চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে অনৈতিক কাজের অভিযোগে কালঘড়া হাফেজউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক সুমন আহম্মেদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ ২৮ জুলাই শুক্রবার প্রধান শিক্ষক মো. ইয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল বৃহসপতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষক সুমন আহম্মেদের সঙ্গে এক ছাত্রীর অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি ভাইরাল হয়। সেখানে শিক্ষককে আইনের আওতায় আনার দাবি উঠে । তবে, এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুমন আহম্মেদ।
সুমন আহম্মেদ বলেন, একটি চক্র আমাকে হেয় করতে ষড়যন্ত্র করছে। মেয়েটিকে আমি চিনি না।
রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খন্দকার মনির হোসেন বলেন, শিক্ষক সুমন আহম্মেদের বিরুদ্ধে আগেও নানা অভিযোগ উঠেছিল। তিনি স্কুলের সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রি করেছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাঁকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছিল।
কথা হলে প্রধান শিক্ষক মো. ইয়ার হোসেন বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে শিক্ষক সুমনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক, অনলাইন গেমসসহ বিভিন্ন ধরনের নেগেটিভ কাজ থেকে যুবসমাজকে দূরে রাখার প্রয়াসে নবীনগর পৌরসভা সহ ২১ টি ইউনিয়নের আলাদা আলাদা ফুটবল টীমের সমন্বয়ে শুরু হওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নবীনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উক্ত খেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান, নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী সাহান, ওসি তদন্ত মো. সোহেল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামস আলম, পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর আজম, নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সেলিম এলাহী, মাদকমুক্ত নবীনগর চাই সংগঠনের সভাপতি মো. আবু কাওসার, কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড ইসহাক মিয়া, প্রেষক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজ সহ রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নবীনগর ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সাগরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পশ্চিম ইউনিয়ন ও সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
খেলায় সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন ২-০ গোলে জয় লাভ করেন।
খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন প্রভাষক আবু সাইদ রনি সার্জেন্ট অবসরপ্রাপ্ত জহিরুল হক, ডাক্তার শ্যামল ও অবসরপ্রাপ্ত কর্পোরাল দুলাল মিয়া।
সমাপনী বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও টুর্নামেন্টের সভাপতি সুন্দরভাবে টুর্ণামেন্টের আয়োজন করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান, এবং জেলা পর্যাযয়ে নবীনগর উপজেলা যাহাতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করতে পারে সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য সকলকে বলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১০-১১টা পর্যন্ত চলছে ঈদের কেনাকাটা। গত ৩ এপ্রিল বুধবার দুপুরে উপজেলার সদর বাজারসহ অন্যান্য কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। ছোট বড় শপিং মলের পাশাপাশি বিক্রি বেড়েছে ফুটপাতেও।
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নবীনগর উপজেলার শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতান ও রাস্তার পাশের ফুটপাতে গড়ে ওঠা অস্থায়ী দোকানগুলোতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ঈদের নতুন চালান থেকে বেছে নিচ্ছেন অভিভাবকসহ তরুণ তরুণীদের ড্রেস ও প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই শিশুরাও, অভিভাবকরা শিশুদের জন্য কিনছেন বাহারি রকমের পোশাক। ঈদ বাজার জমজমাট হওয়ায় খুশি বিক্রেতারাও। আধুনিক সমবায় সুপার মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। পুরো পরিবার নিয়েই অনেকে হাজির হয়েছেন শপিং মার্কেটে। নবীনগর পৌর এলাকার পূর্ব পাড়ার মুসা মিয়া বলেন, প্রবাস থেকে দেশে ফিরে এসেছি বন্ধুবান্ধবসহ পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করব। পরিবার ও নিজের জন্য ঈদের কেনাকাটা করছি।
ঈদের শপিং করতে আসা বিদ্যাকুট গ্রামের ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ঈদের কেনাকাটা করবো বলেই উপজেলার সদর বাজারে আসছি কিন্তু এ বছর তুলনামূলক সবকিছুর দাম বেশি মনে হচ্ছে। সমবায় মার্কেট থেকে শার্ট ও প্যান্ট কিনেছি, এখন জুতা কিনতে সালাম রোডের দিকে যাচ্ছি।
রসুলাবাদ থেকে আসা আফরোজা বেগম বলেন, ঈদের কেনাকাটা করতে নবীনগর বাজারে আসছি। ঈদের জন্য জামা কাপড় কিনেছি। ছেলে ভাইনা করেছে নীল রঙের ঘড়ি কিনবে, ঘড়ির দোকানে যাচ্ছি। দামের বিষয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দাম একটু বেশি।
পৌর এলাকা রাজ্জাক মিয়া বলেন, গত দুই মাস আগে যে শার্ট ৫০০-৭০০ টাকায় কিনেছি এখন তা ৮০০-১০০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
খাজানগর গ্রামের রহিছ মিয়া জানান, ঈদের কেনাকাটা করতে পরিবার নিয়ে শপিংমলে আসছি। গত বছরের তুলনায় এবছর পোশাকের দাম বেশি মনে হচ্ছে। একটি থ্রি পিস কিনতে গেলে ৩২০০ টাকা দাম বলেন, যা পরে আমার কাছে ১১০০ টাকা বিক্রি করেন। নির্ধারিত মূল্য তালিকা না থাকায় ঈদকে সামনে রেখে কিছু দোকানদাররা এই সুবিধা নিচ্ছেন বলে তার অভিযোগ। তুলনামূলক রাস্তার পাশের অস্থায়ী দোকানগুলোতে এবছর বেড়েছে বিক্রির পরিমাণ। শপিংমল গুলোতে মূল্য বেশি হওয়ায় অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতে। এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে বৈশ্বিক মন্দার কারণে আগের চেয়ে সব পণ্যের দাম চওড়া। তাই আমাদের কিনতে হয় বেশি দামে। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারাও দেখে শুনে যাচাই করে নিচ্ছেন
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা নাটঘর ইউনিয়ন। ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন বিশাল জায়গাজুড়ে স্থাপন করা হয়েছে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকে এই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। নিজের খেয়াল খুশি মতো আসেন এই কেন্দ্রের একমাত্র স্টাফ ফার্মাসিস্ট শাহ আলম। সরকারি এই স্থাপনার চাবি এলাকাবাসীর কাছেই দিয়ে রেখেছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নাটঘর ইউনিয়নে জনসংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। এই ৩০ হাজার মানুষকে সেবা দিতে ইউনিয়নে রয়েছে একটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। এর ভেতরে রয়েছে ৬টি কক্ষ। প্রতিদিন এই সেবা কেন্দ্র সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকার সরকারি নিয়ম থাকলেও সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মাত্র ৩ ঘণ্টা খোলা থাকে।
এই কেন্দ্রে কোনো চিকিৎসক নেই। ফার্মাসিস্ট পদে থাকা শাহ আলম নামে একজন দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি এলাকাবাসীর কাছে শাহ আলম ডাক্তার নামে পরিচিত। প্রতি কর্মদিবসে শাহ আলম সকাল সাড়ে ৯টার পর এসে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টার ভেতর চলে যান। এরপর তালাবদ্ধই থাকে এই ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র৷ সরকারি এই স্থাপনার চাবিও তিনি দিয়ে রাখেন এলাকার বাসিন্দাদের কাছে।
সরেজমিনে দুপুর ১টায় নাটঘর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় গেট তালাবদ্ধ। স্থানীয়দের জিজ্ঞেস করলে জানান, ডাক্তার শাহ আলম কিছুক্ষণ আগে চলে গেছেন। এর চাবি রয়েছে পাশের বাড়ির রিনা বেগম নামে এক নারীর কাছে।
রিনা বেগমের বাড়িতে গেলে তিনি জানান, আজ আমার কাছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চাবি নেই। চাবি আছে এলাকার আব্দুল হান্নানের কাছে৷
আব্দুল হান্নানকে খবর দিলে তিনি রিনা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে প্রধান গেইটের তালা খোলেন। এরপর ভবনের গেটের তালা খুলে পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করেন।
জানতে চাইলে আব্দুল হান্নান বলেন, চাবি আমার কাছেও থাকে। ডাক্তাররা টিকা দিতে বা ডেলিভারির রোগীরা এলে আমাকে খবর দেওয়া হয়। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টার ভেতরে খোলা হয়, আর দুপুরে চলে যান ডাক্তার শাহ আলম।
রিনা বেগম বলেন, আমি এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র ধোয়ামোছার কাজ করি। পাশাপাশি ডেলিভারির কাজ করি। প্রতিদিন জোহরের আযান দিলে শাহ আলম ডাক্তার চলে যান।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে নাটঘর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফার্মাসিস্ট শাহ আলম বলেন, এই কেন্দ্রে আমি ছাড়া কেউ সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত নেই। রিনা বেগম স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেন। এই অফিসের চাবি রিনা বেগমের কাছেও আছে। আমাদের অফিস টাইম সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা। আমি নিয়মিত অফিস করি।
নবীনগর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ বলেন, আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। নাটঘরে শুধুমাত্র একজন ফার্মাসিস্টের মাধ্যমে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। আমি চেষ্টা করছি স্টাফ বাড়াতে। কিন্তু ব্যর্থ হচ্ছি। নাটঘর কেন্দ্রে নিয়মিত অফিস না করা এবং সরকারি সম্পদের চাবি অন্যের কাছে দিয়ে রাখার বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের আপনারা (সাংবাদিক) তথ্য দিলে ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটার থেকে লিজা নামের এক প্রসূতির এক নবজাতক গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
২১ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে জেলা শহরের মুন্সেফপাড়া খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
লিজা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার আলেয়াবাদ গ্রামের ফরহাদ আহমেদের স্ত্রী।
স্বজনদের দাবি, বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় লিজার গর্ভে দুটি সন্তান আছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেলেও সিজারিয়ান অপারেশনের পর তাকে একটি নবজাতক দেখানো হয়েছে।
লিজার স্বামী ফরহাদ আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, আমার স্ত্রী প্রথমবারের মতো গর্ভবতী হলে উপজেলার স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক মেহেরুন্নেছার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেসময় আলট্রাসনোগ্রাফিতে আমার স্ত্রীর গর্ভে দুটি সন্তান দেখা গেছে বলে জানান চিকিৎসকরা। সবশেষ ১৮ এপ্রিল করা আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে গর্ভে দুটি সন্তান আসে। আজ আমার স্ত্রীর প্রসব ব্যথা ওঠে। যমজ শিশু গর্ভে থাকায় স্থানীয় চিকিৎসকরা ঝুঁকি না নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে হাসপাতালে এনে সিজার করাতে পরামর্শ দেন।
‘দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে তাকে শহরের খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাকে ডা. নওরিন পারভেজ আলট্রাসনোগ্রাফি করেন। ওই রিপোর্টেও দুটি সন্তান দেখা যায়। পরে তিনি নিজেই লিজাকে সিজারিয়ান অপারেশন করেন। এর কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের লোকজন এসে জানান, আমার স্ত্রী একটি কন্যাসন্তান জন্ম দিয়েছেন। আর কোনো সন্তানের কথা তারা জানাতে পারেননি।’
ফরহাদ আহমেদ বলেন, ‘আমার প্রশ্ন, নবীনগরে আলট্রাসনোগ্রাফিতে দুটি সন্তানের কথা জানিয়েছে। এখানে তাদের চিকিৎসকও দুটি সন্তানের কথা জানান। তাহলে আমার আরেক সন্তান গেলো কোথায়?’
এ বিষয়ে খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসক নওরিন পারভেজ বলেন, ‘আমি দুই জায়গায় হার্টবিট পেয়েছি। অনেক সময় আমাদের দেখা এবং অনুমানে ভুল হতে পারে। সে অনুযায়ী আমি রিপোর্ট দিয়েছি। তবে সিজারিয়ানে গর্ভে একটি সন্তান পাওয়া গেছে।’
হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মার্শাল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা রোগীর অভিভাবকদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি এটা মেডিকেলের বিষয়। কিন্তু তারা চেঁচামেচি করে গরম করে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে প্রশাসনকে ডেকেছি।’
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১ নম্বর শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শেহাবুর রহমান বলেন, শিশুর বাবার অভিযোগ, আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে দুই শিশু ছিল। হাসপাতালের চিকিৎসকও আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে দুই শিশু দেখেছেন। কিন্তু সিজারে এক শিশু পাওয়া গেছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগরে কড়ইবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নবনির্মিত শহীদ মিনারের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ফিতা কেটে নবনির্মিত শহীদ মিনারের শুভ উদ্বোধন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক। পরে তিনি অত্র বিদ্যালয়ে পড়ালেখার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে মা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলী আকবর সরকারের সভাপতিত্বে মা সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল সরকার, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল কাইয়ুম, মতিউর রহমান, মনসুর আহম্মেদ ও শিউলী কর, ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল আউয়াল রবি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এটিএম রেজাউল করিম সবুজ, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বেগম, ইউপি সদস্য বশির আহম্মেদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিটি মায়ের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। তাদের মানুষের মতো মানুষ করতে হলে এবং তাদের সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে মায়েদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি পরিবার থেকে যদি একজন ছেলে মেয়েও মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলা যায়, তাহলেই সেই পরিবার, সমাজ ও দেশ আলোকিত হবে। তাই ভালো ফলাফলের পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষক ও মায়েদের প্রতি আহব্বান জানান তিনি। এছাড়াও এসময় তিনি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজগুলো পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন করে দিবেন বলেও জানান।