চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিজয়নগর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সেলিম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা হয়। এ সময় আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে আইয়ুব নূর (৫০) নামে এক মাদক কারবারি নিহত হন। আরো দুজন গুলিবিদ্ধ হন।
ওসি আরো বলেন, অপরদিকে মাদক কারবারিদের হামলায় ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় রাতেই থানার এএসআই সেলিম উদ্দিন বাদী হয়ে ১৮ মাদক কারবারি নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫২ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ হাজার ৭২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৪০৩ বোতল ইস্কফ সিরাপ, ১০০ কেজি গাঁজা, ২১ বোতল বিদেশী মদ এবং ২৩ বোতল বিয়ার উদ্ধার করেছে বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের (২৫ ব্যাটালিয়ন) সদস্যরা।
২১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দিনব্যাপী জেলার বিজয়নগর ও আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী কালাছড়া, ছানিপুর, নোয়াবাদী, রাজাপুর, কাশিনগর, হীরাপুর, আনোয়ারপুর, কামালমোড়া এবং বিষ্ণুপুর এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান এই মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়ন থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যগুলো ধ্বংসের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসে জমা দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ৫টি গাঁজা গাছ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার মুকুন্দপুর রেলওয়ে স্টেশনের পরিত্যক্ত জায়গা থেকে এই গাঁজা গাছগুলো উদ্ধার করা হয়।
উপজেলার আউলিয়া বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ মাসুদ বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পেরে মুকুন্দপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকার পরিত্যক্ত স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫টি গাঁজা গাছ উদ্ধার করা হয়। তবে কারা গাঁজা গাছ এখানে রোপন করেছে তা জানা যায়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল ব্যাটালিয়ান (২৫ বিজিবি) এর পৃথক অভিযানে একজন অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী ও বিপুল পরিমাণ ভারতীয় অবৈধ পণ্য আটক করা হয়েছে।
সরাইল ব্যাটালিয়ান (২৫ বিজিবি) এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আজ ৭ মার্চ শুক্রবার আনুমানিক রাত প্রায় ২টা ১৫ মিনিটে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রানজিট ক্যাম্পের বিশেষ টহল দল গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্ত পিলার ২০০১/এমপি হতে আনুমানিক ৫ কি. মি. বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার আমতলী এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় উন্নতমানের সানগ্লাস- ৩৮৯৪ পিস, ট্যাবলেট- ২১,৩০০ পিস, ক্যাপসুল-৮,৭০০ পিস, Medicated Soap- ৩২৪ পিস, Glosmile Injection- ১০৮ পিস, Finoptis eye drops-১৪০ পিস এবং Asylom-CD sachets powder-১৪০ প্যাকেট আটক করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত অবৈধ চোরাচালানী মালামালের সিজার মূল্য ৬৪ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩ শত টাকা। আটককৃত চোরাচালানি মালামাল আখাউড়া কাষ্টমস অফিসে জমা প্রদান করা হয়েছে।
অপর অভিযানে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) ট্রানজিট ক্যাম্পের টহল দলের এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ৭মার্চ শুক্রবার আনুমানিক রাত প্রায় সাড়ে ৩টায় সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর ধর্মঘর বিওপির টহল দল সীমান্ত পিলার ১৯৯৬/২-এস হতে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মালঞ্চপুর স্থান দিয়ে ২ জন ব্যক্তিকে ভারত হতে বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে বিজিবি বিওপির টহল দল ধাওয়া করলে বাংলাদেশী নাগরিক মোসা. ফাতেমা বেগম (৩৫), স্বামী মো. মনির হোসেন, গ্রাম বদনী ভাঙ্গা, ছোটভাদুরা, মোড়লগঞ্জ বাগেরহাটকে আটক করে এবং অপরজন মোবাইল ফোন ফেলে পালিয়ে যায়।
আটককৃত অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশী নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ১ বছর পূর্বে ভারতে কাশ্মীরে বসবাসরত তার স্বামীর নিকট চিকিৎসার জন্য গমন করে এবং ৭ মার্চ বাংলাদেশে ফেরত আসার সময় ধর্মঘর বিওপির টহল দলের নিকট আটক হয়। উল্লেখ্য, উক্ত মহিলার স্বামী ভারতের কাশ্মীরে ভাঙ্গারির ব্যবসা করে। আটককৃত মহিলার নিকট হতে ৫ টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। আটককৃত অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি নাগরিককে মোবাইল ফোনসহ মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করে হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়া সীমান্ত দিয়ে যাতে অবৈধভাবে কোন প্রকার অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে সে ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) বদ্ধ পরিকর।
এ ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর অভিযান চলমান থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ১৩টি দেশীয় অস্ত্রসহ মো. সজীব মিয়া (৩০) নামে একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ১৪ অক্টোবর সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের কালীসিমা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে ১৩ টি দেশীয় অস্ত্র, ২০ গ্রাম গাজা, ১ বোতল ফেন্সিডিল, ২টি মোবাইল, ১টি মোটর সাইকেল ও নগদ ৩ লাখ ৯১ হাজার ৭৯০ টাকা উদ্ধার করা হয়। আজ ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। গ্রেফতারকৃত মোঃ সজীব মিয়া কালীসিমা গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে গত ৪এবং ৫ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নিরীহ ছাত্র-জনতার উপর আক্রমনকারী, সন্ত্রাসীসহ সকল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, অবৈধ মাদক কারবারী এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী গত সোমবার রাতে বিজয়নগর উপজেলার কালীসীমা গ্রামের সজীব মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে সজীব মিয়াকে গ্রেফতার করে তার বাড়ি থেকে ১৩ টি দেশীয় অস্ত্র, ২০ গ্রাম গাজা, ১ বোতল ফেন্সিডিল, ২টি মোবাইল, ১টি মোটর সাইকেল ও নগদ ৩ লাখ ৯১ হাজার ৭৯০ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রেফতারকৃত সজীব মিয়াকে বিজয়নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলায় কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলনে করে অন্যত্র সরিয়ে জমির শ্রেণি বদল করার অপরাধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে দুজন কে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান ও মাটি কাটার তিনটি এক্সকাভেটরের ব্যাটারি জব্দ করা হয়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানাযায়, গোপন সংবাদের প্রেক্ষিতে গতকাল দিনব্যাপী বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ এর নির্দেশনায়, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান খান শাওন উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের নিদারাবাদ মৌজায় কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের অপরাধে মোঃ রোশন মিয়া ছেলে মোঃ সুহেল মিয়া ও একই উপজেলার চর ইসলামপুর ইউনিয়নের চর রাজাবাড়ি মৌজায় মাটি উত্তোলনের অপরাধে মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে সাচ্চু মিয়া কে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫ (১) ধারায় ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এসময় মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত ৩ টি এক্সকাভেটরের ৬ টি ব্যাটারি জব্দ করে নিয়মিত আইনে মামলা দায়েরের জন্য ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, যারা মাটি কেটে জমির শ্রেণি বদল করেছে, তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে মামলা দায়ের করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। জনস্বার্থে বিজয়নগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই অভিযান চলমান থাকবে।