চলারপথে রিপোর্ট :
মাত্র ১২ বছর বয়সে চট্টগ্রামে খালাতো ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন আবদুল্লাহ আল মামুন ছিদ্দিক। দীর্ঘ ১৫ বছর পর সেই আবদুল্লাহ আল মামুন ছিদ্দিককে ফিরে পেল তার পরিবার।
আবদুল্লাহ আল মামুন ছিদ্দিক নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বিষ্ণপুর গ্রামের নোয়াবাড়ির রফিক উল্লার ছেলে। এক ভাই তিন বোনের মধ্যে সে সবার বড়।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের বটতলি রেলস্টেশনে খালাতো ভাই মোহরার সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে যায় ১২ বছর বয়সের আবদুল্লাহ আল মামুন ছিদ্দিক। তখন থেকেই শিশুসন্তানকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পায়নি তার পরিবার। এর পর থেকে ছেলের সন্ধানে বাবা-মা এমন কোনো চেষ্টা বাকি রাখেননি।
সম্প্রতি আবদুল্লাহ আল মামুন ছিদ্দিককে চট্টগ্রামের বটতলি রেলস্টেশনে দেখেন তার চাচাতো ভাই নুর মোহাম্মদ। সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে তার বাড়িতে পরিবারকে জানায় বিষয়টি। এর পর তার বাবা রফিক উল্লা ও মা আয়েশা খাতুন চট্টগ্রামে পৌঁছে চাচাতো ভাই নুর মোহাম্মদের সহযোগিতায় আবদুল্লাহ আল মামুন ছিদ্দিককে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন।
আবদুল্লাহ আল মামুনের মা-বাবা বলেন, আমাদের সন্তানকে পেয়ে আল্লাহর দরবারে লাখো শুকরিয়া। এখন আর তাকে কোথাও হারিয়ে যেতে দেব না।
অনলাইন ডেস্ক :
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির নতুন বই বাজারজাতকরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আজ ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) মিলনায়তনে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে এনসিটিবি প্রকাশিত একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা সাহিত্য পাঠ, বাংলা সহপাঠ, ইংলিশ ফর টুডে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মোট চারটি পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, বইগুলোর মধ্যে ইংলিশ ফর টুডে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রিভাইস করা হয়েছে। মানও আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমের সব পাঠ্যপুস্তকই নতুন করে প্রণয়ন করছি। ২০২৬ ও ২০২৭ সালে গিয়ে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির নতুন কারিকুলামের বই হবে। তার আগেও বই পরিশীলনের কাজ আমরা যতদূর সম্ভব অব্যাহত রাখব।
দীপু মনি বলেন, আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা দক্ষ ও যোগ্য মানুষ, মানবিক মানুষ, সৃজনশীল, সহনশীল মানুষ হোক, অসাম্প্রদায়িক মানুষ হোক। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু যে রকম চেয়েছিলেন ঠিক সেই রকম মানুষ হয়ে গড়ে উঠুক। সে জন্য পুরো শিক্ষাক্রমকে সংস্কার নয়, রূপান্তর ঘটাচ্ছি। রূপান্তরের উদ্দেশ্য হলো, শুধু মুখস্থবিদ্যা নয়, আমরা করে করে শিখব, অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন হবে, সক্রিয় শিখন হবে। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা যা শিখছে, তা আত্মস্থ করতে পারবে এবং তা প্রয়োগ করার দক্ষতা অর্জন করবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাই তাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যেহেতু তিনি একজন দণ্ডপ্রাপ্ত তাই তার দেশের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর যদি তিনি সুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে তাকে বাকি সাজা খাটতে হবে।
আজ ১১ জুন রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ল রিপোর্টার্স ফোরাম’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার কোন সুযোগ নেই। পাশাপাশি পলাতক তারেক রহমান একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তিনিও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
দশবছর পর জামাত ঢাকায় সমাবেশ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদেরকে অনুমতি দেওয়ার মালিক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অতএব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করুন।
অপরাধী সংগঠন হিসেবে জামাতের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, অপরাধী সংগঠন হিসেবে জামাতের বিচার করার জন্য যথেষ্ট তথ্যপত্র রয়েছে। তবে তারা বিচারে যতক্ষণ পর্যন্ত দোষী সাব্যস্ত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদেরকে অপরাধী দল হিসেবে বলা যাবে না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ল রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকার এবং সঞ্চালনা করেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মেদ সরোয়ার হোসেন ভূঁঞা।
আইন সচিব গোলাম সারোয়ার, যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা ও ফোরামের অন্য নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম আমরা দিয়েছি, এটা সকলের জন্য। এটা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল, ২০০৮ এর নির্বাচনী ইশতেহারে। যেটা আমরা করতে পেরেছি।’
আজ ৭ জুলাই রবিবার যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণভবনে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু সরকারি চাকরিজীবী তারাই পেনশন পায় আর বাকিরা বঞ্চিত থাকে। কাজেই কেউ যাতে বঞ্চিত না থাকে সেজন্য এই পেনশন স্কিমে বিভিন্ন স্তর দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি, আমাদের যুব মহিলা লীগের প্রত্যেকেই এই সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যুক্ত হতে পারো। যুক্ত হতে পারো নিজেদের একটা ভবিষ্যতের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘যখন মানুষের বয়স হয়ে যাবে বা তারা কর্মক্ষম থাকবে না এর মাধ্যমে তাদের জীবন-জীবকা নির্বাহের জন্য একটি নিশ্চিত অর্থ প্রাপ্তির সুযোগ রয়েছে। এটা কিন্তু আজীবন পাবে। আমি মনে করি যারা আমাদের রাজনীতির সাথে যুক্ত তাদের এ ধরনের পেনশন স্কিমে ঢোকা দরকার।’
আর যারা একেবারে প্রান্তিক বা নিম্ন আয়ের মানুষ রয়েছে তাদের জন্য এতে বিশেষ প্রণোদণা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানে যুব মহিলা লীগের ওয়েবসাইটও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০০২ সালের ৬ জুলাই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের এক ঝাঁক সাবেক নেত্রীকে নিয়ে যুব মহিলা লীগ গঠন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্মাণাধীন চার লেন সড়কের কাজ পুনরায় শুরু হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন ফিরে আসবে। গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে সড়কটি পরিদর্শনে এসে এ তথ্য জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সচিব বলেন, ‘ভারতীয় পক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে তোমরা আসো, কাজ করো- আমাদের অসুবিধা হচ্ছে। যতো দ্রুততার সঙ্গে সম্ভব কাজ করো। এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে ভারতীয় হাইকমিশনার নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাও কথা বলেছেন উল্লেখ করে সচিব মো. এহছানুল হক বলেন, ‘বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার নজরে রয়েছে। জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে সড়কটি দেখার জন্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা আমাকে পাঠিয়েছেন।’ ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চার লেন সড়ক প্রকল্পের ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী গত ১০ই আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে যায়। এরপর থেকেই বন্ধ এই প্রকল্পের কাজ। এদিকে কাজ বন্ধ থাকায় সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েক কিলোমিটার চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারো যানবাহন। নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘ যানজটে নাকাল হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।
অনলাইন ডেস্ক :
২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা করতে বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি ইইউ’র সদর দপ্তরের বেশ কয়েকটি চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এক বিবৃতিতে বলেন, আমি আশা করি যে, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের পর আমাদের উন্নয়নে সহায়তার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইউরোপীয় কমিশনের চেয়ারম্যান উরসুলা ভন ডার লেয়েন ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের (ইআইবি) মধ্যে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরো অর্থায়ন চুক্তিসহ বেশ কয়েকটি চুক্তি সই প্রত্যক্ষ করেন।
শেখ হাসিনা বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ যুদ্ধ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে চায়। তিনি বাংলাদেশে সাময়িকভাবে আশ্রিত ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য ইইউকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্মভূমি মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনই এই সংকটের একমাত্র সমাধান।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি দ্রুত এই সংকটের একটি টেকসই সমাধানের সঙ্গে যুক্ত থাকতে ইইউ’র প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।