চলারপথে রিপোর্ট :
‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যে হবিগঞ্জে বৃক্ষরোপন অভিযান ও জেলা বৃক্ষমেলা ২০২৩ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসনের নিমতলায় হবিগঞ্জ বন বিভাগের আয়োজনে মেলার উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মাঝে পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি, সিলেট বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক তারেক রহমান বক্তব্য দেন। পরে শহরে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
এর আগে অতিথিরা মেলার স্টল পরিদর্শন করেন। মেলায় ফুল, ফল, ওষুধিসহ বিভিন্ন জাতের গাছের চারা প্রদর্শন করা হয়েছে। এতে ২০ স্টল স্থাপন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের সার্ভার সচল হয়েছে। ২৭ ঘন্টা পর আজ ৯ জুন শুক্রবার সকাল ১১টার কিছু পরে সার্ভার সচল হয়। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সার্ভারে ত্রুটি দিলে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ১টার দিকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হাতে লিখে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করে সংশ্লিষ্টরা। এসময় প্রচুর যাত্রী আটকা পরে। হাতে লিখে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম করতে অনেক পরিশ্রম হয় ইমিগ্রেশন কর্মীদের। তবে যাত্রীদের মাঝেও স্বস্তি ফিরে আসে।
জানা যায়, আখাউড়া ইমিগ্রেশন অফিসে ৩টি কম্পিউটার ডেস্ক রয়েছে। এরমধ্যে ২টি ডেস্কে বহিঃগমন এবং ১টি আগমনী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে সার্ভারে জটিলতা দেখা দিলে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এসময় ভারত- বাংলাদেশগামী শত শত যাত্রী আটকে পরে। এতে নারী শিশু সহ রোগীরা বেশি কস্ট করে। তীব্র গরমের অতিষ্ঠ হয়ে পরে যাত্রীরা। ইমিগ্রেশন এলাকাটি ছোট হওয়ায় ও বসার মত পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় শিশু ও বয়স্ক যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয় বেশি। পরে বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালে রাতেই ইঞ্জিনিয়ার এসে সার্ভার মেরামতের কাজ শুরু করে।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ হাসান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সার্ভারে জটিলতার বিষয়টি অবগতি করি। রাতেই ঢাকা থেকে ইঞ্জিনিয়ার এসে কাজ শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার কিছু পরে সার্ভার সচল হয়। উল্লেখ্য, আখাউড়া চেকপোষ্ট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার পর্যটক আসা-যাওয়া করে।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা ও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহা হাসপাতালটিতে আর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া হাসপাতালটিতে সব ধরনের অস্ত্রোপচার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মাহবুবা রহমান আঁখির চিকিৎসাজনিত অভিযাগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত পরিদর্শন টিম আজ ১৬ জুন শুক্রবার বিকালে হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পরিদর্শন টিমের নেতৃত্ব দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. মো. দাউদ আদনান ও অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার উপ-পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান।
পরিদর্শন টিমের পরিদর্শন নির্দেশনাগুলো হলো- ডা. সংযুক্তা সাহা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লিখিত অনুমোদন ছাড়া পরবর্তীতে সেন্ট্রাল হাসপাতালে কোনো বিশেষজ্ঞ সেবা দিতে পারবেন না। আইসিইউ ও জরুরি সেবার মান সন্তোষজনক না হওয়ায় অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। মাহবুবা রহমান আঁখির পরিবারের কাছ থেকে নেওয়া চিকিৎসা বাবদ সব খরচ এবং চিকিৎসাজনিত যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করবে।
আঁখির চিকিৎসায় জড়িত সব চিকিৎসকের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র বিএমডিসিতে পাঠানো হবে। বিএমডিসি থেকে চিকিৎসকের নিবন্ধন বিষয়ক সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আদালতে চলমান মামলায় অভিযুক্ত ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনার যাবতীয় খরচ সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করবে। ভুক্তভোগী রোগীর পরিবার কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দাবি করলে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী নিষ্পন্ন করতে হবে।
অভিযোগ সংক্রান্ত সব কাগজপত্র স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসব নির্দেশনা ১৬ জুন শুক্রবার থেকেই কার্যকর হবে। এর কোনো ব্যত্যয় ঘটলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ ৫ ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের তেজেরবাজার এলাকার শহীদ স্টোরের সামনে থেকে পুলিশ তাদেরকে আটক করে। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা আরও বেশ কয়েকজন ডাকাত সদস্য পালিয়ে যায়। আজ ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান।
আটক পাঁচ ডাকাত হচ্ছেন চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার পূর্ব খৈয়াছড়া গ্রামের মুজিবুল হকের ছেলে সেলিম উদ্দিন, চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে বসবাসরত লক্ষ্মীপুর জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার চর জগবন্ধু গ্রামের মৃত আব্দুল শহীদ এর পুত্র নূর মোহাম্মদ রানা, গাইবান্ধা সদর উপজেলার মৌজা মালিবাড়ীর আব্দুস সামাদ এর পুত্র আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে কাঞ্চিয়া, চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকার ভাড়া বাসায় বসবাসকারী লক্ষীপুরের চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার কালীবৃত্তি গ্রামের আলমগীর হোসেনের পুত্র নুরুদ্দিন এবং নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছা মৌলভীবাজার গ্রামের সোহেল মিয়ার পুত্র মো. বাদশা।
এসময় তাদের কাছ থেকে দুইটি চাইনিজ কুড়াল, একটি স্টিলের চাপাতি, একটি স্টিলের ছোড়া, একটি প্লাস্টিকের বাট যুক্ত লোহা কাটার একটি একটি লোহার পাইপ সহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে- সোমবার দিবাগত রাতে নাঙ্গলকোটে ডাকাতির প্রস্তুতি হিসেবে ডাকাত দলে সদস্যরা সেখানে জড়ো হয়েছিল। এ ঘটনায় নাঙ্গলকোট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃত সকলেই একাধিক মামলার আসামি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘করোনা অতিমারী ও ইউক্রেন যুদ্ধ- সবকিছু মিলিয়ে সারা বিশ্বের অর্থনীতি মন্দার কবলে, সেখানে আমাদের প্রচেষ্টা দেশের অর্থনীতি গতিশীল রাখা। সেজন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ একদিন উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হবে।’
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ১০টায় প্রয়াত ডা. এস এ মালেকের স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এস এ মালেক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। গত বছরের ৬ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্কুল জীবন থেকে রাজনীতি করি। কলেজে ছাত্রলীগ করতাম, কলেজে ভিপিও ছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রলীগে সম্পৃক্ত ছিলাম। কখনও নেতৃত্ব নেওয়ার চিন্তা করিনি। দলের জন্য যখন প্রয়োজন হয়েছে, আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটাই পালন করেছি। পঁচাত্তরের পরেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তখনও আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিতে হবে- সেটা ভাবিনি। বঙ্গবন্ধু পরিষদ গঠন হয়েছে শুনে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করেছি। ডা. মালেক আমাকে চাপ দিতেন, তোমাকে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিতে হবে। সত্যি কথা বলতে, আমি দলের দায়িত্ব নেওয়ায় ডা. মালেকের অনেক অবদান রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডা. মালেককে আমরা ছোটবেলা থেকে চিনি, তার সঙ্গে আমাদের পারিবারিকভাবে সম্পর্ক রয়েছে। তিনি সবসময় রাজনীতি সচেতন ছিলেন। দেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তার ভূমিকা ছিল। মুক্তিযুদ্ধে নিজের হাতে অস্ত্র তুলে প্রতিরোধ করেন। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর মুশতাক সংসদ সদস্যদের বৈঠকে ডাকে। তবে ডা. মালেকসহ অনেক সংসদ সদস্য সে বৈঠকে যোগ দেননি। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। সেখানে টিকতে না পেরে তিনি ভারতে চলে যান।’
এস এ মালেকের স্মৃতিচারণ করে সরকারপ্রধান আরো বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ডা. মালেক আমার রাজনৈতিক উপদেষ্টা থাকাকালে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। তার মধ্যে কোনো অহমিকা ছিল না। তিনি হোমিওপ্যাথির প্র্যাকটিস করতেন, বিনামূল্যে ওষুধও দিতেন। তিনি অনেক বৈরী পরিবেশে জাতির পিতার আদর্শকে এগিয়ে নিয়েছেন এবং নেতাকর্মীদের মধ্যেও সেটি দক্ষভাবে ছড়িয়ে গিয়েছেন। লেখালেখিতেও তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রচার করেছেন।’
বঙ্গবন্ধু পরিষদ নিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ ও তার আদর্শ তুলে ধরতে ঢাবি উপাচার্য মতিন চৌধুরী বঙ্গবন্ধু পরিষদ গড়ে তোলেন। সেসময় বঙ্গবন্ধুর নাম নেওয়াও নিষিদ্ধ ছিল। সে সময় তারা একটি বইও প্রকাশ করেন। বিভিন্ন লেখনীতে বঙ্গবন্ধুর কর্ম জাতির সামনে তুলে ধরেন। তবে তাদেরকে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
সভায় আলোচনায় অংশ নেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আবদুল খালেক, বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অর্থনীতিবিদ লিয়াকত আলী মোড়ল ও অ্যাডভোকেট আব্দুল সালাম।
বক্তারা বলেন, ডা. এস এ মালেক ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক ও বলিষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের সকল প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন তিনি। সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে তিনি নিজের জীবনকে পরিচালিত করেছেন। নতুন প্রজন্ম যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে তাদের জীবন পরিচালিত করতে পারে তাহলে প্রয়াত ডা. এস এ মালেকের আত্মার শান্তি পাবে। এ সময় বক্তারা তার নামে দেশের একটি সড়ক নামকরণের দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে এস এ মালেকের স্মরণে ‘তুমি রবে নীরবে’ গান পরিবেশিত হয়। ‘ডা. এস এ মালেক: বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আলোয় আঁকা একজন সাহসী মানুষের প্রতিকৃতি’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অজিত কুমার সরকার।
চলারপথে রিপোর্ট :
অভিনব কায়দায় এক জেলায় চুরি করে অন্য জেলায় বিক্রি করতেন এমন আন্ত:জেলা গরু চোর চক্রের মূল হোতাসহ ১৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সিপিসি-২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার তৌহিদুল মবিন খান এতথ্য জানান। এর আগে গত কয়েকদিন ধরে পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার আলগাদিয়া এলাকার চাঁন মোল্লার ছেলে আব্দুর রহিম (৩৪), একই এলাকার হারেস মুন্সীর ছেলে শফিকুল মুন্সী আদিল (২৫), কোতয়ালী থানার বাটিলক্ষীপুর এলাকার মোতালেব মোল্লার ছেলে গাফফার মোল্লা ((২২), রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার ভবানীপুর এলাকার মৃত রফিজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আব্দুল রাজ্জাক (৩৮), ফরিদপুর জেলার সালথা থানার রামকান্তপুর এলাকার আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে জামাল (২৩), বোয়ালমারি থানার শিরগ্রাম ধোপাপাড়া এলাকার ইয়াসিন মোল্লার ছেলে বাগানে মোল্লা (২০), নাগদি এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে মফিজুল ইসলাম (২২), মধুখালী থানার ডুমাইন এলাকার হারুন বিশ্বাসের ছেলে অনিক বিশ্বাস, বোয়ালমারীর সাতুর বাজারের মজিবুর রহমানের ছেলে মো: মিল্টন (২৪), নগরকান্দা থানার সন্তোষী এলাকার ইউনুছ মিয়ার ছেলে নাহিদ মিয়া (২৬), বোয়ালমারী থানার খামারপাড়া এলাকার আব্দুল বাকের শেখের ছেলে আব্দুল্লাহ শেখ (২৫), রাজবাড়ীর পাংশা থানার ভবানীপুর এলাকার রফিজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মো. মুন্না (১৯) এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার কোলদিয়ার ভুরকাপাড়া এলাকার মল্লিক সরদারের ছেলে মো: নুতফার (৪৯)।
তৌহিদুল মবিন খান আরো জানান, তাদের বাড়ি ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলায় কিন্তু তারা ওই এলাকায় চুরি করে না। তারা মাদারীপুর, নড়াইল, মাগুড়া, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়াসহ আশপাশের জেলায় গরু চুরি করে। সেইসব গরু আবার অন্য আরেক জেলায় স্থানান্তর করে বিক্রি করতো। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাবনার ঈশ্বরদীতে একটি ভাড়া করা বাসা থেকে মুলহোতা আব্দুর রহিমসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করি। পরে তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৪টি গরু উদ্ধার করা হয়।