম ভূইয়া, গোলাম সামদানি ফেরদৌস, আব্দুল মমিন বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইন মেনে সড়কে চলি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি এই শ্লোগান নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২২ অক্টোবর রবিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়।
র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল্লাহ্ আল মামুনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরামূল্লাহ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক আবু আশারফ সিদ্দীকী প্রমুখ।
সভায় জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে আমলযোগ্য অপরাধের মাত্র চারটি ধারা রয়েছে। আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতারের সুযোগ কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নেই।
আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর শহীদ নোয়াব ম্যামোরিয়্যাল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে টেকনিক্যাল অপরাধ, হ্যাকিং এবং কম্পিউটারের ভেতরে ঢুকে যদি কেউ কোনো কিছু নষ্ট করে সেজন্য ১৪ বছরের সাজার বিধান রয়েছে। কিন্তু ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যেসব ধারা নিয়ে সাংবাদিক মহলের আপত্তি ছিল এগুলোর আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে।
সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার প্রসঙ্গে যে সব প্রশ্ন উত্থাপন করা হচ্ছে এগুলো সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যাখ্যা মাত্র। পরে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিএনপি জামাত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে মন্তব্য করে বলেন, আপনারা ইতিহাস দেখলে দেখবেন তারা (বিএনপি) কোন দিন সামনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসে নাই। সব সময় পিছনের দরজা দিয়ে এসেছে। ভোট চুরি করেছে। মানুষকে ভোট দিতে দেয় নাই। ক্ষমতায় বসে দল সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে হয়নি। আওয়ামীলীগ হয়েছে জনগণের সাথে যখন বঙ্গবন্ধু ছিলেন। আমাদের সংগঠন জনগণের সংগঠন। আওয়ামী লীগের শিকড় বাংলাদেশের মাটির ভিতরে। তিনি নেতাকর্মীদেরকে জনগণের সাথে সম্পৃক্ত থাকার নির্দেশ দেন। এসময় তিনি নৌকা মার্কায় ভোট চান।
বর্ধিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাক মোঃ মজনু মিয়ার সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাসেম ভূইয়া, উপজেলা আওয়ামলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর সভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা যুবলীগের সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলাম।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের সংস্কৃতি ছিল। যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে এসেছে আজকে তারাই গণতন্ত্রের ছবক দেয়!
তিনি বলেন, শুধু দেশের ভেতরে নয়, দেশের বাইরে গিয়েও নালিশ করা বিএনপির চরিত্র। তারা মনে করে দেশের বাহিরে থেকে এসে কেউ তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। বাংলাদেশের মানুষ এখন সচেতন। বিদেশিদের কাছে নালিশ করে লাভ হবে না।
২৭ মার্চ সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের একটাই লক্ষ্য ছিল- এদেশের মানুষ যেন অন্ন পায়, বস্ত্র পায়, বাসস্থান পায়, চিকিৎসা পায়, উন্নত জীবন পায়। সেই লক্ষ্য সামনে নিয়েই তিনি আমাদের এই স্বাধীনতা এনে দেন।
তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতার ৫৩ বছর। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই ১৯৪৮ সালে আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন সেই আন্দোলনের পথ বেয়েই তিনি ধীরে ধীরে এদেশের মানুষকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেন। তারই ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার মানুষ অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে এদেশ স্বাধীন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদেরকে একটি রাষ্ট্র দিয়েছেন, একটি জাতি হিসেবে মর্যাদা দিয়েছেন, বিশ্ব দরবারে আত্মপরিচয়ের সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি তার নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন বাংলাদেশের শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের জন্য। তিনি চেয়েছিলেন তাদের ভাগ্য তিনি পরিবর্তন করবেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবেন। আর এসব কারণেই তিনি এদেশের মানুষকে স্বাধীনতা এনে দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যার যা কিছু আছে তা নিয়ে এদেশের মানুষ লড়াই করতে নেমে গিয়েছিল। বাংলাদেশের যুদ্ধটা একটি জনযুদ্ধ ছিল। যারা ট্রেনিং নিয়ে দেশে এসেছে, দেশের মানুষকে তৈরি করেছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বাধা দিয়েছে। ট্রেনিংপ্রাপ্ত শুধু তা নয়, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষও মাঠে নেমে গিয়েছিল। যে যেভাবে পেরেছে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল। যেহেতু এটা গেরিলা যুদ্ধ, গেরিলা যোদ্ধারা যখন দেশে ঢুকেছে, এদেশের মা-বোনেরা রান্না করে খাওয়ার দেওয়া, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অবস্থানের তথ্য দেওয়া; সেই কাজগুলো করেছে। একটা জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা এদেশে স্বাধীনতার বিজয় অর্জন করতে পেরেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নালিশ করে তাদের ওপরে নাকি খুব অত্যাচার। অত্যাচার তো আমরা করি নাই। অত্যাচার করেছে বিএনপি-জামায়াত জোট। জিয়াউর রহমান এসে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছে। সেনা বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসার, সৈনিক থেকে শুরু করে প্রায় ৫ হাজার মানুষকে নির্বিচারে ফাঁসি দিয়েছে, গুলি করেছে, হত্যা করেছে। পরিবারগুলো তাদের লাশও পায়নি। সব লাশ গুম হয়ে গেছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করা এবং প্রথমে লেবাস পড়ে ক্ষমতায় যাওয়া, রাজনীতিকে গালি দিয়ে ক্ষমতা দখল করে, আবার সেই লেবাস খুলে নিজেরাই রাজনীতিবিদ হয়ে যাওয়া আর ক্ষমতা উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দখল গঠন করার কালচারটাই শুরু হয়েছিল বাংলাদেশে। অবৈধ দখলকারীদের হাতে তৈরি করা যে সংগঠন তারা নাকি গণতন্ত্র চায়। যাদের জন্মই গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে হয়নি। যাদের জন্ম মিলিটারি ডিক্টেটেডের মধ্য দিয়ে, তারা আবার গণতন্ত্র চায়। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র দেয়নি, তারা গণতন্ত্র দেবে। গণতন্ত্রের জন্য নাকি তারা লড়াই করে। ওদের জিজ্ঞেস করতে হয়, তাদের জন্মটা কোথায়? অবৈধ দখলদারি এটা তো আমাদের কথা না। আমাদের উচ্চ আদালত বলে দিয়েছে যে, জিয়া-এরশাদ সম্পূর্ণ অবৈধ। তারপর তারাও নাকি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামও করে।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আওয়াল শামীম।