অনলাইন ডেস্ক :
ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ খাদ্য ব্যবস্থা সামিট+২ স্টকটেকিং মোমেন্টে যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি নিয়মিত ফ্লাইট বুধবার রাত ১টা ৫০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। রোম থেকে ঢাকায় আসার পথে ফ্লাইটি কাতারের দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ঘণ্টা যাত্রাবিরতি করে।
এর আগে ফ্লাইটটি প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে ইতালির স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট) রোম ফিউমিসিনো বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
রোম থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ সামরিক-বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে ইউএনএফএসএস+২ সম্মেলনে যোগ দিতে ২৩ জুলাই ইতালির রোমে পৌঁছেন।
খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে ২৪-২৬ জুলাই ইউএনএফএসএস+২ সম্মেলনটি ‘সাসটেইনেবল ফুড সিস্টেম ফর পিপল, প্লানেট অ্যান্ড প্রোসপারিটি : ডাইভার্স পাথওয়ে ইন এ শেয়ার্ড জার্নি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী ২৪ জুলাই বিশেষ অতিথি বক্তা হিসেবে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে ভাষণ দেন।
ইউএনএফএসএস+২-এ ২০ জনেরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ ১৬০ টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় ২০০০ প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনা ‘ফুড সিস্টেম অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন’ শীর্ষক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনেও অংশ নেন। একই দিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী এফএও সদর দপ্তরে বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের খাদ্য ব্যবস্থা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এফএও সদর দপ্তরে সদ্য উদ্বোধনকৃত বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহালের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এ ছাড়াও, ইতালির তিন মন্ত্রী-কৃষিমন্ত্রী ফ্রান্সেস্কো ললোব্রিগিদা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি এবং বিচারমন্ত্রী কার্লো নর্দিও এফএও সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এএফও’র মহাপরিচালক কু ডংইউ, ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড অব এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (আইএফএডি) এর প্রেসিডেন্ট আলভারো লারিও এবং ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (ডব্লিউএফপি) নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি হেনসলি ম্যাককেইনও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
২৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রী ইউরোপের ১৫টি দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতগণকে নিয়ে আয়োজিত ‘আঞ্চলিক দূত সম্মেলনে’ যোগ দেন।
এ ছাড়া ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও দু’টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ‘জ্বালানি সহযোগিতা’ ও ‘সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি’ শীর্ষক দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) বিনিময় হয়।
শেখ হাসিনা ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনায়ও যোগ দেন।
সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ সবসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে আমরা হারিয়েছি। একইসঙ্গে হারিয়েছি আমার মা এবং ভাইদেরকে। আমার তো হারাবার কিছু নেই! পঁচাত্তর সালের পর; যে বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, যে বাংলাদেশে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অকথ্য অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে। এই বাংলাদেশে ১৯৯২ সালে আমরা দেখেছি, ২০০১ এর পর বা তার আগেও বারবার আঘাত এসেছে কিন্তু আমরা (আওয়ামী লীগ) সব সময় আপনাদের পাশে ছিলাম, পাশে আছি।’
আজ ২২ অক্টোবর রবিবার দুপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। পরে তিনি গোপীবাগে রামকৃষ্ণ আশ্রম পরিদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব সময় বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ, যখন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডাক দিয়েছিলেন—যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করো, তখন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই যার যা কিছু ছিল তাই নিয়ে, অস্ত্র তুলে নিয়েই আমাদের এই দেশ স্বাধীন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ সাধারণত উদার মনের। তারা সবসময় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করে। যে কারণেই আমাদের আজকের স্লোগান ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সবাই আমরা ঠিক এভাবে উৎসব পালন করে যাচ্ছি। আজকে সারা বাংলাদেশে ৩২ হাজারের উপর পূজামণ্ডপ। পূজা সব জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সকলেই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি শুধু এটুকু বলবো, আমাদের যতটুকু করার আমরা করেছি। আপনাদের অনেকগুলো দাবি ছিল। আমি কিছু দিন আগেই আপনাদের সঙ্গে বসেছি। অনেক কিছু বিস্তারিত বক্তব্য দিয়েছি। আজকে যেহেতু একটা উৎসবের দিন কাজেই কী দিলাম বা কী করলাম, কী পেলাম, কী পেলাম না সে কথায় আমি যাব না। আমরা এই মাটির সন্তান সবাই। এই মাটিতে নিজ নিজ অধিকার নিয়ে আপনারা বাস করবেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে সবাই এক হয়ে যুদ্ধ করেছেন। কাজেই এখানে সকলেরই সমান অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার যাতে বলবৎ থাকে, সেই অধিকার যাতে সুপ্রতিষ্ঠিত থাকে আমরা সব সময় সেই চেষ্টাই করি।’
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘আজকে আমরা এটুকু চাইবো, আপনারাও আশীর্বাদ করেন বাংলাদেশের জন্য; আজকে বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা—এখন ঘরে ঘরে খাবার আছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ আছে, চিকিৎসা সেবা মানুষের কাছে আমরা দিয়ে দিচ্ছি, সারাদেশে যে উন্নয়নের ছোঁয়া, এটা মানুষের কল্যাণেই আমাদের কাজ। আর মানুষের কল্যাণ করাটাই আমরা মনে করি একমাত্র দায়িত্ব।’
তিনি বলেন, ‘২০০৮ এর নির্বাচনে বলেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ করব, সেটা আমরা করে দিয়েছি। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ। ইন-শা-ল্লাহ আমরা সেটাও করতে পারব। আমরা সব সময় বিশ্বাস করি, সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এমনকি আমাদের ইসলাম ধর্ম; সুরা কাফেরুনে বলা আছে স্পষ্ট, লাকুম দ্বীনুকুম ওয়াল-ইয়া দ্বীন। অর্থাৎ যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। কাজেই কেউ কারও ওপর হস্তক্ষেপ করবে না। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা সম্পন্ন হোক, সেটাই আমরা চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে আমাদের সংগঠনের সব নেতাকর্মী প্রত্যেকেই পাশে থাকবে। কোনো রকম অঘটন যাতে না ঘটে সেদিকে আমরা সতর্ক থাকব।’
অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া নালায় পড়ে এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৭ আগস্ট সোমবার সকালে হাটহাজারী উপজেলার ইসলামিয়া হাট বাদামতল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ছাত্রীর নাম নিপা পালিত (২৪)। তিনি একই এলাকার উত্তম পালিতের মেয়ে। হাটহাজারী সরকারি কলেজের বিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সোমবার তার দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষায় অংশ নিতে গ্রামের বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন তিনি।
নিপা পালিতের দুর্ঘটনাস্থল প্রশাসনিকভাবে হাটহাজারী উপজেলায় হলেও এটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের অধীন। গত দুইবছরে খোলা খাল-নালায় পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীসহ মারা গেছেন পাঁচজন। গত সাত বছরে মারা গেছেন নয়জন। এরমধ্যে একজনের খোঁজ মেলেনি। আহত হয়েছেন অনেকে। তবুও খোলা নালা-নর্দমা সুরক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি সিটি করপোরেশন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, টানা বৃষ্টিতে হাটহাজারী উপজেলার বাদামতল এলাকাটি পানিবন্দি হয়ে পড়ে। আশপাশের এলাকাসহ সড়কও পানিতে তলিয়ে যায়। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে নিপা পরীক্ষায় অংশ নিতে নাজিরহাট কলেজের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হন। এ সময় পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে সড়কের পাশে নালায় তলিয়ে যান তিনি। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ প্রসঙ্গে হাটহাজারী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক আবু তালেব জানান, নিপার দ্বিতীয় বর্ষের সমাপনী পরীক্ষা চলছিল নাজিরহাট কলেজ কেন্দ্রে। ব্যবস্থাপনা চতুর্থ পত্রের পরীক্ষায় অংশ নিতে ওই কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন তিনি।
নিপা পালিতের দাদা বাদল পালিত জানান, প্রবল বৃষ্টির মধ্যে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ছাতা মাথায় দিয়ে বাসা থেকে বের হন নিপা। গাড়ি ধরতে মূল সড়কের একপাশ দিয়ে হাঁটছিলেন তিনি। হঠাৎ পানির তোড়ে নালায় পড়ে যান নিপা। সেখান থেকে আর উঠতে পারেননি। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
হাটহাজারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোফরান উদ্দিন জানান, জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পরিবারের সদস্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে এসআই জানান, নিপা মৃগী রোগী ছিলেন। তাদের বাড়ির আশপাশ ও সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি মাড়িয়ে হাঁটতে গিয়ে তিনি তলিয়ে যান। মৃগী রোগী হওয়ায় তিনি আর উঠতে পারেননি বলে পরিবার ও স্থানীয়দের ধারণা।
সিটি করপোরেশনের দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গাজী মো. শফিউল আজিম বলেন, ‘এটি গ্রামীণ এলাকা। এখানে নালা নেই। বাড়ি থেকে ৩০-৪০ গজের মধ্যে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ভেসে গেছে ওই ছাত্রী। মৃগী রোগী হওয়ায় পানি থেকে আর উঠতে পারেননি।’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট নগরীর মুরাদপুরে জলাবদ্ধতায় সড়ক-খাল একাকার হয়ে গেলে তাতে পড়ে নিখোঁজ হন সবজি ব্যবসায়ী সালেহ আহমেদ। এ ঘটনার জন্য সিডিএকে দায়ী করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গঠিত তদন্ত কমিটি। নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় চসিককেও দায়ী করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে লাল পতাকা ও ব্যানার টাঙানো এবং নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরিসহ দুর্ঘটনা রোধে ৯টি সুপারিশ করেছিল ফায়ার সার্ভিস। কোনো সুপারিশই পুরোপুরি বাস্তবায়ন করেনি সিডিএ। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেয়নি সরকার।
একই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর নগরীর আগ্রাবাদে খোলা নালায় পড়ে মৃত্যু হয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়ার। ৬ ডিসেম্বর নগরীর ষোলশহর এলাকায় চশমা খালে পড়ে নিখোঁজ হয় ১২ বছর বয়সী শিশু কামাল উদ্দিন। তিন দিন পর মির্জাখাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। এছাড়া ২০২১ সালের ৩০ জুন এই নগরীর নাসিরাবাদ এলাকায় চশমা খালে পড়ে যায় একটি সিএনজি অটোরিকশা। প্রচণ্ড স্রোতে ভেসে যান চালক সুলতান ও যাত্রী খাদিজা বেগম। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার ধানমন্ডির সুলতানা কামাল উইমেন্স ক্রীড়া কমপ্লেক্সে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী।
উদ্বোধনী বক্তব্য তিনি বলেন, ‘কর্মজীবনে আমি একজন সরকারি কর্মচারী ছিলাম।
আজ আমি অবসরপ্রাপ্ত এবং সরকারের একজন মন্ত্রী। এখানে যারা উপস্থিত আছেন তারা অনেকেই আমার প্রত্যক্ষ সহকর্মী। অনেকে অনেকে আবার কর্মক্ষেত্রে আমার নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন।’
অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী কল্যাণ সমিতির আয়োজনে রাজধানীর সুলতানা কামাল উইমেন্স ক্রীড়া কমপ্লেক্সে আয়োজিত এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা দেশের প্রতিথযশা প্রবীণ কর্মকর্তাদের মিলন মেলায় পরিণত হয়।
প্রবীণ এই কর্মকর্তাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নির্মল আনন্দ উপভোগ করেন। প্রতিযোগিতার শুরুতেই শিশুদের মোরগ লড়াই এবং পঁয়ষট্টি বছরের অধিক বয়স্কদের বেলুন ফাটানো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া স্কিপিং, বালিশ বদল, মেধা পরীক্ষা, ভারসাম্য দৌড়, রশি টানাটানি ও টেনিস বল নিক্ষেপসহ মোট ১৮টি ইভেন্টে পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক পৃথক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সমিতির পতাকা উত্তোলন করেন সাবেক সচিব ও সমিতির মহাসচিব আবু আলম মো. শহিদ খান এবং ক্রীড়া পতাকা উত্তোলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুজ্জামান ভূঁইয়া।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শুরু হতে পারে ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। একই সঙ্গে আগামী বছর এপ্রিলের শুরুতেই এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।
আজ ৫ মার্চ মঙ্গলবার আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।
অধ্যাপক তপন কুমার বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির আগে আমরা সাধারণত এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির শুরুতে আয়োজন করতাম। আমরা আগের সেই সূচিতে ফিরে যেতে চাই। এসএসসি পরীক্ষা দ্রুত শেষ করতে পারলে এইচএসসি পরীক্ষাও আগের সূচিতে আয়োজন করা যাবে।
ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা এপ্রিল মাসে আয়োজন করা হতো। করোনার কারণে পাবলিক পরীক্ষার সূচিতে পরিবর্তন আনতে হয়েছে। আশা করছি আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এসএসসি এবং এপ্রিলের শুরুতেই এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজন করতে পারবো।
আগামী বছরের এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস সম্পর্কে অধ্যাপক তপন কুমার বলেন, আমাদের পরিকল্পনা ছিল পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করা কঠিন হওয়ায় সংক্ষিপ্ত অর্থাৎ ২০২৩ সালের সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ৯ জন বিচারপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
আজ ৩ আগস্ট শনিবার সকাল পৌনে ৯টায় তারা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জাননো হয়।
৯ বিচারপতি হলেন : বিচারপতি মো. শওকত আলী চৌধুরী, বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ, বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথ, বিচারপতি মো. আলী রেজা, বিচারপতি মো. বজলুর রহমান, বিচারপতি কে এম ইমরুল কায়েশ, বিচারপতি ফাহমিদা কাদের, বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ, বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসান।
বিচারপতিরা জাতির পিতার পরিবারের সব শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধার কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ পরিবার-পরিজনের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনায় মোনাজাত করেন।