চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে গলায় ফাঁস দিয়ে শমলা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধা আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শমলা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
আজ ২৬ জুলাই বুধবার সকাল ৮টায় উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শমলা বেগম ওই গ্রামের মৃত তালু হোসেনের স্ত্রী। তার দুই ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী।
সৌদি আরব প্রবাসী ছেলে কালা মিয়া মোবাইল ফোনে বলেন, রাতে এশার নামাজ পড়ে মা তার রুমে ঘুমাতে যায়। সকাল ৮টায় আমার বড় ভাই সুলেমান মাকে খাবারের জন্য ডাক দিতে গিয়ে দেখেন দড়িতে ঝুলছে। জীবিত আছেন ভেবে তারা মাকে দড়ি থেকে খুলে দেখেন মা মারা গেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমার মা পাগলাটে টাইপের রাগী ও জেদী মানুষ ছিলেন। অনেকটা মানসিক রোগীই বলা যায়। যা মন চাইতো, তাই করতো। হয়তো পাগলামির বশবর্তী হয়েই একাজ করেছেন।
সরাইল থানার ওসি (তদন্ত) আ স ম আতিকুর রহমান জানান, উপজেলার পরমানন্দপুর গ্রামে বড় ছেলের ঘরে বৃদ্ধ মা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে-এমন সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে একাধিক মামলার এজহারনামীয় আসামী ছাত্রলীগ নেতা বাসাররফ হোসেন ভূঁইয়া ওরফে আবুল বাশারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ মিডিয়া উইংসের ইনচার্জ পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে। গ্রেফতারকৃত আবুল বাশার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সাবেক সহ-সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্ররীগ উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি সরাইল উপজেলার অরুয়াইল গ্রামের মৃত আমিনুল হক ভূঁইয়ার ছেলে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গ্রেফতারকৃত আবুল বাশারের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত কানাই মিয়াকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-২ এর বিচারক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কানাই মিয়াকে ১ লাখ টাকা জরিমানার ও আদেশ দেয়া হয়।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত কানাই মিয়া সরাইল উপজেলার পশ্চিম কুট্টাপাড়ার লিবু মিয়ার ছেলে।
আদালতের নথিপত্র থেকে জানা গেছে, আদালতের নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর প্রতিবেশীর বাড়িতে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয় পশ্চিম কুট্টাপাড়ার আবদুল হাফিজের ৯ বছর বয়সী মেয়ে ও কুট্টাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী জয়নব।
পরে আর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরদিন ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ির কাছের একটি বাঁশঝাড় থেকে জয়নবের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে সরাইল থানায় ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন শিশুটির মা ফেরদৌসী বেগম। মামলার একদিন পর তদন্তে কানাই মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই শিশু ও কানাইয়ের বাড়ি কাছাকাছি।
গ্রেফতারের পর কানাই আদালতে ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে কানাই জানায়, সে ৪টি বিয়ে করেছে। ভবঘুরে ও বখাটে স্বভাবের কারণে সব স্ত্রী তাকে ত্যাগ করেছে। দাম্পত্য জীবনে তার কোনো সন্তান নেই। ১৬ ডিসেম্বর নিখোঁজের দিন সন্ধ্যার পর শিশুটিকে সে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং পরে শিশুটিকে হত্যা করে রাতেই লাশ বাঁশঝাড়ে ফেলে রাখে।
এ ঘটনায় ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কানাই মিয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মেরাজুল ইসলাম জানান, কানাইয়ের জবানবন্দির প্রেক্ষিতে আদালত তাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। এতে আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। এ রায়ে বাদীপক্ষের লোকজন সন্তুষ্ট। এদিকে আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন প্রবীণ আইনজীবী আবু তাহের ।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পরিদর্শক দিদারুল আলম জানান, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় আদালত একজনকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে শাহিদা আক্তার (২৬) নামের এক গৃহবধূ মারা গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তাঁকে জড়িয়ে ধরে দগ্ধ হয়েছে দেড় বছর বয়সী মেয়ে সন্তানটি। দগ্ধ হয়েছেন গৃহবধূর স্বামী আল-আমীন (৩০)। তাঁদের সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তির পর ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ওই গৃহবধূ মারা যান।
গত সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আল-আমীনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শাহিদার ছোট ভাই আবিদ মুন্সি। আল-আমীন ও তাঁর মেয়ে আলিফা আক্তার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছে। শাহিদার লাশ গতকাল রাতে গ্রামে দাফন করা হয়েছে।
পুলিশ, মামলার এজাহার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আট বছর আগে উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের আলাই মুন্সির মেয়ে শাহিদা আক্তারের সঙ্গে মধ্যপাড়া গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে আল-আমীনের বিয়ে হয়। তাঁরা প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। প্রথমে আল-আমীনের পরিবার বিয়ে মেনে নিতে না চাইলেও পরে যৌতুক পেয়ে মেনে নেয়। তাঁদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। বিয়ের পর আল–আমীনকে যৌতুক দেওয়া হয় সাড়ে তিন লাখ টাকা। এ টাকায় আল-আমীন মধ্যপ্রাচ্যে যান। তিন বছর আগে দেশে ফিরে তিনি ভবঘুরে স্বভাবের হয়ে পড়েন। টাকার অভাব হলেই তিনি স্ত্রীকে মারধর করতেন। শাহিদার পরিবার থেকে একাধিকবার টাকাও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। শাহিদাকে নিয়মিত মারধরের কারণে গ্রামে একাধিকবার সালিসও হয়েছে।
সোমবার সকালে টাকার জন্য শাহিদা আক্তারকে মারধর করতে থাকেন আল-আমীন। একপর্যায়ে নিজের মোটরসাইকেল থেকে পেট্রল বের করে শাহিদার গায়ে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। অগ্নিদগ্ধ শাহিদা যখন চিৎকার করছিলেন, তখন তাঁর দেড় বছরের শিশু আলিফাও চিৎকার দিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে। এতে শিশু আলিফা দগ্ধ হয়। নিজের দেওয়া আগুনে আল-আমীনও দগ্ধ হন। গ্রামের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তিনজনকেই সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মামলার বাদী শাহিদার ছোট ভাই আবিদ মুন্সি বলেন, ‘যৌতুকের জন্য পাষণ্ড আল-আমীন আমার বোনকে আগুনে পুড়িয়ে মারছে। আমরা তার ফাঁসি চাই।’
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, অগ্নিদগ্ধ আল-আমীন শঙ্কামুক্ত হলেও তাঁর মেয়ে শঙ্কামুক্ত নয়। তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। পুলিশের নজরদারিতে আল-আমীনের চিকিৎসা চলছে। সুস্থ হলে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল বিশ্বরোড মোড়কে যানজটমুক্ত রাখতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশ।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় খাটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাসের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
পথচারীরা জানায়, অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকানপাটের জন্য রাস্তা দিয়ে ঠিকমত চলাচল করা যায় না। এখন চলাচল করতে তাদের অনেক সুবিধা হবে। তারা আশা করেন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ফলে যানজট কম হবে।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, মানুষকে যানজটের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি এনে দিতেই এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।