চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ২ হাজার ৫৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ২০২ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ কাকন মিয়া (৩৫) ও আল-আমিন (৩০) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব সদস্যরা। এ সময় মাদকদ্রব্য বহনকারী একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত কাকন মিয়া ও আল-আমিন সরাইল উপজেলাপর শাহবাজপুর আমিনপাড়া গ্রামের হিরন মিয়ার ছেলে।
আজ ২৬ জুলাই বুধবার দুপুরে র্যাব-৯-এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিপিসি-১-এর লেঃ কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসানর স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার রাত সোয়া ২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা উপজেলার ইব্রাহিমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি পিকআপ ভ্যান আটক করে। পরে পিকআপ ভ্যানে তল্লাশী করে ২হাজার ৫৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ২০২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ি। তাদের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে বাড়ির সীমানা বিরোধের জেরে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হয়েছেন।
আজ ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার সিংগারবিল ইউনিয়নের শ্রীপুর বড় বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম ইয়াকুব আলী (৪৮)। তিনি শ্রীপুর গ্রামের মৃত সুরুজ আলী ভূইয়ার ছেলে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাড়ির পৈত্রিক সম্পত্তির বণ্টন নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে মো. ইসহাক আলী ভূঁইয়ার সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল ছোট ভাই ইয়াকুব আলীর। সকালে সীমানা প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে মো. ইসহাক আলী ভূঁইয়া তার ছেলে সালাহউদ্দিন ভুঁইয়া, জাহিদ হাসান ভুঁইয়া ও স্ত্রী জোসনা বেগম দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘবদ্ধ হামলা করে ইয়াকুবের ওপর। এক পর্যায়ে মো. ইসহাক আলী ভূঁইয়া হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই ইয়াকুব আলী ভূঁইয়া (৪৮) মারা যান।
ওসি মো. রাজু আহমেদ জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিমের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে আইনশৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ হল রুমে আয়োজিত সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) মোঃ মোজাহারুল হকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি জমির উদ্দিন বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাছুম, উপজেলা জামাতের আমীর আবু সাঈদ, উপজেলা হেফাজত নেতা মাওলানা জহিরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের নেতা আবুল কালাম আজাদ, বিজয়নগর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ জিয়াদুল হক বাবু, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দবীর উদ্দিন ভূইয়া প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, বর্তমান সরকার আইনের শাসন বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। কেউ যাতে বিনা অপরাধে মামলায় হয়রানি না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আইন নিজের হাতে তোলা যাবে না। মাদক ব্যবসায়ীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে মাদক থেকে দূরে রাখা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে টাকা নিয়ে চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এখন ঘুষের টাকা ফেরত দেয়া নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছেন ওই কর্মকর্তা। টাকা ফেরত পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী আরিফ সিদ্দিকী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান’র সহায়তায় দাউদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত পিয়ন পদে খণ্ডকালীন কর্মরত অবস্থায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে পরিচয় হয়। পরে তিনি স্থায়ীভাবে নিরাপত্তা প্রহরী পদে চাকরি পাবার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকতার নিকট শরণাপন্ন হন। তাকে উপজেলার বুল্লা আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা প্রহরী পদে চাকরি পাইয়ে দেয়ার চুক্তিতে দুই ধাপে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন শিক্ষা কর্মকতা। একজন নিরাপত্তা প্রহরী আবশ্যক বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশিত হলে শিক্ষা কর্মকর্তার পরামর্শে ভুক্তভোগী আরিফ সিদ্দিকীসহ ৪ জন আবেদন করেন। আবেদনের সাথে সকল কাগজপত্রও জমা নেওয়া হয়। পরে আইডি কার্ডের সাথে সকল কাগজের তথ্য ভুল থাকায় জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন না করলে চাকরি দেওয়া যাবে না বলে শিক্ষা কর্মকর্তা। পরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নির্বাচন অফিসারের মাধ্যমে দ্রুত সংশোধনের কথা বলে আরো ৪০ হাজার টাকা নেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে আবেদনের ভিত্তিতে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানান। এরই মধ্যে বুল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যায়। ভুক্তভোগী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট টাকা ফেরত চাইলে তিনি আড়িয়ল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক লিটন দেব ও সাতবর্গ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাসুক ভুইয়ার মাধ্যমে দুই ধাপে ৪৫ হাজার টাকা ফেরত দেন। অবশিষ্ট ৭৫ হাজার টাকা ফেরত দেয়া নিয়ে এখন টালবাহানা শুরু করেছেন অভিযোগ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ৩ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল জলিল জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগ আছে বলে শুনেছেন। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
এদিকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি কোন লোকের কাছ থেকে টাকা নেয়নি। আমার কথা বলে যদি কেউ টাকা নিয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এইচ. ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে দোষী প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে অজ্ঞাতনামা (৫৫) এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২০ জানুয়ারি শনিবার রাতে উপজেলার হরষপুর রেললাইনে এই ঘটনা ঘটে।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জসিম উদ্দিন জানান, রাত দেড়টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেট অভিমুখী উপবন ট্রেনটি হরষপুর ইউনিয়নের হরষপুর পৌঁছলে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা যায়। পরে নিহতের মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া র মর্গে পাঠায়। ওই ব্যক্তির লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য পিবিআইকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে বলা হয়েছে। অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত হয়নি।