চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুমোদনবিহীনভাবে বহুতল বিশিষ্ট ইমারত নির্মাণের দায়ে দুই ইমারত মালিককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ২৪ জুলাই সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কালাইশ্রীপাড়া ও লোকনাথ উদ্যানের (ট্যাংকেরপাড়) এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে এই জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, পৌরসভা থেকে ৬তলা ভবন নির্মানের অনুমতি নিয়ে কালাইশ্রীপাড়ার এক বাসিন্দা ৭ তলার ভবন নির্মান করায় এবং পৌর সভার কোন ধরনের অনুমতি না নিয়ে লোকনাথ উদ্যানের (ট্যাংকেরপাড়) পশ্চিমপাড় এলাকায় ৫তলা ভবন নির্মাণ করায় ইমারত নির্মান বিধিমালা আইনের বিভিন্ন ধারায় দুই ভবন মালিককে ৫ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, অনুমোদনহীন ভবন নির্মাণের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ ও সদর মডেল থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৮ ব্যাচের রজত জয়ন্তী আজ ১ জুলাই শনিবার দিনব্যাপী বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সকাল ৯টায় ৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
দুপুরে বিদ্যালয়ের হল রুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম শেখ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গোপাল সূত্রধর।
স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা ইউসিসিএ’র (বিআরডিবি) চেয়ারম্যান আবু কাউছার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মোঃ তাজুল ইসলাম, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডঃ আবদুল্লাহ আল-মামুন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটর সাইকেল ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো দু’জন আহত হয়েছেন।
আজ ২৯ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাদুঘর ফাঁটা পুকুর পাড় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহাদাত হোসেন (১৭) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামের সাদেকুল ইসলামের ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন জানান, ভাদুঘর থেকে তিন বন্ধু মোটর সাইকেল যোগে জেলা শহরের দিকে আসার পথে পথিমধ্যে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভাদুঘর ফাঁটা পুকুর পাড় এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে মোটর সাইকেল চালক শাহাদাত ছিটকে ট্রাকের নিছে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
তিনি আরো জানান, শাহাদাত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি বে-সরকারি কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্র ছিল। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, যেকোনো সভ্য জাতির প্রাণ হলো তার সংস্কৃতি। একটি জাতির বড় শক্তি হলো তার সংস্কৃতি। আমাদের খুবই শক্ত একটা সংস্কৃতি রয়েছে, যা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি।
আজ ২৭ এপ্রিল শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ এর এলটি রুমে ভাষা সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া আয়োজিত বৃত্তিপ্রদান, পুরষ্কার বিতরণী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দেশে নববর্ষ এখন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উদযাপিত হচ্ছে। আর এটা বর্তমান সরকারের আমলেই হয়েছে। তিনি বলেন, নববর্ষের যে অনুষ্ঠান তা বাঙালি সংস্কৃতির অনেক বড় একটা পরিচয়। ভাষা সাহিত্য ও অনুশীলন কেন্দ্রের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল সংস্কৃতি সংগঠরের ভালো কাজের সাথে আমি পাশে আছি থাকবো। এসময় তিনি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতির বিকাশে সহযোগিতা করতে বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক এসআরএম ওসমান গণি সজিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম শফিকুল্লাহ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি গৃহায়ন গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরও বলেন, সংস্কৃতি চর্চায় কোনো মানুষ বিপদগামী হয় না। আর তাই আমাদেরকে বেশি করে সংস্কৃতি চর্চা করতে হবে। তিনি বলেন, ভাষা ও সাহিত্য একটি দেশের তথা ওই জাতির প্রাণ। আমাদেরকে সেই ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য কাজ করতে হবে। সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে তার গতিচাঞ্চল্য বাড়াতে কাজ করতে হবে। তিনি গর্বভরে বলেন, আমাদের সংস্কৃতি এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জায়গা করে নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন মেধাবি শিক্ষার্থীদের মাঝে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও প্রফেসর ফাহিমা খাতুন এর নামে প্রবর্তিত বৃত্তি হিসেবে ১০ হাজার টাকা মুল্যমানের চেক ও ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতি অঙ্গনে দীর্ঘ সময় ধরে ভুমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ প্রবীন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি আব্দুল মান্নান সরকারকে ভাষা সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র পুরস্কার প্রদান করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে নগদ অর্থের ১০ হাজার টাকা মুল্যের একটি চেক এবং ক্রেষ্ট।
সংগঠনের সদস্যদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে এসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মোহাম্মদ মিয়া চাঁন (৫৫) নামে এক বিএনপির নেতা মৃত্যুবরন করেছেন। আজ ১৯ আগস্ট শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত মোহাম্মদ মিয়া চান উপজেলার চর-ইসলামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও চর-ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, জেলা বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে যোগ দিতে মোহাম্মদ মিয়া চান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন। বেলা ১১টার দিকে মোহাম্মদ মিয়া চান একটি মিছিল নিয়ে কাউতলী স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি স্ট্রোক করেন। অচেতন অবস্থায় দলীয় নেতা-কর্মীরা তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বিজয়নগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব লিটন মুন্সী জানান, কাউতলী থেকে নেতা-কর্মীরা পদযাত্রা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে যাওয়ার পথে কাউতলী স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে পৌছলে হঠাৎ করে তিনি স্ট্রোক করেন। পরে তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে চর-ইসলামপুর থেকে নৌকাযোগে দুই শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন মোহাম্মদ মিয়া। পরে কাউতলী থেকে পদযাত্রা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে যাওয়ার পথে কাউতলী স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে পৌছলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি অসুস্থ হন। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
গণঅভ্যুত্থানের একমাস পূর্ণ হওয়ায় শহীদদের স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় র্যালি ও আলোচনা সভা হয়েছে। আজ ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের টেংকেরপাড় মাঠে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শহীদি মার্চের এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী আল মামুন, দুর্জয় মাহমুদ, রেহেনা বুশরা, মুনিয়া, রিয়াদুল ইসলাম, আবু বাশার সানি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী মোঃ নিয়াজুল করিম প্রমুখ। সভায় বক্তারা ছাত্র আন্দোলনে সকল শহিদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারও তার বাহিনী ছাত্রদের উপর নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন চালিয়েছে। দেশে যেই সরকার গঠন করুক এসব ঘটনার দ্রুত বিচার করতে হবে, অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। এছাড়াও বক্তারা বলেন, যারা দেশে পুণরায় বৈষম্য সৃষ্টি করতে চাইবে তাদেরকে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন থেকে অভিজ্ঞতা নিতে হবে। একটি মহল ছাত্রদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রটাচ্ছে উল্লেখ করে তারা বলেন, ধ্বংস নয় বরং শিক্ষার্থীরা বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে মাঠে নেমেছে। তাই সকল অপপ্রচার থেকে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। একটি সুন্দর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে যেতে হবে। পরে একটি র্যালি টেংকের পাড় থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।