অনলাইন ডেস্ক :
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। পরীক্ষায় পাসের হার ৮০.৩৯ শতাংশ। শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন।
এর আগে ফলের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। সকাল ৯টায় গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলের অনুলিপি তুলে দেন। এরপর বাটন চেপে আনুষ্ঠানিকভাবে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মোবাইল ফোনের এসএমএস এবং শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল জানা যাবে।
বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংবাদ সম্মেলন করে ফলের বিস্তারিত গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরবেন।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, অনলাইনে ফল প্রকাশিত হবে। পরীক্ষার্থীরা ঘরে বসেই ফল পাবেন।
যেভাবে ফল জানা যাবে: অনলাইন ও মোবাইল থেকে এসএমএস করে ফল জানা যাবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো রেজাল্ট শিট ডাউনলোডের ক্ষেত্রে www.dhakaeducationboard.gov.bd থেকে রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন দিয়ে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে। আর www.educationboardresults.gov.bd-তে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।
এ ছাড়া এসএসসি ও বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর টাইপ করে রোল ও পাসের বছর দিয়ে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করেও ফল পাওয়া যাবে। উদাহরণ: SSC DHA ১২৩৪৫৬ ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। দাখিলের ক্ষেত্রে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষরের জায়গায় MAD এবং কারিগরির ক্ষেত্রে TEC লিখতে হবে।
২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ এপ্রিল। শেষ হয় ২৮ মে। দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এ বছর ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য ঠাকুরগাঁওয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়েছে। আজ ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই প্রচারণার উদ্বোধন করা হয়েছে। সচেতনতামূলক প্রচারণার উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক।
এ সময় ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) লিজা বেগম, ঠাকুরগাঁও ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর আমজাদ হোসেন, ঠাকুরগাঁও সদর থানা ওসি (তদন্ত) জিয়াউর রহমানসহ ট্রাফিক ও জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জেলা পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক যানবাহন চালকদের ট্রাফিক আইন মনে চলার জন্য লিফলেট বিতরণ করেন। সেইসাথে হেলমেট পরিধান ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখার আহবান জানানো হয়। সেসময় বেশকিছু মোটরসাইকেল চালককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও হেলমেট বিতরণ করেন পুলিশ সুপার ।
চলারপথে রিপোর্ট :
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র্যাবের অভিযানে আজ ২৭ আগস্ট রবিবার ১১ জন দালাল ও আউটসোর্সিং কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। হাসপাতালের অভ্যন্তরের বিভিন্ন ওয়ার্ড জরুরি বিভাগ ও বহিঃবিভাগ থেকে তাদের আটক করে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে জড়ো করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বেসরকারি সন্ধানী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দুই কর্মচারি অনুমতি ছাড়াই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঢুকে রোগীর রক্ত সংগ্রহ করেছেন। তাদেরকে ডায়াগনস্টিক রিপোর্টের জন্য হাসপাতাল থেকেই ফোন করেছিলেন কমিশনপ্রাপ্ত ওয়ার্ড বয়। এর বাইরে বেশ কয়েকজন আউটসোর্সিং কর্মচারি রয়েছেন যাদের চাকরির মেয়াদ শেষ হলেও কোম্পানী থেকে প্রাপ্ত পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে কমিশনের বিনিময়ে হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছেন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট আরিফুল ইসলাম দালাল চক্রের দুই জনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও পাঁচ দিনের কারাদণ্ড এবং বাকি নয় জনকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
১৫ দিনের জেলা ও এক হাজার টাকা জারিমানার দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জ্যোতির্ময় শীল (২৮) ও লিটন মন্ডল (৩২)। জরিমানা দন্ডপ্রাপ্ত নয়জন হচ্ছেন- শিফাজুর রহমান, মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, ফিরোজা খাতুন, ফারুক হোসেন, ওসমান শেখ, রিয়া বেগম, আরাফাত আকুঞ্জি, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও গোলম রাব্বারনী।
র্যাব-৬’র কোম্পানি কমান্ডার মো. বদরুদ্দোজা বলেন, সাধারণ রোগীদের কথা মাথায় রেখে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সকল সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো দালাল মুক্ত করতে চাই। এর জন্য আগামীতেও আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ জেলা পঞ্চগড় থেকে ভোটে লড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, পঞ্চগড়ের মানুষ চাইলে তিনি ভোটে লড়বেন।
আজ ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে পঞ্চগড়ের মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ মাঠে অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শেষে একথা বলেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, পঞ্চগড়ের মানুষ যদি মনে করে আমি কিংবা তরুণ অন্য কেউ সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে তাহলে আমি মনে করি তার এই দায়িত্ব নেওয়া উচিত। আমরা মানুষের চাওয়া নিয়েই কাজ করেছি। সব কর্মসূচি ছিলো মানুষের পালস বুঝেই। মানুষ এখন চায় আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া তরুণরা তাদের প্রতিনিধি হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করুক।
বিগত ১৬ বছরে রংপুর বিভাগসহ পঞ্চগড় অনেক বৈষম্যের শিকার হয়েছে মন্তব্য করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক বলেন, কয়েকটি রাস্তা ছাড়া কিছুই হয়নি। একটা শিল্প কারখানা হয়নি। আমাদের বেশি কিছু দরকার নেই। যেটুকু পঞ্চগড়ের মানুষের পাওনা বা হক সেটা কিভাবে আদায় করা যায় আমরা প্রাণপন চেষ্টা করব।
শীতবস্ত্র পাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, অনেক বিত্তবান ভালো মানুষ রয়েছেন। অনেক গার্মেন্ট মালিক রয়েছেন। তাদের সঙ্গে কেবল যোগাযোগ করা ও সদিচ্ছা থাকা দরকার। আমরা যে শীতবস্ত্র পেয়েছি তা পঞ্চগড়ের প্রত্যেক ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।
পঞ্চগড়ের উন্নয়নের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের জন্য যতটুকু করা যায় আমরা করব। এটা মাত্র শুরু, পঞ্চগড়কে নিয়ে অনেক ইচ্ছে ও স্বপ্ন আছে। আশা করি তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেখতে পাবেন। পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীর পাশে জেলা প্রশাসকের ডিজাইনে একটি ২৩ তলা ওয়াচ টাওয়ার হবে। এ বছরেই এ টাওয়ারটা হবে, যেটা হবে বাংলাদেশের মধ্যে সব থেকে বড় ওয়াচ টাওয়ার। এটা থেকে পুরো পঞ্চগড়সহ তেঁতুলিয়া দেখা যাবে। এমন কিছু করতে হবে যা দেখতে পুরো বাংলাদেশ থেকে মানুষ পঞ্চগড়ে আসে। এতে জেলায় বাড়বে কর্মসংস্থান। আমরা একটা জিনিস মনে করি, মানুষের ক্ষমতা ও টাকা আজ আছে আগামীকাল নেই। কেউ যদি কিছু একটা করে যায়, সে আগামী ১০০ বছর রয়ে যাবে। আর টাকা দিয়ে কখনও সম্মান কেনা যায় না। শুধু দোয়া করবেন আমার জন্য, এটাই চাওয়া।’
সারজিস জানান, অন্যায় অনিয়ম ঠেকাতে প্রত্যেক জেলা উপজেলার মানুষকে নিয়ে গ্রুপ তৈরি করা হবে। বলেন, কেউ অন্যায় অনিয়ম করলে এই গ্রুপের মাধ্যমে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। সৃষ্টিকর্তা আমাদের যে সুযোগ দিয়েছে সেটি আমানত মনে করি। এই আমানত রেখে মানুষের কল্যাণে যা কিছু করা যায় আমরা করব।
জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস বলেন, এতো রক্ত, এতো জীবনের বিনিময়ে জণগণের চাওয়া কেবল একটি নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না।
তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন হয়ে জনগণের যারা প্রতিনিধি হবে স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের কাছে ক্ষমতা যাবে এতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ৬ মাসের মধ্যে নতুন একটি ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা, নির্বাচন কমিশনকে ঠিক করা, বিচার ব্যবস্থাকে ঠিক করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের মূল দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা প্রায় অবাস্তব ও অসম্ভব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে স্বৈরাচারবিরোধী অভ্যুত্থানটি সফল হয়েছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, আমরা যারা এই অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলাম আমরা অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ নিয়ে যে স্বপ্ন দেখি তার সামগ্রিক একটি রূপরেখা এই জায়গায় দেখতে পাব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আদম সুফি, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব ও জেলা জজ আদালতের গভর্নমেন্ট প্লিজার (জিপি) আব্দুল বারী, অ্যাডভোকেট খলিল হোসেন, গড়িনাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দিপুসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
অনলাইন ডেস্ক :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা যেন পৌঁছে দিতে পারি সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। যাতে এ দেশে সাধারণ মানুষ ভালো চিকিৎসা পায়।’
আজ ১৬ মার্চ শনিবার সকালে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে এখানে আসতে পেরে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করছি। আমার জীবনের অনেক স্মৃতি এখানে। আমার বিয়ে থেকে শুরু করে জীবনের সব ঘটনা এই ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে কেন্দ্র করে।
সেই ১৯৮০ সাল থেকে এর সঙ্গে জড়িত।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি সব সময় একটা কথায় বিশ্বাস করি, জীবে প্রেম করে যেইজন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর। এই মন্ত্র মাথায় নিয়ে আমি সারা দেশ ঘুরে বেড়াচ্ছি। সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা যেন পৌঁছে দিতে পারি সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।যাতে এ দেশে সাধারণ মানুষ ভালো চিকিৎসা পায়।’
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জে এল ভৌমিকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।
সম্মেলন সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার।
চলারপথে ডেস্ক :
এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের নামে প্রতারণা করার অভিযোগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগের একটি দল এক কলেজছাত্রকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার আব্দুর রউফ প্রীতম আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী। অনলাইনে জুয়া খেলার টাকা সংগ্রহ করার জন্যই প্রীতম এই প্রতারণার আশ্রয় নেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাতে ডিএমপি ডিবি লালবাগ বিভাগের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সহযোগিতায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বঙ্গবন্ধু বিমানবাহিনী ঘাঁটির সামনে থেকে আব্দুর রউফ প্রীতমকে গ্রেফতার করে। প্রীতম আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করতে পারবে এরকম শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে তার ফেসবুক এবং মেসেঞ্জারে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে নগদ এবং বিকাশ মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
ডিবি সূত্র আরও জানায়, এসএসসি ব্যাচ-২০২৩, এসএসসি শর্ট সিলেবাস-২০২৩ এবং দেশ ভিউ নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে প্রীতম চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত প্রচারণা চালাতে থাকেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকেরা তার এই প্রচারণায় বিশ্বাস করে তার সঙ্গে বিভিন্ন অ্যাপসে যোগাযোগ করেন। একপর্যায়ে তার চাহিদামতো টাকা মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের নামে প্রতারণার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য এই প্রতারক ছাত্র তার বাবা ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ এবং তার মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে একাধিক ব্যাংক হিসাব খুলেছিলেন।
ডিবির ডিসি মশিউর রহমান বলেন, চলমান এসএসসি পরীক্ষা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, সংরক্ষণ, পরিবহণ অথবা বিতরণের মতো কোনো কাজেই এই ছাত্র বা তার কোনো আত্মীয় জড়িত ছিল না। তাই তার পক্ষে প্রশ্নপত্র ফাঁস করা একেবারেই অসম্ভব ছিল। অনলাইন জুয়া খেলায় দীর্ঘদিন ধরে আসক্ত এই ছাত্র জুয়া খেলা ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে ফুর্তি করার টাকা সংগ্রহ করার জন্যই এই প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রীতমের বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।