চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরের কালীগঞ্জে কাজ করতে গিয়ে রুবেল মিয়া (২২) নামের এক গ্রিল মিস্ত্রি বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন। নিহত রুবেল মিয়া টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার খাগুরিয়া গ্রামের মো. ধানেশ উদ্দিনের ছেলে।
আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের আজমতপুর উত্তর পাড়া মোড়ল বাড়ি সংলগ্ন গিয়াস উদ্দিন মোড়লের ওয়ার্কশপে এ ঘটনা ঘটে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ফায়েজুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহতের বাবা ধানেশ উদ্দিন জানান, রুবেল পাঁচ বছর যাবত কালীগঞ্জের আজমতপুর এলাকায় গিয়াস উদ্দিন মোড়লের ওয়ার্কশপে কাজ করতো। গ্রীল দোকানের মালিক আমাদেরকে ফোনে জানিয়েছেন কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সে মারা গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়ন বিষয়ক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এনজিও সংস্থা ওয়াফথর আয়োজনে ও বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়নে ও শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানে ভীতি দূর করে বিজ্ঞান মনস্ক করে গড়ে তোলার লক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ারের সভাপতিত্বে ও ওয়াফথর সমন্বয়কারী মো. আতিকুর রহমানের উপস্থাপনায় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুলাউড়া প্রেসক্লাব সভাপতি এম শাকিল রশীদ চৌধুরী ও তথ্য সেবা কর্মকর্তা তাছফিয়া রহমান। সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ওয়াফের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল মালিক। সেমিনারে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও গণমাধ্যম কর্মীরা অংশ নেন।
সেমিনারে একটি স্কুলকে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে বিজ্ঞান শিক্ষার বিশেষ পরিবর্তন আগামী ৬ মাসের মধ্যে প্রদর্শনের, বিজ্ঞান ক্লাসগুলো নিয়মিত করতে রুটিন তৈরি করে ক্লাস করা, বিজ্ঞান ল্যাব এবং বিজ্ঞান যন্ত্রপাতির নিয়মিত ব্যবহার নিশ্চিত করা, ব্যবহারিক ক্লাস পরিচালনায় দক্ষতার জন্য বিজ্ঞান শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং বিজ্ঞান মেলাসহ অন্যান্য বিজ্ঞান কার্যক্রমে সকল প্রতিষ্ঠানকে নিয়মিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় এক প্রকৌশলী নিহত হয়েছে। আজ ২০ আগস্ট রবিবার দুপুরে উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কংকন কুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম জুয়েল (৩৫) তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। তিনি একটি কারখানায় ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্বজনরা জানায়, সে অফিস থেকে দুপুরে বাসায় ফিরার পথে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পল্লী বিদ্যুৎ মোড় এলাকায় পৌছালে ঢাকাগামী একটি বাস তাকে চাপা দিলে মহাসড়কে ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেল চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
ওসি জানান, খবর পেয়ে ঘাতক বাসটিকে জব্দ করা হলেও তার চালক পালিয়ে গেছে। নিহতের স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে ডেস্ক :
আজ ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দিনের আলো ফুরিয়ে যাবে তাড়াতাড়ি। সন্ধ্যে গড়িয়ে যে রাত নামবে, তা যেন কাটতেই চাইবে না।
আজ হতে চলেছে বছরের দীর্ঘতম রাত। খবর দ্য ওয়ালের।
কেন ২১ ডিসেম্বর বছরের দীর্ঘতম রাত, তা জানতে হলে শৈশবের সেই ভূগোল বইয়ের পাঠে ফিরে যেতে হবে। জানতে হবে সূর্যের উত্তরায়ন ও দক্ষিণায়নের গতিপ্রকৃতি। পাঠ্যবইতে দীর্ঘতম দিন এবং দীর্ঘতম রাতের কথা সবাই পড়েছে। ২১ জুনকে বছরের দীর্ঘতম দিন বলা হয়, আর দীর্ঘতম রাত হলো ২১ ডিসেম্বর। এই দীর্ঘতম রাত হয় সূর্যের দক্ষিণায়নের কারণে।
কেন রাত সবচেয়ে বড় হয়, এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে। বছরে ছটি ঋতু। ঋতু বদলের সঙ্গে দিন ও রাতের সময়কালও বদলায়। বছরের ৩৬৫ দিন কখনো সমান থাকে না। কখনো দিন বড় রাত ছোট হয়, আবার কখনো তার উল্টো। ঠিক এভাবেই বছরে এমন একটা দিন আসে, যেখানে দিন সবচেয়ে ছোট হয়, এবং রাত সবচেয়ে বড়। আবার এর উল্টোটাও হয়।
সৌরজগতের নিয়ম অনুযায়ী, পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরার সময় একদিকে একটু হেলে থাকে। ফলে কখনো উত্তর গোলার্ধ সূর্যের কাছাকাছি আছে, আবার কখনো দক্ষিণ গোলার্ধ। ২১ জুন দিনটাতে উত্তর গোলার্ধ সূর্যের কাছাকাছি থাকে। তাই সূর্যের রশ্মি দীর্ঘসময় পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে পড়ে। সূর্য এদিন কর্কটক্রান্তি রেখায় লম্বভাবে বা খাড়াভাবে কিরণ দেয়। তাই মনে হয় দিন শেষই হচ্ছে না। মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে দেশগুলিতে বেশি পরিমাণ সূর্যালোক পৌঁছায়। এর ফলে এই সময়কালে সেইসব দেশে গ্রীষ্মকাল থাকে। বিজ্ঞানের ভাষায় একেই বলে ‘সামার সলসটিস’ বা উত্তরায়ণ। এর পর থেকে দিন ছোট হতে শুরু করে।
ডিসেম্বর মাস থেকে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলতে থাকে, উত্তর গোলার্ধ চলে যায় অনেকটা দূরে। এই সময় উত্তরে সূর্যের আলো ক্ষীণভাবে পড়ে, ফলে সেখানে তখন শীতকাল, আর দক্ষিণে গরমকাল। ২১ ডিসেম্বর দিনটিতে উত্তর গোলার্ধ সূর্যের থেকে অনেকটাই দূরে থাকে। ফলে সেখানে সূর্যের আলো এতটাই কম পড়ে যে, দিন খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় বলে মনে হয়। রাত হয় দীর্ঘ। একে বলে উইন্টার সলসটিস বা সূর্যের দক্ষিণায়ন। এই সময় দক্ষিণ গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় হয় আর উত্তর গোলার্ধে রাত দীর্ঘতম হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
২১ মে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। এ বছর দেশে দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ভালো মানুষ ভালো দেশ, স্বর্গভূমি বাংলাদেশ। মেডিটেশন দিবস উপলক্ষে এবারও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সারাদেশে ভোর ৬টায় একযোগে বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে প্রাণায়াম বা দমচর্চা, প্রত্যয়ন পাঠ ও মেডিটেশন চর্চার আয়োজন করেছে। আর এর মধ্য দিয়ে ধ্যানীরা সুস্থতা ও প্রশান্তির বাণী ছড়িয়ে দেবেন।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, দেশে দিন দিন মেডিটেশনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য বিদ্যমান চিকিৎসার পাশাপাশি মেডিটেশন যে প্রয়োজন, সেই পরামর্শ এখন চিকিৎসকরা দিচ্ছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সম্প্রতি যোগ-মেডিটেশনকে স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
সাত বছর আগে উইল উইলিয়ামস নামে এক ব্রিটিশ মেডিটেশন প্রশিক্ষক প্রথম দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেন। তিনি ছিলেন অনিদ্রার রোগী। মেডিটেশনের মাধ্যমে নিরাময় লাভের পর এ সম্পর্কে আরও উৎসাহী হয়ে ওঠেন উইলিয়ামস। বাংলাদেশে মেডিটেশন চর্চার ইতিহাসে টানা ৩১ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। এই চর্চার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন লাখো মানুষ।